প্রকাশ্যে টাকা নেয়ার এই রীতিকে কি বলা যায়......
লিখেছেন লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ১১ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৪৬:৩৪ দুপুর
>চাকরী প্রার্থীদের কাছে চাকরীর বিজ্ঞপ্তির সাথে চাওয়া ব্যাংক ড্রাফট একটি আতঙ্কের নাম! নতুন কিছু না বহু পুরনো একটি বিষয় ! কিন্তু দিন দিন এই আতঙ্ক বাড়তেই আছে বন্যার পানির মত হু হু করে! বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ থেকে সদ্য পাশ করা একটা ছেলে/ মেয়ে চাকরী খুঁজতে গিয়ে যতটা হয়রান হয় ঠিক ততটাই হয়রানী হতে হয় এই ব্যাংক ড্রাফট এর জন্য! যার বাপের টাকার অভাব নাই তার সমস্যা নাই এরকম ছেলে/মেয়ের সংখ্যা হাতে গোনা! কিন্তু বাকীরা... তাদের এই টাকা জোগার করতে হিমশিম খেতে হয়, বাপ/মায়ের কাছে কত কথা শুনতে হয়! কারন সবার চাকরী একবারে হয় না রে পাগলা... চাকরীর জন্য কত শত ছেলে/মেয়ের জুতা ক্ষয় হয়ে যায়...
>কি সরকারী কি বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠান -ই একখান বিজ্ঞাপন জারি করে এত্ত এত্ত টাকা হাকিয়ে বসে!! আর এইসব অসহায় বেকারদের বুক থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয় কিন্তু করার কিছু নেই! শুধু কি তাই? একটা চাকরীর জন্য আবেদন করা থেকে, সেই চাকরীর পরীক্ষা দেয়া পর্যন্ত গুনতে হয় হাজার টাকা কখনো তার ও বেশী!
>> এইত দিনাজপুরেই একটা স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০০ টাকা পে-অর্ডার, আর একটা সদ্য গজানো ( ২ বছর হবে মনে হয়) স্কুল এন কলেজের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৫০০ টাকা পে-অর্ডার চেয়েছে! ( একজন চাকরীপ্রার্থীর বুক থেকে বের হওয়া দীর্ঘশ্বাসের শব্দ থেকে লিখলাম, এরকম হাজার হাজার প্রার্থীর দীর্ঘশ্বাস পড়ে, নিজেও এক কালে এরকম ব্যাংক ড্রাফটের টাকা দিতে দিতে আর পরীক্ষার যাবতীয় খরচ বহন করতে করতে জমানো টাকা শেষ করে ফতুর হইছি! )
বিষয়: বিবিধ
৯৩৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব টাকা তারা নেয় জনগনের কল্যানের জন্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন