শেষ মেহমান✔✔✔আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ০২ আগস্ট, ২০১৬, ০১:৩৮:১৫ রাত

তুমি কে? তোমাকেতো চিনতে পারলাম না, তুমি এত কাছে আসছো কেন? তুমি ছেলে নাকি মেয়ে? তোমার ছোঁয়া গুলো এই রকম কেন?
তুমি ছুঁয়ে দেয়ার সাথে সাথে আমার হাড় মাংস রক্তে এমন করছে কেন? এই... এই... তোমার পরিচয় দাও!
কেন বুঝতে পারছোনা আমার এই আকুতি? প্লিজ বলো তুমি কে....!
পরিচয় চাইলেও সব পরিচয় পাওয়া যায়না! পৃথিবীর আপনজনদের মাঝে কেউ এমনটি করলে হয়তো তাকে কাছে টানা যায় নয়তো দূরে অনেক দূরে সরিয়ে দেয়া যায় বাকবিতণ্ডার মাধ্যমে...!
এইতো জীবনের শেষ মেহমান, যিনি পৃথিবীর এই সংক্ষিপ্ত জীবনের অবসান ঘটাবেন। তার কাছেতো পরিচয় চাওয়ার কোন অধিকার নেই। তিনি শুধু মাত্র তাহারি হকুম পালন করেন। যিনি আসমান জমিন সব কিছুর মালিক।
তাহার জন্য আমাদের সব ইবাদত বন্দেগি, তাহার দিকে ফিরে যেতে হবে সবাইকে। ফিরে যাবার জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে, যেমনটি আল্লাহ আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন কোরআনে এবং মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের সিরতের মাধ্যমে।
মানুষকে জীবনের অবকাশ দেয়ার অর্থই হচ্ছে পরীক্ষা! পরীক্ষা না হলে জীবনের কোন প্রশ্নই আসেনা। ভালো মন্দের দিকে একটু খেয়ালী হয়ে নজর দিলে আমরা পরীক্ষার উপকরণ পাওয়া যায়।
সেই পরীক্ষার জন্য আমরা কি প্রস্তুতি নিচ্ছি নাকি নিজেদেরকে খেয়ালীপনার মোহে ধাবিত করে শয়তানের পথে নিজের জীবনের সময় গুলো ব্যয় করে চলছি? আমরা যদি শয়তানের পথে অগ্রসর হই তাহলে কোরআন ও হাদিসের বাণী অনুযায়ী অশিম যন্ত্রণার জাহান্নামের আগুনকে কাছে টেনে নিচ্ছি...! যা কোনো ভাবেই উচিত নয়।
কোরআনে আমাদেরকে মুমিন হতে বলা হয়েছে, মুমিন তখনই হতে পারবো আমরা যখন কোরআন ও মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনকে অনুসরণ করব। কোরআন ও মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনকে অনুসরণ করতে পারলে জান্নাতের অশিম সুখের দিখে পারবো আমরা। জান্নাতের সুখ অনন্ত কালের যার কোন শেষ নেই। পৃথিবীর এই সল্প সময়টাকে ব্যবহার করে আমরা নিজেদের ঠিকানা নিজেরাই তৈরি করে নিতে পারি। সেই জন্য সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী। নিজের ঠিকানার জন্য নিজেকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।
যিনি প্রাণ নিয়ে যাবেন তিনি তার পরিচয় দেয়ার প্রয়োজন মনে করবেন না, আল্লাহর হুকুমে সে নিকুত ভাবে আপনার আমার কাছে এসে প্রাণটা বের করে নিয়ে যাবেন। তার কাজ শেষ হলেই আমার আপনার জীবন নামের এই অবকাশ শেষ! শুরু হবে স্বজনদের আহাজারি মায়ামোহ কান্না। মায়ামোহ কান্নার কোন অর্থ খোঁজে পাওয়া যাবেনা তখন, কান্নার কোন মূল্য নেই।
আর একটি দিনের জন্যও তার অবকাশ নেই, নেই পরীক্ষার সময়, অবকাশ পাওয়া জীবনের কর্মফল নিয়েই কেয়ামতের মাঠে হিসাব হবে, বিচার হবে, আল্লাহ কারো উপর জুলুম করবেন না। পরীক্ষার সামগ্রীর উপর তার পূর্ণমাত্রায় ফলাফল দেয়া হবে।
সেই কেয়ামতের মাঠে যেন আল্লাহর কাছে অশিম নেয়ামতের জান্নাত পাই সেই দোয়া ও কর্ম করবো। এটাই হোক নিজের জন্য জীবনের নিজের নসিহত। আল্লাহ যেন আমাকে আপনাকে কবুল করেন।
বিষয়: বিবিধ
১১১৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন