"মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারন"

লিখেছেন লিখেছেন পুরনো স্মৃতি আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:৩০:০২ সকাল

মজার একটি লেখা পড়লাম। কোন ছাত্র preparation না থাকায় "মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারন" হিসাবে এই নিচের লেখাটি লিখেছে..

"মুঘল সাম্রাজ্য বেশ নামকরা সাম্রাজ্য ছিল। সেই সম্রাজ্যের পতনের আগে উত্থান হয়েছিল অথচ সে বিষয়টা আমরা এড়িয়ে গিয়ে শুধু পতনের কারণ খুঁজি। প্রচুর নামকরা সম্রাট যেমন বাবর তার ছেলে হুমায়ূন তার ছেলে তার ছেলে….এইভাবে বংশ পরম্পরায় শুধু সাম্রাজ্য বাড়িয়েই চলেছিল। ফলে সাম্রাজ্যের ভৌগোলিক সীমা ক্রমশ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। কোন কিছুর সীমা ছাড়িয়ে গেলে যে ব্যাপারটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাট হয় সেটা বুঝতে পারেনি। ফলে পতনের অনেকগুলো কারণের মধ্যে এই ভৌগোলিক কারণ বেশী করে মাথাচাড়া দিতে থাকল। এদিকে সম্রাট’রা তো রাজধানীতেই থাকত বাকি কোথায় হ্যারিকেন বা কোথায় সুনামী হচ্ছে সময় মত খোঁজ পেত না। পাবে কি করে বি-এস-এন-এল এর মত কানেক্টিং ইন্ডিয়া গোছের কিছুই ছিল না। সেই হেঁটে দৌড়ে এসে যতদিনে সম্রাটকে দু-প্রান্তে মিনি ডান্ডা লাগানো লম্বা খবরের চোথা ধরাত তার মাঝে আরো এক দুবার সাইক্লোন বা আইলা জাতের কিছু বয়ে যেত। এতে মানুষের মনে বিদ্রোহ জন্মাতে থাকল। ভাবল সম্রাট দিনরাত প্রাসাদে ল্যাদ খাচ্ছে আমরা এদিকে না খেতে পেয়ে মরছি, সময় মত ত্রান ফ্রানও পাঠাচ্ছে না। সুনামী’র ত্রান আসছে আইলা হয়ে যাওয়ার পরে। এরপর ‘যোধা আকবর’ দেখে তো লোকের ক্ষোভ আরো বেড়ে গেল, দেখল সম্রাট হাতির সঙ্গে লড়াই করে টাইমপাস করছে এদিকে প্রজারা বন্যা খরা’র মোকাবিলা করতে হিমসিম খাচ্ছে। ছোটখাট ‘ব-দ্বীপ’ ‘উপদ্বীপ’ ‘নির্জন দ্বীপ’ গুলোর লোকেরা এসব দেখেই তো জোট-বেঁধে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্রোহ ঘোষনা করে দিল ফলে আস্তে আস্তে হাতছাড়া হতে থাকল জমি। প্রজারাও ধীরে ধীরে বুঝতে শিখল খামোখা চাষ করে সম্রাটকে কর দিয়ে কাজ নাই বরং সেই জমিতে শিল্প বসানো যেতে পারে। সম্রাট যতদিনে কৃষিজমি রক্ষা কমিটি বানাল তার মধ্যে হেক্টর হেক্টর কৃষিজমি শিল্পের খাতায় চলে গেল। বনধ ফনধও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু তখন এত অফিস কাছারী আর ছিলনা, আইটিও ছিলনা ফলে বনধ সফল হলেও তাতে বিশেষ কাজ হল না। এমন কি মুঘলসরাই ট্রেন টাও এত লেট চলতে থাকল যে মুঘল যুক্ত কিছু নাম শুনলেই প্রজারা ক্ষেপে উঠতে শুরু করল। এদিকে সময় থেমে নেই, সাল বদলে যাচ্ছিল তার সাথে পাল্লা দিয়ে একের পর এক সম্রাটও বদলে যাচ্ছিল। শেষের দিকে সম্রাটরা তো ক্ষার খেয়ে বলল ‘ধুর!! বাপ-দাদুর আমলের এর শাসন ফাসন চালানোর ঝামেলা না করে শাসন ব্যাপারটা আউটসোর্স করে দেওয়া যাক’। ব্যাস যেমন ভাবা তেমনি কাজ আস্ত আস্তে সবকিছু আউটসোর্স হয়ে গেল ইংরেজদের হাতে এবং পতন হল মুঘল সাম্রাজ্যের।

বিষয়: বিবিধ

২৫১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File