ফাযায়েলে আমলের ভূমিকাতে শিরক আছে কি?

লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:১০:০৯ দুপুর



[ফাযায়েলে আমলের ভূমিকার উপরে শিরকের অভিযোগ করা হয়। যারা এটাকে শিরক বলে প্রচার করছে, এদের অধিকাংশ তথাকথিত ভার্চুয়াল মুফতী। এদের ইলমের অবস্থা এমন যে, সব কিছুতেই তারা শিরক দেখতে পায়। কথা বার্তায় মনে হয়, এদেরকে দুনিয়ার সব মুসলমানকে মুশরিক বানানোর ঠিকাদারি দেয়া হয়েছে। যাকেই নিজের মতের বিরোধী পাবে, তাকে মুশরিক বলে দিবে। পেট্রোল ও ডলারের নেশায় বুদ হয়ে থাকা এসব জাহেলদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই মহা পন্ডিত সেজে সেগুলো প্রচারও করছে। মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করে পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য খুব সূক্ষ্মভাবে এসব জাহেলরা অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করছে। এদের উপর মুশরিক ট্যাগ লাগানোর ভুত এমনভাবে চেপেছে যে, এদের হাত থেকে কেউই মুক্ত নয়। যাই হোক, এখানে আমার কিছু কমেন্ট একত্র করেছি। পৃথকভাবে বিস্তারিত লেখা সম্ভব হলে পরে ইনশাআল্লাহ পোস্ট করবো।]

হযরত মাওলানা যাকারিয়া কান্ধলবী রহ. এর বক্তব্য:



আমাদের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ:

রাসূল স. হাদীসে বলেছেন,

رضي الرب في رضي الولد و سخط الرب في سخط الوالد

অর্থাৎ পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্ট এবং পিতার অসন্তষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্ট। [তিরমিযী, খ.১, পৃ.৩৪৬, ইবনে হিব্বান, হা.২০২৬, হাদীসটি সহীহ]

এখন কোন সন্তান যদি পিতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিছু করে, তবে সেটা শিরক হবে কি

আপনার জানা থাকা উচিৎ, যাকারিয়া কান্ধলবী রহ. এর চাচা ছিলেন ইলিয়াস রহ.।

রাসূল স. হাদীসে বলেছেন,

عم الرجل صنو أبيه

অর্থাৎ চাচা পিতার মতো। [মুসলিম শরীফ, হা.৯৮৩]

এবার আপনি ফয়াসালা করুন যাকারিয়া রহ. শিরক করেছেন কি না? পিতার সমতুল্য একজন বুযুর্গ চাচার সন্তুষ্টি কামনা করা কি হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী শিরক? নাউযুবিল্লাহ।

এটা সাদামাটা কিছু কথা। এবার আরেকটু বলি।

أن عائشة قالت : كان رسول الله صلى الله عليه و سلم إذا أراد سفرا أقرع بين نسائه فأيتهن خرج سهمها خرج بها معه وكان يقسم لكل امرأة منهن يومها وليلتها غير أن سودة بنت زمعة وهبت يومها وليلتها لعائشة تبتغي بذلك رضى رسول الله صلى الله عليه و سلم

অর্থ: হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল স. যখন কোন সফরের ইচ্ছা করতেন, তখন স্ত্রীদের মাঝে লটারি করতেন। যার নাম উঠত, তাকে সঙ্গে নিয়ে সফরে বের হতেন। রাসূল স. তার স্ত্রীর মাঝে রাত ও দিন ভাগ করে নিতেন। তবে উম্মুল মু’মিনীন হযরত সাওদা বিনতে জাময়া রা. রাসূল স. এর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজের রাত ও দিনকে হযরত আয়েশা রা. এর জন্য দিয়ে দিতেন। ” বোখারী, মুসলিম ও নাসায়ী সহ আরও অনেক কিতাবে হাদীসটি রয়েছে|। উপরের আরবী নাসায়ী শরীফের। এই হাদীসের শেষে রয়েছে, আল্লাহর রাসূল স. এর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি নিজের হককে আয়েশা রা. এর জন্য দিয়ে দিতেন। তাহলে কী উম্মুল মু’মিনীন হযরত যাওদা রা. শিরক করেছেন?

এবার আরেকটু শুনুন।

সূরা তাহরীমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, يا أيها النبي لما تحرم ما أحل الله لك تبتغي مرضات أزواجك অর্থ: হে নবী, আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য যা হালাল করেছেন, তা আপনি হারাম করেন কেন? (সূরা তাহরীম)।

এই আয়াতে রাসূল স.কে একটা হালালকে নিজের উপর হারাম করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এখান থেকে প্রমাণিত হয়, রাসূল স. তার স্ত্রীদের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করেছেন। এবার বলুন, (নাউযুবিল্লাহ) আল্লাহর রাসূল স. কি শিরক করেছেন?

আপনাদের পক্ষ থেকে উত্তরের অপক্ষায়…..।

কথাগুলো এখান থেকে নেওয়া হয়েছেঃ এখানে ক্লিক করুন।

বিষয়: বিবিধ

২১১০ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

354251
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৫
হতভাগা লিখেছেন : রাসূল (সাঃ) ক্বুরআন ও হাদীস আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন বিদায় হজ্জের ভাষনে । মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব কি নবিজীর চেয়েও আগে ?

১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৫
294099
আবু জান্নাত লিখেছেন : মাওলানা ইলিয়াস সাহেব কি বলেছেন: কুরআন হাদিস ছেড়ে দাও?
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৫
294100
হতভাগা লিখেছেন : উনি যে সংক্ষিপ্ত বইটি লিখতে বলেছেন তাতে দেখা যায় তার অনুসারীরা ক্বুরআন হাদিস ছেড়ে ঐ সংক্ষিপ্ত বইটিকেই বেছে নেয় । এটা কি ঠিক ?
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:০৯
294110
শফিউর রহমান লিখেছেন : হতভাগার কথার যৌক্তিকতা আজ আমরা মসজিদে মসজিদে দেখতে পাই। ভাই! ব্যাক্তি বন্দনা ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর গোলামী করলে কি সমস্যা আমার বুঝে আসে না।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৮
294119
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার কথা অনুযায়ী কুরআন হাদীস ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন ইসলামী বই পড়া যাবে না। কারণ আল্লাহর রাসূল ষ. ক্বুরআন ও হাদীস আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন বিদায় হজ্জের ভাষনে। এই তো! @হতভাগা।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
294120
আবু জান্নাত লিখেছেন : প্রচলিত তাবলীগী জামাতের বর্তমান ধারা শুরু হওয়ার আগে মনে হয় মানুষ শুধু মসজিদে কুরআন হাদীস নিয়েই বসে থাকতেন! তাই না ভাইয়া শফিউর!

ব্যক্তি বন্ধনা কোথায় পেলেন? সবাই আল্লাহর দিকেই মানুষকে আহবান করছে। হয়তো দাওয়াতের ধারা ভিন্ন হতে পারে।

কালিমা না জানা লক্ষ লক্ষ মানুষ কি আজ তাবলীগের বদৌলতে মসজিদ মুখি হচ্ছে না? এই সত্যকে কি অস্বীকার করবেন? যার যতটুকু অবদান, তা স্বীকার করাই সময়ের দাবী। @শফি ভাই।
354265
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৪
মুক্তির মিছিল লিখেছেন : তাবলিগ জামায়াতের কাজ নিয়ে আমার কোন সমস্যা নাই। সময় থাকলে ওদের সাথে কাজ করার চেষ্টা করি। যারা তাবলিগে নিবেদিতপ্রান তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করি।
তবে কোন ব্যাপারেই বাড়াবাড়ি ভাল না। অধিকাংশ তাবলিগ কর্মীরাই মনে করে, মুরুব্বিদের দ্বারা রচিত কিছু বই ও সিলেক্টেড কিছু হাদিস, বুজুর্গদের কিছু কাহীনিই যথেষ্ট। যার ফলে কেউ কেউ ভাল ইবাদতকারী হয়েও শিরকের মত কাজে লিপ্ত থাকে। এটা হয়ে থাকে ঐ অল্প কিছু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কারনে।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
294121
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমার ব্লগে আমনাকে স্বাগতম। প্রথম প্যারার কথাগুলো ভালো লাগলো। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৎকাজের সাথে থাকার তাওফীক দান করুক।

বাড়াবাড়ির ব্যপারটি অজ্ঞতা, শুধু তাবলীগ কেন, জামাত শিবির বলেন, ইশা আন্দোলন বলেন, খেলাফত মজলিস বলেন, নেজামে ইসলাম বলেন আর জমিয়তে ইসলাম বলেন, সব দলেই কম বেশি বাড়াবাড়ি করার লোকের অভাব নেই। এগুলোর জন্য গোটা দলকে দায়ী করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত আপনি বলুন।
354272
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগল। তাবলিগ জামায়াতের কাজে অনেক ভুল আছে। কিন্তু সেটা সংশোধন এর চেষ্টা না করে অপপ্রচার করা ঠিক নয়। তবে তাবলিগ জামায়াত এর মধ্যেও যুক্তি গ্রহন না করে শুধু মুরুব্বিদের দোহাই দেওয়ার প্রবনতা সমস্যার সৃষ্টি করছে।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৮
294122
আবু জান্নাত লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। এমন কোন জামাতর আছে বলে আমার জানা নেই, যাদের ভূল নেই।

সাধারণ মূর্খ ও অশিক্ষিত মানুষ যারা আজ অজ্ঞতা আর মূর্খতার কারণে অন্ধকারে ডুবে আছে। কোন ইসলামী দল তাদের ঈমানের খোজ খবর নেয় না। সবার টার্গেট হল মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী ও মজবুত সংগঠন।

অবহেলায় নিপতিত এসব মানুষগুলো কবরের যাত্রী হতে যাচ্ছেন, অথচ নামযা রোঝা দূরো থাক, কালিমাটাও পর্যন্ত পারে না। একমাত্র তাবলীগ ওয়ালারাই এই মানুষগুলোকে ইসলামের পথে আহবান জানায়। কুরআন হাদীস থেকে সরাসরি জ্ঞান আরোহনের যোগ্যতা এদের নেই বলেই এরা মুরুব্বীদের থেকে শিখে ও রেফারেন্স দেয়।

যেখানে এ কাজের জন্য সাধুবাদ পাওয়ার উপযুক্ত, সেখানে কিছু লোক রঙ মিশ্রণ করে শিরকের তকমা লাগিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হেদায়েত দান করুক।

354287
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৩
শেখের পোলা লিখেছেন : তবলীগ করা রসুলের আদেশ৷ করতেই হবে৷ তবলীগের সুফল অবশ্যই আছে৷ আমি তার কিছু বাস্তব সাক্ষী৷ সমর্থনও করি৷ তার নিয়ম আগে নিজের মধ্যে পরে পরিবার পরিজন৷ তার পর প্রতিবেশী৷ তার পর পাড়া গ্রাম ইউনিয়ন,এ ভাবে সারা দেশ৷ আরও পরে বিদেশ৷ আমরা নিজের বউ ছেলে মেয়েকে না শিখিয়ে ভিন গ্রামে চিল্লায় যাই৷ এখানে প্রশ্ন এটাকি রসুলের তরিকা? ২৩ বৎসর মাদানী জীবনে রসুল কোনদিন এমন তবলীগ করেছেন বা কোন জমাত পাঠিয়েছেন এর প্রমান আছেকি? যিনি তবলীগে বা চিল্লায় যাচচ্ছেন তিনিকি তার মহল্লার মসজিদে জুম্মার খোৎবা ও ইমামতি করার যোগ্যতা রাখেন? উত্তর যদি না হয় তবে তার উচিৎ আগে নিজেকে ও মহল্লার অন্য সকলকে আগে উপযুক্ত করা৷ পরে বউ সংসার ছেড়ে পাশের গ্রামে যাওয়া৷ শুধু মুসলীমদের মাঝেই তবলীগ সীমাবদ্ধ আছে অমুসলীম এক জনকেও দাওয়াত দেওয়া হয় বলে আমার জানা নেই৷যুগ যুগ ধরে ঠিক একই লেভেলে তবলীগ কাজ করে যাচ্ছে,অর্থাৎ এরা প্রাইমারী পাশ করে হাই স্কুলে যাবার যোগ্য হয়ে ওঠেনা৷ অর্থাৎ জোরকরে মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ানো ছাড়া দ্বীন কায়েমের কোন প্রকার শিক্ষা এরা দেননা যা রসুল ফরজ করেছেন৷ আর কোরআন হাদীশ অপেক্ষা ওলামাদের কিতাবেই সকলকে আগ্রহী করে রাখেন,তাদের আর সামনে যাওয়া হয়না৷ অতএব তাদের উচিৎ ধরণ পদ্ধতি বদল করে সামনে চলা৷ ধন্যবাদ চাচাজী৷
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:০৭
294141
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার কথায় যুক্তি আছে, তবে একটি কথা হলঃ যারা তাবলীগে যায়, ৯৫% শিখার জন্য যায়। কালিমা নামায থেকে শুরু করে ইসলামের প্রতিটি বিষয়ই ওখানে এদের শিক্ষা দেওয়া হয়। কারণ এ বয়সে তো আর মাদরাসায় ভর্তি হতে যাবে না। বা নিজে এমন কোন জ্ঞানের অধিকারীও নন যে, ঘরে বসে কুরআন হাদীস থেকে জ্ঞান অর্জন করবে। তাই এদেরকে ইলকে দ্বীন শিখানোর ব্যবস্থা কি আপনি বলুন।

অনেকে আছেন, যারা এসএসসি, এইচএসসি, ও উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি দ্বীনি শিক্ষাও গ্রহন করতে চান, কিন্তু স্কুল কলেজ ও ভার্সিটি ছেড়ে তাদের পক্ষেও মাদরাসায় পড়া বা শিক্ষক ছাড়া নিজে নিজে স্টাডি করা সম্ভব নয়। এদের ব্যাপারে দ্বীনি এলেম শিক্ষার বিষয়ে আপনার কি মতামত।

২য় হলঃ আমি মানি প্রথমে নিজ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। কিন্তু পরিবার ছাড়া অন্যকে দ্বীনের তালীম ও দাওয়াত দেওয়াতে কি নিষেধ আছে কোন হাদিসে?

অনেক হাদিসে আছেঃ রাসূল সাঃ কিছু সাহাবায়ে কেরামকে বিভিন্ন অঞ্চলে দ্বীন শিখানোর জন্য পাঠিয়েছেন। যেমন মায়াজ বিন জাবাল রা. কে ইয়েমেনে পাঠিয়েছেন।

মায়ুনা কূপের ইতিহাস নিশ্চয়ই জানেন, যে সালীম গোত্রের কিছু লোক রাসূল সা. নিকট আসলেন, এবং তাদের কাওমকে দ্বীনের দাওয়াত ও দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য কিছু সাহাবায়ে কেরামকে পাঠানোর প্রস্তাব দিলেন, রাসূল স. ৭০ জন হাফেজে কুরআন সাহাবীকে ঐ দলের সাথে পাঠালেন, মাউনা কূপের নিকট যাওয়ার পর উৎপেতে থাকা দুশমনরা একজন ল্যংড়া সাহাবী ছাড়া বাকি সবাই কে হত্যা করলো। এ ঘটনায় রাসূল স. যার পর নাই ব্যথিত হলেন।

কাহিনী হয়তো আপনার জানা আছে, আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে দ্বীন শিখা ও শিখানোর জন্য অবশ্যই ঘর থেকে বের হতে হয়, এলাকা থেকে বের হতে হয়।

অসংখ্য হাদিসে দ্বীন শিখার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার প্রতি আদেশ ও উৎসাহ দেওয়া হযেছে।

একটি কথা হল: আপনি নিশ্চয়ই ইকামতের দ্বীনের পক্ষের লোক, যারা ইকামতে দ্বীনের সাথে জড়িত আছেন, তারা কি সবাই পেরেছেন নিজেদের পরিবার ও সমাজকে ঠিক করতে? আর পারেন নি বলে কি ইকামতে দ্বীনের চেষ্টা করবেন না?

আমার বন্ধু বান্ধবদের অনেকে আছেন, যারা কেউ জামাত, কেউ হেফাজত, কেউ শাসনতন্ত্র, কেউ খেলাফত আন্দোলনের বড় বড় কর্মী। দলের প্রোগ্রাম ও দেশে ইসলাম কায়েমের জন্য বেশির ভাগ সময় ও অর্থ ব্যয় করেন। অথচ নিজের পরিবারকেউ ঠিক করতে পারেন নি।

আহলে হাদিস যারা সর্বদা সহিহ সহিহ তে ব্যস্ত। যাকে তাকে মুশরিক ফতোয়া দিতে মুহুর্তও চিন্তা করে না, তাদের আমীরের কথাই বলছি। আমােদের জেলা আমীর সাহেব, যিনি আমার একান্ত বন্ধুও বটে, (নাম উল্লেখ করে ছোট করতে চাই না) প্রতি মাসে সৌদি থেকে যার বেতন একহাজার রিয়াল, এলাকার কেউ যাকে পছন্দ করেন না, যেখানে সেখানে যাকে তাকে মুশরিক বিদাতী বলে বেড়ান। নিজের পরিবার ও বাড়ির লোকদেরও ঠিক করতে পারেন নি। অথচ তার কর্মকান্ডে সৌদি আরব খুব খুশি আছেন।

নিজের বাড়ির লোকদের ঠিক করতে না পারলেও সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন আহলে হাদিসের দাওয়াত নিয়ে।

শেষ কথা হলো: কালিমা নামায না জানা হাজারো মুসলিম ভাই বোন মৃত্যু পর্যন্ত পৌছে যাচ্ছেন। তাদের কাছে কি প্রথম দাবি দ্বীন কায়েমের? নাকি কালিমা নামাজ শিক্ষার?

আমাদের মুসলিম সমাজ যেখানে জাহান্নামের দিকে চলে যাচ্ছে, তাদের আগে বাচাবেন? নাকি অমুসলিম যারা জাহান্নামের দিকে যাচ্ছে তাদের বাচাবেন?

সাইদী সাহেব যখন লন্ডনে তারিক মুনাওয়ার সাহেবকে দেশে গিয়ে জামাতে ইসলামীর সাথে কাজ করার দাওয়াত দেন, তখন তারিক সাহেব বললেনঃ আমি তো এখানে খৃষ্টানদের দাওয়াত দিয়ে মুসলিম বানাচ্ছি, তখন সাইদী সাহেব বলেছিলেন, তুমি খৃষ্টানদের মুসলিম বানিয়ে জান্নাতের পথ দেখাচ্ছো অথচ তোমার দেশের মানুষ মুসলিম থেকে খৃষ্টান হয়ে জাহান্নাদের দিকে যাচ্ছে। কোনটা তোমার কাছে বড়?

তখন তারিক মুনাওয়ার সাহেব লক্ষ টাকার ইমামতির চাকুরী ছেড়ে দেশে চলে আসেন মুসলিমদের মাঝে দ্বীনের কাজ করার জন্য।

অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে, অনেক অনেক শুকরিয়া চাচাজান।
সুস্থ ও ভালো থাকেন।
354309
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১২:১৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আমি তবলীগের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করিনি দ্বীন শুধু নয় তখন মানুষ জ্ঞান শিখতেও বাইরে যেত৷আমি তবলীগকে স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যেতে বলি৷ রসুল পাঠিয়েছেন অমুসলীমদের দাওয়াত দিতে৷ কলেমা জানা লোককে কলেমা শেখাতে পাঠাননি৷ আর হাদীশে আছে 'ইবদা' বেমান তাউল'নিজের নিকট থেকে শুরু কর৷ আপনি দি আপনার পরিবার প্রতিবেশী মহল্লায় এ কাজ করেন৷ আমি আমার দিকটা করি আর প্রত্যেকে শুধু এই দায়ীত্বটাই পালন করে তাহলেকি তল্পী তল্পা বেঁধে বউ ছেলে মেয়ে সংসার ছেড়ে অন্যত্র যাবার প্রয়োজন পড়বেকি? এক চিল্লা দুই চিল্লা তিন চিল্লার কোন দলীল আছেকি? আর শিক্ষীত লোকদের জন্য এখন কোরআন হাদীশ ঘরে বসে শেখার অনেক পথ আবিষ্কার হয়েছে৷ প্রতি মহল্লার ইমাম সাহেব এ দায়ীত্ব নিলে সমস্যা কোথায়? আমি বিদ্যান বা আলেম নই তাই তর্কে যাইনা৷তর্কে শুধু তর্কই বাড়ে৷ আমরা কেউই নতি স্বীকার করতে চাইনা৷ তাই শেষ করলাম৷ একামতে দ্বীন আমার জীবদ্দশায় হবে বা আমাকেই চূড়ান্ত করতে হবে এমন কথা নয়৷ তবে প্রতি মুসলীমের এতে অংশ থাকতেই হবে৷এটিও ফরজ যা তবলীগী ভাইরা মানেন না৷ আল্লাহ সকলকে সঠিক ইলম দিক৷ধন্যবাদ৷
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
294174
আবু জান্নাত লিখেছেন : উম্মতের দরদ নিয়ে আপনি সেই রকম কিছু করে দেখাতে পারেন। প্রথমে নিজের ঘর থেকে শুরু করে তারপর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইকামতে দ্বীনের কাজ করতে পারেন। হয়তো আপনার দ্বারা সম্ভব। সবার জন্য তো আর সব কিছু সম্ভব হয়ে উঠে না।

সংসার ছেড়ে ৫/১০ বছর বিদেশে পড়ে থাকলে কারো কোন আপত্তি থাকে না। আপত্তি শুধু চিল্লার ব্যাপারে হবে কেন?

আমার আগের একটি পোষ্টে এ ব্যাপারে ক্লিয়ার করেছি যে, ৩দিন ১০দিন চিল্লা এগুলো কর্ম পদ্ধতি। সব ব্যাপারে শরীয়তের দলিল চাইতে হয় না। উদারহণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম মদিনা ইউনিভারসিটির কথা। এখানে কপি পেষ্ট করলাম।

আল্লাহর রাস্তায় দ্বীনি কাজে বের হওয়া অবশ্যই ইবাদাত। এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ তারা সেখানে ঈমান ও আমল শিখবে, সাধারণ মানুষদের নামাযের দিকে আহবান করবে।

চল্লিশ দিন বা ১২০ দিনের ব্যপারে কিছু কথা বলতে চাই। দুনিয়ার প্রত্যেকটি শিক্ষা ব্যবস্থার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন থাকে। যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমান লাগে না। যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৫ বছর, নার্স কোর্সে চার বছর, অভিজ্ঞ্য ডাক্তার হতে হলে ৩বছর, ৫বছর ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী শিক্ষা ব্যবস্থায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হয়।

স্বয়‍ং মদীনা ইউনিভার্সিটিতে তাখাসসুস ফিল হাদীস, তাখাসসুস ফিত তাফসীর, তাখাসসুস ফিল ফিকহ ওয়াশ শারীয়াহ কোর্সেরও জন্য বিভিন্ন মেয়াদের কোর্স চালু রয়েছে।

আচ্ছা, এখানে শায়খদের প্রশ্ন আসে না কেন যে, সাহাবায়ে কেরামগণ তো এভাবে কোন স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘ মেয়াদী কোর্স করেন নি! শুধু তাবলীগীদের একচিল্লা ৪০দিন, আর তিনচিল্লা ১২০দিন নিয়ে মাথা ব্যথা কেন??????

অথচ এসব মেয়াদ ছাড়াও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যও তাবলিগে যাওয়া কোন দোষের কিছু নয়। যেমন আমি ৩দিন ১০দিন ২০দিন এর জন্য গিয়েছি। তাবলীগে এসব মেয়াদ হল কর্মপদ্ধতি।


আশাকরি ব্যাপারটা বুঝতে সক্ষম হবেন। শুকরিয়া চাচাজান।

১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৯
294257
শেখের পোলা লিখেছেন : সকলেরই চোখকান খোলা আর এখানে কেউই মূর্খ নয়, তর্কে যাবনা বলেছিলাম,শুধু একটা কথা বলতে এলাম। তাহল- 'সব কাজে দলীল চাইতে হয়না'গলদ এখানেই৷ এই দলীলেই নব নব পথের আবিষ্কার হয়৷ যা শির্কের জন্ম দেয়৷ ধন্যবাদ৷
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৭
294259
আবু জান্নাত লিখেছেন : সুন্দর কথা বলেছেন: এখানে কেউ মূর্খ নয়।
একটি কথা বার বার মনে ভাসতে থাকেঃ তা হলঃ বাস ট্রাক ও বিমানে আরোহন প্লাস ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি ও দলিল সহীহ হাদীসে খোজ করতে হবে। না হয় আবার গলদ করে শির্কের দিকে চলে যাবো। শুকরিয়া।

১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৫০
294298
শেখের পোলা লিখেছেন : বুদ্ধিমানের মুখে এ কথা মানায়না, বাস ট্রাক ট্রেন প্লেনেের সাথে ধর্ম জড়িত নয়৷ ও কথা অবান্তর মাত্র৷
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৮
294375
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : পীর সাহবে,দেওবান্দিদেরকে ওয়াশড মাথা আপনি ঠিক করতে পারবেন বলে মনে হয় না। তাদের জন্য দুআ করুন। ব্যাস আমার পীরসাহেব এটাই করতে বলেছেন।
354331
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৪৭
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : পোস্টটি দেয়ার পর আমি সহ ৬ জন কমেন্টস করলো। এবং প্রত্যেকে পোস্টটির হাদীসের অপব্যাখাকে ধরতে পেরে পোস্টের বিপরিত কথা বলেছেন। এর পরেও কি লেখকের সুমতি হবে!!!

আল্লাহ দেওবান্দি ভাই হুজুর দেরকে শির্ক থেকে হেফাজত করে সঠিক পথে ফেরার তাওফিক দিন।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫০
294172
আবু জান্নাত লিখেছেন : অপেক্ষায় থাকেন, আল্লামা ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়ুমের কিতাব থেকেও আলোচনা আসছে। তখন দেখবো শিরকের ফতোয়া কোথায় যায়।

হাদীসের অপব্যাখাকে ধরতে পেরে

মিথ্যা ও ধোকাবাজির একটা সীমা আছে, কোন কমেন্টার এখানে আমার উল্লেখ করা কোন হাদিসের ব্যাপারে অপব্যাখ্যা বলেছেন জনাব?

পোষ্টটি এখনো আছে, এডিট করা হয়নি। মিথ্যাচার করার আগে পোষ্টটি আবার পড়ে দেখুন।

সবাই যা বলেছেন, তা তাবলীগের কর্মপদ্ধতি নিয়ে বলেছেন। উল্লেখ করা ভুমিকার বিষয় ও রেফারেন্স দেওয়া হাদিস নিয়ে কেউ কিছু বলেনি।


১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
294176
নেহায়েৎ লিখেছেন : বুজুর্গদানে দ্বীনকে সন্তুষ্ট করে জান্নাত পরকালে নাজাতের উসিলা!!! আর আমরা চাই আল্লাহর সন্তুুষ্টি।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৮
294204
আবু জান্নাত লিখেছেন : আল্লাহ কি শুধু সহীহ মুসলমানদের?

আমরাও আল্লাহর সন্তুষ্টি চাই আল্লাহর হুকুম মেনে। যাকে তাকে মুশরিক ফতোয়া দিয়ে নয়। @ডবল নিক।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৮
294374
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : দেওবান্দী পীরভাই, এজন্যই ত বললাম যে আপনারা হাদীসের অপব্যাক্ষ্যা করলেও বুঝতে অক্ষম। ইলিয়াস পীরসাহেব কি জাকারীয়া মুরীদ সাহেবের পিতা?? এখানে কো পিতা সন্তুষ্টি বিধান করছে??
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
294437
আবু জান্নাত লিখেছেন : মুসলিমরা কি আহলে হাদিসদের মুনকিরীনে হাদিস এমনি এমনি বলে?
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৪২
294453
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : দেওবান্দি ভাই, চাচা পিতার মত এই যুক্তি তে তো চাচরেও বাপ বানাতে চাচ্ছেন। আচ্ছা তাহলে আপনার যুক্তিতেই চাচা ও চাচির সন্তুষ্টি বিধান করলে কি জান্নাত পাওয়া যাবে?? যেভাবে পিতা বা মাতার সন্তুষ্টির হাদীস এসেছে?? তাহলে কি আমরা বলতে পারি যে, চাচা খুশি থাকলে তুমি জান্নাত পবে কেননা চাচা পিতার মত???

হাদীসের অপব্যাখ্যা আপনারা যে কিভাবে করতে পারেন তার নমুনা জাতি দেখেছে। কাওসারী ও ফরাজির মিথ্যাচার দিয়ে কাজ হবে না। ওগুল ১৯৭১ সালেই যুদ্ধ করে সাফা করে দেয়া হয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৯
294461
আবু জান্নাত লিখেছেন : ৬৩ জেলায় এক সাথে বোমা ফাটিয়েও ইসলামকে বিকৃত করা যাবে না। মানুষ ইংরেজদের জন্ম দেয়া ছানাপানা সম্পর্কে ভালোই জানে।
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৩
294505
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : দেওভুত মাথায় চাপলে সেটা সরানো অনেক কঠিন কাজ। দেওভুত ত দেওভুতই হয়। অযথা সময় নষ্ট করলাম এতক্ষন। হেদায়াত আল্লাহর এখতিয়া। আল্লাহ দেওভুতদের সবাইকে বোঝার তাওফিক দিন।
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:০৩
294510
আবু জান্নাত লিখেছেন : অন্তত আজকে নিজের পরিচয়টি ফাঁস করে দিলেন। ধন্যবাদ
354348
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:১২
নেহায়েৎ লিখেছেন : হায়রে যুক্তি! এরা শিরককে শিরক মনে করে না। পীর-বুজুর্গকে সন্তুষ্ট করে পরকালে নাজাত পেতে চায়। তাহলে হিন্দুরা কি দোষ করেছে? তারাতো দেব-দেবীকে সন্তুষ্ট করে পরকালে মুক্তি চায়!!!নাউজুবিল্লাহ।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৫
294203
আবু জান্নাত লিখেছেন : رضي الرب في رضي الولد و سخط الرب في سخط الوالد

অর্থাৎ পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্ট এবং পিতার অসন্তষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্ট। [তিরমিযী, খ.১, পৃ.৩৪৬, ইবনে হিব্বান, হা.২০২৬, হাদীসটি সহীহ]

এখানেও কি হিন্দুদের দেবদেবীর গন্ধ পাচ্ছেন জনাব?

তা ছাড়া একই নিক থেকে মন্তব্য করলেই পারতেন। এত নিক বদলের দরকার ছিল না।

তবুও ধন্যবাদ।
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৫
294373
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : দেওবান্দি সাহেব, ইলিয়াস পীর সাহেব কি জাকারিয়া পীরসাহেবের পিতা??
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
294436
আবু জান্নাত লিখেছেন : আহলে হাদীস সাহেব, অন্য আরেকটি হাদিস দেওয়া আছে। দেখে নিন ভালো করে। @ডাবল নিক।
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৪৪
294454
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : নেহায়েৎ মুরীদ ভাই জাজাকাল্লাহু খায়র। দেওবান্দি ভাই আপনাকে ও আমাকে এক জন ভেবে সন্দেহ করতেছেন। সন্দেহ কখন কখন মিথ্যা হয় (মুসলিম)
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪০
294462
আবু জান্নাত লিখেছেন : এবারের নেহায়েতের নিক লগইন করে সাফাই গেয়ে আসুন।
২০ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:২৪
294528
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : একেবারে শাহবাগী নাস্তিকদের মত অকাট্য যুক্তি!!!
কোথায় আপনাকে কুরআন হাদীসের আলোকে জবাব দিলেন যা একদম সূর্যের ন্যায় পরিস্কার এবং আলোকিত। আর আপনি নিয়ে আসলেন মস্তিস্কপ্রসূত উর্বর যুক্তি!
শাহবাগী নাস্তিকরা এমন ধরণের যুক্তি দেয় "হিন্দুরা মাটির মূর্তির সামনে যেয়ে পূজা করে, আর মুসলমানরা মাটির তৈরি কাবাঘড়ের সামনে যেয়ে চক্কর দেয়" "হিন্দুরা মূর্তি ভক্তি করে আর মুসলমানরা হজে আসওয়াদ পাথরকে ভক্তি করে"!!!!!!! আপনার যুক্তি কি এমন হলোনা?!
যেখানে কুরআন হাদীসের আলোকে কি স্পষ্ট জবাব দেয়া হলো আর আপনি কি বললেন!? হায় আফসোস।
২০ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৩৪
294529
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আল্লাহপাক পর্দা ফেলে দিয়েছেন হয়তো এজন্য আপনি সত্য দেখেন না।
কান তালা লেগেছে! হৃদয়ে মোহর পড়েছে এজন্য সত্যকে গ্রহণ করেন না।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য বোঝার এবং আমল করার তওফীক দান করুন। আমীন
২০ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩৯
294575
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ @আওন ভাই।
354693
২০ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৪০
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এমন স্বচ্ছ জবাব! সূর্যের ন্যায় পরিস্কার কুরআন এবং হাদীসের আলোকে জবাব।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কথা হলো মানুষকে বাচানোর জন্য এরকম মজবুত প্রমান থাকা সত্ত্বেও বেওকুফের মত শিরক শিরক করা নেহায়েত বোকামি। হা যখন রেফারেন্স জানা ছিলোনা সেটা ভিন্ন। কিন্তু এমন পরিস্কার প্রমানের পরও বাকাওয়াস করা অনর্থক বিরোধিতা করার জন্যই বিরোধিতা করার নামান্তর।
জাজাকাল্লাহ ভাইয়া।
২০ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৪
294576
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হাদিসে এসেছেঃ নিশ্চয়ই হালাম সু-স্পষ্ট এবং হারাম ও সু-স্পষ্ট।

এত স্পষ্ট হওয়ার পরও যারা সত্যকে মানতে নারাজ, তাদের জন্য দোয়া ছাড়া আর কি ই বা করার আছে। আমার পক্ষে যতটুকু সাধ্য ছিল বুঝানোর চেষ্টা করেছি। হেদায়েতের মালিক তো একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তার হাতেই সপর্দ করলাম।
অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
355134
২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:৩৭
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : লেখা ও মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগলো । জাজাকাল্লাহু খায়ের ।
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৩
295068
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আনতুম ফাজাযাকুমুল্লাহ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File