স্ত্রীকে মৃদু শাসন নিয়ে নাস্তিকদের অপপ্রচার
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ১১ মে, ২০১৪, ০৯:৩২:৩৬ সকাল
পূর্ব প্রকাশের পর
পূর্বের আলোচনা হতে আমরা জানতে পেরেছিলাম যে একমাত্র ইসলমাই মানব সমাজে একজন নারীর নিশ্চিত, নিরাপদ জীবনের শতভাগ দায়িত্ব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছে। নারীদেরকে অহেতুক কষ্ট দেয়া, দূর্বল ভেবে তাদেরকে শারীরিক, মানসকিভাবে আঘাত করাকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও গর্হিত বলে ঘোষণা দিয়েছে।
তবে একমাত্র অপারগ ক্ষেত্রে, ইসলাম স্বামীদেরদেকে বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে সীমিত ও মৃদু প্রহারের একটি শর্তযুক্ত অনুমতি দিয়েছে। সূরায় নিসার ৩৪ নং আয়াতে এব্যাপারে বিস্তারিত ধারাক্রম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু নাস্তিকরা পুরো বিষয়টি বাদ দিয়ে ধোঁকা, প্রতারণা আর শয়তানীর আশ্রয় নিয়ে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। তাই এ বিষয়টি সম্পর্কে এখানে প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করা হলো-
স্ত্রীকে মৃদু প্রহারের শর্তযুক্ত অনুমতি:
উপরের আলোচনার দ্বারা এটা দিবালোকের মতো পরিস্কার হয়ে গেছে যে একমাত্র ইসলামই মানব সমাজে নারীদের মান-সম্মান নিশ্চিত করেছে। তাদের জন্য মর্যাদাকর ও ঝামেলামুক্ত জীবন যাপনের ব্যবস্থা করেছে। কখনো পিতা, কখনো স্বামী আবার কখনো ভাই কিংবা সন্তানের কাঁধে নারীদর সকল বোঝা তুলে দিয়ে ইসলাম নারীদেরকে বে-গম বা নিশ্চিন্ত এক জীবন দান করেছে। একইভাবে বিবাহের বিধান দিয়ে তাদের সম্ভ্রম রক্ষার এক নিশ্চিত, নি:ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরী করেছে। নাস্তিক বা কুফরদের কারো পক্ষে যা অতিক্রম করা সম্ভব নয়।
তবে সাংসারিক জীবনে নারীর রক্ষণাবেক্ষণ ও তার সকল ভালো মন্দ দেখা-শোনার দায়িত্ব যেহেতু স্বামীর উপর ন্যস্ত তাই ইসলাম এক বিশেষ ক্ষেত্রে নারীদের অল্প-বিস্তর ন্যায়ানুগ কিছু শাসন করার অধিকারও স্বামীদের দিয়েছে। আর সেই ক্ষেত্রটি হচ্ছে স্ত্রীদের অবাধ্যচারণ, গর্হিত কোনো কাজে ঝুঁকে পরা বা পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার মতো মারাত্মক বিষয়াদী। সংসার ও পরিবারের এমন কঠিন সময়ে একজন পুরুষ কিভাবে তার বৈবাহিক জীবন রক্ষা করবে ও স্ত্রীকে পাপের পথ থেকে ফেরাবে সেজন্য পর্যায়ক্রমে ৩ ধাপ ও স্তরের নিরাপত্তা রক্ষা বলয় তৈরী করেছে।
ইরশাদ হচ্ছে-
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللهُ وَاللاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا إِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
অর্থ: “পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্ত্বশীল এইজন্য যে, তারা তাদের উপর অর্থ ব্যয় করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং মৃদু প্রহার কর। যদি তাতে তারা অনুগত হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।” (সূরা নিসা, আয়াত ৩৪)
এই আয়াতের তাফসিরে বলা হয়েছে যে স্বামীরা যেহেতু সংসারের অর্থ যোগান দিবে তাই স্বাভাবিকভাবেই একটি সংসারের মাঝে স্বামীরাই কর্তৃত্ত্বশীল থাকবে। ব্যস সহজ একটা ব্যাপার এখানে কোন জটিলতা নাই। পৃথিবীর সব দেশেই একটা সংসার চালাতে স্ত্রী স্বামীর মতামত কে প্রাধান্য দেয়।
তারপর এই আয়াতে বলা হয়েছে যে স্ত্রী যদি তোমার কথামত না চলে তাহলে প্রথমে তুমি তাকে সদুপদেশ দিবে এতেও যদি কোন কাজ না হয় তাইলে তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে আলাদা শুবে অর্থাৎ স্ত্রীর শয্যা পৃথক করে দিবে আর এতেও যদি কাজ না হয় তাইলে তুমি তোমার স্ত্রীকে মৃদু প্রহার বা শাসন করতে পারবে তবে এতটা আঘাত তোমার স্ত্রীকে করতে পারবে না যাতে তোমার স্ত্রীর গাঁয়ে কোন জখম হয় বা কোন দাগ পরে।
নারীদের সাথে স্বামীদেরে ব্যাবহারের উপরে বর্ণিত বিস্তারিত আয়াতের একটিও নাস্তিকরা ভুলেও কখনো মুখে আনে না। সব যোগসূত্র বাদ দিয়ে একামাত্র সূরা নিসার এই ৩৪ নং আয়াতটি তারা বিচ্ছিন্নভাবে উল্লেখ করে বলে যে দেখেন- ইসলাম একজন স্বামীকে যখন চায়(?) স্ত্রীদেরকে আচ্ছামতো(?) মারার অবারিত(?) নির্দেশ(?) দিয়েছে স্বামীকে।
-অথচ এই পুরো অভিযোগটিই বিকৃত, মনগড়া ও বানোয়াট। ইসলাম কোনো স্বামীকেই তার স্ত্রী'কে যখন তখন, আচ্ছামতো বা মোটা লাঠি দিয়ে, অবারিতভাবে মারার নির্দেশ দেয় নি। বরং বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্য সব উপায় অবলম্বন শেষ হয়ে গেলেত কেবলমাত্র তখনই সামান্য পরিমাণ, মৃদুপ্রহারের শর্তযুক্ত অনুমতি দিয়েছে। নির্দেশ নয়। এরপরও যদি স্ত্রী পরকীয়া ত্যাগ করে ফিরে না আসে তাহলে তাকে আর না মেরে তালাক দিয়ে পৃথক করার বিধান দান করেছে।
আর এই আয়াতটিতে আঘাত করার ব্যাপারে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা দ্বারা মোটা লাঠির আঘাত বা সজোরে কিলঘুষির কথা বলা হয় নি বরং তাফসীর ও আরবী ব্যকরণ অনুযায়ী এই আঘাত বলতে মেসওয়াক দ্বারা আঘাতের মত আঘাতকেই বুঝানো হয়েছে, বলা চলে বর্তমানের টুথব্রাসের আঘাতের মতই।
আল কোরআনের এই আয়াতে কোন স্বামীকে স্ত্রীর গাঁয়ে আঘাত করতে বলা হয় নাই শুধু স্বামীর জন্য এটা জায়েজ করা হয়েছে যে স্ত্রী যদি একান্তই তোমার কোন কথা না শুনে তাইলে তুমি তাকে প্রথমে সদুপদেশ দিবে তাতে কাজ না হলে স্ত্রীর বিছানা আলাদা করে দিবে আর এতেও কাজ না হলে তুমি তোমার স্ত্রীকে এতটুকু মারধোর করতে পারবে যেন তার গাঁয়ে কোন জখম না হয়।
আদেশ করা এক জিনিস আর শুধু অনুমতি দিয়ে রাখা আরেক জিনিস। ইসলামে তালাক দেবার অনুমতি আছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে ইসলাম বলছে যে তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কে তালাক দিয়ে দাও। বরং স্বামী স্ত্রী কেউ যেন কাউকে তালাক দিতে বাধ্য না হয় ইসলাম ঠিক সেইভাবেই স্বামী স্ত্রীকে সংসার জীবন পরিচালনা করতে বলেছে। অর্থাৎ সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা স্ত্রীকে কোন মাইরধর করার নির্দেশ দেন নি স্ত্রী যদি কখনো স্বামীর চরম অবাধ্য হয়ে যায় তাইলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা স্বামীকে শুধু স্ত্রীকে মৃদু আঘাত করার অনুমতি দিয়েছেন তাও এতটুকু যেন স্ত্রীর গাঁয়ে কোন আঘাতের জখম না পরে। আর স্ত্রীর গাঁয়ে এই আঘাত টা করার আগে প্রথমে স্বামী তার স্ত্রীকে বুঝাবে তাতে কাজ না হলে শয্যা আলাদা করে দিবে আর এতেও কাজ না হলে সর্বশেষ তখন স্ত্রীকে মৃদু মারধোর করবে।
এই কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায় হজ্জের ভাষণেই বলে গিয়েছেন- “নারীদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর। তোমরা তাদেরকে আল্লাহ্র আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ এবং তাদের সতীত্ব- সম্ভ্রমকে আল্লাহর কালেমার বিনিময়ে তোমাদের জন্য হালাল করেছ। আর তোমাদের ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল (অর্থ্যাৎ নারীদের), কোন লোককে যেন তোমাদের শয্যাপাশে না আসতে দেয় যাকে তোমার অপছন্দ। তারা যদি তাও তা করে তবে তোমরা তাদেরকে প্রহার করতে পারবে, তবে এমনভাবে যেন তার চিহ্ন বাইরে ফুটে না উঠে। আর তাদের ব্যাপারে তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদের খোরপোশের ব্যবস্থা করবে। ”
অর্থ্যাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই হাদীস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আপনার স্ত্রী যদি পরকীয়ায় লিপ্ত হয় তাইলেই শুধু আপনি আপনার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে পারবেন। পরকীয়া ছাড়া অন্য কোন কারনে আপনার স্ত্রীর গায়ে হাত দেয়া জায়েজ নয়। নিছক সাংসারিক মতপার্থক্য বা তরকারীতে লবন কম হয়েছে এইসব কারনে যারা নিজ স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে তারা অবশ্যই শরীয়তের দৃষ্টিতে অপরাধী।
শুধু তাই নয় স্বামী যদি বিনা কারনে স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে তাইলে ইসলাম এক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে। মাযহাব ভেদে বিনা কারনে স্ত্রীর গায়ে হাত তুললে কাজী স্বামীকে ২০ টি বেতের বারি দেবার নির্দেশ রাখেন। আর ইসলামী শরীয়তে স্বামী স্ত্রীর মাঝে বনিবনা না হলে ইসলাম তো মেয়েদেরকে তালাক দেবার ক্ষমতা দিয়েছে। তাই কোন স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাইলে স্ত্রী চাইলে আদালতের মাধ্যমে সে নিজেও সেই স্বামীকে তালাক দিতে পারে।
আর সূরা নিসার এই আয়াতের তাফসীরে তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনে এই কথা লেখা আছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীর গাঁয়ে স্বামীর হাত দেয়াটা পছন্দ করতেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই কথাও বলেছেন যে ভাল লোক কখনোই এমন করে না। মুয়ায ইবনে কুশায়রা থেকে বর্নিত আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিজ্ঞাস করলাম আমাদের স্ত্রীদের ব্যাপারে আপনি কি বলেন? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন-
“তুমি যা খাবে তাকে তাই খেতে দিবে তুমি যা পরবে তাকে তাই পরতে দিবে, কখনই তোমার স্ত্রীকে প্রহার করবে না এবং কখনই তোমার স্ত্রীকে গালিগালাজ করবে না। [সুনানে আবু দাউদ, বিবাহ অধ্যায়, হাদীস নং ২১৩৮ ]
একটা লোক কিভাবে তার স্ত্রীকে আস্তাবলের উটের ন্যায় মারধোর করে তারপর আবার রাতে তার সাথে বিছানায় শুয় ? [ বুখারী শরীফের বিবাহ অধ্যায় ]
এমনকি অন্য এক হাদীসে স্বামীর ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রী-কন্যাদের মূল্যায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-
أكمل المؤمنين إيمانا أحسنهم خلقا. وخياركم خيار لنسائه وبناته.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেনে- “পরিপূর্ণ মু’মিন হলো সেই ব্যক্তি, যার আখলাক-চরিত্র উত্তম। আর তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রী-কন্যাদের কাছে উত্তম।”
সুতরাং এ সকল আলোচনার দ্বারা এটা দিবালোকের মতো পরিস্কার হয়ে গেলো যে, ইসলামই নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। আর পরকীয়া বা অন্য গর্হিত কোনো কাজের ক্ষেত্রে তাকে শাসনের ক্ষেত্রে যেই 'ব্যাপক শর্তযুক্ত অনুমতি' দিয়েছে তা খুবই প্রয়োজয়ী ও স্ত্রীর উপকারার্থেই দেয়া হয়েছে। সুতরাং এ সকল বিষয় নিয়ে নাস্তিকদের কোনো যুক্তিই আর ধোপে টিকলো না
চলবে...
পরের পর্ব: 'হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মে নারী নির্যাতনের ব্যাপারে নাস্তিকদের নীরবতার আসল কারণ।
পূর্বের লেখা:
সামান্য ফ্রি মদ, নারী আর ফ্ল্যাটের লোভে স্ত্রীর অধিকার ও সম্মান বিষয়ে নাস্তিক আসিফের অপ-প্রচার ও মিথ্যাচার
http://lighthouse24.org/blog/post/viewPost/?postid=903
বিষয়: বিবিধ
১৬৭২ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অন্যান্য অনেক ধর্ম তো নারীকে আগুনে পোড়ানো, পশুর মতো হত্যা করতে নির্দেশ দিয়েছে তাদের ব্যাপারে কিছু বলবেন না?
কেউ যদি কিতাবের বাইরে গিয়ে কাছু করে তাহলেও কি কিতাবের দোষ হবে??
ইসলামে নারীদের সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে মূল কথা গুলো সর্বত্র ছড়িয়ে দিন। অবশ্যই এই প্রবণতা কমে আসবে।
আর নারীদেরকে নারীরাই বেশি নির্যাতন করে থাকে। অনেক নারীর হাতে উল্টো পুরুষরাই নির্যাতিত হয়।
সতীদাহ, সহমরণ আর আগুনে পোড়ানোই তাহলে আপনাদের মতো ছুপা হিন্দুদের জন্য ভালো ছিলো তাই না?
০ মৃদু মারধোর করলে যদি নারী নির্যাতনের মামলা ঠুকে দেয় তাহলে কি ''শরিয়তে বলা আছে তাই প্রহার করেছি'' এই বলে কি পার পাওয়া যাবে ?
শরিয়তে মৃদু প্রহার করতে বলা আছে , কিন্তু মনুষ্য আইনে এর বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষমতা আছে । এমন কোন নারী কি আছে যে মামলা করার সুযোগ হাতছাড়া করবে শরিয়তে স্বামী তাকে মারধোর করতে পারবে বিধায় ?
''অর্থ্যাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই হাদীস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আপনার স্ত্রী যদি পরকীয়ায় লিপ্ত হয় তাইলেই শুধু আপনি আপনার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে পারবেন। ''
০ পরকীয়া করাও তো কোন কোন নারীর ভাগ্যে নাও জুটতে পারে ।
পরকীয়া না করেও তো একজন স্ত্রী তার স্বামীর জীবনটাকে নরক পরিনত করতে পারে । বুঝানো , আলাদা শোয়ার পরেও যদি কোন কাজ না হয় তাহলে স্বামীটি কি করবে ?
পরকীয়া করার পর মেরেও যদি শুধরানো না যায় তাহলে তো তালাক ছাড়া আর উপায়ই থাকে না । আর এটা এমনই এক তালাক হবে যে স্বামী শত চেষ্টা করেও বিয়েটা টিকিয়ে রাখতে পারলো না স্ত্রীর পরকীয়া ও তালাক নেবার এডামেন্ট মনোভাবের কারণে ।
এতেও কি দেনমোহরের বাকী অংশ (আের দেশে বেশীর ভাগ বিয়ে এভাবেই আয়োজন করা হয় ) এবং ভরণপোষন স্বামীটি করবে যার স্ত্রী কি না পরকীয়া করেছে ?
সূরা বাকারা এর ২২৯ নং আয়াতটা একটু দেখুন
সরকারী অনেক আইনই ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক এখন আপনি কোনটি গ্রহণ করবেন সেটি আপনার বিষয়।
বুঝানো, বিছানা আলাদা করা, পারিবারিক সালিশেও যদি সমাধান না হয় তাহলে তালাকই একমাত্র পথ।
তালাকের সময় স্ত্রীর মহর ও খোরপোষ দিতে হবে। তবে যদি স্বামী ক্ষতিগ্রস্থ বেশি হয় কিংবা স্বামী থেকে মজলুম স্ত্রী তালাক সহজে না পায় তাহলে তার জন্য 'খোলাআ' করারও অনুমতি আছে।
আমরা পুরো বিষয়টা যেন একতরফা না ভেবে বসি। বিষয়টা ছিল একেবারে সরল। এটার অর্থ কোনোভাবেই এই নয় যে, পুরুষকে নারীদেরকে পেটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর সাংসারিক জীবনে যারা ইসলাম মেনে চলে তাদের ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে সমস্যা হতে দেখিনি। যত সমস্যা সব কিছু ইসলাম বিদ্বেষী মানুষের মুখে এবং মনে। যারা এটা পালন করছে তাদের কোনো অভিযোগ নেই, যে এর ধারের কাছেও নেই, সকল সমস্যা তাদের। এটাও ওদের একটা শাস্তি, ওরা সর্বদা নানামুখী দুশ্চিন্তায় থাকে
এক বছর পরের ঘটনা, বাচ্চার বয়স তখান চার। যথা রীতি আড্ডা, এবার উপস্থিত আমার শিশু কন্য, তার ছোট খালামণী এবং আমি। এবার কিশোরী শ্যালিকার প্রতিকৃয়া দেখার জন্য আমার চার বছর বয়সের বাবুটাকে একটা মৃদু চটকনা দিলাম। বাবুর খালামণীও আমার প্রতি একই প্রতিকৃয়া দেখাল! সাথে সাথে আমার বাবুটি বলল মারেনা, মারেনা আদর করে!
মৃদু শাসনের অর্থ যে আঘাত করা না বরং আদর করা তা আমার চার বছরের শিশু কন্যা বুঝলেও আতেল মার্কা এক শ্রণীর নারীবাদী বুঝেনা।
ধন্যবাদ।
আসলে এই সুন্দর বিষয়টিকে শয়তানগুলো কতোটা বিকৃতভাবে ছড়িয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে নিজেদের বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
এতে সন্তান তো শুধরায়ই না বরং লাই পেয়ে যায়, দুষ্টুমির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় । দেখা যায় যে পাড়ার বখাটে সবগুলো শৈশবে এভাবেই লাই পেয়ে এসেছে ।
নরক যন্ত্রনা দিয়ে যে রাখছে প্রতিনিয়ত, তাকে মৃদু আঘাত করতে হবে , তাও পেয়ারছে !
এতে কি কখনও এরা শুধরায় নাকি দূর্বলতা মনে করে বার বার যন্ত্রনা দিয়েই যায় ?
আল্লাহ যেমন অসীম ক্ষমাশীল তেমনি আবার কঠোর শাস্তিদাতাও ।
বার বার যে একই অন্যায় করে আল্লাহ কি তাকে আর ক্ষমা করবেন ?
আমার কমেন্টে এটাই বুঝাতে চেয়েছি,যে যারা ইসলাম পালন করছে,ঝামেলা বা সমস্যা তাদের দেখা যাচ্ছে না। যত সমস্যা সব ইসলামের বাইরের ছাগলদের্ । সকল বিষয়ে ওদের কিছু একটা বলতেই হবে....এমনকি ওর স্রষ্টার উপরও মাতব্বরী করতে হবে....
স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য এমন পর্যায়ে গেল যে ০ স্বামী স্ত্রীকে বোঝাতে গেল ,
০ না পেরে শয্যা আলাদা করলো ,
০ তাও না পেরে প্রহার করতে বাধ্য হল ।
এখানে মৃদু প্রহার আদরের ছলে কেন হবে ?
বোঝানো , আলাদা থাকার পরেও ব্যাপারটা কি আদরের স্তরে আর থাকে ?
স্বামী যদিও বা বউকে মৃদু প্রহার করলো আদরের অতিশয্যেই , বউও কি এত কাহিনীর পর এটাকে আদরের প্রহার মনে করবে ?
যদি মনেই করবে তাহলে ঘটনা তো আলাদা শোয়ার আগেই মিটমাট হয়ে যেত ।
ব্যাপারটা এত সহজ না, সবাই তো মোল্লার বউ না যে দান ভিক্ষার ফ্রী খাবারের লোভে স্বামীর ছেচা খাবে।
ভারতে থাকলে ধর্ষণ তো ফ্রি!
আর ছূপা নাস্তিক হলে তো কথাই নেই
মন্তব্য করতে লগইন করুন