অগোছানো কথনমেলা-৭
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২২ আগস্ট, ২০১৩, ১০:১৩:৩৯ রাত
হ্যা খুব কাজ থেকে দুটি পরিবেশ দেখেছি।দেখেছি পার্থিব সুখের একটু প্রশান্তির জন্য দিন রাত ছুটন্ত একটি অংশকে।আর অপরটি অনাবিল প্রশান্তিতে ঘেরা।
না আছে পার্থিব চাহিদা
না আছে দিক দিশেহারা।
সত্যি বলতে ইসলামিক পরিবেশে যা শিখেছি তার চেয়ে বেশি শিখেছি অনৈসলামিক পরিবেশে থেকেই।তবে গাঁ বেঁচে চলাতে পুরোপুরি পারিনি।
আমি খুব একটা ধার্মিক জীবন যাপন করতে পারিনা।অনেক ভুলে ডুবে আছি।
আসলে বাস্তবতা হচ্ছে বই পত্রে আমরা প্রচুর ইসলামিক আচরণ শিখি তবে এই শিক্ষা চরিত্রে প্রতিফলন করা আর তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া খুবই কঠিন একটা কাজ।
বাস্তবিক কথা হচ্ছে ইসলাম চার দেওয়া আবদ্ধ কোন আলো নয়।
বরং এটা যেখানে জ্বলে গোটা আলো অনেক দুর পযর্ন্ত ছড়িয়ে যায়।
তবে আমরা এত বেশি আবেগী হয়ে বড় হই যে একটু আঘাত সামাজিক হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি খেলেই ধপ করে জীবনকে সামনে চলার সব রাস্তা বন্ধ করে দেই।
অপর দিকে আমারই বয়সি একটা মেয়ে দেখছি কিভাবে ধ্বংসাক্তক পদে পদে নামতে নামতে আবার গা ছাড়া দিয়ে ফুঁ করে ওড়ে দিচ্ছে।
আবার জেগে উঠছে।
কি ভয়ানক স্টিমা শক্তি ওর চেয়েও ভয়ানক মানবিক শক্তি আমাদের আছে কিন্তু একদম চার দেওয়ালে বন্দি।
সবার কি আল্লাহ এক রকম মেধা দিয়েছে তা কিন্তু নয় একেক জন একেক ক্ষেত্রে পারদর্শী।
তবে অদ্ভুত কথা হলেও সত্যি ত্রি ইডিয়েট মুভির মত আমরা রাজু আর ফারহানের মত গোল নির্ধারণ করতে ভুল করি অথবা আমরা সুযোগ তৈরি না করে সরকার সমাজ আর জাতির দোষ দেই।
এখন ঐশী টাইপের মেয়েদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতে হলে তাদের চেয়েও অধিক মেধা মগজে রাখতে হবে।এবং এই যুগ উপযোগী পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।
আমার ক্লাসে অনেক মেয়েই বোরখা পরিহিত ছিল।
ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম কেউই নিজ ধর্মকে বুঝে পর্দা করছে না।
কারণ ২০%পড়ছেন বয়ফেন্ডের হুকুম মানতে।৩০%কে দেখতাম বিভিন্ন অকেশন ফাল্গুন বৈশাখ এই সময় শাড়ি পড়েই আসত।
কথা হচ্ছে এই যুগ উপযোগী ইসলাম সম্পর্কে সঠিক মেসেজটি কারো কাছেই পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না।
প্রথম দিকে সবার কাছে বই পৌছালাম আমি কারই বই এর প্রতি আগ্রহী পেলাম না।
সত্যি কথা বলতে সবাইকে সালাম আর ভাল আচরণ ছাড়া আর কোন ক্রমে কাউকে কর্মীও বানাতে পারিনি।আর আমি কখনই কাউকে জোর করে কোন কিছু করার পক্ষে নই।আমার পরিবার এটা শিখাই নি।
বোরখা পড়াও একটি ইতিহাস আমার ছোট্ট জীবনে।
আব্বু আম্মু কখনই আমাকে বলেনি বা ঠেলে দেন নি আমাকে বোরখা পড়তেই হবে।
বরং দেখতাম কোন আত্নীয় স্বজন আসলেই আমাদের নিয়ে যেয়ে পরিচয় করে দিতেন সুন্দর ভাবে।
তবে কেমন করে যেন টেক কেয়ার করতেন একবার এক কাজিনের বিয়ে তো আব্বু কাছে এসে বললেন
যদি তোমাকে কেউ এসে বলে তোমাকে যেতে হবে ঐ কাজিনের শশুড় বাড়িতে তুমি কিন্তু কিছুতেই যাবা না তখন পড়ি ক্লাস টেন এ।
আবার স্কূল কলেজে ভার্সিতে কোন শিক্ষাসফরেও আমি যাইনি।
তবে স্কুল কলেজ জীবনে যে চমত্কার বলয়ের মধ্যে ছিলাম।নিজে বুঝে যদি মনে কর প্রয়োজন তারপর সেই আচরণটি কর।
এটায় মুলত দরকার প্রতিটি ইসলামিক পরিবারের।
যুগ পরিবর্তন হয়েছে সুতরাং এই যুগ উপযোগী সঠিক পদ্ধতি বের করতে হবে।
হ্যা
একবার আমার দাদা সুরা নাস ব্যাখ্যা করেছিলেন
রব
ইলাহ আর
মালিক
এই তিনটি শব্দ।
রবঃতুমি যখন ভ্রুণ অবস্থায় ছিলে।অথাত্ যিনি না চাইতেই দেন।তিনি রব।
ইলাহঃজন্মের পর ছোট্ট বাচ্চা টিকে আমরা কি শিখাই ।বল বাবু, আল্লাহ।তোমাকে কে সৃষ্টি করেছেন ?
কে চোখ
দিয়েছেন?
আকাশ সৃষ্টি করেছেন কে?
তুমি বলছ আল্লাহ এটা তোমাদের ইলাহ সাথে পরিচয়।
মালিকঃএখন তোমার কান চোখ সব ফুটেছে অর্থাত্ তোমার বিবেক ফুটেছে এখন তুমি কার ইবাদাত করবা তিনি তোমার মালিক।
দাদার ব্যাখ্যার চেয়েও কোরআন হাদীস উল্লেখ করে
ফুপু ত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন দাদাকে বুঝাচ্ছেন ত বুঝাচ্ছেন।
ঠিক দাদাও বুঝাচ্ছেন তার মেধা শক্তি দিয়ে।
দেখলাম কেউ আর কাউকে বুঝাতে পারছেন না।
হঠাত্ উভয় সংকটের মাঝে কথা বলে উঠলাম
দাদার আমলে দাদা যে পদ্ধতিতে শিখেছেন তিনি ত তাই বুঝাবেন।
আপনি এই যুগে যতই দক্ষ মেধাবী হোন না কেন তা আপনার যুগের জন্য উপযুক্ত।
কিন্তু আমার দাদাও যুগ শেষ
ফুপুরও যুগ শেষ
এখন আমাদের যুগ
ঐশীদের যুগ।
বর্তমান যুগ অনেক পরিবর্তন হয়েছে
অনেক।
এখন নয় মাসের বাচ্চা মোবাইলে নিজে নিজে চালাচ্ছে
ফোন দিচ্ছে
হয়ত না বুঝে।কিন্তু আমরা ত কলেজ জীবনে হাতে মোবাইল পাইনি।
আর
আমরা এখন মেয়েদের বুঝাচ্ছি প্রেম করা হারাম
যারা কিনা সারা দিন গান মুভি বই অ্যড সবখানেই প্রেমকে পুজা করছে।
ভয় পেয়ে ঐ মেয়ে আর কথায় বলতে চায় না।
আমি নিজেও বুঝি না যেখানে বিবাহ সুন্নাহ একটা ইবাদাত সেক্ষেত্রে অজান্তে আমরা হারামে কাজে যুক্ত হচ্ছি।
আমরা ইসলামিক পরিবারে বড় হয়েও আমাদের হৃদয়কে কন্ট্রোল করতে পারছি না তাহলে প্রশ্ন বর্তমান প্রজন্ম পারবে কিভাবে???
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১২৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন