যে ঈমান ফাঁসির মঞ্চে অসংকোচে গায় জীবনের গান : ১

লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ২০ জুলাই, ২০১৫, ০৭:২৪:১৪ সন্ধ্যা

ফাঁসির মঞ্চে হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস্ সাহমী (রা)এর অসীম সাহসিকতা :

ইসলামের ইতিহাস হচ্ছে ত্যাগের ইতিহাস, শাহাদাতের ইতিহাস। শাহাদাতের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ইসলামের বিজয় পতাকা দিকে দিকে উড্ডীন হয়েছে। আজ মুসলিম জাতি শাহাদাতের তামান্না তথা ত্যাগ ছেড়ে ভোগ-বিলাসীতায় মত্ত হওয়ার কারণে করুণ দুর্দশায় পতিত হয়েছে। রাসূলে করীম (সা) বলেছেন, “এমন একসময় আসবে যখন পৃথিবীর সকল জাতি একজোট হয়ে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, যেমনভাবে পেয়ালার মধ্যে খাদ্যবস্তু এক হয়ে যায়। একজন সাহাবী প্রশ্ন করলেন? ‘তখন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো?’ উত্তরে রাসূল (সা) বললেন, না। ‘বরং সংখ্যায় অনেক বেশি থাকবে। কিন্তু তোমরা বন্যায় ভেসে যাওয়া খড়খুটোর মত দুর্বল হয়ে যাবে এবং আল্লাহর শত্র“দের অন্তরে তোমাদের ব্যাপারে কোন ভয় থাকবে না এবং তোমাদের অন্তরে দুর্বলতা সৃষ্টি করে দেবেন।’

আরেকজন সাহাবী কি ধরনের দুর্বলতা জানতে চাইলে রাসূল (সা) বললেন, ‘তোমাদের দুর্বলতা হলো দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা।’(আহমদ ও আবু দাউদ)


এমন একদিন ছিল যখন স্বল্প সংখ্যক বীর মুসলমান ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে কয়েকগুণ বেশি কাফির-মুশরিক বাহিনীকে পরাজিত করেছিলেন। কারণ তারা আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার কোন শক্তিকে পরোয়া করেন নি। আমরা সেই ইতিহাস জানি। আমরা সেই সে সাহসী জাতি। আজকে দ্বিধা-বিভক্ত উম্মাহকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু অস্ত্রের ভয় করলে চলবে না। দৃঢ় ঈমান থাকলে শত্র“র মোকাবেলায় পারমানবিক বোমাও বিকল হতে বাধ্য। আজ গদির লোভে পড়ে পাশ্চত্যের শিখিয়ে দেয়া বুলি আওড়িয়ে মুসলমানদের জঙ্গী-সন্ত্রাসী বলে মুসলমান শাসকবৃন্দ উপর সীমাহীন জুলুম-অত্যাচার করছে।

আজ এমন একজন সাহসী মুজাহিদের কথা লিখব (যদি আল্লাহ লেখার তৌফিক দান করেন) যিনি রাসূলুল্লাহর (সা)এর প্রিয় একজন সাহাবী। যুদ্ধবন্দী হয়ে রোম সম্রাটের দরবারে নির্ভীকতার সাথে অটল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সাহাবীর নাম হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা)। ইসলামে ঝাণ্ডাকে বুলন্দ করতে গিয়ে ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।

হিজরী ১৯ খৃষ্টাব্দে রোম সম্রাট হেরাক্লিয়াস মুসলমানদের বিরুদ্ধে সীমান্তে এক বিরাট সৈন্য সমাবেশ ঘটান। আমিরুল মোমেনীন হযরত উমর ফারূক (রা) রোমান বাহিনীকে মোকাবেলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের নিকট আহ্বান জানান। হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) খলিফার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। রোম সম্রাট মুসলমানদের সাহসিকতা, ঈমানী মনোবল এবং আল্লাহ ও রাসূল (সা)এর পথে জীবন বিলিয়ে দেওয়ার কথা জানতেন। তিনি তাঁর সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যুদ্ধে অন্তত একজন মুসলিম সৈন্য হলেও যাতে জীবিত অবস্থায় বন্দী করা যায় এবং তাকে যেন দরবারে উপস্থিত করা হয়। ঘটনাক্রমে হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) অন্যান্য যুদ্ধবন্দীদের সাথে রোমান সৈন্যদের হাতে বন্দী হন। যুদ্ধের ময়দান থেকে রোমান সেনাপতি রাসূল (সা)এর প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) কে বন্দী করে পাঠানো হচ্ছে বলে দুত মারফত সম্রাটকে জানিয়ে দেন।

হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা)কে রোমান সম্রাটের দরবারে হাজির করা হল। সম্রাট তাঁর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণার্থে হযরত আবদুল্লাহ(রা)কে ঈমানী পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্রাট হযরত আবদুল্লাহর নুরানী চেহারা মোবারক দেখে বিস্মিত হন। এরপর সম্রাট তাঁকে বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি প্রস্তাব রাখতে চাই।’

হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) বললেন, ‘বলুন কি প্রস্তাব?’

সম্রাট বললেন, ‘আমার প্রস্তাব হচ্ছে আপনি ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে খৃষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হবেন। যদি এ প্রস্তাবে রাজী হন আমি আপনাকে সসম্মানে মুক্ত করে রোম রাষ্ট্রের যে কোন পদে অধিষ্ঠিত করব।’

[q]হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) দৃঢ়তার সাথে বললেন, ‘আপনার প্রস্তাব মানা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, এর চেয়ে মৃত্যুকে আমি হাজারবার আলিঙ্গন করব।’
[/q]

একথা জবাব শুনে সম্রাট বললেন, ‘আমি আপনাকে একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি মনে করি। আমার প্রস্তাব ভালভাবে চিন্তা করুন। রাজী হলে আমি আপনাকে আমার রাজ্যের অংশীদার করবো এবং রাজ্যের অর্ধেক আপনাকে দান করবো।’

বন্দী হযরত আবদুল্লাহ (রা) বললেন, আল্লাহর কসম! খৃষ্ট ধর্ম তো দুরের কথা, বরং সমগ্র রোমান রাজ্য এবং এর সঙ্গে সমগ্র আরব জাহান ও সমস্ত ধন-ভাণ্ডার আমার হাতে তুলে দিলেও আমি ইসলাম ত্যাগ করব না।’


হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) এর বলিষ্ঠ জবাব শুনে সম্রাট আশ্চর্য হলেন! সম্রাট লোভ দেখিয়ে হযরত আবদুল্লাহ(রা)কে ধর্মচ্যুত করতে না পেরে স্বৈরাচারের চিরাচরিত পন্থা অবলম্বন করলেন। তাঁকে প্রাণদণ্ডের হুমকি দিলেন।

হযরত আবদুল্লাহ (রা)ও বললেন, আপনার যা খুশী করতে পারেন, কিন্তু ইসলাম একমুহুর্তের জন্যও ত্যাগ করবো না।

এরপর সম্রাট তাঁকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর নির্দেশ দিলেন। কর্মকর্তাগণ সম্রাটের নির্দেশ পালনার্থে হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) কে)টেনে-হিচঁড়ে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গেলেন।
এবার সম্রাট তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে জল্লাদকে একটি তীর নিক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ দিলেন। জল্লাদ ভয়ঙ্কর চাহনিতে তীব্র গতিতে একটি তীর নিক্ষেপ করলেন। তীরটি হযরত আবদুল্লাহ (রা)এর হাতের কব্জির পাশ দিয়ে চলে পাশের কাষ্ঠফলকে বিদ্ধ হলো। এরপরও সম্রাট তাঁকে খৃষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার জন্য বলতে লাগলেন। ফাঁসির মঞ্চে নির্ভয়ের সাথে ইবনে হুজাইফা (রা) বরাবরের মতই এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। সম্রাট আবারও জল্লাদকে তাঁর পায়ের কাছে তীর নিক্ষেপের জন্য নির্দেশ দিলেন। যাতে ভীত হয়ে সম্রাটের প্রস্তাব গ্রহণ করেন।

জল্লাদ এবার হুংকার ছেড়ে আরেকটি তীর নিক্ষেপ করলেন এবং ইবনে হুযাইফা(রা)এর পায়ের নিকট বিদ্ধ হলো। সম্রাট শেষবারের মত প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য বললেন। ইবনে হুযাইফা(রা)ও বরাবরের মত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন।

হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) ঈমানী দৃঢ়তা দেখে বিস্মিত ও হতাশ হয়ে বললেন, ফাঁসির মঞ্চ হতে নামাও বলে নির্দেশ দিলেন জল্লাদকে। এবার আরো কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করবেন তিনি। একটি বিশালাকার উত্তপ্ত গরম পানির ডেকচি আনা হলো। দু’জন মুসলিম বন্দীকে ইবনে হুযাইফার সামনে আনা হল। গরম ফুটন্ত পানিতে একজনকে নিক্ষেপ করা হল। সাথে সাথে তার শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে লাগল, সে এক বীভৎস এবং নারকীয় দৃশ্য! হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা) স্বচক্ষে দেখলেন আল্লাহর রাসূল (সা)এর সাহাবীর পৈশাচিক পরিণতি!

সম্রাট হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা)কে আবারো স্বধর্ম ত্যাগ করার জন্য বললেন। আরো বললেন, যদি না করো তবে এর মত পরিণতি বরণ করার হুমকি দিলেন। হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা) পূর্বেও ন্যায় আরও দৃঢ়তার সাথে প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন। যার সামনে শাহাদাতের তামান্না, চোখের সামনে যার সুশোভিত জান্নাত সে কী করে এমন নিন্দনীয় প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে?

সম্রাট যখন সর্বাত্মক চেষ্টা করে ও হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা(রা)কে ইসলাম তাগে রাজি করাতে পারলেন না। ক্রোধে ও অপমানে তাঁকেও উত্তপ্ত ডেকচিতে নিক্ষেপ করার নির্দেশ প্রদান করলেন। জল্লাদ তাঁকে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা)এর চোখের কোণা থেকে দু’ফোটা অশ্রু গণ্ড বেয়ে পড়ল। সম্রাট দেখে বললেন, সে নিশ্চয়ই মৃত্যু ভয়ে কেঁদেছে। এ অবস্থায় রাজী হতে পারে। এই দুর্বল মুহুর্তে সম্রাট আবারো প্রস্তাব দিলেন ইসলাম ত্যাগের। ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গাওয়া, শাহাদাতকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা) ঘৃণাভরে আবারো প্রত্যাখান করলেন সম্রাটের প্রস্তাব।

সম্রাট আশ্চর্য ভঙ্গীতে বললেন, ‘ধিক তোমাকে! তুমি যদি মৃত্যুকে ভয় না পাও তাহলে কাঁদলে কেন?’

হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা) বললেন, দেখুন আমি মৃত্যুর ভয়ে কাঁদিনি। বরং এই একটি মাত্র ডেকচির ফুটন্ত পানির মাঝে আমাকে নিক্ষেপ করতে চাচ্ছেন। অথচ আমি আশা করেছিলাম যে, আমার শরীরে যতগুলো লোমকুপ আছে, ততগুলি ডেকচি উত্তপ্ত করা হবে। আল্লাহর পথে আমার প্রতিটি লোমকুপকে ঐ উত্তপ্ত পানির ডেকচিতে নিক্ষেপ করা হবে। এরমাধ্যমে আমি শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবো। আমি এই মর্যাদা লাভে ব্যর্থ হচ্ছি মনে করে চোখের পানি এসেছে।

হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা)র ঈমানী মজবুতি দেখে সম্রাট আরো আশ্চার্যান্বিত হলেন! তাঁর স্বভাবসুলভ অহংকার নিয়ে বললেন, তোমার কী স্পর্ধা! আমার গৌরব ও মর্যাদার প্রতি তোমার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই?’

এতদিন ধরে রোমান সম্রাট মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর সাহাবীদের ত্যাগের যে কাহিনী শুনেছিলেন হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা)র আচরণে তা দেখে আশ্চর্য হলেন। একজন সামান্য যুদ্ধবন্দীর এমন অসীম সাহস কিভাবে হতে পারে? এত কৌশল অবলম্বন করেও তিনি ব্যর্থ হলেন। এটা তাঁর আত্মমর্যাদার প্রশ্ন? তাই সম্রাট তাঁর মর্যাদা রক্ষার জন্য সর্বশেষ প্রস্তাব দিলেন, ‘তুমি যেহেতু আমার কোন কথাই রাখলে না, তাহলে তুমি আমাকে আরবীয় প্রথা অনুযায়ী আমার সম্মানার্থে মাথায় একটি চুম্বন দাও, তাহলে তোমাকে মুক্তি প্রদান করব।’

বিচক্ষণ এবং কুটনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা) সম্রাটের বিপরীতে উল্টো শর্ত জুড়ে দিলেন। তিনি বললেন, ‘যদি এর বিনিময়ে সম্রাট সকল যুদ্ধ বন্দীকে মুক্ত করে দেন তবেই তিনি সম্রাটের কপালে চুম্বন দেবার প্রস্তাব বিবেচনা করা যাবে।’


রোমান সম্রাট তাঁর মর্যাদার কথা বিবেচনা করে ইবনে হুযাইফা (রা)র প্রস্তাব লুফে নিলেন। তিনি মুহাম্মদ (সা)এর সাহাবীদের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং ঈমানী মনোবলের কাছে নতস্বীকার করলেন এবং হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা (রা)ও শর্ত মেনে নিলেন।

এতে করে সম্রাটেরও মর্যাদা হানি হলো না, অপর দিকে ইবনে হুযাইফা (রা)ও মনে মনে বললেন, ‘আল্লাহর এই দুশমনের মাথায় একটি চুম্বনের বিনিময়ে যদি সকল যুদ্ধ বন্দীকে মুক্ত করতে পারি, তবে লজ্জা কীসের? তিনি সকল যুদ্ধবন্দীকে মুক্ত করে খলিফা হযরত উমরের দরবারে এসে পৌঁছলেন। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি তিনি সবাইকে শোনালেন। খলিফা তাঁর ঈমানী মনোবল, সাহসিকতা এবং বিচক্ষণতায় সদ্যমুক্ত সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘প্রত্যেকেরই উচিত হযরত আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা আস সাহমী (রা)র মাথায় চুম্বন করা এবং সর্বপ্রথম তাঁর মাথায় চুম্বন আমিই দিয়ে শুরু করছি..’

এই হচ্ছে সাহসের পরিচয়, এই হচ্ছে ঈমান,

যে মৃত্যু ভয় করে না অগ্নি গোলা তুফান

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে যায় যারা জীবনের গান।


আজ পৃথিবীর সবর্ত্রই মানবতার বধ্যভুমি। মুক্তির অপেক্ষায় হাহাকার করছে। জালিমের বন্দীশালা ভরে গেছে নরশার্দুলদের গ্রেফতারিতে। মানবতার মুক্তি জন্য ইস্পাত কঠিন শপথ নিয়ে শাহাদাতের ময়দানে জানবাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য ঈমানদারকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

(সহায়ক গ্রন্থ :

১। আস সিয়ারু মিন হায়াতিস সাহাবা-আবদুর রহমান রাহাত পাশা

২। রাসূল (সা)এর দাওয়াতের পদ্ধতি ও মাধ্যম-ড. আবুল কালাম পাটোয়ারী

৩। তাকওয়া ও মুত্তাকী-মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন)

======


বিষয়: সাহিত্য

২২১৮ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

330843
২০ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫২
শেখের পোলা লিখেছেন : আজ মুসলীম শুধুই নামে কামে নয়৷ ধন্যবাদ৷
২০ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
273066
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ কষ্ট করে দেখার এবয় পড়ার জন্য..
330847
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:০০
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু।

অসংখ্য ধন্যবাদ, ইসলামের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে আমাদেরকে জানার সুযোগ করে দেবার জন্য।

আরো বেশি বেশি ইসলামী ইতিহাস উপহার দেবেন এটাই প্রত্যাশা।
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:০৫
273067
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পরামর্শ কাজে লাগাচ্ছি। আরো পরামর্শ চাই। ইনবক্স করবেন প্রয়োজনে।
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৩
273070
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ইনবক্সে আসুন!!
330850
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:১১
আকবার১ লিখেছেন : লেখাটা ,হৃদ্ধয় ছুয়ে যায়।
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:১৩
273069
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনার ভালরাগা শেয়ারিংএর জন্য..
330857
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
আমরা এখন বেখবর নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কেই।
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৩৮
273099
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ প্রিয় সবুজ ভাই। অনুভুতি শেয়ার করার জন্য..
330863
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
আফরা লিখেছেন : ইসলামের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৪০
273100
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে কষ্ট করে লেখাটি পাঠ করার জন্য জাযায়ে খায়ের দান করুন। উত্তরোত্তর ঈমানকে আরো মজবুতি দিন। আমিন।
330876
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৪২
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : অসাধারণ একটি লেখা। এমন ইমানই তো মুসলমানদের শ্রেষ্ট সম্পদ। ইয়া আমাদেরকে এমন ইমান, তোমার পথে দৃঢ়তা দান করো। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৪২
273101
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কষ্ট স্বীকার লেখাটি পড়ার জন্য..Good Luck Good Luck Good Luck
330888
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৩২
সেলিম উদ্দিন৭২১ লিখেছেন : ধন্যবাদ মুসলমানদের হারানো ঐতিহ্য নিয়ে সুন্দর উপস্থাপনার জন্য। আল্লাহ আপানাকে আরো লিখার তৌফিক দান করুন।
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৪৩
273102
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আমিন। অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর সেলিম সাহেব..
330891
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:১৭
আবু জারীর লিখেছেন : ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৪৪
273103
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি..Good Luck Good Luck
330926
২১ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৫:৪৩
সাদাচোখে লিখেছেন : ও আল্লাহ, আমাদের ঈমানকে শানিত করুন, মনের ভীতিকে জয় করার সুযোগ দিন, সাহাবা রাঃ এর দৃষ্টান্ত সেট করার উসিলা বানিয়ে দিন এবং সর্বোপরী দুনিয়ার উপরে আখেরাতকে মূখ্য করে দিন।

আসসালামুআলাইকুম। ধন্যবাদ অনবদ্য ইতিহাসটি আমাদের পড়তে দেবার জন্য।
২১ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:২২
273172
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : জি ভাই অনেক শোকরিয়া কষ্ট করে পড়ার জন্য। সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি..Good Luck Good Luck
১০
330946
২১ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : এমন উদ্দীপ্ত ঈমানই বিজয়ের সোপান। বাংলাদেশেও শাহাদাতের সিলসিলা শুরু হয়েছে। বিজয় সন্নিকটে.. অনেক ধন্যবাদ..
২১ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
273174
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ইনশাল্রাহ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না..Waiting Waiting Waiting
১১
330947
২১ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সুন্দর শিরোনাম। খুব ভালো লাগলো।
২১ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
273175
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ লোকমান ভাই..
১২
331407
২৪ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : শিক্ষণীয় ঐতিহাসিক ঘটনাটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৪ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
273663
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ...
১৩
331881
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:২১
কথার_খই লিখেছেন : ইনবক্সে আসুনতো!!
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:২৮
274097
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আসছি..জনাব।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File