"রমাদ্বান উপলক্ষ্যে ব্লগ আয়োজনের প্রস্তুতি ও বিষয়ে একটি পরিকল্পনা"
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৬ জুন, ২০১৬, ০৬:৩১:২৬ সন্ধ্যা
ইবাদত, পাপ মোচন ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের বসন্ত মাস হিসেবে পরিচিত পবিত্র রমাদ্বানুল মোবারক সমাগত। এই মহিমান্বিত মাস থেকে সর্বোচ্চ ফায়দা নিতে হলে আমাদেরকে একটি কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হবে। সেটা ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন রকমের হতে পারে। আবার নিম্নোক্ত ধরনেরও হতে পারে।
যেমনঃ
১/ অর্থসহ সম্পূর্ণ কোরআন অধ্যয়ন।
২/ পবিত্র কোরআনের শেষ দিক থেকে অর্থসহ কিছু সূরা বা আয়াত মুখস্থ বা ঠোটস্থ করা ৩/ অতি প্রয়োজনীয় কিছু হাদীস মুখস্থ করা।
৪/ সম্পূর্ণ রমজানে টানা তাহাজ্জুদ পড়ার পরিকল্পনা করা।
৫/ প্রতিদিন কিছু অতিরিক্ত নফল নামায আদায় করা।
৬/ প্রতিদিন কিছু পরিমাণ অর্থ গরীব/ দুঃখী মানুষকে দান করা।
৭/ তাকবীরে উলার সাথে মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামায পড়া।
৮/ গীবত, অহংকার, পরনিন্দা, চোগলখুরী ও মিথ্যা কথা থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা।
৯/ অপ্রয়োজনীয় কথা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা।
১০/ পরিবারের সদস্যদের তাকওয়া বৃদ্ধিতে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও সহযোগিতা করা।
১১/ সময় অপচয় থেকে দূরে থাকা।
১২/ তারাবী’র নামাজ নিয়মিত পড়া।
১৩/ কয়েকজন গরীব বা মিসকিন রোযাদারকে ইফতার করানো।
১৪/ লাইলাতুল কদরকে পূর্ণ মর্যাদায় সাথে যথাযথভাবে পালন করা।
১৫/ বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার করা।
১৬/ নিজের প্রচেষ্টায় কাউকে নামাজ আদায়ে অভ্যস্থ করানো।
১৭/ পর্দার ব্যাপারে আরো যত্নশীল হওয়া।
১৮/ সমস্ত ধরণের অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা।
১৯/ অর্থসহ কিছু কোরআন শরীফ বিতরণ করা৷
২০/ যাকাত ও ফিতরা আদায়ে সামর্থবানদের যথাযথভাবে হিসেব করে যাকাত ও ফিতরা প্রদান করা৷
** প্রয়োজন অনুযায়ী একাডেমিক অধ্যয়ন অব্যাহত রাখা। সর্বোপরী আমাদের নিজেদের আত্বার পরিশুদ্ধতা বৃদ্ধি এবং তাকওয়া আরো গাঢ় করার নিমিত্তে আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রাখা। আল্লাহ আমাদের প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমীন। সবাইকে পবিত্র রমাদ্বানের শুভেচ্ছা !!!
তিনটি জরুরী মাস'আলা
১) মহিলারা কোন পশু যবেহ করতে পারবে কি?
২) স্ত্রী স্বামীকে বা স্বামী স্ত্রীকে মৃত্যুর পর দেখতে বা গোসল করাতে পারবে কি?
৩) মৃত ব্যক্তিকে চুম্বন করার ক্ষেত্রে শরী‘আতের বিধান কি?
============================================ উত্তরঃ ১) মহিলাগণ পশু যবেহ করতে পারবে না বলে সমাজে একটি ব্যাপক প্রথা চালু রয়েছে যার কোনো ভিত্তি কুরআন সুন্নাহতে পাওয়া যায় না। বরং মহিলারা কুরবানী সহ যেকোন পশু যবেহ করতে পারে বলে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত । (বুখারী হা/৫৫০৫ ‘মহিলা ও দাসী কর্তৃক যবেহ করা’ অধ্যায়)।
-
২) ‘স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর পক্ষে তাকে দেখা হারাম’ মর্মে সমাজে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে যার কোনো ভিত্তি নেই, এটি একটি কুসংস্কার মাত্র। কারণ সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, স্ত্রী স্বামীকে আর স্বামী স্ত্রীকে মৃত্যুর পর গোসল করাতে পারবে ।
(ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/১২০৫-০৬, ‘জানাযা’ অধ্যায়; বায়হাক্বী ৩/৩৯৭; দারাকুৎনী হা/১৮৩৩ সনদ হাসান; ইরওয়া হা/৭০),
-
এমতবস্থায় দেখা তো অনুমোদিত হওয়ার দাবী রাখে।
৩) মৃত ব্যক্তিকে চুম্বন করার ক্ষেত্রে শরী‘আতের বিধান হলোঃ এটি জায়েজ।
-
আবু বকর (রাযি) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ওফাতের পর তাঁকে চুম্বন করেছিলেন ।(বুখারী হা/১২৪১, ৪৪৫৫-৫৭, মিশকাত হা/১৬২৪)।
-
ওছমান বিন মায‘ঊন (রাঃ) মৃত্যুবরণ করলে রাসূল (সাঃ) কাঁদতে কাঁদতে তাকে চুম্বন করেছিলেন (তিরমিযী হা/৯৮৯, সনদ ছহীহ)।
-
তবে মহিলাদের জন্য স্বামী এবং মাহরাম ভিন্ন অন্য কাউকে চুম্বন করা জায়েয নয়।
এছাড়া পুরুষরাও স্ত্রী এবং মাহরাম ব্যতীত কাউকে চুম্বন করতে পারবে না।
বিষয়: বিবিধ
১০৫১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন