বাচ্চা পুলিশ, কোনটি কার অধিকার তা বুঝতে একটু সময় লেগেছে, এই যা...
লিখেছেন লিখেছেন তহুরা ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:৪৯:৩২ রাত
"গণতান্ত্রিক দেশে সভা-সমাবেশ করার অধিকার সবারই আছে। তাই তাদের মিছিল করার সুযোগ দিয়েছি। এরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মিছিল করছে।" আজ জামায়াতের মিছিলের বিষয়ে বলেছেন শিবির দেখলেই গুলি করার নির্দেশদাতা বেনজির গোপালগঞ্জীর অধীনস্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা। চার বছর পর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। বলতে গেলে অভুতপূর্ব পরিবর্তন। যদিও এই পরিবর্তন আনতে শিবিরের একটু কঠোর হতে হয়েছে।
সিগন্যাল স্পষ্ট। সহজ কথায় চিড়া ভিজেনা। লীগের রাজনীতি নরম কথাকে দূর্বলতা মনে করে। আরও চেপে বসে। কিন্তু একটু ভয় দেখালে বর্ডার পাড়ি দিয়ে দিদির কাছে আশ্রয় চায়। গোপালগঞ্জি বেনজিররা সুযোগ পেয়ে জামায়াত-শিবিরকে লাঠি দিয়েই ধ্বংস করে দেয়ার স্বপ্ন দেখছিল। খুশিতে বটতলার উকিল কামরুলদের উল্ফলম্ব থামেই না। সাথে সাবেক বামদের মুচকি হাসি ও হুংকার! আহ! অবশেষে ইসলামী রাজনীতির কবর রচনা করা গেল।
কিন্তু হঠাৎ শিবিরের জাগরণ! সবকিছু উলট-পালট করে দিল। তিন মাসে পুলিশকে পাল্টা কয়েকবার মাত্র ধাক্কা দিয়েছে। তাতেই পুলিশ তো বটে মন্ত্রীর মুখেও কথা নেই। বামদের চোখ কপালে। যাদের কবর দিয়ে দিলাম ওরা আবার উঠে আসলো কিভাবে! তিন মাসের ভিতর এখন পুলিশ নিজে বলছে মিছিল-মিটিং করা নাকি জামায়াত-শিবিরের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই তারা বাঁধা দিচ্ছে না। ভাল ভাল! বাচ্চা পুলিশ, কোনটি অধিকার তা শিখতে একটু সময় লেগেছে, এই যা! তবে সাথে শিখিয়েও দিতে হয়েছে! হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে দাও, নতুবা ভিন্ন পদ্ধতিতে হবে। যেটি পছন্দ সেটি হবে। বল সবসময় পুলিশ ও সরকারের হাতে! সহজ কথা আবার দেশরত্নও বুঝতে চান না, বুঝিয়ে দিতে হয়...
লেখক- পুস্পিতা
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন