সমুদ্রের তলায় ঝুলন্ত মসজিদ!

লিখেছেন লিখেছেন মোশারোফ ১৮ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৩৮:৫৭ দুপুর

ঝুলন্ত উদ্যানের কথা তো শুনেছেন। কিন্তু ঝুলন্ত মসজিদের কথা কেউ শুনেছেন কি? হ্যাঁ, এরকম একটি মসজিদ রয়েছে মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরে৷

বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এ মসজিদটি তৈরি করেন। ফরাসি কোম্পানির হস্তক্ষেপে মসজিদের ভাষ্কর্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। মসজিদের দেয়ালে সরু নকশার কাজ দেখলে অবশ্যই বাহবা দিতে ইচ্ছে করবে ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউকে।

যাই হোক, মসজিদকে ভাসমান অ্যাখা দেয়ার কারণ কি? এটা জানতে গেলে পাড়ি দিতে হবে আটলান্টিক সমুদ্রে। জাহাজ থেকে ওই মসজিদকে দেখলে মনে হবে, টেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে।

আর একটু কান পাতলে শোনা যাবে একযোগে মুসলমানদের নামাজ পড়ার সুর৷ মসজিদের তিনভাগের একভাগ নীল আটলান্টিকের ওপরে বিরাজমান। আর বাকি অংশটি সমুদ্রের তলায় রয়েছে বলে মনে হবে। ২২.২৪ একরের এই মসজিদে রয়েছে গ্রন্থাগার, কোরআন শিক্ষালয়, আলোচনা-কক্ষ প্রভৃতি৷

এখানের প্রার্থনাগৃহে একসঙ্গে এক লাখ মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার। মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার এবং এর ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট অন্তর কৃত্রিম উপায়ে খুলে যায়।

যার ফলে মসজিদের ভেতরে আলো, বাতাস ঢুকতে পারে। মসজিদের বাইরে রয়েছে ১২৪টি ঝরনা ও ৫০ টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। দ্বিতীয় হাসান মসজিদ-এর এই অভূতপূর্ব সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। আপনার আকাঙ্ক্ষা মেটাতে ঘুরে আসুন এই মসজিদে।



বিষয়: বিবিধ

১০২৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

255619
১৮ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২০
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো
255641
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৫
এলিট লিখেছেন : মরোক্কোতে অবস্থিত ওই মসজিদটি পানির নীচেও নয়, ঝুলন্তও নয়।
এটা সমুদ্র সৈকতে এমনভাবে বানানো যে এর কিছুটা ডাঙ্গায় আর কিছুটা পানিতে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় মসজিদটি পানিতে ভেসে রয়েছে।
যদিও ভাসমান নয়, তবুও আপনি "পানিতে ভাসমান মসজিদ" বললেও পারতেন। কিন্তু "সুমুদ্রের তলায় বা ঝুলন্ত" এগুলো সম্পু্ন ভুল কথা ।



মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File