পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘আমিও বাকশালের সাপোর্টার...!! শহীদুল হকের পাচাটা বক্তব্যের আংশিক জবাব...।
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ১৭ আগস্ট, ২০১৫, ০১:৩১:২৬ রাত
যখন বাকশল গঠিত হয়েছিল, তখন সবাই লাইন ধরেছিল এর সদস্য হওয়ার জন্য।
রোববার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সংসদে ভাষণে বলেছিলেন, সারাজীবন আমি সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছি। আর আজ আমি নিজেই সংসদে বসে বাকশাল গঠনের কথা বলছি। এখন থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার হবে।
এখানে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার মধ্যে পার্থক্য কোথায়? যিনি গনতন্ত্রের মানসকন্যা তিনিই প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এক মনস্ক শাসন করছেন!!!
বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণ শুনে আমি বাকশালের প্রতি সমর্থন জানাই। উদ্দেশ্য ছিল- সবাই মিলে দেশের উন্নয়ন করা। দেশের উন্নয়ন হয়ে গেলে আবার সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়ে যেত।
শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতার রাজনীতি করতে গিয়ে সারা জীবন গনতন্ত্রের পক্ষে থাকলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর কুচিন্তায় পেয়ে বসে..... কুচিন্তাকে শহীদুল হক এর মত পা চাটা গোলামেরা গোলামীর পরিচয় দিয়ে..... শেখ মুজিবুর রহমানের ভুল পথে যাওয়ার পথকে আরো প্রসারিত করে শেখ মুজিবুর রহমানের পুরো পরিবারকে হত্যার শিকার হবার জন্য সহযোগিতা করেছেন বলে ধরে নেয়া যায়....!!!
‘বাকশাল হওয়ার ফলে কয়েক সপ্তাহেই দেশের উন্নতি হয়েছিল। জিনিসপত্রের দাম কমে গিয়েছিল। এমনকি নিজ দলে ও শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। যাতে দলের মধ্যে খারাপ কেউ না থাকে। বঙ্গবন্ধু দেশ ও জনগণের স্বার্থেই বাকশাল গঠন করেছিলেন। আজকের দিনে যারা সরকারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছেন তাদের অনেকেই বাকশালের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।
বাকশাল হবার ফলে রক্ষীবাহিনী দিয়ে যে হত্যাকাণ্ড করা হয়েছিল শহদুল হক এর মত পা চাটা গোলামেরা বাদে বাকি প্রতিবাদীদেরকে হত্যা করে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর গনহত্যাকে স্বরন করিয়ে দিয়েছিলো....!!
‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কারো মনে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে তাদের এ দেশের নাগরিক বলা যাবে না। বঙ্গবন্ধু সবা্র ঊর্ধে। সব দলের ঊর্ধে। দল যার যার, বঙ্গবন্ধু সবার। এটাই হওয়া উচিৎ। তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন না করলেও অন্তত সমর্থন করুন। না করলে চুপ থাকেন। কিন্তু একদিকে শোক পালন হবে অন্যদিকে ফুর্তিতে কেক কাটা হবে, এটা জাতি হিসেবে লজ্জাজনক।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংশয় দেশের নাগরিক বলা যাবেনাহ্!! প্রশ্ন হচ্ছে মুক্তযুদ্ধ কি বাকশালের জন্য হয়েছিল? অবশ্যই না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে লক্ষ লক্ষ শহীদ ও ধর্ষিত নারী এবং ক্ষতিগ্রস্থদের অপমানজনক ভাবে পদদলিত করে বাকশাল কায়েম!!! এবং যা চাটাদের সমর্থন!!!!
একজন নাগরিক হিসেবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আলাদা হতে পারে না।পৃথিবীর বহু দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম বললে বাংলাদেশকে চেনে। যারা বঙ্গবন্ধুকে মানতে চান না, তাদের এ দেশের নাগরিক থাকা উচিৎ না। সত্যকে মানতে হবে। পুলিশের পোশাক পড়ি বলে আমি কি এ দেশের নাগরিক না? সত্যকে জানার অধিকার আছে। এটা জানলে ও বললে রাজনীতি হয় না।
শেখ মুজিবুর রহমানকে কে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে চাই???? বাংলাদেশ নামের রাষ্ট জম্মের পেছনে শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদান অশিকার করার কিছু নেই, বরং স্বরন করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের জম্ম হবার পর বাকশালী কুচিন্তা ও কুচক্র কোন ভাবে সমর্থন যোগ্য নয়।
বিঃদ্রঃ পুলিশের সমালোচনা করা যাবেনা বলে আইন আছে অবগত আছি...!!! সমলোচনা করতামনা যদি রাজনৈতিক বক্তব্য না পেতাম।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮৯ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জানোয়াররে পাইলে চাটুকারিতা কারে কয় শিখাব!
পুলিশের সমালোচনা করছেন , এখন রেডি হন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন