আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের এই ঘৃণাস্তম্ভের মতো কোনো স্তম্ভ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কি..?
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৩৮:১৬ দুপুর
আমরা বাংলাদেশীরা কি স্বাধীন আমরা সাধীনতার সুফল কি ভোগ করতে পারছি না কি আমরা অন্যের দালালী করতে গিয়ে নিজেদের অস্তিত্বই শেষ করে দিচ্ছি। আর কত দিন এভাবে আমরা থাকবো..?
আমরা বিজয়ের সাফল্য কিংবা সমৃদ্ধির মঞ্চের বদলে ঘৃণাস্তম্ভ বানিয়েছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঔদার্য ভালবাসা সহমর্মিতার বদলে ঘৃণা করতে শিখিয়েছি।
তাদের সঙ্কীর্ণতার গণ্ডীর ভেতরে আবদ্ধ করেছি। ফলে কাম্য অগ্রগতির পথে অগ্রসর হতে পারছি না। আর সে কারণে সমাজের ভেতরে তার বিষবৎ ফল লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের কোনো এক শহরে দেখলাম ঘৃণাস্তম্ভ গড়ে তোলা হয়েছে। যে ছোট্ট শিশু প্রতিদিন এই পথে ব্যাগ হাতে স্কুলে যায়, তার প্রশ্নের জবাব ঐ শিশুর অভিভাবকরা কী দেবেন?
কোনোদিন হয়তো বলবেন, পাকিস্তানীরা এদেশে ১৯৭১ সালে মানুষ হত্যা করেছিল, আমরা তাদের ঘৃণা করি, আর তাই এ স্তম্ভ গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এই পাকিস্তানিরা কারা ছিল কেন তারা আমাদের হত্যা করতে আসলো..?
কোনোদিন হয়তো বলবেন, পাকিস্তানি বাহিনীকে যারা সহযোগিতা করেছিল, আমরা তাদের ঘৃণা করি, তাই এ ঘৃণাস্তম্ভ। এইভাবে আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে ঘৃণাই শিখিয়ে যাব..?
বাংলাদেশের এই ঘৃণাস্তম্ভের মতো কোনো স্তম্ভ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। আমাদের ভূলে গেলে চলবেনা আমরা মুসলমান । আমাদের করনীয় কি আমরা কি নিজেদের ঈমান আকিদাহ রক্ষা করবো না..?
বিষয়: বিবিধ
১২০৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিরীহ মুসলমান ভাইদেরকে হত্যা করতে তাদের বিবেকে একটুও বাঁধে নি । তারা করতে চেয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানী শোষকদের তোষামোদি করতে ।
বাংলাদেশের মানুষেরা তবুও তাদেরকে আপন করে নিতে চেয়েছিল । তারা এদেশে পাকিস্তানের চেয়েও ভালভাবে বিচরণ করে যাচ্ছিল। দল গঠন করে নির্বাচনে গিয়েছিল । মানুষও তাদেরকে ভোট দিয়েছিল. সংসদে পাঠিয়েছিল মন্ত্রীত্ব দিয়েছিল ।
এতে তাদের অহমিকার বাড় আরও বেড়ে যায় ।
তাই এদের হোতাদেরকে তো সাইজ করা হচ্ছেই। এদের মানসিকতা যারা লালন করে তাদের জন্যই বানানো হয়েছে এই ঘৃনা স্তম্ভ । যেন ঐ সব পাকিস্তানীমনারা যাতে বুঝতে পারে যে ক্ষমা করারও একটা সীমা আছে । আর যারা ক্ষমার্হ না তারা সবসমসয়ই ঘৃনার পাত্র।
মন্তব্য করতে লগইন করুন