সত্য ঘটনা অবলম্বনে (১) : দুইজন
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ১১ অক্টোবর, ২০১৩, ০৮:৪৬:৪১ রাত
-১-
প্রতিদিন ফজর নামাজের পর ভাইয়ার হত্যার ইউটিউব ভিডিও দেখি। দেখি পুলিশটি এই শুট টি করল। উফ যদি সময় থেমে থাকত! যদি ভাইটি সেখানে না থাকত! তারপর ওই ওসির বাসার সামনে যাই। দূর থেকে দেখি। অপলক তাকিয়ে থাকি। হায়নার বাসার প্রত্যেক মেম্বারকে চিনি।
ফিরে আসি। ডায়রিতে একটা দিনের দাগ কাটি।
শক্ত চোখ - প্রতিশোধের অপেক্ষায় রয়েছে। সারা বাংলায় এরকম কতজন জানেন? কেউ কি জানে?
উপরের লেভেলে ক্ষমতাসীনদের যতই ক্ষমতার পালাবদলে সমস্যা না হওয়ার তদ্বির চলুক না কেন -- আমি তো জীবন্মৃত। আমার জন্য কোন সেন্স কাজ করবে না। না প্রতিশোধ-ভিন্ন আর কোন লজিক।
-২-
সাথীদের নিয়ে যখন দালানে উঠি - সারি সারি লাশ দেখে বোঝার আগেই কেপে উঠি। মনে পড়ে আমরা যে 'এমেচার'। জগন্নাথে চাপাতি দিয়ে অনেক কোপ দিসি। গুলি করেছি কয়েকবার। কিন্তু 'র' এর এই কেমিক্য্ল দেখিনি যা ১০ মিনিটে লাশ সংকুচিত ও তরলায়িত করে দিতে পারে। হাতে রিভলবার দিয়ে দিসিল সকাল বেলাতেই। বর্ডার অনতিদূর কুমিল্লা থেকে সারি সারি গাড়ি চলে আসছিল যে মুহুর্তে পিপড়ার মত হুজুর রা শহরে ঢুকছিল। গাড়িগুলোতে কত লাশ ধরবে?
আমাদের ও আদেশ দেয়া হয় আগে থেকেই।
মানসিকভাবে প্রস্তুত হলেও শতাধিক বিকৃত লাশ আমার মত লোককে কাপিয়ে দিল কেন? বমি করলাম এক হুজুরের লাশের উপর ভড় ভড় করে। মদের ও গন্ধ বের হচ্ছিল। বিশ্রী ঘৃণায় কয়েকটা গুলি করলাম একটা বিকৃত অর্ধ-গলা স্মস্রু-মুখে!
আমি কি স্বপ্ন দেখছি? ছাদ থেকে কি লাফ দিব?
অন্ধকারে গুলির শব্দ চারিদিকে। চিত্কার। চেচামেচি। আর্মির পোশাকে হত্যা-জগ্গ চলছে টর্চ লাইটের আলোয়। আর কেমিকেলে লাশ গলানোর প্রতিযোগিতা। খাকি পোশাকিরা বলে যাচ্ছে 'ভাগ কুত্তা -- শুয়োরের বাচ্চারা - সব পিষে মার '।
হাতে রিভলভার -- কিন্তু আমার কাজ কি? বুঝতে পারছি না। হলে ফিরে যেতে হবে। শাওয়ার নিতে হবে। তারপর ঘুম। সব ভুলে যেতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন