বাঙালি সংস্কৃতির জগাখিচুড়ি দশা
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০৯:৫৬:২৩ রাত
দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ, গানে গানে ডাকছে গায়ক, ‘মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে, বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে, ললনারা হেঁটে যায়, মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে’। তবে কি বাসন্তী সাজে ললনাদের দেখতেই মেলায় যাওয়া? নয়ত কি! গায়ক যে কে এই জন্যই ডাকছে! আপনি যদি মুমিন হয়ে থাকেন, তবে থামেন, সামনে আর এক পা এগোবেন, শত সাধনায় পাকাপোক্ত ইমানের বারোটা বেজে যাবে! বাঙালি সংস্কৃতি লালন-পালন আমাদের সকলের জন্য কিন্তু সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতিতে মিশে যাওয়া সকলের জন্য নয়!!!!!!
বৈশাখের আনন্দ উদযাপন শালীনভাবেও করা যায়, কিন্তু বেশামাল হয়ে যাওয়া কেন? নতুন বছরের প্রথম প্রহরে সাজুন নতুন সাজে কিন্তু অশালীন পোশাকে কেন? বেরিয়ে আসুন পরস্পরের বাড়িতে, কিন্তু দেহ প্রদর্শনে লোক সমাগমে কেন? বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে হোক দিন ভর আলোচনা, কৌতুক, অশ্লীলতামুক্ত নাটক প্রদর্শনী কিন্তু বৈশাখের অনুষ্ঠানে হলিউড বলিউডের ধুম ধারাক্কা ড্যান্স কেন? বাজার থেকে ইলিশ মাছ কিনে ঘরে আগের রাতে ভাতে পানি দিয়ে সকালে পান্তা করে নিজেও খান, পাড়া পড়শীকেও ডেকে খাওয়ান, কিন্তু দল বেধে নারী পুরুষ নির্বিশেষে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে জনসমাগমে পান্তা ঈলিশ খাওয়ার ধুম কেন?
পরিবারের সবাই মিলে ঘুরে আসুন বাহিরে, কোন দর্শনীয় স্থান ঘুরে উপভোগ করুন নতুন বছরটাকে, কিন্তু বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড অথবা অন্যের বউকে বগলদাবা করে অবাধ যৌনাচারে মিশে যাওয়া কেন? বোরখা পরেন, পর্দার উদ্দেশ্যে অথবা আধা আধি পালন করেন বলে, বৈশাখের দিনেও তাই পরে ঘুরুন, বোরখা খসে গায়ে চড়ে বাসন্তী শাড়ী, যাতে থাকে ঘাড় কোমর পেট অনাবৃত, যে চুল এতোদিন কেউ দেখি নি আজ উদাম করে কেন সবাইকে দেখিয়ে বেড়াবেন?
এই যদি হয় বাঙালি সংস্কৃতি, তাহলে তা উদযাপন করার আগে বার কয়েক ভেবে দেখা উচিত নয় কি? এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা স্বল্প সময়ে অধিক হারে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে পোশাকী পন্যে আনে নিত্য নতুন ডিজাইন এবং লোভনীয় কিন্তু দামে সস্তা সব অফার, প্রভূদের দখলে থাকা মিডিয়াগুলোর বাংলা সংস্কৃতিতে অন্য সব সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটিয়ে চটকদার করে উপস্থাপন, যা রূপ নিয়েছে জগাখিচুড়িতে। তাই দেদারসে সবাই গিলছে, জিনিসটার গুনগত মান কেউ যাছাই করে দেখছে না!
সমালোচনার জন্যই সমালোচনা নয়! বাস্তব অভিজ্ঞতালব্দ জ্ঞান থেকেই করছি সমালোচনা। এইসব অনাচার নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি করে যে প্রতিষ্ঠান, যার গা ছুঁয়ে আছে বৈশাখের প্রাণ কেন্দ্র রমনার বটমূল, সে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হওয়ার সুবাদে অভিজ্ঞতার ঝোলা বেশ ভারী। কেন বলছি, বাংলা সংস্কৃতি জগাখিচুড়ি অবস্থা, একবার এসে এলে বুঝতে পারবেন।
রমনার বটমূল, চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা, টি এস সি, হাকিম চত্বর, মল চত্বরে উপভোগ করেছি অনেক কনসার্ট, দেখেছি বৈশাখের সাজে কপোত-কপোতি আর চাতক-চাতকীদের মিলন মেলা, সংস্কৃতিত্র নামে অপসংস্কৃতির নগ্ন রূপ! আমার ধারণা, বৈশাখ নিয়ে যারা আদিখ্যেতা দেখায়, তাদের অধিকাংশই বাঙালি আসল রূপ জানে না। বৈশাখ মানেই বুঝে, ছেলেদের গায়ে শোভা পাবে ফতুয়া পাঞ্জাবী, মেয়েদের গায়ে বাসন্তী শাড়ী, আর পান্তা ইলিশ। সংস্কৃতির প্রতি মারাত্মক দরদ, অথচ বাংলা বার মাসের নাম বলতে গিয়ে গলদঘর্ম!
সারা বছর শার্ট, গেঞ্জি, ছেঁড়া জিন্সের প্যান্টে স্টাইল খোঁজে, মেয়েদের পরনে শোভা পায় টাইট ফিট জিন্স, টি শার্ট, স্কার্ট, টপ, মাছাক্কালি, পাখি ইত্যাদি ড্রেস, একদিন শাড়ী লুঙ্গী ফতুয়া পরে বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে কি ভন্ডামীর! যে পান্তা ভাত গরীবের খাবার বলে মুখে তোলার অযোগ্য মনে করে খাওয়া হয় না কোন দিন, একদিন তা খেয়ে তা বাঙালি হওয়া ভন্ডামী নয়ত কি!
ইসলাম কি বাঙালি সংস্কৃতির অন্তরায়? অবশ্যই না। প্রত্যেকটি জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, বাঙালিরও থাকবে স্বাভাবিক। কিন্তু ইসলাম যদি বাঙালি সংস্কৃতির অন্তরায় না হয় তাহলে তার অনুসারীরা মেলায় বোমা হামলা করে কেন? তাদের ভয়ে মেলা প্রাঙ্গন নিরাপত্তা বলয় দ্বারা ঘিরে ফেলা হয় কেন? ইসলাম বিরোধীরা এমন প্রশ্নই করে থাকে, উদ্দেশ্য ইসলাম কে বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। একটা জিনিস পরিষ্কার হওয়ার দরকার। বাঙালি সংস্কৃতি পালন করেছে এই জন্যই কি হামলা হয়েছে? না কি বাংলা সংস্কৃতির নামে ইসলামে অন্যায় বলে স্বীকৃতি কাজ যেমন মূর্তি নিয়ে শোভা যাত্রা যা ১৯৮৯সালের আগে ছিল না!!!!!! মূর্তি নিয়ে নাচানাচি হিন্দুদের কাজ! তারপর নাচ, গান, বেপর্দায় নারীদের অবাধ বিচরণ, গায়ে মুখে উল্কি আঁকা ইত্যাদি কারণেই হামলা হয়েছে? শেষোক্ত কারণেই হামলা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বাঙ্গালী সংস্কৃতির পালনের কারণে নয় নয় নয় নয় নয়!!!!!! এইসব ব্যতিত বৈশাখ পালন হোক, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বোমা হামলাতো দূরে থাক, হামলার আশংকাও মনে আসবে না!
ইসলামের পদযাত্রা শুরু হয় কাবা ঘরে তিনশত ষাটটি মূর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে, আর সেই ইসলামের অনুসারীরাই নববর্ষের প্রথম প্রহরে পশু পাখি, মাছ, অদ্ভূত সব প্রাণীর মূর্তী বানিয়ে তা মাথায় করে মঙ্গল শোভাযত্রায় বের হয়! মঙ্গল কার কাছে চাওয়া হয় আমার কাছে তা বোধগম নয়! যদি আল্লাহর কাছে চাইতো তাহলে মাথায় মূর্তি চড়তনা। তবে কি মাথায় চড়া মূর্তীর গুলোর কাছেই কামনাকরে মঙ্গল? তাহলে তা অবশ্যই শিরক। শিরকের অনেক গুলো প্রকারের মধ্যে একটি হল, আল্লাহ্ কে সব কিছুর একক ক্ষমতার অধিকারী জেনেও সফলতা ব্যার্থতার জন্য কোন বস্তুর উপর নির্ভর করা। যা একজন মুসলমান মুমিন বান্দা কোনোভাবেই করতে পারেন না! তার নামাজ পড়তে পড়তে কপাল ক্ষয় করে ফেলা, রোজা, হজ্ব জাকাত, দান খয়রাত কোন কাজেই আসবে না! কেননা সব গোনাহের ক্ষমা আল্লাহর কাছে পাওয়া যায় কিন্তু শিরকের গোনাহ মাপ পাওয়া যায় না। আল্লাহ্ বলেছেন, শিরক হচ্ছে সব চেয়ে বড় গোনাহ।
অনেক কথাই শুনলেন, আপনার করণীয় কী?
পান্তা ইলিশ খান, নতুন জামা পরিধান করে বেড়াতে যান কিন্তু অশ্লীলতার দ্বারে কাছেও যাওয়া যাবেনা! আবার ‘নন্দলাল’ হয়েও ঘরে চুপটি মেরে বসে থাকা যাবে না। আমার লিখাটি দিবস কেন্দ্রিক, বেশ কিছু দিন আগেই পোস্ট করছি এই জন্য যে, যাতে আপনি আপনার কাছের মানুষদের নিকট ভালো মন্দ, সংস্কৃতি এবং অপসংস্কৃতির স্বরূপ তুলে ধরতে পারেন। আনন্দের নামে নিকট জনের বিপথে গমনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। নিজে বাঁচতে পারেন এবং পারেন অন্যকেও বিপথে গমন থেকে বাঁচাতে।
প্রভূর দরবারে ফরিয়াদ, তিনি আমাদের হক এবং বাতিলের মাঝে তফাৎ করে তদানুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
২৯৭৩ বার পঠিত, ৬১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথম মন্তব্যে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা 'পনি'।
সাকা এর অর্থ দাড়ায় ((সালাউদ্দিন কাদের)) আপনি সংক্ষিপ্ত করেতে গিয়ে নাম বদলে দেবেন কেন???
@আফরা
বেগুনে কিন্তু পোকা থাকে, আমি অনেক পেয়েছে!!!! ওয়াক থু!!!!! আহ, খাওয়া বন্ধ করে দিলেন!!! আমি কিন্তু আপনার প্লেটে ফেলিনি, দূরে ফেলেছি!
এগুলো কি ইসলামী শরিয়তের সাথে যায় ?
সে জন্যইতো বলেছি, অশ্লীলতামুক্তভাবে পাল করতে পারলে বাঙালি সংস্কৃতি আর ইসলাম মুখোমুখি অবস্থানে থাকে না!
অনেক দিন পর পোস্ট করার সাথে সাথেই আপনার মন্তব্য পেলাম, ইদানীং আমার লিখায় যথেষ্ট দেরি করে মন্তব্য করে থাকেন!
25 24 G +1 0 0
অপসংস্কৃতি রোধে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে
আব্দুল্লাহ আল শাহীন : বাবা-মায়ের কাছে সন্তান হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। বাবা-মা ছেলে-মেয়েকে কষ্ট করে লালন-পালন করেন। ছেলে-মেয়ে বড় হলে দায়িত্ব আদায় করেন বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। হকপন্থী বর দেখে মেয়ের বিয়ে দেন, ঠিক তেমনি হকপন্থী মেয়ে দেখে ছেলের বউ করে ঘরে আনেন।
গ্রামে-গঞ্জের অনেক বাবা-মা তাদের আদরের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় অতিরিক্ত খরচ করতে গিয়ে নিজেরা পড়ে যান অর্থ কষ্টে। অথচ, এর পরেও মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে নানান সময়ে পাঠাতে হয় নানান কিসিমের উপহার। যা পাঠানোর সামর্থ্য হয়তো সকলের থাকে না। তারপরেও সামাজিকতার নামে অপসংস্কৃতির কারণে বিবাহিত মেয়ের বাবা, মা, ভাইকে নিধারুণ কষ্ট করে হলেও তা মিটাতে হয়। মেয়ের শ্বশুর বাড়ি পাঠাতে হয় উপহার সামগ্রী। মেয়ের বাড়ি থেকে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ইফতারি, আম্ভখছি, ঈদের সময় গরু কিংবা খাসি, মেয়ের সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় কাপড় দেওয়া-এসব হচ্ছে এক ধরনের নির্যাতনের নাম। কষ্ট করে মেয়েকে বড় করে বিয়ে দেওয়ার পর এসব উপহারের নামে যে নির্যাতন সমাজ সৃষ্টি করেছে সেটা কি অপরাধ নয়?
চিন্তা করুন, পবিত্র মাহে রমজানে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ইফতারি, জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলমূল নামের আম্ভখছি, কোরবানি ঈদে গরু-ছাগল, মেয়ের সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় উপহারের নামে মেয়ের স্বামীর বাড়ির সকলকে পোশাক দেওয়া একজন দিনমজুর বাবা-ভাইয়ের জন্য কত কষ্টকর হতে পারে? একজন প্রবাসী ভাইয়ের শরীরের রক্তের বিনিময়ে উপার্জিত টাকা কি করে উপহারের নামে এই ফালতু সংস্কৃতিকে লালন করতে ব্যয় করা হবে? মধ্যবিত্ত পরিবার কী করে উপহারের নামে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতি লালন করবে? ধনী বাবা হয়তো উপহার নামের অপসংস্কৃতি মেনে নিয়ে উপহার দিতে পারেন কিন্তু যার সে সামর্থ্য নেই তাকে কেন বাধ্য করা হবে?
এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, যদি মেয়ের বাবার বাড়ি থেকে ওইসব উপহার না দেওয়া হয় তাহলে শ্বশুর বাড়ির মানুষ অনেক রকম কথাবার্তা বলে, ফলে মেয়েকে লজ্জায় পড়তে হয়। সংসারে অশান্তি হয়। পত্রপত্রিকায় নানা সময় দেখা যায়, গৃহবধূরা আত্মহত্যা করেন। এই আত্মহত্যা উপহার নামের এই অপসংস্কৃতির জন্যও হয়ে থাকে। পারিবারিক অশান্তির অন্যতম কারণও এই উপহার। অথচ, গ্রামে-গঞ্জে এমনও দেখা গেছে যে, জ্যৈষ্ঠ মাসে ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে আসা হাজার হাজার টাকার ফলমূল গুরুকে খেতে দেওয়া হচ্ছে।
যাইহোক, উপহারের নামে এ জুলুমের অপসংস্কৃতি রোধে যুব সমাজকে জাগ্রত হতে হবে। পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে মহিলাদেরকে এসবের কুফল সম্পর্কে বোঝাতে হবে। সমাজকে বুঝতে হবে, এটা একরকম যৌতুক। সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি কী সেটা সকলকে জানতে হবে ভালো করে। যুব সমাজকে কাজ করতে হবে সমাজ থেকে অপসংস্কৃতি বিদায় করতে।
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/08/27/201317.php#sthash.xxaC0gpL.dpuf
অসাধারণ উপস্থাপনা এবং ব্যতিক্রমধর্মী আঙ্গিকে পাঠককে হৃদয়গ্রাহী করতে আপনার লিখার কোন জুড়ি নেই।
ভীষণ ভালো লাগলো লিখাটি পড়ে।
আজ আমার কি হল!!!!! ভাগ্য এতো ভালো কেন???? লিখা দিতে না দিতেই সব বাঘ বাঘা ব্লগারদের মুখোমুখি!!!! শোকরিয়া।
বোন আমার, এমন করে বলে না! আমার লিখা কোন বস্তু নিষ্ট লিখা নয়, ভেবে ভেবে লিখা! আমি চাইলেও কেন জানি ইতিহাস নির্ভর লিখা, কিংবা তথ্য উপাত্ত সমৃদ্ধ লিখা লিখতে পারি না, যদিও ইতিহাস কম জানি না! আমার কাছে আমার লিখা যথেষ্টই সাদামাটা লাগে, তবু আপনাদের প্রশংসা আমাকে টেনশনে ফেলে দেয়!
আজ আপনার উপস্থিতি বেশ ভাললাগছে। ফ্রী আছেন বোধ হয়?
আপনার ভালো লাগায় আমারও যে ভীষণ ভালো লাগছে।
আ ব দু ল্লা হ আ ল শা হী ন
সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০১৩,আমার দেশ
সংস্কৃতির রূপ হলো শিল্প, সাহিত্য, পরিবেশ, আচার-আচরণ, চলন-ফিরন, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি। সেই কারণে জীবনে চলার পথে একজন মানুষ তার জীবন কালের সময়কে যে প্রথায় পরিচালনা করে সেই প্রথাই হলো সেই মানুষের সংস্কৃতি। একটি গোষ্ঠী, সমাজ বা দেশের সংস্কৃতি হলো সম্মিলিত। প্রত্যেক ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দেশের আলাদা সংস্কৃতি রয়েছে। আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশেরও রয়েছে একটি বিশাল ভাণ্ডারের সংস্কৃতি। দেশে অবস্থানরত ৯০ ভাগ মুসলমানের রয়েছে সুন্দর সাবলীল এক সংস্কৃতি, রয়েছে বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার আলাদা নিজ গর্বের সংস্কৃতি। যে দেশের বা ব্যক্তির সংস্কৃতি যত উন্নত সেই ব্যক্তি বা দেশের সম্মান তেমন বেশি উন্নত। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও সংস্কৃতির প্রভাব অনেক। ভালো সংস্কৃতির রাজনীতি দেশে প্রচলন থাকলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না। ক্ষমতার জন্য জনগণের দাবিকে এড়িয়ে চলার একমাত্র কারণ রাজনীতিতে অপসংস্কৃতির প্রভাব।
আজ বাংলাদেশের কিছু মানুষ সংস্কৃতির উন্নতির মাধ্যমে সম্মানিত হতে গিয়ে নিজ দেশের, ধর্মের ও জাতীয় সংস্কৃতির কবর রচনা করে অপসংস্কৃতিকে পুঁজি হিসেবে গ্রহণ করেছে। দেশে সংস্কৃতির নামে বেহায়াপনা চালু করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের সংস্কৃতি তথা তাহজীব তমুদ্দুনকে ভুলে গিয়ে অপকর্মকে সংস্কৃতি হিসেবে মেনে নেব কেন?
জাতি যেমন সংস্কৃতির উন্নতির কারণে সম্মান লাভ করতে পারে তেমনি সংস্কৃতির অপব্যবহারে সম্মানের শিকড় উপড়ে ফেলতে পারে। সংস্কৃতির নামে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো গতিবেগে অপসংস্কৃতি আনা হচ্ছে বাংলাদেশে। যা দ্বারা চলছে নগ্নতা, উলঙ্গপনার মহাউত্সব। আজ দেশের মানুষের চলনে-বলনে, পোশাক-পরিচ্ছদে, নৃত্য, নাটক, থিয়েটার, গান, কবিতা, গল্পের নামে চালু করা হয়েছে নির্লজ্জ যৌন প্রতিযোগিতা, যা সমাজের যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোর নষ্ট করার প্রথম ফাঁদ হিসেবে কাজ করছে। অথচ এই কুকর্ম কোনো ধর্মের বা বাংলাদেশের সংস্কৃতি নয় তা ভুলে গেছে কিছু সংস্কৃতি রক্ষার কাজে নিয়োজিত বেহায়ারা। তারা ভুলে গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে আসা বাক্য ‘চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান’। তাই তারা সংস্কৃতিচর্চার নামে সমাজকে চরিত্রহীন করার কাজে নিয়োজিত। তারা জানে না তারা যে সংস্কৃতির কথা বা কাজ সমাজে চালিয়ে নিচ্ছে আসলে তা সংস্কৃতি থেকে বহু মাইল দূরে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। অথচ মানুষ জাতি সেই সুন্দরকে অধিক সুন্দর করতে গিয়ে পুরুষ সাজে মহিলার মতো করে এবং মহিলা সাজে পুরুষের মতো করে। পুরুষ তার কানে দেয় দুল, মাথায় রাখে লম্বা চুল, খোঁপায় দেয় বেলীফুল, মহিলারা পরে প্যান্ট-শার্ট। তারা মনে মনে ভাবে, লাগে তাদের বড় স্মার্ট। মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে পালন করে নানা দিবস। বর্তমান অপসংস্কৃতির দুনিয়ায় দিবসের আর অভাব নেই। আর তথাকথিত দিবসগুলোতে সৃষ্টির সেরা মানুষ জাতি জানোয়ার হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করে। দিবসগুলোতে বাংলাদেশের মানুষ সিংহ, বাঘ, গরু, ছাগল, ভাল্লুক, সাপসহ নানা ধরনের জানোয়ারের মুখোস পরে আনন্দ পায়। মহান আল্লাহ পূর্ব থেকেই বলেছেন, ‘এক শ্রেণীর মানুষ চতুষ্পদ জানোয়ার বা তার চেয়েও নিকৃষ্ট।’ আবার হিন্দু ধর্মের অনেকেই বলেন, এটা নাকি তাদের ধর্মে আছে জানোয়ার সাজা, কিন্তু আমি জানতে চাই, বৈশাখ, বসন্ত আগে আসছে, না হিন্দু ধর্ম আগে আসছে? তাহলে কেন হিন্দু ধর্মের কিছু মানুষ এই অপপ্রচার করেন? যদি হিন্দু ধর্মের কোনো গ্রন্থে এ রকম সাজার কথা থেকে থাকে তাহলে সাজেন, আমার কোনো কিছু বলার নেই। কিন্তু আমি মুসলমান। আমি জানি জানোয়ার সাজার কোনো সমর্থন আমার ধর্ম বিশ্বের শান্তির ধর্ম সুন্দর পরিবেশের পক্ষের ধর্ম ইসলাম দেয়নি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে কতিপয় সংস্কৃতির লালনকারীরা বৈশাখে বা যে কোনো অনুষ্ঠানে জানোয়ার না সাজলে বা তাদের মতো অপকর্ম না করলে প্রদীপ না জ্বালালে তারা আমদের দেশদ্রোহী বলে। কিন্তু ওরা কি জানে না, আমাদের নিজ ধর্মের রয়েছে আলাদা সংস্কৃতি. রয়েছে সভ্যতা, রয়েছে সাবলীল সুন্দরতম তাহজীব তমুদ্দুন। সৃজনশীল সংস্কৃতির বুনিয়াদ হলো ইসলাম। ইসলামী সংস্কৃতিই পারে অসভ্য ও উচ্ছৃঙ্খল জাতিকে সভ্য ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে।
আজ বাংলাদেশের কিছু প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেভাবে অপসংস্কৃতিকে লালন কর ছে তা হতাশার বিষয়। কারণ এই মিডিয়াগুলোর অধিকাংশ মালিক মুসলমান। শুধু ওরা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তা নয়, ওরা রাজনৈতিক অঙ্গনেও হিংসাত্মক সংস্কৃতি চালু করতে সহায়তা করে আসছে। যার ফলে আজ হিংসার শিকার হচ্ছেন দেশের সম্মানিতরা। আমাদেরকে অবশ্যই সঠিক সংস্কৃতি চালু করতে হবে। রাজনীতিতে হিংসা পরিহার করতে হবে। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে ত্যাগ শিকারের মাধ্যমে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে সংস্কৃতির উন্নতি করা সম্ভব।
ইসলামের সংস্কৃতি মুছে ফেলতে ইসলাম-বিদ্ধেষীরা উঠে-পড়ে লেগেছে। সেই সঙ্গে তারা মুসলমানের মধ্যে যারা ধর্মের প্রতি অবহেলা করে তাদেরকে কাজে লাগিয়ে ইসলামী সংস্কৃতি মুসলমানের মন থেকে মুছে ফেলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সংস্কৃতির শত্রু অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আজ যুদ্ধ ঘোষণার সময় এসেছে এবং আমাদেরকে এই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। তাই ইসলামী সংস্কৃতির অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের মোকাবিলা করতে হবে। এখনই ইসলামী সংস্কৃতির সেবক ও সেবিকাদের আসতে হবে ইসলামী সংস্কৃতির মঞ্চে। সাহিত্য, আচার-আচরণ, চলাফেরায় ইসলামের সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকলে ইসলামী সংস্কৃতি জয়ী হবে, অপসংস্কৃতির পরাজয় হবে এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মূল সংস্কৃতি ফিরে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
গাঁজা ছাড়াও বোধহয় হয়না!!
গাঁজা না খাইলে কি আর বাংলা সংস্কৃতিকে এমন গাঞ্জা মার্কা বানায়ে রাখে! গাঁজা না খাইলে সংস্কৃতিতে এমন সব উদ্ভট সংযোজন হতো না। সবি গাঁজার কল্যাণে।
রিরোয়ান সাহেব, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, খুব সংক্ষিপ্ত কথায় অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিলেন।
আল্লাহ্ আপনাকেও উত্তম বিনিময় দান করুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেবেন।
বিয়ের দাওয়াত মনে করেছেন, খাওয়াটা বাস্তবে খেয়েছেনতো?
আর যদি খাওয়া হয়ে থাকে, তাহলে বলব, বেশ করেছেন, খাওয়ার আগে সেরা ফেলা ভালো, কি উপলক্ষে খাওয়ানো হল তা জানা জরুরী নয়!
আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক। সংস্কৃতির নামে ইসলামকে কলোষিত করার ষড়যন্ত্র এখনই রুখে দিতে হবে। এ জন্য যুব সমাজকে ইসলামী ভাবধারায় গড়ে তুলতে হবে।
এসমস্ত সংস্কৃতি মুমিনদের হৃদয়কে ভেঙ্গে দেয়। আল্লাহ তায়ালা এদের সঠিক বুঝ দান করুক। পোষ্টটির জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর
ওরা পথভ্রষ্ট, দিকহারা, আমরাতো রয়েছি তাদের দিক চেনানোর জন্য। আমাদের কাজ চিনিয়ে দেয়া, সঠিক পথে ফেরানোর মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন।
রুখতে যাওয়া খুব কঠিন, তাই তার নেতিবাচক দিকগুলো মানুষের অনুভূতিতে, চেতনায় আনা জরুরী। তা করতে পারলে মানুষ নিজেই তা করা থেকে বিরত থাকব।
যুবকদের ইসলামী ভাবধারায় গড়ে তোলার প্রয়োজনতো অনস্বীকার্য।
আমিন। জাআকাল্লহু খাইর।
ইসলামী আন্দোলনের কর্মী সংখ্যা বাড়ানো।
এমন কি ৩৬০টা মূর্তি ছিল, কাবা ঘরে।
যার পূজা করত সবাই।
আপনার মন্তব্যের শেষের অংশ ভালো বুঝতে পারি নি!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভাই স্বপন।
স্বপ্ন বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের সময়কার চেয়ে উত্তম উর্বর সময় আর কখনো আসবে না!
ঠিকই বলেছেন এটা যুদ্ধের বিকল্প! একেবারে নীরব ঘাতক। হিন্দী ছবি ছাড়া আমাদের সমবয়সী ভাইয়েরা বিনোদন কল্পনাও করতে পারে না! তাদের অন্তরে কতোটা মনে ধরে গেলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে!
আপনার মুখ বাঁধা, কিন্তু ফ্রীডম শব্দটা দেখলে মনে আশা জাগে!
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
আরো ভালো লাগলো যখন জানতে পারলাম আমার লিখা আমার খুব ভালো লেগেছে।
ভাললাগা অব্যাহত রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নেবেন।
পাঠকের ভাললাগা লেখকের লিখাকে অনেক বেশি ক্ষুরধার করে তুলতে সহায়তা করে, আমার ক্ষেত্রেও তাই হবে, সে আশাতো করতেই পারি!
প্রোফাইলে ছবিটার কার, জানালে খুশি হতাম!
আল্লাহ্ আপনাকেও সকল কাজের বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান দিন।
মন্তব্যের খুব করে ধন্যবাদ নেবেন।
,ছোট সন্তানের নাম ইকরামা।
দোয়া করবেন ওদের জন্য।
আপনার পরিবারে সকলের জন্য দোয়া থাকলো।।
এটার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা উচিৎ।
আপনি যথার্থই বলেছেন,মঙ্গলযাত্রা কোনভাবেই বাংলাদেশী সংস্কৃতির অঙ্গ হতে পারে না।!
এই জন্যইই বলেছেই বাংলা সংস্কৃতি এক জগাখিচুড়িতে রূপ নিয়েছে, যার অধিকাংশই হিন্দী সংস্কৃতির দখলে। আর তাদের ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ মনে জমতে জমতে অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এই ধর্মটা একটা ফালতু সেকেল ব্যাকডেটেড ধর্ম!!!
অবশ্যই জনমত গড়ে তোলা সময়ের দাবী।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য, আবার আসবেন কিন্তু!
ইসলাম যে কোনো সাষ্কৃতির ততটুকুই অনুমোদন করে,যতটুকুতে শরীয়তের বাধা নেই। মূর্তি নিয়ে মিছিলের বিষয়টি যদি পহেলা বৈশাখের ক্ষেত্রে শিরক হয়ে থাকে, তবে নারী-পুরুষের ব্যপক ও অবাধ মেলামেশার ওই দিবসটিকে ইসলামের পরিভাষায় কুফরি না বলে উপাই নেই। হ্যা পান্তাভাত,ইলিশ এটাকে সাপোর্ট করা যায়,কিন্তু সেটার খাওয়ার জন্যে যে ধরনের আয়োজন ও অনুষ্ঠান তা ইসলাম সাপোর্ট করেনা। আমাদের দেশে হালখাতার প্রচলন ছিল,সেটা বেশ দারুন ব্যাপার। গ্রামে মেলাও বসত। সেসব বিষয় আর এখনকার মোডিফায়েড বাংগালী কালচার এক নয়। ধন্যবাদ উপযুক্ত বিষয় তুলে এনেছেন।
ভাই আমার, আপনি এই কথা কোথা থেকে কোট করলেন? আমার কোন অংশ এই কথাটা কি আছে?
বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতি, তাতো পালন করবেই, সেখানে যদি এমন কোন কাজ হয়য় যা ইসলাম স্বীকৃত নয়, তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আগে মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না, ছিল না ছায়ানটের ভন্ডামীপনা, ছিল না এখন কার মত পোশাকে আশাকে বেহায়াপনা, এগুলো সবই নতুন সংযোজন! যা ইসলামের সাথে কোনোভাবেই যায় না!
ইসলাম যে কোনো সাষ্কৃতির ততটুকুই অনুমোদন করে,যতটুকুতে শরীয়তের বাধা নেই। মূর্তি নিয়ে মিছিলের বিষয়টি যদি পহেলা বৈশাখের ক্ষেত্রে শিরক হয়ে থাকে, তবে নারী-পুরুষের ব্যপক ও অবাধ মেলামেশার ওই দিবসটিকে ইসলামের পরিভাষায় কুফরি না বলে উপাই নেই।
এই কথাগুলোর সমালোচনাতো আমিও করেছি, না কি করিনি?
সেটার খাওয়ার জন্যে যে ধরনের আয়োজন ও অনুষ্ঠান তা ইসলাম সাপোর্ট করেনা।
সহমত!!!!! আমি উল্লেখ করেছি, জনসমাগমে লাজলজ্জার মাথা খেয়ে কেন বেরিয়ে আস্তে হবে!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
ইসলাম কি বাঙালি সংস্কৃতির অন্তরায়? অবশ্যই না। প্রত্যেকটি জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, বাঙালিরও থাকবে স্বাভাবিক। কিন্তু ইসলাম যদি বাঙালি সংস্কৃতির অন্তরায় না হয় তাহলে তার অনুসারীরা মেলায় বোমা হামলা করে কেন? তাদের ভয়ে মেলা প্রাঙ্গন নিরাপত্তা বলয় দ্বারা ঘিরে ফেলা হয় কেন? ইসলাম বিরোধীরা এমন প্রশ্নই করে থাকে, উদ্দেশ্য ইসলাম কে বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। একটা জিনিস পরিষ্কার হওয়ার দরকার। বাঙালি সংস্কৃতি পালন করেছে এই জন্যই কি হামলা হয়েছে? না কি বাংলা সংস্কৃতির নামে ইসলামে অন্যায় বলে স্বীকৃতি কাজ যেমন মূর্তি নিয়ে শোভা যাত্রা যা ১৯৮৯সালের আগে ছিল না!!!!!! মূর্তি নিয়ে নাচানাচি হিন্দুদের কাজ! তারপর নাচ, গান, বেপর্দায় নারীদের অবাধ বিচরণ, গায়ে মুখে উল্কি আঁকা ইত্যাদি কারণেই হামলা হয়েছে? শেষোক্ত কারণেই হামলা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বাঙ্গালী সংস্কৃতির পালনের কারণে নয় নয় নয় নয় নয়!!!!!! এইসব ব্যতিত বৈশাখ পালন হোক, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বোমা হামলাতো দূরে থাক, হামলার আশংকাও মনে আসবে না!
আমার বুঝতে ভুল হতে পারে। দু:খিত ভাই
অধিকাংশ শহুরে বাংলাদেশী বাংলা বারো মাসের নাম জানে না, যারাই ঘটা করে এসব সংস্কৃতির আয়োজন করে একটু প্রশ্ন করা হলে বৈশাখের আগের আর পরের মাসের নাম কি এটার উত্তর বোধকরি দিতে পারবে না!
আসছে দিনে পালনীয় ইসলামের বিপরীত সংস্কৃতি থেকে ভাই বোনদের জন্য সতর্কীকরন পোস্টটির জন্য শুকরিয়া!
আমরা ছিলাম এক অপমানিত জাতি। আল্লাহ্ ইসলামের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত করেছেন। আমরা যদি ইসলাম ব্যতীত অন্য কিছুর মধ্যে সম্মান খুঁজতে যাই, আল্লাহ্ আমাদের আবার অপমানিত করবেন।"-উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু । আশাকরি আমরা সবাই ইসলামী শরীয়ার আলোকে আনন্দ বিনোদনের মাধ্যমেই ণিজেদের সীমাবব্ধ রাখব!
জাযাকাল্লাহু খাইর ! ছুটির ব্যস্ততম দিনগুলো পার করা শেষ হচ্ছে, তাই কিছুটা অনিয়মিত! দোআ করবেন!
সময় খারাপ, এই লিখা দিয়েই সতর্ক করতে হচ্ছে! পারছি না, সে হাদিসের বাস্তবায়ন করতে, 'অন্যায় দেখলে হাত দ্বারা বাধা দান করো, সম্ভব না হলে মুখ দ্বারা করো, তাও যদি সম্ভব না হয়য় তাহলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করো! শেষ পন্থাই বেছে নিতে হচ্ছে! হতাশ নই, আশা রাখি, একদিন হাত দ্বারা প্রতিহত করার মত সুদিন আসবেই!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, শত ব্যস্ততার মাঝেও আসলেন, মন্তব্য করে ভালোবাসা রেখে গেলেন।
আপনার মন্তব্যটি খুবই প্রেরণাদায়ক! প্রেরনা আমার লিখার হাতকে প্রতিনিয়ত গতিশীল করতে সহায়তা করে যাচ্ছে।
জী, আমার লিখা দ্বারা মানুষ উপকৃত হবে, এই উদ্দেশ্যে লিখাটি, তাই যেনো হয়য়।
আমার জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ্ যেনো কবুল করেন। আমিন।
সুন্দর মন্তব্যটির অনেক অনেক শোকরিয়া।
আপনার দোয়ার সাথে আমিন
আমিও আপনার সাথে বলতে চাই, পসংষ্কৃতি ও অনৈসলামিক কাজ বন্ধ হোক৷
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এসেছেন এবং মন্তব্য করে আমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা অব্যাহত রেখেছেন।
জী যথার্থই বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্ম এবং সংস্কৃতি দুটোরই এখন একই দশা। যা চরম হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে মুমিন ব্যক্তির জন্য, অথচ মুমিন ব্যক্তির জন্য হতাশা শোভা পায় না। এইসব অনাচার দেখলে নিজেদের খুব সংখ্যালঘু মনে হয়, তবুও এইসব থেকে বিরত থাকতে পারলে যে আমরাই আখেরে সব আনন্দ উদযাপন করব, তারা শুধু অসহায় চোখে দেখবে এবং আফসোস করবে।
ধন্যবাদ আপনাকে সংক্ষিপ্ত অথচ জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যটি করার জন্য।
তবে.... ভন্ডামী হিসাবে!!
তুমি আমি কি আল্লাহর কাছে ভন্ড হিসেবে গৃহিত হতে চাই? নিশ্চয়ই জবাব হিসেবে না না এবং না।
তাহলে বাঙ্গালী সংস্কৃতির নাম ভেঙে মুর্তি মাথায় নিয়ে মঙলশোভা যাত্রা যাত্রী.....!!!!নিজেদের মানুষ পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে ছিঃছিঃ।
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব কেনো বানালেন? কুসংস্কৃতি গ্রহণ করার জন্য? নিশ্চয়ই না।
আমরা মুসলিম হিসাবে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বাইরে যেতে পারিনা, আমাদের ইসলামী সংস্কৃতির ভিতরে থেকে নিজের জীবনকে সুন্দর ও আখেরাত মুখী করে গড়ে তুলতে হবে।
সময় উপযোগী পোস্টটি, দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আহাম্মকের দল এই কথাতেও বলবে, দাঁড়ান, ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে!
ওরা যতোটা না মানুষ/মুসলমান তার চাইতেয়া বেশি বাঙ্গালি!!!! আমি আপনি বাঙালি হতে পারি নাই তাই আমাদের মূর্তি মাথায় নিতে অস্বস্তি বোধ হয়য়।
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব কেনো বানালেন? কুসংস্কৃতি গ্রহণ করার জন্য? নিশ্চয়ই না।
অপসংস্কৃতি সব সময় বেশি সুন্দর বেশি চটকদার দেখায় তাই তারা ভেবে নেয়, তারা সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে নিশ্চয় খারাপটা গ্রহণ করছে নয়া!
আমরা মুসলিম হিসাবে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বাইরে যেতে পারিনা, আমাদের ইসলামী সংস্কৃতির ভিতরে থেকে নিজের জীবনকে সুন্দর ও আখেরাত মুখী করে গড়ে তুলতে হবে।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লিখাটিকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার জন্য।
মন্তব্যের আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন