ইসলামের দৃষ্টিতে ভাস্কর্য-বনাম মূর্তি :
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ০৩ মে, ২০১৩, ০৫:৩৬:০৩ সকাল
মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)র মনসায় দিত না নির্জীব মূর্তি পূজায় । তিনি তার পিতাকে একদিন বললেন, ‘আপনি কি মূর্তিকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেন? আমিতো দেখছি আপনি নিজে এবং আপনার সম্প্রদায় ভুল পথে আছেন। আল্লাহর মেহেরবাণীতে হযরত ইব্রাহীমের মাঝে সত্য জ্ঞানের উদয় হলো। তিনি বললেনঃ ‘হে আমার কওম, তোমরা মূর্তিপূজা বা অংশীবাদে বিশ্বাসী হয়োনা। আমি আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তার দিকে মুখ ফিরালাম। (আল-কুরআন-৬:৭৫-৭৬ আয়াত)
ইদানিং মূর্তি ও ভাস্কর্যের অনেক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বাংলা একাডেমী প্রণীত অভিধানে আছে, ‘ভাস্কর্য’ শব্দটার মানে হচ্ছে, মূর্তি বা প্রতিমা নির্মাণের শিল্প। ভাস্কর্য যিনি তৈরি করেন তাকে বলা হয় ভাস্কর বা মূর্তি নির্মাণকারী। শিল্পকলার জগতে ভাস্কর্য একটা বড় স্থান দখল করে আছে। সুতরাং একথা প্রমাণিত যে, মূর্তিরই‘পোষাকী নাম’ ভাস্কর্য। আজ শিল্প চর্চার নামে অতি সুপরিকল্পিতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে ভাস্কর্য বা প্রতিমা চর্চার অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে। অনেক তাত্ত্বিক বলে থাকেন- মূর্তি ও ভাস্কর্য এক নয়।
তাদের বক্তব্য হলো- মূর্তি বা প্রতিমাকে পূজা করা হয়। কিন্তু ভাস্কর্যের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখা হয় এবং লোকজ ঐতিহ্যকে নান্দনিক শিল্পকর্মের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরা হয়। এ ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তের বক্তব্য কিন্তু অত্যন্ত ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। প্রাণী বলতে যা কিছু বুঝায়, গর্তের পিপীলিকা হোক বা খোলা আকাশের পাখি, হাতি হোক বা মানব-দানব, অতল সমুদ্র গহ্বরের মৎস, কোনোটিরই ছবি অঙ্কন, চিত্র নির্মাণ বা ভাস্কর্য তৈরির অনুমতি ইসলাম ধর্মে নেই।
বিষয়: বিবিধ
১৭২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন