ইসলাম পন্থীদের হত্যা করা ও ফাঁসি দেয়ার মজাই যেন আলাদা
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ২৫ মার্চ, ২০১৪, ০৪:০৭:৫৩ রাত
ইসলামের প্রথম যুগে ইসলামের শত্রুরা ছিলো খুব দূর্বল অথচ ইসলাম ও ইসলামি রাস্ট্র ধ্বংশের জন্য দারুন ষড়যন্ত্রকারী। তখনকার খলিফা রা থাকতেন খুব সহজ সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত। এদেরকে হত্যা করে ইসলামি রাস্ট্র ভেঙ্গে ফেলার কাজে ব্রতী হয় সে সময়ের ইসলাম বিরোধী শক্তি। উমার (রা) উসমান (রা) আলী (রা) হুসাইন (রা) ইত্যাদি গণের শাহাদাত ছিলো সেই ব্রতেরই চরম বাস্তবতা। ইসলামি রাস্ট্র ব্যবস্থা ঐসব হত্যা কান্ডের মাধ্যমে শেষ করার চেষ্টা অনেকাংশে সফলতা লাভ করে।
এর পর যখন দেখা গেল ইসলামি রাস্ট্র ব্যবস্থার বারো বাজানো গেলেও সমাজ ব্যবস্থার গায়ে হাত দেয়া যাচ্ছে না। এর পেছনের শক্তি হিসাবে কত গুলো ব্যক্তির প্রভাব কিংবা কিছু সমাজ-সংস্থার আন্দোলন রাজশক্তিকেও পরাভূত করতে চাচ্ছে, তখন শুরু হয় ইসলামের এই অপ্রতিরোধ্য শক্তি কে শেষ করার প্রক্রিয়া। যারা উমাইয়া যুগের আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রা) এর আন্দোলন দেখেছেন, হাসান বিন আলীর (রা) সাধনা দেখেছেন কিংবা ‘আলনাফসুয যাকিয়্যাহর’ ব্যাপক আন্দোলন দেখেছেন তারা বুঝেছেন এই সব সংগঠন গুলোর কী শক্তি ছিলো। এবং এ গুলোকে ধ্বংশ করতে কেন মুসলমানদের তথা কথিত ‘খলিফা’ বা ‘আমীরুল মু’মিনীন’দের এত সম্পদ ও সামর্থ্য ব্যয় করতে হয়েছিলো। কেন হয়েছিলো ইসলাম পন্থীদের রক্তে তাদের হাত টকটকে লাল।
যারা ইমাম মালেকের হাত ভাংগার দৃশ্য দেখেছেন; ইমাম আবু হানিফার বিষে নীল হওয়া লাশ দেখেছেন; ইমাম আহমাদ কে দীর্ঘ দিন ধরে পর্যায়ক্রমে তিন খলিফা দ্বারা জেল হাজতে মার খেতে দেখেছেন; ইবনে তায়মিয়্যাহকে প্রতি বছর জেলে ঢুকানোর যন্ত্রণা বইতে দেখেছেন; শায়খ আহমাদ ফারুকীকে আকবার ও হুমায়ূন কর্তৃক গোয়ালিয়ার দুর্গে প্রহৃত হতে দেখেছেন - তারা বুঝবেন ইসলামকে টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টায় এই ইমাম, আলিম ও মুজাদ্দিদ দের কত বড় প্রভাব ছিলো।
মুসলমানদের রাজা বাদশাহ ও তথা কথিত ‘খলিফা’ ও ‘আমীর উমরা’ রা ইসলামের ঐ সব সূর্য সন্তানদের শেষ করে দেয়। এই মারাত্মক গুনাহের ফল স্বরূপ আল্লাহ তাআলা এই উম্মাতকে গযব দিয়েছিলেন। শত শত বছর ধরে এই শ্রেষ্ট উম্মাতকে সাম্রাজ্যবাদের করাল থাবায় থাকতে হয় সেই গযবের জন্যই। অতীতের মুসলিম উলামা ও নেতাদের কিভাবে শেষ করেছে তার ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তবে যদি আপনি তাঁদের হাড়গোড় গুলো আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে, বা দক্ষিন আফ্রিকার রবিন আইল্যান্ডের রাজনৈতিক কারাফটকের বিশাল আঙিনায়, কিংবা পাশের দেশের ইয়াংগুনের বাহাদুর শাহ যাফরের দরগাহে একত্রিত করেন, তাহলে সাক্ষ্যের অনেক কিছু পাবেন বলে আমার বিশ্বাস।
হয়ত আমাদের আগের সেঞ্চুরিতে ইসলামের নেতা ও আলিম উলামাদের ঐক্যবদ্ধ কিছু সংগ্রামকে আল্লাহ পছন্দ করেছিলেন। এবং সে জন্য অনেক কিছু হারায়ে হলেও হয়ত মুসলিম দেশ গুলো মুসলমানরা আবার ফিরে পেয়েছিলো। যেমন তুরস্কের খিলাফাত গেলেও আমাদেরে হাতে এসেছিলো কামালের সেক্যুলার তুর্ক। ইন্ডিয়ার সিংহাসন শেষ করে ছোট দুটো দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্থান নামে হাতে রাখা গেল। সিংগাপুর ও আরাকান হারালেও মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া পাওয়া গেল। মধ্য এশিয়ার সব দেশ গুলো গেলেও ছোট ছোট হয়ে যাওয়া দেশ গুলো নিয়ে এশিয়ায় মুসলিম আধিপত্য থাকলো কিছু দিন। আফ্রিকার অনেক দেশ হারালেও উত্তরের কিছু দেশ এখনো মুসলিম দের হাতে শাসন হচ্ছে। তবে সত্যি বলতে কি এই সব ইসলামি দেশে যারা শাসক তাদের চেহারা গুলোতে হাজ্জাজ বিন ইউসু্ফ, মীর জাফর, ঘষেটি বেগমদের ছাপ যেন লেগে আছে।
ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশানের যে ভূত রক্ত পিপাসু কিছু দেশের কাঁধে সাওয়ার হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে আবার মুসলিমদের শক্তির আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা দিয়েছে। আবার শুরু হয়েছে মুসলিম দেশ পাদানত করার দারুন প্লান বা ষড়যন্ত্র। এই প্লান এখন চলছে 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' নাম দিয়ে, চলছে 'জংগী দমন' এর নামে। আর এই যুদ্ধ এখন ধীরে ধীরে হচ্ছে সর্বগ্রাসী এবং সর্ব ব্যাপী। গত ২০০১ থেকে এই যুদ্ধের গতি প্রকৃতি গেছে একদম পালটে। এই যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে, এবং যারা ইসলামের শিক্ষায় জীবন পরিচালনা করে তাদের সংগে। যারা যত বেশি ইসলাম মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ তত বেশি চলছে।
যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে, ইসলামের এই নব্য শত্রুরা তাকে 'পলিটিক্যাল ইসলাম', অথবা মৌলবাদী ইসলাম কিংবা তালেবানী রাস্ট্র প্রবর্তন ইত্যাদি নামে ব্রান্ডেড করে চলেছে। তারা এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এবং যারা আমেরিকার অক্ষ শক্তির বিপরীতে দাঁড়াবে তাদের কে শেষ হবার মুখোমুখী করা হবেই। ফিলাস্তিনের হামাস, মিশর-মরক্কো-জর্ডান-কুয়েত-কাতার ও ইয়ামানের ইখওয়ান, সুদানের বশীরের পক্ষাবলম্বি, তিউনিসিয়ার নাহদাহ পন্থী, আলজেরিয়ার আল জাবহার সমর্থক, আফগানের তালেবান, পাকিস্থান ও বাংলাদেশের জামাআতে ইসলামি, মালয়েশিয়ার পাস, তুরস্কের এ কে- যে যেখানেই থাকুক না কেন, এবং যে নামেই থাকুক না কেন তাদের কে শেষ করতে যেন আন্তর্জাতিক শক্তি সমূহ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে মনে হচ্ছে।
এই সব আন্দোলন যতই মোডারেট হওয়ার চেষ্টা করুকনা কেন এদের কে শেষ করা হবেই। এবং শেষ করতে একটা বিশেষ বাহিনী ও মিশন কে যেন দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যারা সব ক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়ায় এই ইসলামি শক্তি কে শেষ করছে।
যে সমস্ত যায়গায় আন্তর্জাতিক শক্তি হস্তক্ষেপ করার ম্যান্ডেট নিয়েছে সেখানে ইসলাম পন্থীদের কে ড্রোন হামলা, বোমা হামলা, অত্যাধুনিক মরণাস্ত্রের আঘাৎ, ও সামগ্রিক বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে শেষ করে দেয়া হচ্ছে। এবং এদের শেষ করতে যেয়ে কারা মরতেছে, কিভাবে মরতেছে, কি ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে তার বিন্দু মাত্র তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। এক মিলিয়ন ইরাকি নারী শিশু মরেছে তাতে কি? ইয়ামানের জনপদ ভেংগে চুরমার হলো তাতে কি আসে যায়? আফগানিস্তানের পাহাড়, মরুভূমি, জনগোষ্ঠি, জনসমষ্ঠি, জনপদ কিংবা যাবতীয় অবকাঠামো ভেঙ্গে চুরে মিছমার হলো তাতে যাবে আসবে কেন? পাকিস্থানের সীমান্ত প্রদেশে হামলায় নারী পুরুষ সহ বস্তি কে বস্তি শেষ হবে তাতে দুঃখ হবে কেন? একই বক্তব্য, একই স্ট্রাটেজী, সংবাদ মাধ্যমের একই বর্ণনা, বুদ্ধিজীবিদের একই বক্তব্য এবং ইসলাম পন্থীদের এক চিৎকার এই একই সুরে কান্না। এটাই হলো এখনকার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
যেখানে এই ভাবে আঘাৎ করার ম্যান্ডেট পাওয়া যাবেনা, বা পাওয়া লাগবেনা সেখানে চলছে রাজনীতি। সে রাজনীতির মূল কথা হলোঃ 'যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ করছে তাদের কে ক্ষমতায় আসতে বাঁধা দাও'। এই বাঁধা দিতে যে যে সব পদ্ধতির ব্যবহার করা হচ্ছে তা হলোঃ
১। ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে হবে। কাজেই ইসলাম পন্থীদের ভোট মুখী করে ফেলো। এবং অত্যন্ত নোংরা দেখা গেলেও শক্তির বলে ভোটের ফলাফল ইসলাম বিরোধীদের পক্ষে নিয়ে আসো। যদি না করা যায় তাহলে সেনা বাহিনী কে ক্ষমতা দখল করতে দাও। এমন আন্দোলন কর যার ফসল যেন তুলে নেয় ইসলাম বিরোধী সেনা বাহিনী। আলজেরিয়া থেকে এই সিলসিলা শুরু হয়েছে। আর চলছে তো চলছেই।
২। এই সব দেশে ইসলাম বিরোধী সমস্ত শক্তি কে রাজনীতির ছত্র ছায়ায় আশ্রয় দিয়ে, বস্তা বস্তা টাকার বান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে, কিংবা সামাজিক সম্মানের শীর্ষে তাদের পৌঁছে দিয়ে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তাদের গ্রহনযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়ে, তাদের কে বানায়ে দাও ঐসব দেশের একমাত্র গ্রহনযোগ্য শক্তি হিসাবে। এদের কপালে খোদিত থাকবে সুশীল নামক তারকা, এদের কপোলে চিকচিক করবে বুদ্ধিজীবির তকমা আর এদের এক একটা বক্তব্য হবে, সে যত রাবিশ ই হোক না কেন, সমস্ত মিডিয়া জগতে সাড়া জাগানিয়া। সকাল সন্ধ্যা তাদের চকচকে মুখ গুলো বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে প্রিন্ট মিডিয়ার ছবির এলবামে, টিভির নানা প্রোগ্রামে কিংবা রেডিওর গুরু গম্ভীর আলোচনার টেবিলে।
৩। যে সব যায়গায় ইসলাম পন্থীদের বিজয় অবশ্যম্ভবী হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে তাদের খতম করার সমস্ত পথ গ্রহন করো। ৫ই মে ঢাকা যে ঘটনা ঘটেছে এবং মিশরের রাবেয়া স্কয়ারে যে হত্যা কান্ড ঘটেছে তা এমন স্থূল প্যারালালে করা হয়েছে যে, সাধারণ মানুষ ও বুঝতে পারবে এ সব ঘটছে একই প্লানের আওতায়। এ হত্যা কান্ডের নেচার একই রকম। এই জন্য বেছে নেয়া সময় টাও কাকতালীয় ভাবে মধ্য রাতের পরে ফজরের আগে। নিহতদের লাশ বহন করার জন্য ব্যবহৃত ময়লা ফেলা গাড়ির বহর ও কেমন করে জানিনা একই ধরণের। আরো আশ্চর্য হতে হলো যখন উভয় দেশের ইসলাম পন্থী মিডিয়া গুলো একই যুক্তিতে বন্ধ করে দেয়া হলো। নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলাম যখন এই সব নির্যাতিত ও দূর্বল নিহত আহত দেরকে দেখানো হলো সন্ত্রাসী ও তান্ডব কারী হিসাবে।
৪। গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার এই সব ইসলাম পন্থীদের ভাগ্যে জুটবেনা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং মিশরের বিচারিক কার্যক্রম যেন এই কথার ই সাক্ষী।
বিচারকদের কাজ হবে সমস্ত ইতিহাস ভেঙ্গে দিয়ে এই সব ইসলামিস্ট দের এমন ভাবে ঝুলিয়ে দিতে হবে যাতে করে "বিচারের বাণী কাঁদে নিরবে নিভৃতে।" দুনিয়ার কোন ন্যায় বিচার এদের জন্য প্রাপ্য নয়। রিম্যান্ডের নামে এদের শেষ করে দিতে হবে। বাংলাদেশ, মিশর সহ সকল দেশের ইসলামিস্টদের বিচার দেখলে মনে হয়, রায় সব এক যায়গা থেকে আসতেছে। আফিয়া সিদ্দিকীর রায় ও বিচারকের ভাষা বাংলাদেশের ইসলাম পন্থীদের ব্যাপারে দেয়া বিচারপতিদের রায়, এবং বিচারিক কার্যক্রম দেখলে বিচার জগতের এই বিরাট চঞ্চলতা লক্ষ্য করা যায়। সব চেয়ে হাসির কাজ চলছে মিশরে। ওখানের কাজ গুলো দেখলে মনে হচ্ছে এরা বাংলাদেশের ইসলাম পন্থীদের শেষ করা থেকে শিক্ষা নিয়ে সেই পথেই এগুচছে। আজকের খবর পড়ে আমি কষ্ট পেয়েছি শুধু তাই নয়, বিচারের নামে ই মোকারি দেখে মনে হচ্ছে আল্লাহর গযব মনে হয় দ্রুতই চলে আসতেছে। ৫২৮ জনকে ফাঁসি দেয়া রায় দেয়া হলো সেখানে। মাত্র একদিন শুনানী চললো সেখানে, বিবাদী পক্ষের কোন কথা শুনা হলো না। সাক্ষ্য নেয়া হলো না কারো। কেইস করা হলো। চার্জ গঠন হলো। রাস্ট্র পক্ষের একদিনে সামান্য শুনানি হলো। আর তাতেই বিচারক মুহাম্মাদ ইওয়াদ বিচারের রায় দিলেন। ৫২৮ জন কে ফাঁসিতে ঝুলায়ে মেরে ফেলতে হবে। কী সাংঘাতিক বিচার, কী মারাত্মক রায় আর কত ভয়াবহ বিচারিক মিস কারেইজ।
৫। ইসলাম পন্থীদের কে স্ব স্ব দেশে দ্বিতীয় শ্রেনীর চেয়েও নগন্য করে রাখতে হবে। তাদের মারলে শাপের মত করে পিটিয়ে মারো। বাংলাদেশ, ইয়েমেন, মিশর এবং সম্প্রতি সেন্ট্রাল আফ্রিকার রক্তাক্ত মাটি সাক্ষী হয়ে আমাদের এই কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এদের বাসা বাড়ী ভেঙ্গে দাও, এদের দেখা মাত্র গুলি করো, এদের মানবাধিকারের সব কিছু কেড়ে নাও। দুনিয়ার কেও কিছু বলবেনা।
ইসলামের ইতিহাসে ইসলামি খিলাফাহ ভাঙতে উমাইয়া নৃপতিদের সহায়তায় হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এক লক্ষ বিশ হাজার আলিম উলামা ও ইসলাম প্রিয় মানুষদের হত্যা করে। আর আজ ইসলাম কে উচ্ছেদ করার জন্য ইসলামি বিশ্বের সিংহাসন গুলোতে বসানো হয়েছে নব্য হাজ্জাজদের। নানা দেশে তারা লক্ষ লক্ষ ইসলাম পন্থীদের শেষ করতে প্লান নিচ্ছে। বাংলাদেশে আব্দুল কাদের মোল্লা কে শাহজাহান নামের যে দূর্দান্ত জল্লাদ ফাঁসিতে ঝুলায় তার হাসির সাথে আমি অজস্র অট্টহাসির শব্দ শুনতে পাচ্ছি সারা মুসলিম দুনিয়ায়। এদের কাছে যেন মনে হয় ইসলামিস্ট দের হত্যা করা বা ফাঁসি দেয়ার মজাটাই আলাদা।
বিষয়: বিবিধ
৩৯৩১ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুবার পথ আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে । কেউ জিহাদি বা কট্টর জিহাদি, কেউ সমাজ সংষ্কারক, কেউ খেদমতগার ইত্যাদি হাজারটি মতের ভিত পোক্ত হচ্ছে । কান্ডারীবিহীন তরী অথৈ সাগরে ঘুরপাক খাচ্ছে আর ঝড়ের কবলে পড়ে কেউ ছিটকে পড়ছে, কেউ সাধ্যমত প্রানপন চেষ্টা করছে লাগাম ঠিক রাখতে আর কেউ আহাজারি ও কান্নাকাটি করছে মুক্তির আশায় ।
মহান আল্লাহ ইসলামপন্হীদেরকে জান্নাতে যাবার রাস্তা হয়ত সহজ করার জন্যেই
ইসলাম পন্থীরা এক হলে আল্লাহর স্পেশাল সাহায্য পাবেই পাবে। কিন্তু এক না হলে যাবে সব।
নব্য মিরজাফর দের ও চিনতে ভুল করে ইসলাম পন্থীরা। এই যে ইখওয়ান জামাল আব্দুন নাসের কে নিয়ে এসছিলো ক্ষমতায়। অথচ তার হাতেই তারা শেষ হতে বসেছিলো। সেই এক ই ভুল মুরসী করলেন। সিসি কে অত বড় কিছু বানানো ঠিক হয়নি। এখন তো জামালের চেয়ে আরো ভায়বহ সিসি বলে প্রমাণিত হলো। ৫২৮ জন কে ফাঁসির রায় বের করানো অত সোজা না। তাও করে ফেললো কিন্তু জেনারেল সিসি।
অনেক ভালো থাকুন, আসসালামু আলাইকুম
বর্তমান হচ্ছে আধুনিক যুগ। রাষ্ট্র শাসনের জন্য উত্তম পন্থা হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে 'গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা'র গুণাগুণ। দূর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে এ 'গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা' আর গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আড়ালেই সব চেয়ে বেশী ক্ষতি করতে পারছে মুসিলম উম্মাহর। কোথাও গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য চলছে ইসলামপন্থীদের দমন। কোথাও গনতন্ত্রকে বিসর্জন দেয়ার জন্য চলছে মুসলিম নিধন। আবার কোথাও গনতন্ত্র কি জিনিস তা শিখানোর নামে চলছে মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি সাধন।
তথাকথিত গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কোন উপকার করতে পারে না বরং এ ব্যবস্থার আড়ালে ইসলামের রাজনৈতিক উত্থানের পেছনে যারা ভূমিকা রাখছে তাদেরই তিলে তিলে নিঃশ্বেষ করে দেয়ার উৎকৃষ্ট পন্থা সেটা আজ প্রমাণিত সত্য। ডক্টর মুরসির সরকারকে অন্যায় ও অবৈধভাবে উৎখাতের পর থেকে এযাবত কয়েক হাজার প্রতিবাদী জনতাকে হত্যা করেছে ফেরাউনের জারজ উত্তরসুরী জেনারেল ছ্যই ছ্যই কুত্তার জাত। আর এখন বেচে বেচে অত্যন্ত মেধামী প্রতিভাবান উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে জুড়িয়াশিয়াল মার্ডারের মাধ্যমে নির্মূলের উদ্যেগ নিয়েছে। অথচ গনতন্ত্রের শিরনী বিতরণকারী ফেরীওয়ালারা মিশরের জলন্ত আগুনে আরো পেট্রোল ঢেলে উস্কে দিচ্ছে। এদের সাথে যোগ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ভোগবাদী বিলাশী ও অপচয়বাদী তথাকথিত হাদেমুল হারামাইন মুসলিম উম্মাহর স্বগোষিত কান্ডারীরা। কখন বোধদয় হবে এ জাতির যে, গনতন্ত্র নামের সোনার হরিণ প্রকৃত মজলুম অসহায় মানুষের কল্যাণে কোন কিছুই দিতে পারবে না। বরং পুজিপতি ও লুটেরাদের স্বার্থই বরাবর রক্ষা করে চলবে। একই অবস্থা ভিন্ন নামে, ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন সুরে, ভিন্ন ভাওতাবাজীর শ্লোগানে আমাদের বাংলাদেশটাকেও হায়েনাগুলো লন্ডভন্ড করে দেয়ার উদ্যেগ নিয়েছে। অথচ আমরা এসব নাফরমনীর উৎখাত করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছি না।
সুবাহান আল্লাহ্
বর্তমান পরিস্থিতিতে কেমন করে বিকল্প কিছু করা যায়। সেটা বিবেচনা করা প্রয়োজন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন