সৌদি ভূখণ্ডে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা যেভাবে ব্যর্থ হয়

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০৯ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:০৭:১৫ সকাল



ইহুদিবাদী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রুতনেস্টাইন সৌদি আরবের ভূমিতে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রিটেনের সহায়তা চেয়েছিলেন বলে খবর ফাঁস হয়েছে।

তিনি খ্রিস্টিয় ১৯১৭ সালে কলঙ্কিত ব্যালফোর ঘোষণার আগে প্যারিসে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কাছে এ ব্যাপারে সহায়তা চেয়েছিলেন। (ব্যালফোর ঘোষণার মাধ্যমে ব্রিটেন ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইহুদিবাদীদেরকে।)

ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইট এই তথ্য ফাঁস করেছে।

জায়োনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা ডি.এম. এল. রুতনেস্টাইন ১৯১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে প্যারিসে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কাছে ওই আবেদন জানিয়েছিলেন।

ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ এই খবর প্রকাশ করে লিখেছে: প্যারিসনিবাসী ওই ইহুদিবাদী চিকিৎসক (ডি.এম. এল. রুতনেস্টাইন) তৎকালীন হিজাজের (বর্তমান সৌদি আরব) উর্বর ভূমি হিসেবে খ্যাত 'আলহাসা' অঞ্চলে সেনা পাঠাতে ব্রিটেনের কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ ওই প্রামাণ্য চিঠির ফটোকপি প্রকাশ করেছে। ফরাসি ভাষায় লিখিত ওই চিঠিটি ফাঁস করেছে ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইট।

ডি.এম. এল. রুতনেস্টাইন ওই চিঠিতে লিখেছেন, আগামী বসন্তে ব্রিটিশ সেনারা যখন আলহাসা অঞ্চলটি দখল করবে তখন তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য আমি এক লাখ বিশ হাজারেরও বেশি ইহুদি সেনা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তিনি এই চিঠিতে স্বীকার করেন যে প্রথম দিকে এই প্রস্তাবকে অযৌক্তিক মনে হলেও এ এলাকায় ব্রিটিশ সেনাদের সাহায্য করার জন্য এক হাজার ইহুদি সেনা পাঠানোর মাধ্যমে তার উদ্দেশ্য ও লক্ষের সত্যতা প্রমাণিত হবে।

ইহুদিবাদী এই চিকিৎসকের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাহরাইনে ত্রিশ হাজার ইহুদিবাদী যোদ্ধা উপস্থিত হওয়ার পর ব্রিটিশ সেনারা ইহুদিদের সহায়তা নিয়ে এক আকিস্মিক অভিযান চালাবে যাতে তৎকালীন তুর্কি সাম্রাজ্যের আওতাধীন হিজাজের আলহাসা অঞ্চলটি দখলের অভিযান শুরু করা যায় এবং এভাবে ঐ অঞ্চলে (বর্তমান সৌদি আরবে) ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

হারেৎজ আরো লিখেছে, বাস্তবতা হল ডি.এম. এল. রুতনেস্টাইন এটা জানতেন না যে আলহাসা অঞ্চলটি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কাছে তার ওই চিঠি লেখার কয়েক বছর আগেই (তুর্কি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী) আলে সউদের কর্তৃত্বাধীনে এসে যায় এবং ব্রিটিশরাও ওই অঞ্চলের ওপর সউদি কর্তৃত্ব মেনে নেয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।

দৈনিকটি লিখেছে, এইসব বাস্তবতা সত্ত্বেও প্যারিসে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এই ইহুদিবাদী নেতার চিঠিটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস ব্যালফোরের কাছে পাঠায়। কিন্তু ব্যালফোর ওই ইহুদিবাদী ডাক্তারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাকে জানান যে, এই কাজটি করার ক্ষমতা ব্রিটেনের নেই। #

রেডিও তেহরান/এএইচ/৮

বিষয়: বিবিধ

১১৪০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

204952
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
আইন যতো আইন লিখেছেন : ভালো লাগলো
204955
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর বিষয়টি শেয়ার করার জন্য। মুহাম্মদ আসাদ এর "মক্কার পথ" বইটিতে বাদশাহ আবদুল আযিয এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারি ফয়সাল আদদাবিশ এর বৃটিশ সহায়তা প্রাপ্তির কথা প্রমান সহ উত্থাপন করা হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে বর্তমানে কিছু মানুষ সেীদি সরকার কে বৃটিশ এজেন্ট প্রমান এর জন্য গলাবাজি করে চলেছেন। মুহাম্মদ আসাদ সেীদি সরকারের একজন অত্যন্ত সমালোচক ছিলেন। কিন্তু সত্যকে অস্বিকার করেননি।
205075
০৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
বেদনা মধুর লিখেছেন : আপনার এই পোষ্ট ডিলেট করেন প্লিজ। বর্তমানের সৌদি রাজা যদি এই খবর জানে যে সৌদিতে ইসরাইল সৃষ্টির ইচ্ছা ছিল তাহলে আমি নিশ্চিত সৌদির বর্তমান রাজা এখনই ইসরাইলটা সৌদি আরবে নিয়ে আসবে। সৌদির বর্তমান ইহুদি রাজারা মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী বলে আর ইসরাইলের সাথে ঘুমায়। এই পোষ্ট ডিলেট করেন প্লিজ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File