চৈতালীর পৃথিবী, নেই বিশালতা, ঘিরে আছে সংকীর্ণতা

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:৩২:৪৫ সকাল





চৈতালী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে বিয়ের পীড়িতে বসে। বর ব্যাংকে জব করে। সকালে বিদায় দিয়ে সন্ধ্যা অবধি বরের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকে। নতুন বিয়ে। স্ত্রীর মন পড়ে থাকে বরের কাছে আর বরের পড়ে থাকে স্ত্রীর কাছে। বউ ঘরে বসেও অফিস করে আবার বর অফিসে থেকেও স্ত্রীর শাড়ির আঁচল ধরে টানাটানি করে। ঘন্টায় ঘন্টায় ফোন। অফিসের সহকর্মীরা টিপ্পনি কাটতে ছাড়েনা। তবে পরিবর্তন আসতে সময় লাগেনা। ধীরে ধীরে রাগিবের অপ্রতিরোধ্য টান দুর্বল হতে থাকে। আগের মত কথা বলতে পারেনা। কাজের ভীরে তাগিদটা আগের মত আসেনা। চৈতালী বাসায় একা। সারাদিন ছটপট করে কখন আসবে প্রাণের স্বামী। ফোন করে, জবাব আসে ব্যস্ত, পরে কথা বলছি।

অফিস থেকে ফিরলেই অভিমান ভরা কন্ঠে জিজ্ঞেস করে আমাকে একটা বার কল দেয়ার সময় কি তোমার কি হয়না!

রাগিবঃ ইচ্ছে ছিল, পারিনি। খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। অবসর পাইনা। ক্ষমা কর লক্ষিটি।

চৈতালীঃ একা থাকি। কেউ নেই কথাবলার। তুমিও কল দাওনা। আমার কি খারাপ লাগেনা!

রাগিবঃ ব্যাংক জব এমনই। তোমার কষ্ট হয় বুঝি। সারাক্ষণ হিসেব নিয়ে পড়ে থাকা, একটু ভুল হলেই সব ভুল। ফাইন দিতে হয়। দম ফেলার ফুরসত নেই। মানিয়ে নাওনা প্লিজ!

চৈতালীর ভাল লাগেনা। একদিন স্বামীর গলা জড়িয়ে ধরে বলে, আচ্ছা আমি যদি চাকুরি করি কেমন হবে? সময় কেটে গেল, একা থাকতে হলনা, কিছু টাকাকড়িও পাওয়া গেল।

রাগিব শোয়া থেকে উঠে বসে। তুমি চাকুরি করবে! আমার চাকুরিতে পোষায়না?

চৈতালীঃ তা নয়। একা থাকা বরিং! সময় কাটানো আরকি। ছোটখাটো একটা চাকুরি হলেই হবে। তাছাড়া আমার উচ্ছ শিক্ষা বৃথা যেতে দেয়া কি ঠিক হবে? রাজি কিনা বল?

রাগিবের মন সায় দেয়না। ঘরের বউ যাবে অফিস আদালতে! পুরুষ কিসের জন্য। আবার ভাবে, ঠিকিইতো, সারাদিন বাইরে থাকি। সময় দিতে পারিনা। বোবা হয়ে পড়ে থাকে। বেচারী! করুক না চাকুরি, অনেক মেয়েইতো করে।

রাগিবঃ অনুমতি দিলাম।

একটা এনজিওতে চৈতালির চাকুরি হয়। পেশাজীবন শুরু। কলিগরা সবাই বন্ধুভাবাপন্ন। কাজের চাপ তত নেই। গল্প করেই কেটা যায়। মাঝে মাঝে অবশ্য চাপ বেড়ে যায়। অফিস থেকে ফেরে রান্না বান্না চৈতালীই করে। রাগিব মাঝে মধ্যে হেল্প করে। তবে সবসময় পেরে উঠেনা। খেয়ে ধেয়ে ঘুম। সকালে উঠে চৈতালী নাস্তা বানায়। খেয়ে আবারও কর্ব্যস্ততা শুরু। এভাবেই চলতে পারত জীবন। বাধ সাধে অন্য কিছু। জীবনযাত্রার স্বাভাবিক গতিধারা ব্যহত হয়।

রান্না বান্না চৈতালিকেই করতে হয়। ক্লান্ত দেহে ঘরে ফিরে রান্না করা ভাল লাগেনা। রেডিমেট খাবার হলেই ভাল। মেজাজ খিট খিটে হয়ে যায়। রাগিবের অনুরোধগুলো এখন তার কাছে আদেশ-হুকুম মনে হয়ু, যেমন, চৈতালী, চা দাও। টেবিলে খাবার দাও। বিছানা ঝেরে দাও। কাপড়্গুলো ধুয়ে আওয়রন করে রাখ। ভাবনায় হাজারো ক্ষোভের জন্ম নেয়। আমি তার স্ত্রী-দাসী নই যে সে কেবল হুকুমের উপর রাখবে! প্রথম দিকে রাগিব হেল্প করতে চাইলে বলত তুমি রান্নাঘরের দিকে আসবানা। আমি আছি কিসের জন্য! সামান্য রান্না করে খাওয়াতে পারবনা! আর এখন রাগিব কেন রান্না ঘরে আসেনা তা নিয়ে মনে অভিযোগের পাহাড়। রাগিব হেল্প করে না যে তা নয়, বরং করে এক আধটু, কিন্ত চৈতালীর কাছে তা যথেষ্ট মনে হয়না।

একদিন মুখের সামনেই বলে ফেলে, তুমি অফিস কর, আমিও করি। ক্লান্ত তুমি হও আমিও হই। তাহলে ঘরের কাজগুলো কেন শুধু আমাকেই করতে হয়।

রাগিবঃ চাকুরি করার খুব শখ হল, এখন সামলাও সব দিক।

চৈতালীঃ আমি তোমার বান্দী-দাসী নই। বয়ে গেছে সব সামলাতে। আজ থেকে ভাগাভাগি করে কাজ হবে। তুমি সকাল দুপুরের জন্য আর আমি রাতের জন্য রান্না করব।

রাগিবঃ আমি রান্না করলে খাওয়া লাগবেনা। তবু অখাদ্যই যদি খেতে চাও, খাওয়াব।

সেদিন থেকে সকাল বিকাল খুঁটি-নাটি বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হত। বাসা নয় যেন নরক। চৈতালীর অফিসে গেলেই সস্তি মিলত। কলিগদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। নাম রুদ্র। বিয়ে করেনি এখনও। চেহারায় আভিজাত্যের চাপ আছে। মিশুক। ইদানিং চৈতালীর মাঝে কিছুটা আনমনা ভাব দেখতে পেয়ে রুদ্র জিজ্ঞেস করে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। প্রথমে বলতে চায়না। অনেক পীড়াপিড়িতে জানায় তাদের দাম্পত্য কলহ চলছে। রুদ্র কৌতুহলি হয়ে উঠে। চৈতালী ভাবে ঘরের কথা টেনে বাইরে টেনে আনার দরকার কি। কিন্তু রুদ্র শোনবেই। তাই তাকে বলতেই হল।

চৈতালীঃ বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। আমার জন্য সে নিবেদিত প্রাণ ছিল। চোখের আড়াল হলে যেন পাগল হয়ে যেতো। যতক্ষণ পাশে থাকত, দুষ্টমি খুনসুটিতে মেতেই থাকত। আমার ছোটখাট চাওয়া পাওয়া তার নজর এড়াতোনা। এখন যেন সে অন্য এক মানুষ! অনেক পালটে গেছে। দিনে একবারও ফোন দেয়না। আমি ফোন দিলেও ব্যস্ততা দেখায়। শুধু কাজ, আমি যেন কিছুই না। অফিস থেকে এসে খেয়ে ধেয়ে কিছু হুকুম তালিম করে ঘুম। আমাকে আদর-সোহাগ দেওয়ার দিকে কোন খেয়াল নেই। কালে-ভদ্রে খুব কাছাকাছি আসে। যা আমার জন্য যথেষ্ঠ মনে হয়না। আমি যে তার কাছে আরো বেশি চাই। তাকে দেখে মনে হয় ঝগড়ার জন্য একজন সঙ্গী দরকার ছিল, আমিই তার সেই।

রুদ্রঃ ভীষণ খারাপ লাগল। পাহাড়সম দুঃখ বয়ে বেড়াও। এই বন্ধুটাকে জানালে কি এমন ক্ষতি হতো। আচ্ছা, তুমি কি মনে কর, তার সাথে সংসার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব?

চৈতালীঃ সম্ভব নয়। তাছাড়া অন্য উপায় কি জানা নাই।

রুদ্রঃ দেখ, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা না থাকলে এক ছাদের নিচে থাকা গেলেও সুখী অন্তত হওয়া যায়না। তোমাদের মধ্যে ভালবাসা অবশিষ্ট্য নেই। এইভাবে থাকা যায়না। এভাবে লাইফ চলেনা। বরং অশান্তির আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হওয়া। বিকল্প কোন সমাধান চাও?

চৈতালীঃ সত্যি এভাবে লাইফ লীড সম্ভব নয়। তো বিকল্প কি?

রুদ্রঃ তাকে ছেড়ে দাও। অন্য কাউকে গ্রহণ কর।

চৈতালীঃ আমি তার বিবাহিত স্ত্রী। ছেড়ে দেয়াতে কি সমাধান? কিভাবেই বা সম্ভব।

রুদ্রঃ সে তোমাকে লাভ করেনা। দাসীর মত খাটায়। দুর্ব্যবহার করে। তোমার বিবির্ণ চেহারা তার প্রমাণ। বিয়ে একটা চুক্তি মাত্র। কলহ সত্ত্বেও সারাজীবন একসাথে থাকার মানে হয়না। ছেড়ে যাবার অনুমতি আছে। তাকে ডিভোর্স দাও।

চৈতালীঃ আচ্ছা তালাক দিলাম। তারপর আমার কি হবে? আমার মত বিবাহিত মেয়েকে কে বিয়ে করবে?

রুদ্রঃ আমি। আমিই দেব সব সমাধান। অবসান করে দেব সব যন্ত্রণার।

চৈতালী শক খেলো। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। ভুল শোনেনিতো! তবে কি রুদ্র আমায় এতো দিন ধরে ভালবাসত? লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে উঠে। অবাক চোখে তাকায় রুদ্রের দিকে। মাথা নেড়ে সায় দেয় রুদ্র, হা আমি!

পরে জানাবে বলে সেদিনের মত উঠে পড়ে। বাসায় এসে হিসেব কষতে থাকে। কেমন হয় রুদ্রকে বিয়ে করলে। আমার সকল চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করার মত সুপুরুষ বটে। যে সুখের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, সেই দিতে পারে সুখ। সেই আমার উপযুক্ত।

পরক্ষণে অনেক নেতিবাচক চিন্তাও মাথায় ভীড় করে। তবে শেষটায় রূদ্রকেই বিয়ে করবে বলে স্থির করে।

পরের দিন হ্যাঁ বলে।

পুরোনোর নতুন শুরু-

তারপর পার্ক, উদ্যান, হোটেল রেস্তোরাঁ। কখনো কখনো রাগিবের আসার সময় নিশ্চিত হয়ে তার আগে রুদ্রকে বাসায় নিয়ে আসে। একদিন চৈতালী রুদ্রকে-

চৈতালীঃ লুকিয়ে লুকিয়ে আর কতকাল। এইবার ঘরে তুলে নাওনা! তোমাকে ছাড়া আমার একদম ভাললাগেনা। ঘরে তুলে সারাক্ষণ আদর-সোহাগ দিয়ে হৃদয় মন ভরে দাও। চল বিয়ে করি।

রাগিবঃ হুম, তবে আমাকে কিছুদিন ভাবতে দাও।

সারজীবনের জন্য একটা সিদ্ধান্ত। সবকিছু একটু ঘুছিয়ে নেয়া দরকার নয় কি?

সেদিন থেকে চৈতালী এক পা সামনে দিলে রুদ্র তিন পা পিছিয়ে যায়। রুদ্রের ভাবনায় আমূল পরিবর্তন আসে। সে ভাবে, বিবাহিত একটা মেয়েকে বিয়ে করব? যার সাথে অসংখ্যবার মিলিত হয়েছি, তার মধ্যে নতুনত্ব বলতে কিছু থাকবে? প্রথম মিলনে যে রোমান্স, তার সিকিপরিমানও তার কাছে পাব? যে মেয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়িয়ে আমার সাথে দেহ বিনিময় করছে, আমার ঘরে এসে আমাকেও ঘুম পাড়িয়ে অন্যের সাথে ধরা দেবে না তার গ্যারান্টি কি? অবিবাহিত ললনার দল আদাজল খেয়ে নেমেছে আমাকে পেতে। আমি কিনা অন্যের বিয়ে করা একটা ঘাওয়া মাল (অন্যের ব্যবহৃত স্ত্রী) ঘাড়ে নেব! তার সাথে মিলনে গেলেই রাগিবের কথা মনে পড়বে, কেমন করে সইব? না, আর নয়, চৈতালী থেকে দুরত্ব বজায়ে রাখতে হবে।

এদিকে রাগিব রাগে গড় গড় করছে। বাড়িওয়ালা ডেকে নিয়ে জানায় তার বউ প্রায় একজন যুবককে নিয়ে বাসায় আসে। জিজ্ঞেস করলে বলে রাগিবের ছোট মামা। অথচ রাগিবের কোন মামাই নেই। অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে রুদ্র নামে এক ছেলের সাথে তার অবৈধ প্রণয় চলছে। চৈতালী বাসায় আসলে এই নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয় দু'জনের মধ্যে। রাগের বশে চৈতালীর মুখে সত্যটা বেরিয়ে আসে। প্রেম করছি, বেশ করেছি, তোমার কি তাতে! তোমার মত স্বামী থাকলে করবনা তো বসে বসে আঙ্গুল চুষব? কোনো দিন ফোন করে খোঁজ নিয়েছ কেমন আছি। খবরতো রাখই না, বরং বাসায় এসেই হুকুমের উপর রাখ! এটাতো সংসার নয়, একটা নরক!

রাগিবঃ হা বেশ করেছ! পর-পুরুষের সাথে মেলামেশা কর, যা ইচ্ছা হয় কর, তবে আমার সাথে থেকে নয়, আমাকে ছেড়ে দিয়ে কর। আজ থেকে তুমি মুক্ত। সে ব্যবস্থাও করেছি। তোমাকে ডিভোর্স দিলাম!

আর হ্যাঁ, আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলে। এর পরিণাম ভাল হবেনা! চাকুরি করবে বলেছিল, আগ পিছ না ভেবে সরল বিশ্বাসে অনুমতি দিলাম। কলিগের সাথে জড়িয়ে সংসারে করুণ পরিণতি ডেকে আনলে। আমার কথা একবারও চিন্তা করলেনা! তোমাকে বকা দিতাম, সবসময় হেল্প করতে পারতাম না, মাঝে মধ্যে ঝগড়া করতাম, ব্যাংক জব মানুষকে যন্ত্র বানিয়ে দেয়। তাই কাজের ব্যস্ততায় ফোন দিতে পারতাম না। সবই সত্য। কিন্তু কখনো অবহেলা করিনি, ভালইবেসেছি। দূরে ঠেলে দেইনি বরং কাছেই রেখেছি। ঝগড়া করলে আমি তোমার মান ভাঙ্গিয়েছি। বকা দিয়েছি, সঙ্গে সোহাগও করেছি। দাম্পত্য জীবনে মান-অভিমান-ঝগড়া হয়। তাই বলে এইভাবে সমাপ্তি টানবে কল্পনাও করিনি। সীমাহীন কষ্ট দিলে। আমার হৃদয় ভেঙ্গে খান খান করে দিলে। ফল ভাল হবেনা। তুমি চরম পস্তাবে, মাইন্ড ইট!!!!

স্বামী ত্যাগ করেছে, তাতে কি, রুদ্রতো আছেই। ভরসার প্রতীক। চিন্তা কসের! অনেক আশা নিয়ে রুদ্রের দুয়ারে কড়াঘাত করে। এক বুক হতাশা নিয়ে খালি হাতেই ফিরে আসে। রুদ্র নানা অজুহাতে তাকে ফিরিয়ে দেয়। এহেন কঠিন বিপদের দিনে রুদ্রের ফিরে দেওয়া কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেনা। যার জন্য স্বামী-সংসার সব ছেড়ে দিলাম, সেই আজ দূরে ঠেলে দিল, বেঁচে থাকার অর্থ কি থাকে। পৃথিবীটা ক্রমেই সংকীর্ণ হতে থাকে। চারপাশে সবাই আছে তবু যেন কেউ নেই। সবাই যেন ঘৃণা ভরে তাকে প্রত্যাখান করছে। অশ্রু বাধ মানে না। টপটোপ করে পড়তে থাকে। শরীর অসার হয়ে আসে। চোখে সবকিছুই ঝাপসা লাগে। ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। কি করবে, কোথায় যাবে! একুল ওকুল সব কুলই গেল। থাকল কি তবে। কুল নাই, কিনার নাই, অথেই সাগর………

শিক্ষাঃ ১। ঘরের কথা বাইরে গেলেই সর্বনাশ! ২। সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। স্বামী-স্ত্রীর ভুল বুঝাবুঝি নেজেদেরই সমাধান করা উচিৎ। ৩। ছেলেরা বিবাহিত মেয়েদের ভোগ করতে চায়, বিয়ে নয়। ৪। মিষ্টি কথায় চিড়া ভেজে যায়। তাই বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক ছেলেদের আগ্রহ কমায়, মেয়েদের বাড়ায়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ভোগ করতে চাইলে মেয়েদের সতর্ক হওয়া জরুরী। ৫। মেয়েদের শুধু শখের বশে চাকুরী সংসারে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ৬। বউয়ের প্রতি বেশি বেশি ব্যস্ততা দেখালে অন্যগামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ৭। বউয়ের জৈবিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখা জরুরী, নয়ত চাহিদা মেটাতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

১৭৪৯ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

270159
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫১
কাহাফ লিখেছেন :


মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ছে পরকিয়া, নৈতিকতার অধঃপতন এর জন্য দায়ী।
ধর্মীয় মুল্যবোধ ও সামাজিকতার ভয় না থাকলেই এমন পথে পা বাড়ায় মানুষ।
সংসারের প্রতি আরো মনযোগী হতে হবে সবার।
বিশ্লষণ সহ উপস্হাপনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ.......
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২০
214251
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপ্নাকেও অনেক ধন্যবাদ । কষ্ট করে পড়েছেন বলে।
270163
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : পরকিয়া বিষ,এই বিষ থেকে আললাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২০
214252
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমিন
270221
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪০
আফরা লিখেছেন : রাকিবের বাবা , মা , ভাই বোন কোথায় ? একা থাকলে তো সময় কাটবেই না ।

যত সমস্যার মূল হল যৌথ পরিবার ভেংগে যাওয়ার ফসল ।

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২২
214253
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমিও তাই মনে করি। তবে বুঝতেই পারছেন তারা শহরে বাসা নিয়ে থাকে। বাবা মা গ্রামে থাকে।
আপনাকে ধন্যবাদ আফরা।
270266
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চাকুরী করলেই যে মেয়েরা পরকীয়ায় জড়াবে তা নয়;আবার চাকুরী না করেও অনেকেই অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। মূলকথা হল নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা এবং পারিপার্শ্বিক অব্স্হা।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৪
214254
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনি ঠিকি বলেছেন, ব্রডলি বলতে গেলে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাবই পরকীয়ার মত পাপাচারের কারণ। তবে আমি নেরলি একটি বিষয় দেখিয়েছি, এমন হবেই বলিনি, হতে পারে। যারা শখের বশে, সময় কাটানোর জন্য করে।
ধন্যোবাদ আপনাকে।
270312
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৩
আহ জীবন লিখেছেন : আফরা লিখেছেন : রাকিবের বাবা , মা , ভাই বোন কোথায় ? একা থাকলে তো সময় কাটবেই না ।

যত সমস্যার মূল হল যৌথ পরিবার ভেংগে যাওয়ার ফসল ।

চাকুরী করলেই যে মেয়েরা পরকীয়ায় জড়াবে তা নয়;আবার চাকুরী না করেও অনেকেই অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। মূলকথা হল নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা এবং পারিপার্শ্বিক অব্স্হা।

এই সমস্যা দুটির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন খুব বেশি।

সময় যখন কাটেনা তখন ধর্মীয় বই পরলেও পারে। বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ করতে পারে। সন্তান নিলে বড় কোনও সমস্যা হয় না।
০১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:১০
214414
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ফাতিমা মারিয়াম, আফরা এবং আহ জীবন আপ্নারা সবাই যথার্থই বলেছেন। আপনার মন্তব্যগুলো আমার লিখায় গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। অনেক অনেক ধন্যোবাদ আপনাদের তিনজনকে।
270315
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৮
আহ জীবন লিখেছেন : আফরা লিখেছেন : রাকিবের বাবা , মা , ভাই বোন কোথায় ? একা থাকলে তো সময় কাটবেই না ।

যত সমস্যার মূল হল যৌথ পরিবার ভেংগে যাওয়ার ফসল ।

ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চাকুরী করলেই যে মেয়েরা পরকীয়ায় জড়াবে তা নয়;আবার চাকুরী না করেও অনেকেই অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। মূলকথা হল নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা এবং পারিপার্শ্বিক অব্স্হা।

এই সমস্যা দুটির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন খুব বেশি।

সময় যখন কাটেনা তখন ধর্মীয় বই পরলেও পারে। বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ করতে পারে। সন্তান নিলে বড় কোনও সমস্যা হয় না।


প্রথম দুটি কমেন্ট মুছে দিবেন দয়া করে।

দুটো তে দুটো ভুল করেছি তাই।
270369
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:৪৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : দুঃখজনক হলেও বাস্তবে তাই হচ্ছে আজ! আল্লাহ সকলকে সঠিক পথে থাকার তৌফিক দিন! Good Luck

আশাকরি নিয়মিত লিখবেন Good Luck Praying
০১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
214415
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যোবাদ সাদিয়া মুকিম। আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস অব্যাহত আছে। আপনার দোয়া তা চালিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে আশা করি।

আপনার সুরেই বলছি, আল্লাহ আমাদের সবাইকে সদা সর্বদা সঠিক পথে থাকার তাওফিক দান করুন।
270399
০১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৭:২২
বুড়া মিয়া লিখেছেন : যেসব মেয়েরা স্বামীর বাড়ির কাজ করতে গেলে নিজেকে দাসী মনে করে; আমি মনে করি তাদের সবার তালাকের জন্য আবেদন করা উচিৎ - এরপর যা খুশি তা করুক গিয়ে পথে ঘাটে!
০১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
214416
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জী, ঠিক বলেছেন। তবে স্বামীর খেয়াল রাখতে হবে তার হুকুম গুলো যেন দাসীদের প্রতি করার ন্যায় না হয়ে যায়
ধন্যবাদ বুড়া মিয়া।
270860
০২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বিয়ে করেই যদি বউকে বাচ্ছা ধরিয়ে দেয়া যায়, সব ঝামেলা শেষ। না হয় বাড়তি ভালবাসা দিতে হয়। সব পুরুষ ভালবাসা জানেনা। জানেনা গরু থেকে হালচাষ, বাচ্ছা, দুধ সব কিছু নিতে হলে কিভাবে দেখবাল করতে হয়। পুরুষদের অনেকেই বউ পালার যোগ্যতা রাখেনা। বউ পালার বড় যোগ্যতা হল ব্যবহার। ধৈর্য্য। ন্যায় বিচার। বউ নামের মানুষটিকে চার দেয়ালে না রেখে তাকে বুঝতে চেস্টা করা।

ধন্যবাদ। আপনার বাস্তবধর্মী শিক্ষাটা চমতকার। এমনই হয়। হচ্ছে। হবে। বউ চাকুরী করতে সমস্যা নেই। কিন্তু শৃগারের কাছে মোরগ বাগা দেয়ার মত চাকুরী স্বামী দেবে কেন?
০৩ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৬
215224
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : "বাড়তি ভালবাসা দিতে হয়। সব পুরুষ ভালবাসা জানেনা। জানেনা গরু থেকে হালচাষ, বাচ্ছা, দুধ সব কিছু নিতে হলে কিভাবে দেখবাল করতে হয়। পুরুষদের অনেকেই বউ পালার যোগ্যতা রাখেনা। "

"বউ চাকুরী করতে সমস্যা নেই। কিন্তু শৃগারের কাছে মোরগ বাগা দেয়ার মত চাকুরী স্বামী দেবে কেন?"

যথার্থই বলেছেন। আপনার কমেন্ট অনেক বেশি ভাল লেগেছে। দোয়া করবেন আল্লাহ আমাকেও যেন বউ পালার তাওফিক দেন।
ধন্যবাদ মজুমদার ভাই।
১০
270969
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৪০
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : চাকরি করলেও সমস্যা না করলেও সমস্যা। অফিসে থেকে ঘরের খোঁজ রাখবেন ক্যামনে। সবচেয়ে ভাল হয় সবার ঘরে বউদের উপরে নজর রাখার জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা ফিট করা। এতেও আবার সমস্যা। ধরেন,আপনার অফিস ঢাকার উত্তরায় থাকেন বাসাবো। ক্যামেরায় কিছু দেখলে আসতে কতক্ষন লাগবে চিন্তা করছেন! Thinking Rolling Eyes Sad Angel Good Luck
০৩ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
215225
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মজা পাইলাম, আবার দুশ্চিন্তায় ও পড়ে গেলাম, তবে সমাধান কিসে!!!! কেবল হতাশার বাণী শুনি কেনে!
১১
271287
০৪ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৩
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন :
রাগিবঃ হুম, তবে আমাকে কিছুদিন ভাবতে দাও। সারজীবনের জন্য একটা সিদ্ধান্ত, সবকিছু একটু ঘুছিয়ে নেয়া দরকার নয় কি?


এখানে রাগিবের যায়গায় মনে হয় রুদ্র

সব মিলিয়ে গল্পটা দারুন। মরালগুলো বাস্তবধর্মী।
০৪ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৪২
215430
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ মিজান ভাই। রাগিবের জায়গায় রুদ্র হবে।
ভাল লাগল আপনার কমেন্ট। প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
১২
311681
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:০৯
ভোলার পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো
২১ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৫
304178
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File