অহংকারে ঢা বির ছাত্রদের পা যখন মাটিতে পড়েনা

লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ১১ মে, ২০১৪, ০৯:৩২:৫৭ সকাল

আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের ভাব সাব দেখলে মনে হয় অহংকারে তাদের পা মাটিতে পড়েনা, তবে পা মাটিতে পরুক বা না পারুক, জায়গা মত ঠিকি মার খেয়ে আসে, সেনামী করতে পারে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় সীমানার মধ্যে, যেমন পোষা কুকুর বাড়ির পাশে কাওকে দেখলেই ঘেউ ঘেউ করে উঠে।

তিন চার দিন আগে গুলিস্তান যাচ্ছিলাম আজিম্পুর বকশী বাজার হয়ে, গাড়িতে একটি ছেলে আর একজন মধ্যবয়স্ক লোক বাক বিতন্ডা করছে, লোকটি ছেলেটিকে উদ্দেশ্য করে বলতেছে, 'তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়, আমার কি বাল হইছে, তুমিত ছাত্র না, তুমি একটা বেয়াদব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রকে দেখেছি, যাদের আচার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি, আর এখন ছাত্র নয়, তোমাদের মত বেয়াদব দের সাথে দেখা হচ্ছে প্রতিনিয়ত' । পাশ থেকে আরেকজন বলে উঠল, 'তোমরা যত সেনামী করনা কেন, আমরা ঢাকা বাসীর বুকের উপর দিয়ে তোমাদের চলতে হবে, তাই কাজ কাম সাবধানে কইর, না হয় কপালে দূর্গতি আছে'।

আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যেতে যেতে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে মানুষের চোখ জুড়িয়ে যেত, আর এখন বুকে থুথু ছিটায়, আল্লাহর নাম জপ করতে করতে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় সীমানা পার হয়, তাদের আশংকা কখন ছাত্র নামের চাদাবাজ চিনতাইকারীরা আক্রমণ করে বসে!

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সেখানে অসুখ বিসুখে সবার কম বেশি যাওয়ার দরকার হয়, আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা ছাত্রদের কম দামে চিকিতসা করার জন্য সেখানেই যেতে হয়, কিন্তু কিছু রক্তগরম ছাত্রের কারণে যদি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে চিকিতাসা করাতে গিয়ে মার খেয়ে আসা বিচিত্র কিছু নয়। আর কিছু ঠোনকো কারণে যদি সংঘর্ষ সংঘাত লেগেই থাকে তাহলে সাধারণ রোগীরা কি রকম ভোগান্তিতে পড়বে একবার ভেবে দেখুন।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের অবদান ভুলে গিয়ে তাদের সাথে যাচ্ছে তাই আচরণ করা একদম উচিত নয়, কেননা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষু রোগিদের জন্য যত রক্তের প্রয়োজন হয় তার অধিকাংশই দিয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। নয়ত অনেক রোগী গাজাখোর মদ খোর দের রক্ত শরীরে দিয়ে নানা মরণব্যধি রোগে আক্রান্ত হত,ডাক্তার রাও রোগীর রক্ত দেয়া নিয়ে কঠিন পেরেশানিতে থাকত।

পরিশেষে একটি আঞ্চলিক প্রবাদ দিয়ে শেষ করব- 'বিনা বাতাসে গাঙ্গের পানি নড়েনা' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিরা সামান্য কথায় যেমন রেগে গিয়ে মেরে বসে। তেমনি মেডিকেলের ডাক্তার ইন্টার্নি চিকিতসকেরাও অসহনীয় আচরণ করে বসে, তাই হাসপাতাল কে যুদ্ধক্ষেত্র বরং রোগীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানাতে উভয় পক্ষকে সংযত হওয়া জরুরী।

------ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

বিষয়: বিবিধ

১৩১৯ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

220101
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৪৬
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
167757
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
220102
১১ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৪৭
আবু আশফাক লিখেছেন : Rose Rose Rose
220105
১১ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৩
হতভাগা লিখেছেন : ঢাবিকে প্রাইভেটাইজেশনে ফেলে দেওয়া হোক ।

আগে ঢাবির থেকে ভাল কিছু মুভমেন্ট আসলেও , এখন ঢাকা শহরের বেশীর ভাগ সন্ত্রাসীর আখড়া হল ঢাবি । ইদানিং অপহরণ ও গুমের একটা ঠিকানা হয়ে গেছে এখানকার হলগুলো ।

বাংলাদেশে যেসব অপসংষ্কৃতির বিকাশ ঘটেছে ঢাবি তার আঁতুড় ঘর এবং লালন কেন্দ্র ।

যদিও ঢাবিকে আগে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হত , (কেন বলা হত সেটা কেউই জানতো না )তবে এখন আর সেটা নেই ।

এখানে পড়ার চেয়ে প্রেম পিরিতিরই চর্চা দেখা যায় বেশী , হেন কোন অসামাজিক কার্যকলাপ নেই যে এখানে হয় না ।

এখানকার পোলাপানদের একটিভিটি দেখে মনে হয় যে এদের প্রত্যেকটা ফ্যাকাল্টির প্রতিটা বিষয়ে ধর্ষন , মারামারি কাটাকাটি , হত্যা গুম , অপহরন নিয়ে আলাদা কোর্স আছে এবং এতে মার্কস্‌ প্রচুর এবং সেটা প্র‍্যাকটিকালে ।

220116
১১ মে ২০১৪ সকাল ১০:৫০
egypt12 লিখেছেন : আমি আবার কারো ভাবকে গন্য করি না যে ভাব দেখায় আমিও তার জন্য কঠিন হয়ে যাই আর যে ভালো ব্যবহার করে তাকে সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার দিতে চেষ্টা করি...কারণ আমি কারো খাইও না পড়িও না Rose
220127
১১ মে ২০১৪ সকাল ১১:০৫
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : আপনার কথার সাথে আমি আংশিক সমর্থন করি তবে পুরোটা নয়।
১১ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫১
167802
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ লিখেছেন : কোথায় সমর্থন করেন নি তা বললে বুঝতে সুবিধা হত, এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত উপলব্দি, তাতে আপনার ভিন্নমত থাকতেই পারে এবং সেটা প্রকাশ করে দিলেই ভাল হবে
220140
১১ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাল লাগল
220331
১১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ভালো লিখেছেন
220779
১২ মে ২০১৪ রাত ০৮:১৪
আজ কিছু লিখেছেন : ভালো লাগলো লিখা টা
226004
২৫ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
আতিক খান লিখেছেন : এই দেশে সন্ত্রাস, ভাংচুর, মারপিট, খুন ইত্যাদির বিচার হয় না বলেই দিনদিন বাড়ছে। সবাই ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে দ্রুত। ভালো লাগলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File