সাপকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু আওয়মিলিগকে নয়।
লিখেছেন লিখেছেন বিপ্লবী ০৩ মে, ২০১৩, ০৫:৪৩:৩২ সকাল
গত কয়েক মাস থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের আসুমুক্তি বা সমাধানের একটি পথ বা রাস্তা বাহির করার জন্য বাংলাদেশের প্রায় সকল মহল থেকেই একটি দাবী উঠছিল আর তাহল দুইনেত্রী এক সাথে বসলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।অপর দিকে মহল বিশেষ থেকে দাবী উঠে বড় দুই দল সংলাপ করলেই সমাধান বেরিয়ে আসবে।
তবে এখানে আমরা একটা কথা বিবেচনায় রাখতে পারি সংলাপের মাধ্যমে এক সমাধানের একটা রাস্তা বাহির হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্চে এই সংলাপ কি পন্থায় হবে কারা এই সংলাপে অংস গ্রহন করবে তাঁদের দাবী দাওয়াই বা কি? বাংলাদেশের স্বার্থপর তোষামোদ আর দালালি করে যারা জীবিকা নির্বাহ করে তাঁদের মাথায় সমাধানের জন্য আওয়ামীলীগ ও বিএনপিকে দেখেন আমি বলব যারা এমন মনে করেন তারা নিজের ও দলের স্বার্থের চিন্তা করেন দেশের চিন্তা করেন না।
আমার মনে হয় বাংলাদেশে বর্তমানে প্রধান ৩ টা সমস্যা বিদ্যামান। যথাঃ
1. তত্যাবধায়ক সরকার ব্যাবস্তা বাহু শক্তি বলে ও নৈতিক ভাবে বাতিল ।
2. রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার জন্য বা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে প্রতিপক্ক্য মনে করে সেই দলকে চিরতোরে শেষ করে দেওয়ার জন্য একটি মীমাংসিত ইস্যুকে সমনে এনে তথাকথিত যুদ্ধঅপরাধীদের বিচারের নামে অবিচার।
3. সর্বশেষ যে সমস্যা সেটা হল হেফাজতে ইসলাম যা আওয়ামীলীগের জুলুম নির্যাতনের এবং আল্লাহ রাসুল ও ইসলাম বিরোধীকর্মকাণ্ডের কারনে সারাদেশের মানুষ মুহূর্তের মধ্যে একত্রিত হয়ে আওয়ামীলীগ বিরোধী শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করছে দেশের প্রতিটি প্রান্তর।
যাই হোক আসল কোথায় ফিরে আসি আওয়ামীলীগ চারিদিকের আওয়াজষ শুনে নতুন একটি গেম প্লেলে করতে যাচ্ছে আর যার পরিকল্পনা করা হয় ভারতীয় হাইকমিশনার সুরঞ্জিতসেন গুপ্তের সাথে একান্ত বৈঠকের মাধ্যমে।
জাতিকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আওয়ামীলীগের নেতা কামরুল ইসলাম,মগা আলমগির ও নাসিমের মত দু টাকা দামের নেতারা কয়েকদিন আগেও দম্ভ্য করে বলছিলেন বিএনপির সাথে কিসের সংলাপ তারা সন্ত্রাসী দল সন্ত্রাসীদের সাথে কোন সংলাপ নয়।
অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং প্রকাশ্যে জনসভায় বলেছেন চরের সাথে কোন সংলাপ নয়।
অপর দিকে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন খুনিদের সাথে কোন আলোচনা নয়।
প্রশ্ন এখানেই দুই দলেএমন যুদ্ধের ময়দানে হটাৎ দুই দলের ময়দানে শীতল হাওয়া বইতে সুর করেছে। আর এখানেই জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে কি ঘোটতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে।
তবে আওয়ামীলীগ যে অর্জনের জন্য নতুন গেম প্লেলে করতে যাচ্ছে তাহলে
আওয়ামীলীগ তত্যাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা মেনে নিবে এই স্বার্থে যে তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ ও জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেবে তাতে বিএনপি সমর্থন দেবে অপর দিকে জামায়াত বিএনপির উপর নাখোশ হয়ে জোট থেকে বাহির হয়ে গেলেও আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসবে এই সপ্নে বিভোর হয়ে ভারতের গ্রিন সিগন্যালে আওয়ামীলীগের আপাদমস্তক সবাই এক দিনে একই সাথে সংলাপের কথা বলে মুখে ফেনা তুলছে।
জানিনা আওয়ামীলীগের এই স্বপ্ন পুরন হবে কি না? আওয়ামীলীগ বার বার ওয়াদা করে জাতির সাথে প্রতারণা করেছে। তাই বেগম খালেদা জিয়া নিজেই বলেছিলেন সাপকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু আওয়ামীলীগকে বিশ্বাস করা জায়না
বিএনপি তথা বেগম খালেদা জিয়াকে মনে রাখতে হবে আপনি হাসিনাকে বা আওয়ামীলীগকে বিশ্বাস করা যায় কিনা একবার ভেবে দেখবেন।
হাসিনার পতন ভুঝেই হাসীনা আজ হাসীনাগংরা এভাবে শীতল হয়ে গেলেন। সংলাপ হতে পারে ৪টি সর্তে যেমনঃ
১) তত্যাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা পুনর্বহাল।
২) অবৈধ ট্রাইব্রুনাল বাতিল করা।
৩) সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ফিরিয়ে আনা ও
৪) সাহাবাগের নাস্তিকদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক সাস্তির ব্যাবস্থা করা।
এই চারটি সমস্যা সমাধান না হলে দেশের বিদ্ধমান সমস্যা সমাধান হবেনা অন্যথায় সরকারের পতনই একমাত্র সমাধান বলেই আমার বিশ্বাস।
আপনাদের কাছে কোন সমাধান থাকেল প্লীজ মন্তব্যে প্রকাশ করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন