আসন্ন মাহে জিলহজ্ব : পবিত্র হজ্ব, ঈদ-উল-আযহা এবং কোরবানীর মাস

লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৬:৫১ রাত



জিলহজ্ব হিজরী বর্ষের সমাপনী মাস। এই মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। এই মাস কোরবানীর পশু কোরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের মাস এবং সামর্থ্যবানদের জন্য হজ্বের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে সমর্পিত হয়ে গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগের মাস। পুরো মাসটাই ইবাদত-বন্দেগী করে কাটাবার অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বরকত এবং নিয়ামতে পরিপূর্ণ একটি মাস।

পবিত্র হজ্বের মাস জিলহজ্ব :

এ মাসেই প্রতি বৎসর তাওহীদবাদীদের ঐতিহাসিক মিলনমেলা পবিত্র হজ্ব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে মক্কা, মিনা, আরাফা এবং মুজদালিফা প্রান্তর জুড়ে। ইসলামের অন্যতম গুরূত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল হজ্ব। এই মাসের ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ ব্যাপী হজ্বের অনুষ্ঠানাদি চলে। হাজীরা সমবেত কন্ঠে “লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনি তুলে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য ঘোষণার মাধ্যমে মুখরিত করে তোলে। হজ্ব সম্পর্কে আল্লাহপাক বলেন, “বায়তুল্লাহ হজ্ব করা সেই মানুষের উপর আল্লাহর হক, যার সামর্থ্য আছে সেই পর্যন্ত পৌঁছার। আর এটা যে অস্বীকার করে তার জানা উচিত, আল্লাহ সারা বিশ্বের মানুষের কোন পরওয়া করেন না।” (সুরা আলে ইমরান-৯৭) হজ্বের গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে বিশ্বনবী (স)এর অনেক হাদীস রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার জন্য যার পাথেয় ও বাহন আছে, সে যদি হজ্ব না করে এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তার মৃত্যু ইয়াহুদী ও নাসারাদের মৃত্যুর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না।” আরেক হাদীসে আছে, “তোমরা হজ্ব কর, কেননা হজ্ব এমনভাবে আমলনামা থেকে গুনাহ দূর করে দেয়, যেমনিভাবে পানি দ্বারা ধৌত করলে ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।” (তিবরানী)



হজ্বের দিনগুলির মধ্যে “আরাফাতের দিন” খুবই গুরূত্বপূর্ণ। রাসূল (সা) বলেন, “আল্লাহতায়ালার নিকট আরাফাতের দিন সকল দিনের চেয়ে উত্তম। এদিন আল্লাতায়ালা ফেরেশতাদের সামনে হাজী বান্দাদের জন্য গৌরব প্রকাশ করে বলেন, তোমরা দেখ, আমার বান্দারা প্রচণ্ড রোদে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তারা বহুদুর থেকে আমার রহমতের আশায় এখানে উপস্থিত হয়েছে। বস্তুতঃ তারা আমার আজাব দেখেনি। অতঃপর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন”। হযরত আয়েশা (রা)থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা)বলেছেন, “আরাফাতের দিন আল্লাহপাক এক লোককে ক্ষমা করেন যে, তৎপরিমাণ লোককে আর কোন দিন ক্ষমা করেন না। এরপর তিনি ফেরেশতাদের লক্ষ্য করে বলেন, হে ফেরেশতারা! তোমরা সাক্ষী থেকো, আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।” (ইবনে হাব্বান)



আরাফাতের দিনের রোজা রাখা খুবই ফজীলতের। হযরত কাতাদা ইবনে নোমান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করিম (সা)কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি আরাফাতের দিন রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী বৎসরের এবং পরবর্তী বৎসরের গুনাহ সমূহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।” (ইবনে মাযা) “আরাফাতের দিন রোজা রাখা এক হাজার দিন রোজা রাখার সমান।” (বায়হাকী) তবে আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আছে, আরাফাতের দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন রাসূল (সা)। হাদীসের ব্যাখ্যায় উলামায়ে কেরাম বলেন, আরাফাতের দিন হাজীদের জন্য রোজা না রাখা উত্তম। আর অন্যদের রোজা উত্তম।

জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশকের নেক আমল সম্পর্কে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, “জিলহজ্বের প্রথম দশদিনের যে কোন নেক আমল আল্লাহপাকের নিকট যতটুকু প্রিয়, তার চেয়ে অধিক নেক আমলও অন্য কোনদিন ততটুকু প্রিয় নয়।” সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্ল¬াহর রাসূল(সা), জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহও কি এ দিনসমূহের চেয়ে অধিক ফজীলত পূর্ণ নয়। তবে কেউ তার জীবন ও সম্পদ নিয়ে ফেরত না আসে, তাহলে ভিন্ন কথা।”(মিশকাত) হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল(সা) এরশাদ করেছেন, “জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশদিন রোজা রাখলে প্রত্যেক রোজার বিনিময়ে এক বৎসরের রোজার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যাবে।” (তিরমিযী, ইবনে মাযা) উলামায়ে কেরাম বলেছেন, রমজানের শেষ দশকের রাতসমূহ অধিক ফজীলতপূর্ণ, এতে লাইলাতুল কদর রয়েছে এবং জিলহজ্বের প্রথম দশকও অধিক ফজীলতপূর্ণ, কারণ এতে আরাফাতের দিন রয়েছে।



ঈদ-উল-আযহা ও কোরবানীর মাস জিলহজ্ব :

ঈদ-উল-আযহা মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব। একে কোরবানীর ঈদও বলা হয়। ১০ই জিলহজ্ব ঈদ-উল-আযহ্রা সালাত অন্তে পশু কোরবানী দিতে হয়। আগে দিলে কোরবানী হবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, “ তোমার প্রতিপালকের জন্য নামাজ পড় এবং কোরবানী দাও।” (সূরা কাউসার-২) সাহাবাগণ কোরবানী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে রাসূল (সা) জবাবে বলেন, “তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের সুন্নত।” (ইবনে মাযা) কোরআনে অন্যত্র আরো এরশাদ হয়েছে, “আপনি বলুন আমার সালাত, আমার কোরবানী, আমার জীবন ও মরণ বিশ্বজাহানের রব আল্লাহরই জন্য।” (সূরা আনয়াম-১৬২) বস্তুতঃ কোরবানী ইব্রাহীম (আ)এর মাধ্যমেই প্রচলন হয়। রাসূল (সা) কখনোই কোরবানী ত্যাগ করেন নি। প্রত্যেক সচ্ছল মুসলমানের জন্য তা ওয়াজিব। হজ্বের অন্যতম আমল কোরবানী। যারা হজ্ব করতে যান তারা মীনার অদূরে কোরবানী দেন অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের মাধ্যমে কোরবানী দেন। কোরবানীর দিন পশু জবাইয়ের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত করা হয় বলে ঐ দিনকে ‘ইয়াওম আন্নহর’ বা নহরের দিনও বলা হয়। রাসূল (সা)বলেছেন, “কোরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়।”

কোরবানীর ফজীলত সম্পর্কে আরো অনেক হাদীস রয়েছে। নবী (সা) বলেছেন, “যার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।” (জামউল ফাওয়ায়েদ) তিনি অন্য হাদীসে আরো বলেছেন, “নহরের দিন অর্থাৎ জিলহজ্বের ১০ তারিখ কোরবানীর পশুর রক্ত প্রবাহিত করা থেকে ভাল কাজ আল্লাহর কাছে আর নেই। কিয়ামতের দিন পশু তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ হাজির হবে। কোরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা কবুল হয়ে যায়। অতএব মনে আগ্রহ ও সন্তুষ্টি সহকারে কোরবানী কর।” (তিরমিযী, ইবনে মাযা) হযরত ইবনে বুরায়দা (রা) তার পিতার বরাত দিয়ে বলেন, “নবী (সা) ঈদ-উল-আযহা দিন নামাজের আগে কিছু খেতেন না। নামাজ শেষে কোরবানী করে তার কলিজা খেতেন।” (তিরমিযী) কোরবানীর পুরষ্কার সম্পর্কে রাসূল (সা) এর হাদীসে আছে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) হযরত ফাতেমা (রা)কে বললেন, “ফাতেমা! তোমার কোরবানীর পশুর নিকটে এসে দাঁড়াও। এ কারণে যে, কোরবানীর পশুর যে রক্ত মাটিতে পড়বে তার বদলে আল্লাহ তোমার পূর্বের গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন। একথা শুনার পর হযরত ফাতেমা (রা) জিজ্ঞেস করলেন, এ সংবাদ কি শুধু আহলে বায়াতের জন্য না সকল উম্মতের জন্য? জবাবে রাসূল (সা) বললেন, আহলে বায়াত ও সকল উম্মতের জন্য।”



ঈদ-উল-আযহ্রা দিনগুলিতে অর্থাৎ ৯ই জিলহজ্ব ফজর নামাজের ওয়াক্ত থেকে ১৩ই জিলহজ্ব আছর ওয়াক্ত পর্যন্ত ফরজ নামাজ শেষে “তাকবীরে তাশরীক” পড়া ওয়াজিব। “তাকবীরে তাশরীক” হল : “আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ।” ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর সাথে সাথে কমপক্ষে একবার পড়তে হয়। ঈদ-উল-আযহ্রা দিনগুলিতে রোজা রাখা হারাম (১০, ১১ ও ১২ই জিলহজ্ব) এ দিনগুলো জিকির-আযকার এবং ইবাদতে মশগুল থাকার দিন। হযরত উকবা ইবনে আমের (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, “আরাফাতের দিন (হাজীদের জন্য) কোরবানীর দিন ও তাশরীকের দিনগুলো হচ্ছে আমাদের মুসলিম উম্মাহর ঈদের দিন এবং পানাহারের দিন।” (আবু দাউদ ও নাসায়ী) রাসূল (সা) আবদুল্লাহ ইবনে হুজাইফাকে মীনায় প্রেরণ করেছেন যাতে চক্কর দিয়ে একথা বলে যেন, “তোমরা এ তিনদিন রোজা রাখবে না। কারণ এ দিনগুলো হল পানাহারের দিন এবং আল্লাহর জিকিরের দিন।” (আহমদ) জিলহজ্ব হিজরী সনের অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ একটি মাস। যে মাসে নাজাত লাভের অপূর্ব সুযোগ রয়েছে। ইসলামের অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ হজ্ব যদি আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় বিনিময়ে জান্নাত লাভ হবে। রাসূল (সা) বলেছেন, “মকবুল হজ্বের বিনিময় জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।” খাঁটি নিয়তে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানীর মাধ্যমে অশেষ কল্যাণ হাসিল করা যায়। আসুন কোরবানীর মাধ্যমে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হই।

========

বিষয়: সাহিত্য

১৭০৫ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339268
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৬
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৮
280800
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ..Good Luck Good Luck
339279
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৪০
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ মা-শা আল্লাহ হজ্ব ও কুরবানী সম্পর্কে চমৎকার লিখেছেন। আপনি তো হাজীসাহেব ভাই। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকেও হজ্ব করার তাওফীক দান করেন। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৯
280801
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম। জি ভাইজান এবারও যাব, ইনশাল্লাহ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৪০
280824
আবু জান্নাত লিখেছেন : কাবা শরীফে গিয়ে আমার জন্য ও আমার পরিবার যেন এক সাথে হজ্ব করতে পারি, এই দোয়া অবশ্যই করবেন। ভুলবেন না কিন্তু, প্লীজ ভাইয়া........
আপনার মাক্ববুলিয়্যাতের দোয়া আমিও করবো ইন শা আল্লাহ..
339282
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৪৪
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : আপনার অগ্রিম আহ্বান কুরবানী এবং হজ্জের প্রস্তুতির জন্য দরকার। ধন্যবাদ..
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩০
280802
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : Good Luck Good Luckধন্যবাদ..
339283
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৪৪
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : আপনার অগ্রিম আহ্বান কুরবানী এবং হজ্জের প্রস্তুতির জন্য দরকার। ধন্যবাদ..
339284
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:২০
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইরান ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩০
280803
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ অনেক অনেক..
339285
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:২১
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩০
280804
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভাললাগার অনুভুতি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ রইলো..
339327
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৫৭
নাবিক লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩১
280805
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে..
339335
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫৮
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
339367
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একটি বিষয়ে কনফিউজড। ৯-১৩ জিলহজ্জ আইয়ামে তাশরিক এর দিন রোজা রাখা হারাম শুনেছি। কিন্তু সেক্ষেত্রে আরাফার দিন রোজা রাখা হবে কিভাবে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৩
280806
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : হযরত কাতাদাহ ইবনে নুমান (রা) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা)কে বলতে শুনেছি, ব্যক্তি আরাফার দিন(৯ই জিলহজ্জ) রোযা রাখে তার পূর্ববর্তী বছরের ও পরবর্তী বছরের গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন। (ইবনে মাযা)
বায়হাকীতে আরেকটি হাদীস আছে, আরাফার দিন রোযা রাখা এক হাজার দিন রোযা রাখার সমান।
হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদীসে আছে, ঐ দিন রোযা রাখতে রাসূল (সা) নিষেধ করেছেন।
-এ হাদীসে আলোকে ওলামায়ে কেরামগন বলেন, আফার দিন হাজীদের জন্য রোযা না আর অন্যদের জন্য রোযা রাখা উত্তম।
আপনাকে ধন্যবাদ...
১০
339372
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
হতভাগা লিখেছেন :


এটা সম্ভবত মাসজিদ এ নামিরা । আরাফার ময়দানে অবস্থিত । এখানে আরাফার দিন জোহর ও আসরের নামাজ একসাথে পড়া হয় ।

সারা বছর ঐ একবারই এখানে নামাজ পড়া হয় ।




তাজমহলের ছবি এখানে কি দেওয়া খুব দরকার হয়ে গিয়েছিল ? এটা কি কোন মাসজিদ ?
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৩
280753
পুস্পগন্ধা লিখেছেন :
জি ভাই, এটা মসজিদে নামিরা.....এখানে আরাফার দিন জোহর ও আসরের নামাজ একসাথে কসর পড়া হয় ।

তাজমহলের ছবি না দিয়ে অন্য কোন স্থানে জামাতের ছবি দিলে আরো সুন্দর হত....
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
280807
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : স্যার এটা ঈদের সালাতের ছবি উপলক্ষে দেয়া..তাজমহলকে হাইলাইট করা নয়.. ধন্যবাদ আপনার অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য..
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩৮
280823
হতভাগা লিখেছেন : হজের সময়ের কথা বলতেছেন । মক্কা মদিনার যেসব মাসজিদে যাওয়ার সুযোগ হয় হাজিদের এই সফরে সেগুলোর ছবি দেবেন । মদিনার রাসূল(সাঃ) এর রওজার মাসজিদ , মাসজিদ এ কুবা , মাসজিদে কিবলাতাইন .... এসবের ছবি দেন ।

দিয়েছেন ভারতের ছবি , তাও আবার প্রেমের সমাধির পাশের ।
১১
339418
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২২
পুস্পগন্ধা লিখেছেন :
উম্মল মু'মিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ, জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করব না ? তিনি বললেন, না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আমল হল হজ্জে মাবরুর (বুখারীঃ ১৪৩০)
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৭
280809
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে..সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য..
১২
345151
০৯ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:০০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : অনেক দেরীতে দেখা হলো বলে দুঃখিত। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।
২৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৩
288112
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ লোকমান ভাই...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File