Hefazote Islam Movement
লিখেছেন লিখেছেন বিজয় ০৩ মে, ২০১৩, ০৫:২১:৩০ সকাল
বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডটি এক সময় পূর্ব পাকিস্তান, তার আগে পূর্ব বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল. এই ভূখন্ডের মানুষদের নিয়ে চক্রান্ত নতুন কিছু নয়. আজকে যেসব ইসলাম বিদ্ধেষী নাস্তিক ইসলাম কে নিয়ে আজেবাজে কথা বলতেছে এটা হঠাত করে শুরু হয়নি, তবে আমাদের দৃষ্টিগোচরে এসেছে হঠাত করে 'আমার দেশ' পত্রিকার মাধ্যমে, আর এদের সাহসটা বৃদ্ধি পেয়েছে হঠাত করে অনুকুল পরিবেশ পেয়ে.
আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে যাই তাহলে দেখতে পাব যে ব্রিটিশরা কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে (১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে) মাদ্রাসা এবং স্কুল এই দুই ধারায় বিভক্ত করে ফেলেছে. ফলে মাদ্রাসা শিক্ষিতদের ইসলামী নলেজ থাকলেও সেটা মূলধারাও খুব বেশি আসার সুযোগ নাই, সেটা গল্প, কবিতা, সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে আসছে না. আবার স্কুল শিক্ষিতদের মধ্যে পর্যাপ্ত ইসলামী নলেজ না থাকার কারণে তাদের হাত দিয়ে যেসব সাহিত্য, নাটক, সিনেমা হচ্ছে সেসবকিছুতে ইসলামী চেতনার বড় অভাব. এরপর আসি পোর্ট উইলিয়াম কলেজের কথা যেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে, এর উদ্ধেশ্য ছিল বাংলা গ্রামার এবং বাংলা গদ্য রচনা করা. এ কাজটি করতে গিয়ে খ্রিস্টান মিশনারীরা কিছু হিন্দু পন্ডিতের সাহায্য নেয় এবং উভয়ে মিলে গ্রামার এবং গদ্য রচনার পাশাপাশি বাংলা ভাষা থেকে সমস্ত ইসলামী টার্ম গুলি বিদায় করে দেয়, তারা ক্রমান্নয়ে বাংলা ভাষাকে সংস্কৃত নির্ভর করে তুলে, যে পুথির ভাষা ছিল সাধারণ মানুষের ভাষা সেটিকে তারা সাহিত্য থেকে বিদায় করে দেয়, আরবি, ফার্সি শব্দ বাদ দিতে থাকে. এভাবে পুরো ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলা সাহিত্যের জগত থেকে ইসলাম কে বিদায় করা হয়. পরবর্তিতে ব্রিটিশদের বিদায় হয়, হিন্দু পন্ডিতদেরও বিদায় হয় পাকিস্তান আন্দোলন সফলতার মাধ্যমে, কিন্তু থেমে যায়নি তাদের কাজের ধারাবাহিকতা. বামপন্থী আন্দোলে সম্পৃক্ত মুসলিম নামধারী কিছু লোক শিল্প, সাহিত্য, কবিতায়, নাটক, সিনেমায় মুসলিম চেতনার পরিবর্তে বাঙালি চেতনার কথা বলে মানুষকে ইসলাম থেকে দুরে সরানোর কাজ করতে থাকে. উইলিয়াম কেরি, রাম রাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার এদের কাজগুলি কনটিনিউ হতে থাকে আহমেদ শরীফ, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন আর জাফর ইকবাল দের মাধ্যমে. দু:খজনক হলেও সত্যি এই বিশাল চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুসলমানদের রেসপন্স খুবই দুর্বল. ১৯২৬ সালে শিখা আন্দোলনের মাধ্যমে কিছুটা রেসপন্স হয়েছিল. কিন্তু সমসাময়িক সময়ে মুসলমানদের খুঁজে পাওয়া যায় না. হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ করে নাস্তিক/বামপন্থী/সেক্যুলারদের সাময়িকভাবে কোনঠাসা করা যাবে, কিন্তু লংটার্ম সমাধানের জন্য মুসলমানদেরকে গদ্য লেখায়, পদ্য লেখায়, ইতিহাস rewrite করা, সাংবাদিকতায়, নাটকে, সিনেমায়, বিজ্ঞাপনে আসতে হবে; এর কোনো বিকল্প নাই. স্কুল এবং মাদ্রাসার মাজামাজি একমুখী শিক্ষা চালু করতে হবে, অন্ততপক্ষে স্কুলের ইসলাম শিক্ষাকে ২০০ নম্বর করা প্রয়োজন, আলিয়া এবং কওমি মাদ্রাসায় ২০০ নম্বর বাংলা পড়ানো প্রয়োজন.
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন