পারিবারিক বন্ধন গুলা চায়নার প্রোডাক্টের মত হয়ে গেছে।
লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:২৫:৪৫ সকাল
ক্ষমা মহত্বের লক্ষন,
ক্ষমা সহনশীল মনেভাবের পরিচয়।
কিন্তু একই ভুলের পুনরাবৃত্তিকারীকে বার বার ক্ষমা করা এটা ও কিন্তু বড় ধরনের অপরাদের সামিল।
প্রথমবার গায়ে ধাক্কা লাগলে বলতে পারি অনাকাঙ্খিত ভাবে ধাক্কা লেগেছে।
sorry বললে ক্ষমার যোগ্য,
কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন গায়ে ধাক্কা লাগে এটাকে অনাকাঙ্খিত বললে পাপ হবে।
কারন দ্বিতীয় ধাক্কাটি হিংসাত্নক নয়তো ইচ্ছা করেই দেয়া হয়েছে।
সুতরাং এর প্রায়শচিত্ত অবশ্যই ভোগ করা উচিত।
আমরা মানুষ এমন হয়ে গেছি যে-
প্রতিবাদ না করলে অন্যায়কারী মনে করে প্রতিপক্ষ দুর্বল নয়তো বোকা।
আবার এমন ও আছে-
কাউকে কাছে দাড়াতে দিলে কোলে বসতে চায়, কোলে বসতে দিলে বিছানায় শুতে চায়।
বর্ধিত মনুষত্ব দিন দিন আমাদের ভিতর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
এক সময় কেউ কারো উপকার করলে প্রতিদানে ভালো কিছু উপহার পেতো,
কিন্তু আজকাল কেউ কারো উপকার করলে প্রতিদানে বাঁশ পাবার জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
আবার কেউ কেউ মনে করে উপকার করাটা দায়িত্ব এবং কর্তব্য ছিলো, কিন্তু দায়িত্বের বিনিময়ে বাঁশ দেয়াটা কি উপকৃত ব্যাক্তির দায়িত্ব ছিলো??
বর্তমান পরিস্থিতি তাই বলে দেয়।
গল্প শুনতাম এক সময় পারিবারিক বন্ধন রক্তের বন্ধন ছিলো অটুট, কিন্তু আজকাল পারিবারিক বন্ধন গুলা চায়নার প্রোডাক্টের মতো হয়ে গেছে।
দেখতে সুন্দর কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
এই দীর্ঘস্থায়ী না হবার পিছনে কারন হলো স্বার্থপরতা এবং ছোট খাটো বিচ্ছেদ আর মান অভিমান।
ছোট খাটো বিচ্ছেদ আর মান অভিমান গুলো একটা সম্পর্ককে গভীর আর মজবুত করে তুলে,
কিন্তু এই ছোট খাটো দীর্ঘবিচ্ছেদ গুলো একটা সাজানো সম্পর্ক সংসারকে তিলে তিলে হত্যা করে।
আসলে আমাদের জীবনটা সরি এবং থ্যাঙ্ক ইউর উপরে চলতেছে, সবকিছুতে এই শব্দ ব্যবহার উপযোগী নয়।
সরি এবং থ্যাঙ্ক ইউ ব্যবহারের সাথে সাথে বিনিময়ে দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করা উচিত, ফরমালিন যুক্ত শব্দ দিয়ে দায়িত্ব এড়ানো সম্ভব নয়।
না হয় বিভাজনের বিভাজ্য সংসারে ভাগ শেষে শুধু আমিত্বই থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১২১৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন