সত্য ঘটনা অবলম্বনে (২৮) : নুর সাহেবের নেশা
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ২০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:০৩:৪৩ বিকাল
						 
						 লাশের দেশ; লাশের নদী; লাশের গন্ধ বাতাসে; লাশ তৈরির লিস্ট হায়নাদের পকেটে; স্বজনের সামনে লাশ উপহার পাঠিয়ে দেয় তারা|
অহংকার হাসিতে হায়না-রাজ সংসদ কাপায়।
লাশের রক্ত খাবি? বুনো-শুকরের দল?
বুনো-শুকরের বিষ্ঠা বুনো-শুকর ই খায়; তার পর ও মন ভরে না। ওদের লাশ চাই। বিকৃত  লাশ। চোখ-খোলা রক্তাত্ত লাশ। গুলি-ফোড়া লাশ। পুরুষাঙ্গ কাটা লাশ। মাথায় গুলি-ফোড়া ১৪ বছরের কিশোরের লাশ।  মাথা অর্ধেক হওয়া তরুনের লাশ।যুবকের লাশ। বৃদ্ধের লাশ। আলেমের লাশ। পিতার লাশ। অচেনা লাশ। অজস্র চাপাতির দাগের লাশ। 
মাটি আর রক্ত শুকাতে পারে না। নদী আর লাশ লুকাতে পারে না।  উগড়ে বের করে দেয়। উগড়ানো লাশে হায়নাদের অট্টহাসি চলে। মাতাল হাওয়া ও বয়। পিশাচ হায়নাদের আর ও লাশের  ক্ষুধা জাগে। বঙ্গভবন নামক জল্লাদ্খানায়। সংসদ নামক ভাগাড়ে। ওদের গ্লাসে রক্ত। ওদের পাতে মানুষের মাংস। ওদের লাশের নেশা মিটে না। ওরা জেনেটিকালি মিউটেন্ট হয়েছে যে। ওদের লাশের ক্ষুধা মেটার নয়।  
অহংকার হাসিতে  হায়না-রাজ সংসদ কাপায়।
লাশের রক্ত খাবি? বুনো-শুকরের দল?  
**
আসাদুজ্জামান নুর কি  ভাবছে? তার  টাকার অভাব নেই। ভারতের  টাকা। রাশিয়ার টাকা। নিজ ব্যঙ্কের টাকা। নিজ কোম্পানির টাকা। এমপি-চুরির টাকা। টাকার নেশা তাকে বানিয়েছে মানুষ হত্যাকারী। সবাই কি তা ভাবছে? জামাতি রা মরছে। মানুষ তো মরে নাই।
'স্যার, পর  পর দুইটা হত্যায় সবাই সন্দেহ করছে?'
'বাইনচো.., রাখ।  কেয়ার করি! আরে কুত্তারা এত ভয় পাস কেন? তোগো খাওয়ায় কে? তোগো রক্ষা করে কে?'
লীগের ছেলেটি ভয়ে চুপসে গেল। আসাদুজ্জামান নুর সাহেব আরেকটু রেগে গেলে তার পাশের লীগের সভাপতি হয়ত নিজে ই হুট আরেকটি হত্যাকান্ড ঘটাবে। আগে ও করেছে। একবার মাল বের করলে আর থামানো যায় না। জবাই করে পুরো মাথা আলাদা  না করা পর্যন্ত কয়েক পালোয়ান মিলেও তাকে থামাতে পারে না। শরীরে অশরীরী ক্ষমতা চলে আসে। আগেরবার নুর সাহেব চেয়ার তুলে মাথায় বাড়ি দেয়ার আগ পর্যন্ত চাপাতি চালাচ্ছিল - জবাই দিচ্ছিল!
নীলফামারীর ছায়াশীতল নিভৃত গ্রামে কয়েকজন হায়নার কথোপকথনের সময়ে ই মেহেরপুরে নুর সাহেবের অন্ধ ভক্ত এবং 'মুজিব-সেনা' পলিশ ইন্সপেক্টর ট্রিগার চাপলেন। কয়েক ঘন্টা ধরে সাইফুল ইসলাম নামের জামায়াত নেতাকে অকথ্য অত্যাচারের পর নির্দেশ মোতাবেক অপরিহার্য  কাজটি পালন করলেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম একটু কি হাসল? বিড়বিড় করে কি কালেমা পড়ল। 'আল্লাহ আল্লাহ তো শুরু থেকে ই করছিল?'
সাইফুল ইসলাম কি জানত এ মুহুর্তে তার মা নামাজের সেজদায় কান্নারত?
তার পিতা কি হাত তুলে মোনাজাত করে ই যাচ্ছে? সারা বুক, পেট কান্নায় ভিজে গেছে। বোন কি জানালা ধরে কাদছে? তিন বছরের কন্যা কিছু বুঝছে না! অপলক তাকিয়ে কি বাবাকে খুজছে? মেহেরপুরের অনেক সংগ্রামী চোখ তার জন্য  আকুল হয়ে অপেক্ষায় রয়েছে?
ইন্সপেক্টর এর সোয়েটারের হাত রক্তে ভিজে গেছে। তাজা রক্তে। অনবরত লাঠির বাড়ি আর ছুড়ির পোচে তার বিলাতি সোয়েটার টা  নস্ট হল। তার একটু মেজাজ খারাপ হল। তার গায়ে রাজাকারের তাজা রক্ত পড়েছে। লাল গরম রক্ত।  
**
সীতাকুন্ড  অনতিদূর আরেক থানায় কয়েক ঘন্টা আগে ই আরেক রাজাকারকে মারা হয়েছে। উনিশ বিশ বছরের। র্যবের এই কর্নেলটি লাশ বিকৃত  করার দারুন নেশা পান। এ ব্যপারে একেবারে সিদ্ধহস্ত। 
লাশ বেকে আছে। দুই হাত কুকড়ে রয়েছে। শক্তভাবে। পা ও কুকড়ে আছে। কর্নেলের হাসি পাচ্ছে। সিগারেট ধরালো। শুকটান দিচ্ছে। লাশের উপর একদলা থুথু দিল। 
এই লাশ কি চলে যাবে অজানা গন্তব্যে? নাকি বাড়ির কাছাকাছি কোন ডোবায়? বা রাস্তার ধারে? রান্ডম্লি একটি অপশন পিক করবে পুলিশদের মন। তারপর লাশ ফেলে আসবে সেখানে। মিডিয়ার মাতামাতি বেশি হবে না। জামাতের লাশ যে! মানুষের নয়!!
**
র্যাব এর কর্নেল সাহেবের পকেটে বিরাট লিস্ট। লাশের লিস্ট। উপর থেকে তৈরী করা। 'র' এর তত্বাবধানে মনোনিত লিস্ট। কার কি  করার আছে? কার কি করার ছিল? দানবকে  ওয়াদা করে  ঘরে আমন্ত্রন জানিয়ে মাঝ পথে কি ভীরু-লোভী কি  তাকে ফেরাতে  পারে? ইতিহাসে তা কি কখন ও হয়েছে? 
আসাদুজামান নুর সাহেবের পকেটে ও বিরাট লিস্ট। হবু-লাশের লিস্ট। সংগ্রামীদের হত্যা করে  জাতিকে হিজরা করে দানবের সেবাদাসে  পরিনত  হওয়ার উম্মাদীয় নেশা। এ নেশা নুর সাহেবের মন থেকে কিভাবে দূর হবে? দূর হবার নয়।
**
মহসিন দিঘি পাড়ে। তার মনে হচ্ছে পানিতে রক্ত ভেসে উঠেছে। লাল রক্ত। নীলফামারীর রক্ত। রক্তের প্লাবন কি শুরু হবে? রক্তের প্লাবনে কি আমরা ভিজে যাব? আমাদের ঘরবাড়ি, জন-বসতি ধুয়ে যাবে? প্লাবন দেখবে প্রতিবেশী দেশ। হাসবে। ৪৬ এও এমন হাসি হেসেছিল। জমানো হাসি। 
মহসিন কি এ প্লাবন থামাতে পারবে?
সে দৃর প্রতিগ্গ। এ রক্ত-প্লাবন তার থামাতে ই হবে। দেশবাসী চুপ থাকুক।  তাদের বিবেক মরে যাক! তার বিবেক তো মরে নি। মনের  শক্তি পায় সে।  এ শক্তিতে অত্যাচারিত গ্রামবাসীদের জাগাতে  হবে। তাদের স্বপ্ন দেখাতে হবে। ভয় মাড়িয়ে শাসকের সামনে দাড়ানোর সাহস দিতে হবে। তীব্র ঝড় মোকাবেলা করতে হবে।
**
অহংকার হাসিতে  হায়না-রাজ সংসদ কাপায়।
লাশের রক্ত খাবি? বুনো-শুকরের দল?    						 
						 
						 
						 
						 
						 
						 
						 
বিষয়: বিবিধ
১৬৭১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য







































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন