গত ৪০ বছর বিরোধী গোষ্ঠী যা করতে পারেনি, বর্তমান সরকার তা করতে সক্ষম হয়েছে

লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ১১ জুন, ২০১৫, ০৪:০৯:৫৩ বিকাল

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমানে নতুন মাত্রা লাভ করেছে। বাংলাদেশের জন্য বিরাট সাফল্যে অর্জিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে থাকলেও যাদের অন্তরে পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের ধ্যান-ধারণা রয়ে গেছে, যারা এখনও পাকিস্তানের পরাজয় মেনে নিতে পারেন তারাই মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিকে ‘গোলামী চুক্তি’ বলেছিল। যারা অতীতে এসব কথা বলেছিল, তারাই এখন সম্পাদিত এই চুক্তিকে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানাচ্ছে। ক্ষমতায় থেকে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ওপর দিয়ে ঝগড়াঝাটি, আর ভেতরে দিয়ে তোষামোদী করে দেশের জন্য কোনকিছু অর্জন করা যায় না। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে আলোচনার ভিত্তিতেই যে সবকিছুই অর্জন করা যায়, যে কোন সমস্যার সমাধান করা যায়- তা বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ কূটনৈতিক তৎপরতার ফলেই এই চুক্তির সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।

স্থলসীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে। দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক, সরকারী এবং সাধারণ জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সকল দ্বিপাক্ষিক সমস্যা রয়েছে, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এ সব কিছুই আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক তৎপরতার ফলেই সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। এতে করে উভয় দেশের জনগণের মাঝে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার হবে। যখন ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি এবং ’৭৪ সালে ঐতিহাসিক মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়, তখন পরাজিত শক্তির দোসররা গোলামীর চুক্তি, দাসত্বের চুক্তি, দেশ বিক্রির চুক্তি ইত্যাদি নানা মন্তব্য করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। পাকিস্তানের পরাজয় যারা মানতে পারে না, তারাই এসব কথা বলেছে। বাংলাদেশের বিজয়ের কথা শুনলেই তাদের মন খারাপ হয়। ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তির সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নানা নেতিবাচক উক্তি করেছিলেন। গঙ্গার পানি চুক্তির সময় বিএনপি-জামায়াত বলেছিল এই চুক্তি হবে না, করলে ৫ বছরের চুক্তি করতে হবে। বর্তমান সরকার ৩০ বছরের চুক্তি করার পর তারা বলতে থাকে, চুক্তি হলেও পানি আসবে না, পদ্মায় পানি নেই। আর গঙ্গার পানিতে অজু হবে না। এসব বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির সময়ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন এই চুক্তি হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। শুধুমাত্র ভারত বিরোধিতা আর জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এসব বলা হয়েছে। গত ৪০ বছর জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার সরকার যা করতে পারেনি, বর্তমান সরকার তা করতে সক্ষম হয়েছে। তখন যারা বিরোধিতা করত, এখন তারাই সাধুবাদ জানাচ্ছে। এটা তাদের রাজনৈতিক চরিত্র।

বিষয়: বিবিধ

৮৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File