আপন অনুভতির অব্যক্ত কথা"'
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ০৮ জুন, ২০১৪, ১২:২০:০৪ রাত
আকাশের পাণে তাকালে এত রাতও যদি চাঁদ দেখা যায় সত্যিই ইহা চমত্কার একটা নিয়ামত রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে অন্তত আমার জন্য।চাঁদের আলোর মধ্যে একটা পবিত্রতা আছে
চেয়ে থাকতে ভাল লাগে।
যখন ক্লাস সেভেন এইটে পড়ি তখন
একজন আপুকে দেখে খুব মুগ্ধ হতাম
এখনও হই সত্ নেককার মানুষদের বয়সের পরিবর্তন হয় তবে মনের পরিবর্তন হয় না আরও কোমল হতে থাকে হৃদয়গুলো।হুট করে মরে যাবার ভয় আছে না ।মানুষের ভালবাসা বুকে ধারণ করেই সবাই চলে যেতে চায় ।
একটা সংগঠন সবসময় আমার কাছে নিয়ামত।স্কুল জীবন ,কলেজ জীবনের শৃঙ্খলার ব্যাপারটা আমি ঐ সংগঠনের বড় বড় আপুদের দেখে দেখে অনুপ্রাণিত হতাম আজও হই। কলেজ জীবনে আমার সাথে যে কয়টা মেয়ে ছিল অধিকাংশ মেয়েই জড়িয়ে গিয়েছিল প্রেম নামক জালে।
চেহারা ফ্যাক্ট নয় মেয়েরা কতটা নিজেকে উজার করে ছেলেদের কাছে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে এটাই হচ্ছে প্রেম নামক জালের প্রথম উপাত্ত বা সুত্র।
যেখানে সন্মান নামক শব্দটা শোআপ ।
আব্বুর অব্যক্ত আদেশ যা অনুভব করতে হত এবং সাংগঠনিক নিয়ম শৃঙ্খলা সেই সময় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে ।
আমি আমার সংগঠনকে খুব ভালবাসি
যদিও আমি পুরোপুরি ফলোয়ার হতে পারিনি আজও ।আমি আমারকে পুরোপুরি ঢুকিয়ে রাখতে পারিনি । এই মুহুর্ত্ব দাড়িয়ে যতগুলো প্রাণ দেখেছি ঐ প্রাণগুলোই সত্যি পবিত্র ছিল আজ আছে ।ওরা ভালবাসা আর সন্মান শব্দের অর্থ বোঝে ।
জীবনে ভুল করার সুযোগ এসেছে
ঐ লিডার দের সুন্দর কয়েকটা শব্দের উপদেশ জাহান্নামের চৌরাস্তার থেকে দূরে সরাতে পারে ।আজও টিকিয়ে থাকতে সহযোগিতা করেছে।
ঐ আপুদের জন্য দোয়া আসে অন্তর থেকে।
আফরোজা আপুকে বছর দুই আগেও চিনতাম না।
সাইকোলজি সাবজেক্টটা হুট করেই আমি ঢুকে পড়ি । আব্বুর ইচ্ছায় পড়া শুরু করি কিন্তু এখন সাবজেক্টাও আমার কাছে বিশাল নিয়ামতই মনে হয়।আমি ভাল ছাত্রী নই তবে প্রশান্তি পাই ।
আপু সাইকোলজির ছাত্রী হওয়ায় চমত্কারভাবে ইসলাম আর সাইকোলজি বিষয়ের ধ্যান ধারণাগুলোকে একত্রিত করে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এখনও ওনার লেখা হৃদয় ছুঁয়ে যায়।উনি মুলত ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে মানব মনের ভালবাসার বীজ বুননার পথের পথিক হয়ে দাড়িয়েছেন ।আমার মতে একজন সাইকোলজিস্টের এমন অন্তরের হওয়া উচিত ।যেখানে প্রাণ খুলে কথা বলা যায় ।
তবে সাংগঠনিক আপুদের ছাড়া প্রাণ খুলে বাসায় অন্য সদস্যের কাছেও আমি আমার সমস্যার পুরো অংশটা আজও বলি না ।
আমার মতে যে কোন সমস্যার সমাধান প্রথমে কোরআন হাদীস অনুযায়ী হওয়া উচিত ।
তারপর যদি ব্যক্তিগত আবেগটা প্রাধান্য পাক।কার আবেগ মিথ্যা হয় ।তবে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা সবসময় করা উচিত যদিও করাটা খুবই কঠিন কাজ ।
মানুষকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা মানুষের হাতে সবসময় থাকে না বরং সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকে এক্ষেত্রে তাঁরই পাণে তাকিয়ে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
একটা দরজায় একটু ধাক্কায় খাই ।
বন্ধন হবে সীসা ঢালা প্রাচীরের মত একজন মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে ।
এই পয়েন্টার বাস্তব প্রতিফলন ভালবাসা দিয়ে আটকে রাখার ক্ষমতাটা দিন দিন কমে যাচ্ছে ।
ভালবাসলে বাসার মত বাসা উচিত ।যেখানে সন্মান আর শ্রদ্ধার উপস্থিতি থাকবে কোন ব্যক্তি স্বার্থই থাকবে না ।
কোন মান অভিমান নিজ্বস রাগের বহিঃপ্রকাশ থাকবে না শুধুই রবের স্বরণে ভালবাসা আর কল্যাণ কামনা থাকবে প্রত্যেকের প্রতি ।
আসুন না আমরা মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসি।
হোক না পার্থিব লস।
জীবনটা ত শুধু একটায়।
#নতুনমস
বিষয়: বিবিধ
১৬৯০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
সম্ভবত থাকারও কথা নয় ।কিন্তু একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা আর সন্মানবোধকেই ত বলা যায় ।
আমি সঠিক বিষয়টা সম্ভবত বুঝাতে পারিনি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন