শিক্ষকরাই জাতির মেরুদন্ড ও আলোকিত মানুষ তৈরি করেন।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৩২:২০ দুপুর
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর শিক্ষকরাই জাতির এই মেরুদন্ড গড়ে তুলেন।শিক্ষা সভ্যতার বিকাশ ঘটায়।নি:সন্দেহে শিক্ষা সভ্যতার বিকাশ ঘটায়।শিক্ষাই মানুষকে মুল্যবোধ শিখায় ও অবচেতন মনকে চেতনা যোগায়।একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।শিক্ষা মানুষকে বন্য জীবন থেকে সভ্যতায় পৌঁছে দিয়েছে।শৃংঙ্খলাবধ্য জীবনে আবদ্ধ করেছে।সুদূর অতীতে দেখেছি এই পেশায় মেধাবী ছাত্ররা যেত কিন্তু আজকাল এই পেশায় মেধাবীরা যেতে চায় না।তারা হতে চায় ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,সফল ব্যাবসায়ি,পাইলট,আর্মি অফিসার ইত্যাদি।আজকাল আর একটি বিষয় দেখা যায় ব্যাবসায় প্রশাসন সহ আরো কিছু পেশায় যেতে চায় যাতে করে রাতারাতি বড় হতে পারে।অতীতে যারা সম্মান অর্জন করতে চাইতো তারা শিক্ষকতাকে বেচে নিত।অভিভাবক ও ছাত্ররাও শিক্ষকদের সমীহ করতো।আর শিক্ষকরা ছিল অতি সাধারন ও গুরু গম্ভীর যাদের দূর থেকে দেখলে অনেক ছাত্ররা পালাতো।আজকে তার উল্টো।আজকে ভাল শিক্ষক যারা সমাজে বেঁচে আছেন সহায়সম্বলহীন ও একা কারন তার সততা।সৎ মানুষকে এখন কেউ সমীহ করে না।তাই তারা একা ঘরে ক্রন্দন রত থাকে।এদের এখন কোন সংঘ নেই।কিন্তু সমাজে যারা খারাপ ও কুচক্রী তাদের সংঘ রয়েছে।তাদের কেউ অন্যদের ডাকলে হাজার হাজার লোক চলে আসে।আমাদের দেশের প্রতিটি এলাকা লক্ষ্য করলে দেখা যায় দুর্বিত্তরা অনেক উপরে ও অনেক শক্তিশালী।কিন্তু ভাল মানুষগুলোর কাজ কি ঘরে বেসে কাঁদা? না এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলবে।
শিক্ষকরা সমাজের আদর্শ ও আলোকবর্তিকা কিন্তু যে শিক্ষক এখন তার বিপরীত কাজ করে তা থেকে জাতি কি পাচ্ছে? সমাজের অন্ধকার দিকগুলোকে আলোকে রুপান্তরিত করা শিক্ষকদের কাজ।যদি শিক্ষকরা জয়ি হতে চান তাহলে তাদের আলোকের যোদ্ধা তৈরি করতে হবে।ছোট মনের মানুষ কখনো বড় জাতিতে পরিনত হতে পারে না।জাতি হিসেবে বড় হতে হলে আমাদের মানুষ হিসেবেও বড় হতে হবে।আলবেরুনি একটি অসাধারন কথা বলেছিলেন তার "ভারত তত্ত" বইটিতে।তিনি বলেছিলেন কোন শহরে যদি দেখ সেই শহরের রাস্তাগুলো ছোট তাহলে বুঝবে সেই শহরের মানুষগুলোর মন ছোট।' নিশ্চই সংকীর্ন মন ও সংকীর্ন দৃষ্টিভংগি মানুষকে নিচু করে তোলে।একটি জাতির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ও মতের মানুষ রয়েছে।সেখানে পুলিশ,আর্মি,ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,ব্যাবসায়ি,কন্ট্রাক্টর ও বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবি যেমন-শিক্ষক ,কৃষক,শ্রমিক,জেলে,কামার ,কুমার ,তাঁতি ও বয়নশিল্পী রয়েছে।এই সমস্ত শ্রেনীর মানুষকে জীবনের প্রথমে শিক্ষকদের কাছে আসতে হয় তার পর কেউ কেউ বড় দায়িত্ব পালন করে।শিক্ষকরা যে একটি মহান ও বিরাট দায়িত্ব পালন করছেন তা তাদের অধিকাংশের বোধগম্য নয়।গত দশক থেকেই একশ্রেনীর শিক্ষকরা জড়িয়ে পড়েছেন অনৈতিকতায় যা পত্র পত্রিকায় ফলাও হয়ে প্রকাশিত হয়েছে।আমি আর সে নামগুলো ধরে লজ্জা দিতে চাই না।ইতিমধ্যে তাদের নাক কান তারা কেটেছেন। কেউ চাকুরি হারিয়েছেন,কেউ অবসরে গেছেন এবং কেউ বিচারাধীন আছেন।এরা কি আসলে সমাজে বেঁচে আছেন? আমি মনে করি না তারা বিবেকের কাছে বেঁচে আছেন।শিক্ষকরা যদি মনে করেন দু'মুঠো ভাত যোগাড় করার জন্য তারা এ পেশায় গিয়েছেন সেটা হলো বড় ভুল।হাঁ জীবিকার অন্নেষন তো থাকবেই জীবনকে টিকে রাখার জন্য কিন্তু তার চেয়ে বড় দায়িত্ব হলো জাতিকে স্বশিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তোলা।সমাজের সব শ্রেনীকে এই শিক্ষকদের কাছে পাঠদান নিতে হয়।সারা জাতির মানুষ এই শিক্ষদের পদধূলা নেন, হউন তিনি ডাক্তার ,ইন্জিনিয়ার,পাইলট,এমপি,মন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট।সে শিক্ষকের মর্যাদা কেমন হওয়া দরকার?যিনি আলো দান করবেন তাকে আলোকিত মানুষ হতে হবে।শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের বিকশিত করা,আদর্শবান করা,ছাত্রদের মননকে সমৃদ্ধ করা,তাদের স্বপ্নকে শক্তিশালী করা ও তাদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব জাতিকে বড় করে তোলা।শিক্ষক যদি বড় হন জাতি বড় হবে।শিক্ষক যদি আদর্শবান না হন তাহলে জাতি হবে ছোট।আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্হা ও প্রতিষ্ঠান গুলো দেখে কি মনে হয় না যারা প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে এসে বিভিন্ন সেক্টরে অন্যায় করছেন তারা আসল শিক্ষাটি পান নি।একটি শিশু যখন ভূমিষ্ট হয় তখন সে কিছুই জানে না।সে শিখে তার পরিবেশ থেকে।তার প্রথম বন্ধু হলো তার বাবা মা।তার বাবা মা যদি আদর্শবান না হয় তাহলে প্রথমেই বন্চিত হলো।সে শিশুটি স্কুলে পাঠদান পেলেও তার জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।যখন সে স্কুলে যাওয়া আসা শুরু করবে তাকে পেতে হবে আলোকিত শিক্ষকের সংস্পর্শ। তাহলে সে ভাল মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখবে।আর যদি তার বিপরীত শিক্ষক পায় তাহলে সে শিশু হয়ে উঠবে বৈরি স্বভাব নিয়ে ও তার মনে দানা বাঁধবে অনৈতিকতায়।আমরা যদি বলি সবাই সুন্দর জীবন যাপন করবো তাহলে আমাদের কাজ হলো সুন্দর পরিবেশে বসবাস।সুন্দর হতে হলে সুন্দর পরিবেশ ও সুন্দরের চর্চা করতে হবে।
জার্মানির মহাকবি গেটে বলেছেন,একজন মানুষ যখন একটি পাইন গাছের নিচ দিয়ে হেঁটে যায়,যাওয়ার আগের মুহূর্তে যে মানুষটি ছিল পরে সে একই মানুষ থাকে না।তার মধ্যে একটি পরিবর্তন সূচিত হয়।কারন পাইন গাছ হলো স্নিগ্ধ ,কোমল ও সুন্দর। তেমনি একজন শিক্ষকের চরিত্র হতে হবে মাধুর্যপূর্ন,কোমল ও জ্গানী।বিশাল কিছুর সাথে যখন মানব শিশুর সংস্পর্শ হয় ,সে শিশু বিশাল হতে বাধ্য।কেউ যদি দার্জিলিং গিয়ে থাকেন দেখবেন সেখান থেকে কান্চন জংগা পর্বতমালা দেখা যায় যদি আকাশ পরিস্কার ও স্নিগ্ধ থাকে।সে সময় প্রকৃতির এই লিলাভূমি অন্তরকে যে কি অভিভূত করে তা ভাবা যায় না।ভাল বা বড় কিছুর সামনে গেলে মানুষ ছোট থাকে না, বড় হয়ে যায়।সুন্দরের কাছে গেলে সুন্দর হয় আর কদাকারের কাছে গেলে কদাকার হয়।আমাদের জাতির এই সন্তানদের যদি বড় করতে হয় তাহলে তাদের নিয়ে যেতে হবে বড় মাপের শিক্ষকদের কাছে।জ্গানের চেয়ে বড় যে বিষয় তা হলো অন্তর বা হৃদয়।সেই হৃদয় নামক মানুষটিকে যদি মার্জিত ও বড় না করা যায় সে শিক্ষক বা অন্য যা কিছু হোক না কেন কোন লাভ হবে না।জ্গানের উৎস হলো মানুষের হৃদয়ে।জালালুদ্দিন রূমি লিখেছিলেন,মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই।'তিনি ছিলেন ইরানের একজন কবি।এটি একটি বিপ্লবাত্মক কথা।অনেকে শুনলে মনে করতে পারে এটা কেমন কথা যে কাবার চেয়ে হৃদয় পবিত্র।আসল কথা হলো আল্লাহর পবিত্র ঘর কাবা এতে কোন সন্দেহ নেই।কিন্তু সে পবিত্র ঘরের সান্নিধ্যে যে যাবে সে কি অপবিত্র থাকবে না পবিত্র হবে।আমরা জানি সুন্দরের সাথে মিলে গেলে সুন্দরই হয়।কাবা তৈরি করেছেন ইব্রাহিম আ: আর মানুষের হৃদয় আল্লাহর পক্ষ থেকে।সুতরাং কাবার চেয়ে হৃদয় বড় যা জালালুদ্দিন রুমি এভাবেই বুঝিয়েছিলেন কারন হৃদয় এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে।মানুষ সৃষ্টির সেরা এবং একটি বিস্ময় কিন্তু তার মধ্যে শ্রেনী বিন্যাস রয়েছে যার মাধ্যমে আখেরাতের পরীক্ষা দিতে হয়।পৃথিবীতে কত লেখকই লিখছেন সবার লিখা কি স্হায়ী হয়?ঐশ্বর্য,সৌন্দর্য,দীপ্তি,মেধা ও আলোর লিখনী পৃথিবীতে স্হায়ী হয়।মানুষ পৃথিবী থেকে চলে যায় ১০০ বছরের মধ্যে কিন্তু বড় মাপের মানুষগুলো বেঁচে থাকে যুগ যুগ ধরে তাদের শানিত লেখার কারনে।সেজন্য পৃথিবীর মহৎ বস্তু হলো হৃদয় আর তার পরে সে হৃদয়ের লেখনি বই।সে আলো বিকশিত হতে থাকে মানুষের অন্তরে।আমরা যখন এই বিকশিত মানুষদের লিখা পড়ি তখন অনুমান করতে পারি তাদের অন্তরকে।তাদের আবিস্কার করি, কত তীখ্ন তাদের লেখা যা বজ্রের মত সমাজকে আলোড়িত করে।আমরা যদি নজরুল,রবীন্দ্রনাথ,প্লেটো,সক্রেটিস,এরিস্টোটল,শেখ সাদি,মেক্ক্সিম গোর্কি,শেক্ক্সপিয়ার ও গেটে সহ এরকম কবি সাহিত্যিকদের ভাল লেখাগুলো পড়ি দেখবো আলো বিচ্যুরিত হচ্ছে।আলোকিত মানুষ তৈরি হয় পড়ার মাধ্যমে।ডক্টর মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ ১৮টি ভাষায় পন্ডিত ছিলেন।তার জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে লাইব্রেরিতে।কেউ কেউ বলেছেন ভাল বই হলো সবচেয়ে বড় বন্ধু।মহৎ মানুষগুলো সমাজে আলো দিয়ে চলছেন যুগের পর যুগ।শেখ সাদি একটি কবিতায় লিখেছেন,আমি একটি মাটির ঢেলা কুড়িয়ে পেলাম,নাকের কাছে নিয়েছি দেখি যে মাটির ঢেলায় মিষ্টি অপরুপ গন্ধ।তিনি অবাক হলেন যে মাটির ঢেলা থেকে তো বিভৎস গন্ধ আসার কথা কিন্তু মিষ্টি গন্ধ কোথা থেকে আসে।তখন কবি মিষ্টির ঢেলাকে জিজ্গেস করলেন,হে মাটির ঢেলা তোর গন্ধতো সুন্দর নয় কিন্তু তোর গায়ে এত সুন্দর গন্ধ এলো কোথা থেকে।মাটির ঢেলা বললো,ঠিক বলেছ কবি,আমার গায়ের গন্ধ এত সুন্দর নয় কিন্তু আমি যেখানে ছিলাম তার উপর ছিল একটি গোলাপের গাছ যেখানে চারদিকে আশ্চর্য গোলাপের গন্ধ।তাজা অবস্হায় গোলাপ আমার উপর পড়তো না,পড়তো যখন ঝরে যেত।আমার গায়ের উপর পড়তে পড়তে এমন হলো যে আমিই গোলাপ।'ভাল লেখকের,ভাল কবির,ভাল সাহিত্যিকের লেখা থেকে এভাবে গন্ধ বের হয় কিন্তু আমরা ক'জনই পড়ি বা পড়ে বুঝে থাকি।
একজন মুসলিমের আদর্শ পুরুষ নবী মোহাম্মদ সা: , এক বিশাল সমুদ্র যা থেকে আমরা মুসলমানরা একটি শিশিরবিন্দু নিয়ে অন্তরকে আলোকিত করতে পেরেছি কিনা সন্দেহ রয়েছে।হৃদয়েকে আলোকিত করতে যে কোরআন ও হাদিস অনুশীলন করা দরকার তা আমরা করছি ক'জন? তাহলে কি করে সম্ভব মুসলিমের অন্তর আলোয় ঝকমক করবে?হৃদয়কে আলোকিত করার জন্য সত্যিকারের আলোক দরকার।পৃথিবীতে অসংখ্য বই রয়েছে কিন্তু ভাল বই খুঁজে নিয়ে বুঝে পড়ার হৃদয় রয়েছে ক'টি? যদি বিচার না করা যায় তাহলে বই পড়েও জন্ম নিতে পারে পন্কিলতা।হৃদয় হয়ে উঠতে পারে আলোকের বিপরীত অন্ধকারে।মক্কার জাহেলিয়াতে যখন অন্ধকার ছাড়া কিছুই ছিলনা সেখানে আবির্ভূত হয়েছিল একটি আলো।তার সংস্পর্শে যারাই এলো তারা আলোকিত হলো আর মাত্র ২৩ বছরে আলোকিত হলো বিশ্ব।তাহলে সমাজে শিক্ষকের অন্তরে যদি আলোক বর্তিকা জন্ম না নেয় সে সমাজ কখনো বড় হতে পারে না।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠত্বকে শিক্ষকের অন্তরে স্হান দিতে হবে।শিক্ষক কখনো সংকীর্ন হৃদয়ের হতে পারে না।হতে পারে তার ঐশ্বর্য নেই,হতে পারে শিক্ষক শীর্নকায় কিন্তু শিক্ষকের জোতির্ময় আলো আলোকিত করবে অন্ধকার সমাজকে।মানব জ্গানের ৯০% বইয়ের মধ্যে রেখে যাওয়া হয়েছে।একজন শিক্ষক যদি এই ভাল কথা বা বইগুলোর তথ্য দিয়ে মানব শিশুকে শক্তিশালি করতে থাকে সে হয়ে উঠবে অসম্ভব শক্তিশালী।গোলাপের গন্ধের মত যা বিচ্ছুরিত হতে থাকবে সমাজে।শিক্ষকদের কাজ সমাজে গোলাপ রুপী ছাত্র/ছাত্রীদের বাগান তৈরি করা যারা গড়ে তুলবে ভবিষ্যৎ সমাজ।শিশুদের হাতে তুলে দিতে হবে আলোকিত বই যা তাদের হৃদয়কে সমৃদ্ধ করবে।এ এক অবিরাম কাজ যা শিক্ষকদের করে যেতে হবে।শিশুদের বই ও কারিকুলাম হতে হবে তাদের মন ও বয়সের উপযোগী।ছোট বয়সে যদি মহৎ মানুষদের বই দিয়ে তাদের হৃদয়কে অংকিত করা যায় তাহলে বড় হয়ে এরা ভিভ্রান্ত হবে না।এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা চলছে তা হলো প্রতিকূল অবস্হা।শিক্ষক নামের কিছু অশিক্ষিত,অদক্ষ,কপর্দক শিক্ষা প্রতিষঠানে ঢুকে যাওয়ায় দিন দিন শিক্ষার মান যেমন নিছের দিকে যাচ্ছে তেমনি শ্লিলতাহানি ঘটছে ছাত্রীদের।কারন অন্ধকারতো অন্ধকারই সৃষ্টি করে।সরকারের উচিত শিক্ষকদের দিকে নজর দেয়া ও ভাল শিক্ষকদের উচিত নিজেদের সংঘঠিত করা জাতি রক্ষায়।শিক্ষাংগন থেকে এসব কুলাংগার শিক্ষকদের বহিস্কার করে মেধাবী ও চরিত্রবান শিক্ষকদের ভাল সুযুগ সুবিধা দিয়ে নিয়োগ দিতে হবে।পৃথিবীর উন্নত দেশে যে সব সেরা সাহিত্য রয়েছে তা দিতে হবে ছাত্র/ছাত্রীদের।মুসলিম দেশগুলোতে পাঠ্য সুচির সাথে ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলো দিয়ে যদি ছাত্র/ছাত্রীদের বেড়ে তোলা যায় তাহলে তাদের নৈতিকতার পদস্খলন ঘটবে না।যে বইগুলো পড়লে তাদের মন স্বতস্ফুর্ত হবে,হৃদয় স্ফন্দিত হবে ও আলোকিত হবে,তারা অন্যের দু:খ-দুর্দশা বুঝার সাথে সাথে চোখের পানি ফেলতে শিখবে তখনি জাতি পাবে নীতি নির্ধারক।আজকের অবস্হা দীর্ঘকাল চলতে থাকলে জাতির মেরুদন্ড ভেংগে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।একজন শিশুর শৈশব যদি সুন্দর হয় তাহলে তার বাকি জীবন সুন্দর হয়।আমরা আমাদের অনেক বাচ্চাদের দিকে যদি তাকাই,দেখবো তারা অনেকেই পড়তে ভালাবাসে,কল্পনা করতে ভালবাসে।যদি আমরা তাদের ভাল বই উপহার দিতে শিখি তাহলে তারা আরো বেশী আবেগী হয়ে উঠবে পড়ার জন্য।ভাল বই হলো শ্রেষ্ঠ আত্মার ঐশ্বর্য দিয়ে তৈরি।বইকে বন্ধু হিসেবে বরন করে নেয়া যায় তাহলে আর বন্ধুর তেমন প্রয়োজন নেই।বই বা সাহিত্য লিখার কারনে প্রতিনিয়ত বন্ধু বাড়তেই থাকবে।পৃথীবির যত ভাল বন্ধুই থাক না কেন সব ছেড়ে চলে যাবে কিন্তু সৃষ্টিশীল বই ছেড়ে যাবে না, বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে যুগ যুগ ধরে।একজন শিক্ষকের সন্তান হিসেবে বাবার আদর্শের অনেক কথাই বলে ফেললাম যা আমাকে দিয়েছে আলোক সম্ভার।সেই আলোর বিচ্ছুরন ঘটানোর চেষ্টা করছি মাত্র।আমাদের ভাল শিক্ষকরা আজ গুমরে গুমরে কাঁদছেন।আমরা সভ্য হচ্ছি কিন্তু এ কোন সভ্যতা যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমদের সন্তানদের কোন সুরক্ষা নেই।আমরা কি ভাল শিক্ষকদের সাথে নিয়ে গর্জে উঠতে পারিনা সমস্ত অন্ধকারকে আলোকিত করতে?অবশ্যই পারি আর তার জন্য প্রয়োজন ভাল মানুষগুলোর যার যার যায়গা থেকে নিজেকে দায়িত্ববোধে উজ্জিবিত করা,একটি সৎ সংঘ গড়ে তোলা যা প্রতিনিধিত্ব করবে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের,একটি সুন্দর চির সবুঝে ঘেরা স্বাধীন বাংলাদেশের।
বিষয়: বিবিধ
১৯০৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন