ফাযায়েলে আমলের ভূমিকাতে শিরক আছে কি?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:১০:০৯ দুপুর
[ফাযায়েলে আমলের ভূমিকার উপরে শিরকের অভিযোগ করা হয়। যারা এটাকে শিরক বলে প্রচার করছে, এদের অধিকাংশ তথাকথিত ভার্চুয়াল মুফতী। এদের ইলমের অবস্থা এমন যে, সব কিছুতেই তারা শিরক দেখতে পায়। কথা বার্তায় মনে হয়, এদেরকে দুনিয়ার সব মুসলমানকে মুশরিক বানানোর ঠিকাদারি দেয়া হয়েছে। যাকেই নিজের মতের বিরোধী পাবে, তাকে মুশরিক বলে দিবে। পেট্রোল ও ডলারের নেশায় বুদ হয়ে থাকা এসব জাহেলদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই মহা পন্ডিত সেজে সেগুলো প্রচারও করছে। মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করে পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য খুব সূক্ষ্মভাবে এসব জাহেলরা অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করছে। এদের উপর মুশরিক ট্যাগ লাগানোর ভুত এমনভাবে চেপেছে যে, এদের হাত থেকে কেউই মুক্ত নয়। যাই হোক, এখানে আমার কিছু কমেন্ট একত্র করেছি। পৃথকভাবে বিস্তারিত লেখা সম্ভব হলে পরে ইনশাআল্লাহ পোস্ট করবো।]
হযরত মাওলানা যাকারিয়া কান্ধলবী রহ. এর বক্তব্য:
আমাদের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ:
রাসূল স. হাদীসে বলেছেন,
رضي الرب في رضي الولد و سخط الرب في سخط الوالد
অর্থাৎ পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্ট এবং পিতার অসন্তষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্ট। [তিরমিযী, খ.১, পৃ.৩৪৬, ইবনে হিব্বান, হা.২০২৬, হাদীসটি সহীহ]
এখন কোন সন্তান যদি পিতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিছু করে, তবে সেটা শিরক হবে কি
আপনার জানা থাকা উচিৎ, যাকারিয়া কান্ধলবী রহ. এর চাচা ছিলেন ইলিয়াস রহ.।
রাসূল স. হাদীসে বলেছেন,
عم الرجل صنو أبيه
অর্থাৎ চাচা পিতার মতো। [মুসলিম শরীফ, হা.৯৮৩]
এবার আপনি ফয়াসালা করুন যাকারিয়া রহ. শিরক করেছেন কি না? পিতার সমতুল্য একজন বুযুর্গ চাচার সন্তুষ্টি কামনা করা কি হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী শিরক? নাউযুবিল্লাহ।
এটা সাদামাটা কিছু কথা। এবার আরেকটু বলি।
أن عائشة قالت : كان رسول الله صلى الله عليه و سلم إذا أراد سفرا أقرع بين نسائه فأيتهن خرج سهمها خرج بها معه وكان يقسم لكل امرأة منهن يومها وليلتها غير أن سودة بنت زمعة وهبت يومها وليلتها لعائشة تبتغي بذلك رضى رسول الله صلى الله عليه و سلم
অর্থ: হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল স. যখন কোন সফরের ইচ্ছা করতেন, তখন স্ত্রীদের মাঝে লটারি করতেন। যার নাম উঠত, তাকে সঙ্গে নিয়ে সফরে বের হতেন। রাসূল স. তার স্ত্রীর মাঝে রাত ও দিন ভাগ করে নিতেন। তবে উম্মুল মু’মিনীন হযরত সাওদা বিনতে জাময়া রা. রাসূল স. এর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজের রাত ও দিনকে হযরত আয়েশা রা. এর জন্য দিয়ে দিতেন। ” বোখারী, মুসলিম ও নাসায়ী সহ আরও অনেক কিতাবে হাদীসটি রয়েছে|। উপরের আরবী নাসায়ী শরীফের। এই হাদীসের শেষে রয়েছে, আল্লাহর রাসূল স. এর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি নিজের হককে আয়েশা রা. এর জন্য দিয়ে দিতেন। তাহলে কী উম্মুল মু’মিনীন হযরত যাওদা রা. শিরক করেছেন?
এবার আরেকটু শুনুন।
সূরা তাহরীমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, يا أيها النبي لما تحرم ما أحل الله لك تبتغي مرضات أزواجك অর্থ: হে নবী, আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য যা হালাল করেছেন, তা আপনি হারাম করেন কেন? (সূরা তাহরীম)।
এই আয়াতে রাসূল স.কে একটা হালালকে নিজের উপর হারাম করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এখান থেকে প্রমাণিত হয়, রাসূল স. তার স্ত্রীদের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করেছেন। এবার বলুন, (নাউযুবিল্লাহ) আল্লাহর রাসূল স. কি শিরক করেছেন?
আপনাদের পক্ষ থেকে উত্তরের অপক্ষায়…..।
কথাগুলো এখান থেকে নেওয়া হয়েছেঃ এখানে ক্লিক করুন।
বিষয়: বিবিধ
২১১০ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্যক্তি বন্ধনা কোথায় পেলেন? সবাই আল্লাহর দিকেই মানুষকে আহবান করছে। হয়তো দাওয়াতের ধারা ভিন্ন হতে পারে।
কালিমা না জানা লক্ষ লক্ষ মানুষ কি আজ তাবলীগের বদৌলতে মসজিদ মুখি হচ্ছে না? এই সত্যকে কি অস্বীকার করবেন? যার যতটুকু অবদান, তা স্বীকার করাই সময়ের দাবী। @শফি ভাই।
তবে কোন ব্যাপারেই বাড়াবাড়ি ভাল না। অধিকাংশ তাবলিগ কর্মীরাই মনে করে, মুরুব্বিদের দ্বারা রচিত কিছু বই ও সিলেক্টেড কিছু হাদিস, বুজুর্গদের কিছু কাহীনিই যথেষ্ট। যার ফলে কেউ কেউ ভাল ইবাদতকারী হয়েও শিরকের মত কাজে লিপ্ত থাকে। এটা হয়ে থাকে ঐ অল্প কিছু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কারনে।
বাড়াবাড়ির ব্যপারটি অজ্ঞতা, শুধু তাবলীগ কেন, জামাত শিবির বলেন, ইশা আন্দোলন বলেন, খেলাফত মজলিস বলেন, নেজামে ইসলাম বলেন আর জমিয়তে ইসলাম বলেন, সব দলেই কম বেশি বাড়াবাড়ি করার লোকের অভাব নেই। এগুলোর জন্য গোটা দলকে দায়ী করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত আপনি বলুন।
সাধারণ মূর্খ ও অশিক্ষিত মানুষ যারা আজ অজ্ঞতা আর মূর্খতার কারণে অন্ধকারে ডুবে আছে। কোন ইসলামী দল তাদের ঈমানের খোজ খবর নেয় না। সবার টার্গেট হল মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী ও মজবুত সংগঠন।
অবহেলায় নিপতিত এসব মানুষগুলো কবরের যাত্রী হতে যাচ্ছেন, অথচ নামযা রোঝা দূরো থাক, কালিমাটাও পর্যন্ত পারে না। একমাত্র তাবলীগ ওয়ালারাই এই মানুষগুলোকে ইসলামের পথে আহবান জানায়। কুরআন হাদীস থেকে সরাসরি জ্ঞান আরোহনের যোগ্যতা এদের নেই বলেই এরা মুরুব্বীদের থেকে শিখে ও রেফারেন্স দেয়।
যেখানে এ কাজের জন্য সাধুবাদ পাওয়ার উপযুক্ত, সেখানে কিছু লোক রঙ মিশ্রণ করে শিরকের তকমা লাগিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হেদায়েত দান করুক।
অনেকে আছেন, যারা এসএসসি, এইচএসসি, ও উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি দ্বীনি শিক্ষাও গ্রহন করতে চান, কিন্তু স্কুল কলেজ ও ভার্সিটি ছেড়ে তাদের পক্ষেও মাদরাসায় পড়া বা শিক্ষক ছাড়া নিজে নিজে স্টাডি করা সম্ভব নয়। এদের ব্যাপারে দ্বীনি এলেম শিক্ষার বিষয়ে আপনার কি মতামত।
২য় হলঃ আমি মানি প্রথমে নিজ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। কিন্তু পরিবার ছাড়া অন্যকে দ্বীনের তালীম ও দাওয়াত দেওয়াতে কি নিষেধ আছে কোন হাদিসে?
অনেক হাদিসে আছেঃ রাসূল সাঃ কিছু সাহাবায়ে কেরামকে বিভিন্ন অঞ্চলে দ্বীন শিখানোর জন্য পাঠিয়েছেন। যেমন মায়াজ বিন জাবাল রা. কে ইয়েমেনে পাঠিয়েছেন।
মায়ুনা কূপের ইতিহাস নিশ্চয়ই জানেন, যে সালীম গোত্রের কিছু লোক রাসূল সা. নিকট আসলেন, এবং তাদের কাওমকে দ্বীনের দাওয়াত ও দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য কিছু সাহাবায়ে কেরামকে পাঠানোর প্রস্তাব দিলেন, রাসূল স. ৭০ জন হাফেজে কুরআন সাহাবীকে ঐ দলের সাথে পাঠালেন, মাউনা কূপের নিকট যাওয়ার পর উৎপেতে থাকা দুশমনরা একজন ল্যংড়া সাহাবী ছাড়া বাকি সবাই কে হত্যা করলো। এ ঘটনায় রাসূল স. যার পর নাই ব্যথিত হলেন।
কাহিনী হয়তো আপনার জানা আছে, আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে দ্বীন শিখা ও শিখানোর জন্য অবশ্যই ঘর থেকে বের হতে হয়, এলাকা থেকে বের হতে হয়।
অসংখ্য হাদিসে দ্বীন শিখার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার প্রতি আদেশ ও উৎসাহ দেওয়া হযেছে।
একটি কথা হল: আপনি নিশ্চয়ই ইকামতের দ্বীনের পক্ষের লোক, যারা ইকামতে দ্বীনের সাথে জড়িত আছেন, তারা কি সবাই পেরেছেন নিজেদের পরিবার ও সমাজকে ঠিক করতে? আর পারেন নি বলে কি ইকামতে দ্বীনের চেষ্টা করবেন না?
আমার বন্ধু বান্ধবদের অনেকে আছেন, যারা কেউ জামাত, কেউ হেফাজত, কেউ শাসনতন্ত্র, কেউ খেলাফত আন্দোলনের বড় বড় কর্মী। দলের প্রোগ্রাম ও দেশে ইসলাম কায়েমের জন্য বেশির ভাগ সময় ও অর্থ ব্যয় করেন। অথচ নিজের পরিবারকেউ ঠিক করতে পারেন নি।
আহলে হাদিস যারা সর্বদা সহিহ সহিহ তে ব্যস্ত। যাকে তাকে মুশরিক ফতোয়া দিতে মুহুর্তও চিন্তা করে না, তাদের আমীরের কথাই বলছি। আমােদের জেলা আমীর সাহেব, যিনি আমার একান্ত বন্ধুও বটে, (নাম উল্লেখ করে ছোট করতে চাই না) প্রতি মাসে সৌদি থেকে যার বেতন একহাজার রিয়াল, এলাকার কেউ যাকে পছন্দ করেন না, যেখানে সেখানে যাকে তাকে মুশরিক বিদাতী বলে বেড়ান। নিজের পরিবার ও বাড়ির লোকদেরও ঠিক করতে পারেন নি। অথচ তার কর্মকান্ডে সৌদি আরব খুব খুশি আছেন।
নিজের বাড়ির লোকদের ঠিক করতে না পারলেও সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন আহলে হাদিসের দাওয়াত নিয়ে।
শেষ কথা হলো: কালিমা নামায না জানা হাজারো মুসলিম ভাই বোন মৃত্যু পর্যন্ত পৌছে যাচ্ছেন। তাদের কাছে কি প্রথম দাবি দ্বীন কায়েমের? নাকি কালিমা নামাজ শিক্ষার?
আমাদের মুসলিম সমাজ যেখানে জাহান্নামের দিকে চলে যাচ্ছে, তাদের আগে বাচাবেন? নাকি অমুসলিম যারা জাহান্নামের দিকে যাচ্ছে তাদের বাচাবেন?
সাইদী সাহেব যখন লন্ডনে তারিক মুনাওয়ার সাহেবকে দেশে গিয়ে জামাতে ইসলামীর সাথে কাজ করার দাওয়াত দেন, তখন তারিক সাহেব বললেনঃ আমি তো এখানে খৃষ্টানদের দাওয়াত দিয়ে মুসলিম বানাচ্ছি, তখন সাইদী সাহেব বলেছিলেন, তুমি খৃষ্টানদের মুসলিম বানিয়ে জান্নাতের পথ দেখাচ্ছো অথচ তোমার দেশের মানুষ মুসলিম থেকে খৃষ্টান হয়ে জাহান্নাদের দিকে যাচ্ছে। কোনটা তোমার কাছে বড়?
তখন তারিক মুনাওয়ার সাহেব লক্ষ টাকার ইমামতির চাকুরী ছেড়ে দেশে চলে আসেন মুসলিমদের মাঝে দ্বীনের কাজ করার জন্য।
অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে, অনেক অনেক শুকরিয়া চাচাজান।
সুস্থ ও ভালো থাকেন।
সংসার ছেড়ে ৫/১০ বছর বিদেশে পড়ে থাকলে কারো কোন আপত্তি থাকে না। আপত্তি শুধু চিল্লার ব্যাপারে হবে কেন?
আমার আগের একটি পোষ্টে এ ব্যাপারে ক্লিয়ার করেছি যে, ৩দিন ১০দিন চিল্লা এগুলো কর্ম পদ্ধতি। সব ব্যাপারে শরীয়তের দলিল চাইতে হয় না। উদারহণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম মদিনা ইউনিভারসিটির কথা। এখানে কপি পেষ্ট করলাম।
আশাকরি ব্যাপারটা বুঝতে সক্ষম হবেন। শুকরিয়া চাচাজান।
একটি কথা বার বার মনে ভাসতে থাকেঃ তা হলঃ বাস ট্রাক ও বিমানে আরোহন প্লাস ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি ও দলিল সহীহ হাদীসে খোজ করতে হবে। না হয় আবার গলদ করে শির্কের দিকে চলে যাবো। শুকরিয়া।
আল্লাহ দেওবান্দি ভাই হুজুর দেরকে শির্ক থেকে হেফাজত করে সঠিক পথে ফেরার তাওফিক দিন।
মিথ্যা ও ধোকাবাজির একটা সীমা আছে, কোন কমেন্টার এখানে আমার উল্লেখ করা কোন হাদিসের ব্যাপারে অপব্যাখ্যা বলেছেন জনাব?
পোষ্টটি এখনো আছে, এডিট করা হয়নি। মিথ্যাচার করার আগে পোষ্টটি আবার পড়ে দেখুন।
সবাই যা বলেছেন, তা তাবলীগের কর্মপদ্ধতি নিয়ে বলেছেন। উল্লেখ করা ভুমিকার বিষয় ও রেফারেন্স দেওয়া হাদিস নিয়ে কেউ কিছু বলেনি।
আমরাও আল্লাহর সন্তুষ্টি চাই আল্লাহর হুকুম মেনে। যাকে তাকে মুশরিক ফতোয়া দিয়ে নয়। @ডবল নিক।
হাদীসের অপব্যাখ্যা আপনারা যে কিভাবে করতে পারেন তার নমুনা জাতি দেখেছে। কাওসারী ও ফরাজির মিথ্যাচার দিয়ে কাজ হবে না। ওগুল ১৯৭১ সালেই যুদ্ধ করে সাফা করে দেয়া হয়েছে।
অর্থাৎ পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্ট এবং পিতার অসন্তষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্ট। [তিরমিযী, খ.১, পৃ.৩৪৬, ইবনে হিব্বান, হা.২০২৬, হাদীসটি সহীহ]
এখানেও কি হিন্দুদের দেবদেবীর গন্ধ পাচ্ছেন জনাব?
তা ছাড়া একই নিক থেকে মন্তব্য করলেই পারতেন। এত নিক বদলের দরকার ছিল না।
তবুও ধন্যবাদ।
কোথায় আপনাকে কুরআন হাদীসের আলোকে জবাব দিলেন যা একদম সূর্যের ন্যায় পরিস্কার এবং আলোকিত। আর আপনি নিয়ে আসলেন মস্তিস্কপ্রসূত উর্বর যুক্তি!
শাহবাগী নাস্তিকরা এমন ধরণের যুক্তি দেয় "হিন্দুরা মাটির মূর্তির সামনে যেয়ে পূজা করে, আর মুসলমানরা মাটির তৈরি কাবাঘড়ের সামনে যেয়ে চক্কর দেয়" "হিন্দুরা মূর্তি ভক্তি করে আর মুসলমানরা হজে আসওয়াদ পাথরকে ভক্তি করে"!!!!!!! আপনার যুক্তি কি এমন হলোনা?!
যেখানে কুরআন হাদীসের আলোকে কি স্পষ্ট জবাব দেয়া হলো আর আপনি কি বললেন!? হায় আফসোস।
কান তালা লেগেছে! হৃদয়ে মোহর পড়েছে এজন্য সত্যকে গ্রহণ করেন না।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য বোঝার এবং আমল করার তওফীক দান করুন। আমীন
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কথা হলো মানুষকে বাচানোর জন্য এরকম মজবুত প্রমান থাকা সত্ত্বেও বেওকুফের মত শিরক শিরক করা নেহায়েত বোকামি। হা যখন রেফারেন্স জানা ছিলোনা সেটা ভিন্ন। কিন্তু এমন পরিস্কার প্রমানের পরও বাকাওয়াস করা অনর্থক বিরোধিতা করার জন্যই বিরোধিতা করার নামান্তর।
জাজাকাল্লাহ ভাইয়া।
এত স্পষ্ট হওয়ার পরও যারা সত্যকে মানতে নারাজ, তাদের জন্য দোয়া ছাড়া আর কি ই বা করার আছে। আমার পক্ষে যতটুকু সাধ্য ছিল বুঝানোর চেষ্টা করেছি। হেদায়েতের মালিক তো একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তার হাতেই সপর্দ করলাম।
অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন