জানতে চাই, ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণের সঠিক ব্যাখ্যা কি এবং প্রয়োগ কিভাবে?

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:০৫:৪৪ দুপুর



কেও গোজামিলের আশ্রয় নেবেন না। যাদের ভাল ধারণা আছে তারা আমাকে বিস্তারিত জানার সুযোগ দিবেন আশা করি। আসলে বর্তমান সময়ে বিষয়টা খুব গুরুত্বের দাবী রাখে, অনেক পড়াশোনা করেও সদুত্তর পাইনি, এমন অনেক মাওলানা, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীর কাছ থেকে জেনেছি , যাদের ব্যাখ্যা ভাল লেগেছে, কিন্তু কথা আর কাজে যেন মিল খুঁজে পাচ্ছিনা। বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ ঢালাওভাবে জায়েজ নেই, বিশেষ অবস্থায় জায়েজ, কিন্তু ইসলাম জানা আর না জানাদের সবার ঘরেই দুই অথবা একটা সন্তান দেখি তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে তবে কি তারা জন্মনিন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করছেন?নাকী এর বেশি সন্তান জন্মদানে সক্ষম নন? আসলে বিশেষ অবস্থাটা কি, কতটুকু তার পরিধি?

আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু জানি তা হল, স্ত্রীর মৃত্যুঝুকি অথবা বড় ধরণের অসুস্থতার আশংকা থাকলেই কেবল জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়, অন্যথায় নয়। দারিদ্রতার ভয়ে তো করাই যাবেনা। ভ্রুন হত্যা হারাম, কিন্তু বীর্য স্ত্রী গর্ভে না গেলে অর্থাৎ প্রতিরোধকের মাধ্যমে তা বাহিরে ফেললে ভ্রুন তৈরি হবেনা, যাকে আরবিতে আযল বলা হয়, তা ঢালাওভাবে করা অথবা দারিদ্রতার ভয়ে করা জায়েজ কিনা?

আমি খুব কনফিউইজড! রাসূল (সঃ) আযল কে উতসাহিত করেন নি, না জায়েজ ও করেন নি বরং নিরুতসাহিত করেছেন। তার মানে হল, খুব বেশি প্রয়োজনে করা যেতে পারে। অন্যোথায় নয়। কিন্তু সবার ঘরেই যদি দুই একটা সন্তান থাকে, তবে কি সবার স্ত্রীর অসুস্থতার ঝুকি আছে? নাকি বেশি সন্তান নিলে সমাজে মান সম্মান থাকবেনা এই ভয়ে? আসল কারণ টা কি? নাকি আমরা জেনেও দিনের পর দিন হারাম কাজ করে যাচ্ছি?

ভাল জানেন এমন কেও দয়া করে আমাকে বিস্তারিত জানাবেন।

বিষয়: বিবিধ

২০৮৬ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

269147
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম শ্রদ্ধেয় সালাউদ্দিন ভাইয়া। অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি লিখা উপস্থাপনার জন্য জাযাকাল্লাহ। বিজ্ঞজন আপনার জিজ্ঞাসা নিবারণে এগিয়ে আসবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
212903
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম। প্রথম কমেন্ট আপনার! আমার কি যে ভালো লাগছে! আপু আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।
269169
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
আফরা লিখেছেন : আসলে এই প্রশ্নটা আমার ও আমি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে দেখেছি একমাত্র ইংল্যান্ড ছাড়া বেশীর ভাগ ইসলামী পরিবার গুলিতেও ১/২ টার বেশি বাচ্চা নেই । আপনাকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি উপস্থাপনার জন্য আশা করি বিজ্ঞ কোন আলেম সঠিক জবাব দিবেন ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪০
213262
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। বিজ্ঞজনেরা উত্তর দেয়া শুরু করেছেন, আবার ঢু মেরে পড়ে নিন।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৫৬
214554
আবু জান্নাত লিখেছেন : অনেক আলোচনা হয়েছে, অনেক জানাও হয়েছে, আমি আরেকটি কারণ উল্লেখ করবো।
আমার মেয়ে জন্মের পর আমার এক ডাক্তার বন্ধু আমাকে গোপনে বললেনঃ আপনার মেয়েকে হামের টিকা, পোলিও ইত্যাদি জাতিয় ফ্রি ভিটামিন থেকে দূরে রাখবেন, কেননা এইগুলো ইহুদি খৃষ্ঠানদের চালাকি, মুসলমানদের সন্তান যেন কম হয়, সন্তান যেন সিজারে হয়, এ নিয়ে তারা অনেক গবেষণা করে, এরই উপকরণ হিসাবে বিভিন্ন টিকা শিশুকাল থেকেই মুসলমান ছেলে মেয়েদের পুশিং করা হয় বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির অজুহাতে, আবার মেয়েরা যখন সাবালেগা হয় তখন স্কুলভিত্তিক হাইস্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন টিকা দেওয়া হয়, উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। ডাঃ সাহেব আমাকে উদাহরণ হিসাবে বললেন দেখুন আগের যুগে কোন মাকে পেট কাটতে হতো না, বা গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতো না। গর্ভাবস্থাকে মহিলারা লজ্জা লজ্জা ভেবে ঘরে ঘরে সবকিছু সেরে ফেলতেন। এখন গর্ভাবস্তায় সকাল বিকাল ডাক্তার, কারণ তো একটাই, বিয়ের আগে স্কুলে টিকা দিয়ে তৈরী করে রেখেছে। দেখুন কোন গরু ছাগল কুকুর বিড়াল ইত্যাদি কোন পশুর আজ পর্যন্ত পেট কাটতে হয় না। তাহলে আশরাফুল মাখলূকাত মানুষকে কেন কাটতে হবে?। কারণ একটাই, ইয়াহুদিদের চাক্রান্তের বাস্তবায়ন।
269171
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৮
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪১
213263
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : থাক চিন্তা করে মাথাইয় টাক করার দরকার নাই!!!! নিশ্চিন্তে থাকুন।
269172
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫২
মোঃ আবু তাহের লিখেছেন : বিস্তারিত না বলে আমি শুধু দুইটা বইয়ের নাম বলছি আশা করি সেখানে সমাধান পেয়ে যাবেন। ১. জন্ম নিয়ন্ত্রণ- সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী (রঃ)
২. যুক্তির কষ্ঠিপাথরে জন্মনিয়ন্ত্রণ- অধ্যাপক গোলাম আযম
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
213264
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ! আমি পড়েছি একটা, কিন্তু বাস্তবিক প্রয়োগে সন্তুষ্ট নই।
269182
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৫
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এর কোন উত্তর আমার জানা নেই ..., তবে আমারও মনে হয় জেনে-শুনেই আমরা নিযুক্ত আছি এরকম মোহে ...
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৫
213266
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমার এই খানে, আমরা বেশি আধুনিক হতে গিয়ে, যুগের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে হারাম করে বসছিনাতো????
ধন্যবাদ বুড়া মিয়া।
269195
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭
আবু সাইফ লিখেছেন :
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য!

বিভিন্ন পুস্তকে আপনি অনেক কথা পাবেন/পেয়েছেন, শরয়ী দিকটা বুঝতে সেসব আপনাকে সাহায্য করবে নিঃসন্দেহে!

কিন্তু যা পূরোরুরি পাবেন না বা পেলেও বুঝতে অসুবিধা হবে/হয়েছে আমি তার উপরে সামান্য আলোকপাত করতে চাই!

আমার সীমিত জ্ঞান ও পর্যবেক্ষণ দিয়ে আসলে আপনার প্রশ্নের জবাব ও কৌতূহল নিবৃতকরণে সামান্য প্রয়াস-

কেও গোজামিলের আশ্রয় নেবেন না।......


বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ ঢালাওভাবে জায়েজ নেই, বিশেষ অবস্থায় জায়েজ, কিন্তু ইসলাম জানা আর না জানাদের সবার ঘরেই দুই অথবা একটা সন্তান দেখি তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে তবে কি তারা জন্মনিন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করছেন?নাকী এর বেশি সন্তান জন্মদানে সক্ষম নন? আসলে বিশেষ অবস্থাটা কি, কতটুকু তার পরিধি?




(১)জন্মনিয়ন্ত্রণ ঢালাওভাবে জায়েজ নেই, বিশেষ অবস্থায় জায়েজ
>>আমার জ্ঞানমতে সঠিক

(২)কিন্তু ইসলাম জানা আর না জানাদের সবার ঘরেই দুই অথবা একটা সন্তান দেখি তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে...

>> এর কয়েকটি কারণ হতে পারে-

(ক)বিশেষ অবস্থায় জায়েজ এর কারণ আছে- যা বাইরে থেকে জানা সম্ভব নয়; ঘণিষ্ঠ হলে জানা যায়!

কারণগুলো হতে পারে-
Starপ্রথম সন্তান জন্মদানকালে বা অব্যবহিত পরে এমন মেয়েলী সমস্যা যার পরে আর সন্তানধারণ সম্ভব নয়
Starপ্রথম সন্তান সিজারিয়ান হওয়ায় দীর্ঘবিরতি অত্যাবশ্যকীয় হওয়ার ডাক্তারী পরামর্শ! এক্ষেত্রে পরবর্তী জটিলতায় গর্ভধারণে অক্ষমতা বা চরম ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়া!
Starপ্রথম (এবং দ্বিতীয়) সন্তান জন্মদানের পর মহিলার শারীরিক(ও মানসিক) অক্ষমতা- অপুষ্টি বা মেয়েলী রোগের কারণেও হতে পারে!

(খ)আবার অনীহাও হতে পারে! সেক্ষেত্রে আরো সন্তানের জন্য পুরুষের হাতে দুটি পথ- ২য় বিবাহ করা ১ম স্ত্রীকে রেখে অথবা বিদায় করে! উভয়টির বাস্তব সমস্যাগুলো ভেবে দেখুন!


ইসলাম কখনোই জীবনকে কঠিন করতে চায়না, সহজতাকে উতসাহিত করে! সামান্য অজুহাতে(?)বসে নামাজ পড়া, ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা ইত্যাকার অসংখ্য সুযোগ রাখা হয়েছে! সেক্ষেত্রে সংসারজীবন নিয়ে কঠোরতার তো প্রশ্নই ওঠেনা- যতক্ষণ আল্লাহ ও রাসুলﷺএর নির্দেশের বাইরে যাবার ইচ্ছা করা হয়!

যদি কারো স্ত্রী এমন হন যে তিনি কিছুতেই ১ বা ২-এর পরে আর সন্তানধারণে রাজী নন, তাহলে ঐ ইসলামী ব্যক্তির জন্য বিবিতালাক ও সন্তানদুটিকে মাতৃহারা করা উত্তম হবে, নাকি যতদিন পর্যন্ত স্ত্রীকে রাজী করানো না যায় ততদিন চেষ্টা করে যাবেন!

দাম্পত্য কলহ কতটা দুর্বিষহ ও সুদুরপ্রসারী ক্ষতিকর তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যকে বোঝানো সম্ভব নয়!


আগের কালে মানুষের অনেক সন্তান থাকার পরেও সমস্যা হতোনা- এখন কেন হয়- এসব বিষয় খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখেছি, যৌথপরিবারের কল্যানকর দিকটাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার!

আমার দাদা-দাদীর ১১সন্তান, আমার বাবা-মায়েরও ১১জন, বড়, মেজো চাচা-চাচীদেরও ১১জন করে, পরেরগুলো কমে ৫জনে!

আমি দাদা-দাদীর (বাপ-চাচা-ফুফুদের মাঝে) যৌথ সংসারে জন্মেছি ও বড় হয়েছি! মা-চাচী-ফুফুদের যেমন দেখেছি কঠিন পরিশ্রম করতে, তেমনি দাদা-বাবা-চাচাদের দেখেছি মহিলাদের সকল খুটিনাটি সুবিধা- অসুবিধায় খেয়াল রাখতে! আমরা ২০-২৫ ভাই-বোন-কাজিন, দাদী-ফুফু-চাচীদের কাছে যতটা সময় কেটেছে তার সিকিটাও মায়ের সাথে কাটেনি, লিন্তু কখনো সে অভাব অনুভূত হয়নি!

পক্ষান্তরে আমার বড় তিন ছেলেমেয়ে দাদা-দাদী-চাচা-চাচী-ফুফুদের সাহচর্য ও আদরযত্ন পেলেও ছোটটা তো তেমন কিছুই পায়নি! বাস্তব কর্মব্যস্ততা ও পেশাগত কারণে ভৌগলিক দূরত্নে অবস্থানের কারণে অন্যদের পক্ষে সম্ভব নয় কিছু করা! ক'জন পুরুষ সংসারে স্ত্রীকে সার্বিক সহায়তা দিতে পারে??

কাজেই সংসার সামলানোর সামর্থ্য ও সন্তানদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নে যদি কারো সীমাবদ্ধতা থাকে তবে তাকে দোষারোপ করা অনুচিত মনে করি!

ইসলাম কোনকিছুই চাপিয়ে দেয়না- বরং পুরস্কার ও সম্মানলাভের আকাঙ্খা জাগ্রত ও প্রবল করতে চেষ্টা করে যেন ব্যক্তি নিজেই কষ্ট করার সিদ্ধান্ত ও ঝুঁকি নেয়!

সিজারে ১ম ও ২য়টার পরে ৩য়টার জন্মের সময় ডাক্তারেই লাইগেশন করে দিয়েছেন অনেকটা জোর করেই- এমন ঘটনাও আমার জানা আছে!

তাই আপনাকে অনুরোধ করবা -

সন্দেহের চোখে নয়, সুধারণা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার চোখে অন্যকে দেখুন, কৌতূহলী হলে আসল কারণ জানতে চেষ্টা করুন, ঢালাওভাবে একপাল্লায় সবাইকে মাপা ঠিক নয়!

তবে হ্যাঁ, ব্যতিক্রম কিছু থাকতেই পারে- সেগুলো দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়না!

আল্লাহতায়ালা আমাদের সকল সিদ্ধান্ত তাঁরই সন্তষ্টির আলোকে গ্রহন করার তৌফিক দিন - আমীন

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৪
213268
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ক)বিশেষ অবস্থায় জায়েজ এর কারণ আছে- যা বাইরে থেকে জানা সম্ভব নয়; ঘণিষ্ঠ হলে জানা যায়!

দাম্পত্য কলহ কতটা দুর্বিষহ ও সুদুরপ্রসারী ক্ষতিকর তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যকে বোঝানো সম্ভব নয়!

কাজেই সংসার সামলানোর সামর্থ্য ও সন্তানদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নে যদি কারো সীমাবদ্ধতা থাকে তবে তাকে দোষারোপ করা অনুচিত মনে করি!

কমেন্টের প্রথম দুটি কথা আসলেই ভালভাবে বুঝা উপল্বদি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ আমি বিবাহিত নই, ঘনিষ্ঠ ও হতে পারিনি, তবে বিয়ের পর যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয় সেজন্যোই প্রশ্নগুলো করা।

তৃতীয় যে বিষয়টা তাতে আমি বলব, আল্লাহ যেখানে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য রিজিক তথা ভাল মন্দ নির্ধারণ করে রেখেছেন, সেখানে সংসার চালানো, শিক্ষার ব্যাবস্থা করতে শারীরিক সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা কি দারদ্রতার ভয়ে সন্তান না নেয়ার মত নয়???? এই বিষয়টা আমাকে ভাল করে বুঝিয়ে দিলে খুশি হব।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৪
213543
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


এলিট-এর পোস্টে আলোচনা চলছে, সেখানে আমার মন্তব্যে আপনার প্রশ্নের জবাব পাবেন!
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
213860
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৫৫
214553
আবু জান্নাত লিখেছেন : অনেক আলোচনা হয়েছে, অনেক জানাও হয়েছে, আমি আরেকটি কারণ উল্লেখ করবো।
আমার মেয়ে জন্মের পর আমার এক ডাক্তার বন্ধু আমাকে গোপনে বললেনঃ আপনার মেয়েকে হামের টিকা, পোলিও ইত্যাদি জাতিয় ফ্রি ভিটামিন থেকে দূরে রাখবেন, কেননা এইগুলো ইহুদি খৃষ্ঠানদের চালাকি, মুসলমানদের সন্তান যেন কম হয়, সন্তান যেন সিজারে হয়, এ নিয়ে তারা অনেক গবেষণা করে, এরই উপকরণ হিসাবে বিভিন্ন টিকা শিশুকাল থেকেই মুসলমান ছেলে মেয়েদের পুশিং করা হয় বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির অজুহাতে, আবার মেয়েরা যখন সাবালেগা হয় তখন স্কুলভিত্তিক হাইস্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন টিকা দেওয়া হয়, উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। ডাঃ সাহেব আমাকে উদাহরণ হিসাবে বললেন দেখুন আগের যুগে কোন মাকে পেট কাটতে হতো না, বা গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতো না। গর্ভাবস্থাকে মহিলারা লজ্জা লজ্জা ভেবে ঘরে ঘরে সবকিছু সেরে ফেলতেন। এখন গর্ভাবস্তায় সকাল বিকাল ডাক্তার, কারণ তো একটাই, বিয়ের আগে স্কুলে টিকা দিয়ে তৈরী করে রেখেছে। দেখুন কোন গরু ছাগল কুকুর বিড়াল ইত্যাদি কোন পশুর আজ পর্যন্ত পেট কাটতে হয় না। তাহলে আশরাফুল মাখলূকাত মানুষকে কেন কাটতে হবে?। কারণ একটাই, ইয়াহুদিদের চাক্রান্তের বাস্তবায়ন।
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:৫৯
214640
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

@আবু জান্নাত- অন্য পোস্টে আপনার একই মন্তব্যের জবাব দেয়া হয়েছে



আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ Rose Praying
269226
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
ইমরান ভাই লিখেছেন : এই লেকচারটাতে উত্তর পাওয়া যাবে।বিস্তারিত লেখা অনেক দুরহ। তাই কষ্ট করে শুনে নিবেন। আশা করি উত্তর সব পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লহ।

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৬
213271
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ইমরান ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ শোনে নেব।
269292
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় কয়েকটি কারনে আমাদের দেশে এখন জন্ম হার কমছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বেশি বয়সে বিয়ে। নারি পুরুষ দুই জনেরই বেশি বয়সে সন্তান সম্ভাবনা কমতে থাকে। দুই নারিরা এখন বাইরে কাজ করে পরিশ্রম বেশি করে যা তাদের সাস্থে প্রভাব ফেলে। তিন আমাদের খাদ্যাভাস ও খাদ্যে ভেজাল এর প্রতিক্রিয়াও এর জন্য দায়ি। চার এখন অনেক ডাক্তার প্রয়োজন না থাকলেও সিজারিয়ান অপারেশন করেন। একাধিক বার এভাবে সন্তান হওয়া ঝুঁকিপুর্ন।এছাড়া এখন গর্ভবস্থায় বেশি আল্ট্রাসাউন্ড এবং অনেক বেশি ওষুধ খাওয়া হয়। যা তাৎক্ষনিক ভাবে ভাল হলেও পরবর্তিতে সমস্যার সৃষ্টি করে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৯
213277
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : হতে পারে সবুজ ভাই, তবে সবাই যে এইসব সমস্যার কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ করে তা ঠিক নয়। আমি অনেক বিবাহিত ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি, কিন্তু কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তার মানে না বুঝেই, অন্যের দেখাদেখি, সামাজিক স্ট্যাটাস বজায়ে রাখতে সবার সাথে তাল মেলাতেই এমন করে। উপরোক্ত কারণে হলে আমার আপনার আপত্তি থাকার কথা নয়।
ধন্যবাদ রিদওয়ান ভাই।
269470
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
আবু ফারিহা লিখেছেন : @ অাবু সাইফ ভাইয়ের সাথে একমত। অাবেগ অার বাস্তবতা এক নয়। তাই অাপনি অাগে বিয়ে করেন তার পর অনেক প্রশ্নের উত্তর নিজে নিজেই পেয়ে যাবেন অাশা করি। ধন্যবাদ অাপনাকে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৪
213402
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সে আমিও জানি!!!!! আবেগ বাস্তবতা এক নয়! স্রোতের বিপরীতে দাড়ানোই আমাদের কাজ! শত প্রতিকুলতা সত্ত্বেও আমরা সব করে যাচ্ছি, যার ফল স্বরুপ অত্যাচার নির্যাতন সয়ে যাচ্ছি। জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দেয়া কি আমাদের কাজ?????
যদি , তবে কেন অসুস্থতা ব্যাতিরেকে অন্য কোন কারণে তা ফলো করব? স্ত্রী যদি রাজি না হয়, তাতে আপনাকে জবাব্দিহি করতে হবে বলে মনে হয়না, তবে আপনি যদি বিনা কারণে শুধু সামাজিকতার দোহাই দিয়ে, মান সম্মান রক্ষার ভয়ে সন্তান না নেন, তার জন্যো কি কি আপনাকে জবাব্দিহি করতে হবেনা? ব্যাখ্যা করবেন দয়া করে।
১০
269526
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
আবু ফারিহা লিখেছেন : বিনা কারণে সামাজিকতার দোহাই দিয়ে বিরত থাকলে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। অাপনার সাথে একমত। তবে কে কি কারণে বিরত থাকছে তা দেখার দ্বায়িত্ব অবশ্যই অাল্লাহ অামাদের কাউকে দেয়নি। নিজ নিজ অামল নিয়ে সবাইকে চিন্তিত হওয়ার মধ্যেই কল্যান রয়েছে। ধন্যবাদ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
213423
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার জন্য দোয়া করবেন। ভুল হলে ছোট ভাইটিকে ভুল শোধরে নেবেন, পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
ভাল থাকুন সবসময়, দোয়া করি।
১১
270498
০১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:২৪
egypt12 লিখেছেন : এই আলোচনায় উপকৃত হলাম Rose
০১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৪৩
214448
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : তা জেনে আমিও খুশি হলাম। ধন্যবাদ
১২
270613
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৫৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : অনেক আলোচনা হয়েছে, অনেক জানাও হয়েছে, আমি আরেকটি কারণ উল্লেখ করবো।
আমার মেয়ে জন্মের পর আমার এক ডাক্তার বন্ধু আমাকে গোপনে বললেনঃ আপনার মেয়েকে হামের টিকা, পোলিও ইত্যাদি জাতিয় ফ্রি ভিটামিন থেকে দূরে রাখবেন, কেননা এইগুলো ইহুদি খৃষ্ঠানদের চালাকি, মুসলমানদের সন্তান যেন কম হয়, সন্তান যেন সিজারে হয়, এ নিয়ে তারা অনেক গবেষণা করে, এরই উপকরণ হিসাবে বিভিন্ন টিকা শিশুকাল থেকেই মুসলমান ছেলে মেয়েদের পুশিং করা হয় বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির অজুহাতে, আবার মেয়েরা যখন সাবালেগা হয় তখন স্কুলভিত্তিক হাইস্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন টিকা দেওয়া হয়, উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। ডাঃ সাহেব আমাকে উদাহরণ হিসাবে বললেন দেখুন আগের যুগে কোন মাকে পেট কাটতে হতো না, বা গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতো না। গর্ভাবস্থাকে মহিলারা লজ্জা লজ্জা ভেবে ঘরে ঘরে সবকিছু সেরে ফেলতেন। এখন গর্ভাবস্তায় সকাল বিকাল ডাক্তার, কারণ তো একটাই, বিয়ের আগে স্কুলে টিকা দিয়ে তৈরী করে রেখেছে। দেখুন কোন গরু ছাগল কুকুর বিড়াল ইত্যাদি কোন পশুর আজ পর্যন্ত পেট কাটতে হয় না। তাহলে আশরাফুল মাখলূকাত মানুষকে কেন কাটতে হবে?। কারণ একটাই, ইয়াহুদিদের চাক্রান্তের বাস্তবায়ন।
১৩
291937
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০৫
মুর্শিদউল আলম লিখেছেন : ভালো লাগলো
২১ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৮
304179
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ
১৪
314194
১১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৫২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :
এত সব মন্তব্যের পরও সঠিক জবাব খোঁজে না পাওয়ায় আপনার জন্য সম বেদনা ছাড়া আর কি আছে?

আমার ও জানার আগ্রহ ছিলো তাই..... শিরোনাম দেখে আপনার ব্লগে.....! একটি লিংক দিলাম হয়তো উপকৃত হবেন।


https://youtu.be/jvMny-JMMJw
১১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৬:৩১
255198
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সবাই কেবল গোজামিলের আশ্রয় নেয়, আমার চাপাচাপিতে আবু সাইফ ভাই প্রথম দায় সারা মন্তব্য করলেও 'এলিটের' লিখায় কিন্তু ঠিক উত্তরটাই দিয়েছেন।

আরেকজন জবাব দিয়েছে, কে কি কারণে বিরত থাকে তা দেখার দায়িত্ব আল্লাহ্‌ আমাদের দেন নি!!!!! হারাম হালাল সম্পর্কিত এমন একটা ব্যাপার সমাজে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করতেছে, তা নিয়ে নাকি কাউকে জিজ্ঞেস করা যাবে না!!!!! আজব!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File