এন,জি,ও দের ষড়যন্ত্রে সোনার বাংলা দ্বিখণ্ডিত হতে পারে।
লিখেছেন লিখেছেন ওবাইদুল্লাহ ওবাইদ ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:৫৪:২১ রাত
বাংলাদেশের
দারিদ্র্যপীড়িত
জনগোষ্ঠিকে চিকিত্সা,
সমাজ ও মানব সেবার অভিনয়ে ইউরোপীয়
জীবনাচার ও
সাংস্কৃতিতে গড়ে তোলার এক
নব্য ও গোপন
ষড়যন্ত্র চলছে। এর মূল
চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে বিদেশী কিছু
এনজিও সংস্থা। যারা মানব
সেবার
বায়না করে বাংলাদেশে প্রবেশ
করে। তাদের
মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্মান্তরীত করা।
পার্বত্য অঞ্চলের
বসবাসকারীরা অর্থ
চিকিত্সা শিক্ষা ও
নানা মূখী অভাব-
অনাটনে আছে। তাই তারা এনজিওদের পাতা
ফাঁদে সহজেই পা দিচ্ছে।
অর্থাত্ ধর্ম পরিবর্তন
করছে। খৃষ্টান মিশনারী ও
তাদের বিশেষ
দাতা সংস্থার দেয়া অর্থেই এসব এনজিওরা পরিচালিত।
ইস্ট
ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন
আমলে
তারা ভিনদেশী সংস্কৃতির
বিকাশ ওধর্মান্তরের যে পক্রিয়া অনুষ্ঠানিক
ভাবে চালু করেছে তা আজও
সফলতার সাথে অব্যাহত
আছে।
পার্বত্য অঞ্চলের বসবাস
কারীরা শুধু অভাবে নয় সকল সকর ধরণের
সরকারী-
বেসরকারী সেবা থেকে তারা বঞ্চত।
যখন বিভিন্ন মহল
থেকে বলাবলি শুরু
হলো পার্বত্য অঞ্চলের বসবাস কারীদের সকল
সেবা নিশ্চত করতে হেবে।
তাদের
নিরাপত্তা দিতে হবে।
পাহাড়ি বাঙ্গালী যুদ্ধ যুদ্ধ
খেলা বন্দ করতে হবে তখনি মানব সেবার
নামে ঝাঁকে ঝাঁকে এনজিও
বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এবং
পার্বত্য অঞ্চলে তাদের
কার্যক্রম শুরু করেছে। আর্ত মানবতার সেবার নামে
এখন তারা ধর্মান্তরের
কাজে কোমর বেঁধে নেমেছে।
যা দেশের বিভিন্ন দৈনিকে
প্রকাশিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তৈরী করা প্রতিবেদনের
বরাত দিয়ে
গত০১২/০৮/১১
ইং তারিখে আমার
দেশে করা এক
রিপোর্টে দেখা যায় রীতিমতো চোখ
ধাঁধাঁনো এক তথ্য।
রিপোর্টে বলা হয়, পার্বত্য
অঞ্চলে এনজিওদের
দ্বারা গত ২০ বছরে প্রায়
১২হাজার উপজাতীয পরিবারকে ধর্মান্তরীত
করে খৃষ্টান বানানো হয়।
তিন
পার্বত্য
জেলা খাগড়াছড়ি বান্দরবন
ও রাঙ্গামাটির উপজাতীয়দের ধর্মান্তরীত
করে খৃষ্টান বানানোর
ক্ষেত্রে ১৯৪টি গির্জা মূখ্য
ভূমিকা পালন করে।
খাগড়াছড়িতে ৭৩
টি গির্জা আছে। এ জেলায় ১৯৯২ সাল থেকে ২০১০
পর্যন্ত ৪০৩১টি
পরিবারকে খৃষ্টান
বানানো হয়। বান্দরবন
জেলায় ১১৭টি গির্জা আছে।
এখানে একই সময়ে খৃষ্টান বানানো হয়
৪৮০টি পরিবারকে।
রাঙ্গামাটিতে ৪টি চার্চ
আছে।
সেখানেও একই সময়ে খৃষ্টান
বানানো হয় ১৬৯০টি পরিবারকে (লেখক
এম.এ.মান্নান)।
এদিকে আরেক
দৈনিকে সাংবাদিক স্টালিন
সরকার লেখেন, উত্তরাঞ্চলে ধর্মান্তরের
কাজ আশংকা জনক
হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মুসলমান,
চাকমা, মারমা, বৌদ্ধদের
আপন ধর্ম ত্যাগ করে ধর্মান্তরিত হওয়ার
ঘটনা অহরহ।
রংপুর ও দিনাজপুরের
আটটি জেলায় ব্যাঙের
মতো গজিয়ে উঠেছে অজস্র
খৃষ্টান মিশনারি। এসব এলাকায় গত
পাঁচ বছরে ১০ থেকে ১২,০০০
হাজার লোক ধর্মান্তরিত
হয়ে খৃষ্টান হয়েছে।
বেকারত্ব আর
দারিদ্র্যতাকে পুঁজি করে তারা ধর্মান্তরের টোপ
দিচ্ছে সাধারণ
মানুষকে (দৈনিক ইত্তেফাক
৬/১২/১০ইং)।
খৃষ্টান মিশনারী ও এন,জি,ও,
সংস্থা গুলো যৌথভাবে "Evry man a
bible and
evry people a charch"
কর্মসূচিকে সামনে রেখে যে তত্পরতা শুরু
করেছিল তা
লক্ষ্যপানে ছুটে চলছে নিরন্তর ভাবে।
১৯৩৯সালে যেখানে খৃষ্টানদের
সংখ্যা
ছিল ৫০ হাজার তা ১৯৯২
সালে ৫০ দাড়ায় লাখে।
যা বর্তমানে এক কোটির কাছাকাছি।
বাংলাদেশে খৃষ্টানদের এ
সাফল্য
নিঃসন্দেহে মুসলমানদের
ব্যর্থতার দলিল। যদি সাত
সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে খৃষ্টান মিশনারীরা
এদেশে এসে খৃষ্টান ধর্ম ও
ইউরোপিয় সংস্কৃতি প্রচার
প্রসার করতে পারে।
তাহলে আমরা মুসলমানরা এতো কাছে থেকেও
কেনো হাত- পা গুটিয়ে বসে থাকলাম?
কেন
আমরা সাহায্য সহানুভূতি ও
সেবার পার্বত্যাঞ্চলের
ভাইদের প্রতি সম্প্রসারণ
করতে পারলাম না। এটাতো আমাদেরই দায়িত্ব
ছিল। এ দায়িত্বে অবহেলার
মাশুল
আমাদেরকে দিতেই হবে।
এদেশের মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় উজ্জিবিত সকলকে দিতে
হবে।
কেননা সংস্থা গুলো যেভাবে মানবাতার
সেবার
নামে বাঙ্গালি জাতিকে
ধর্মান্তরিত করে ভিন্ন জাতিতে রূপান্তরিত
করছে তা নিশ্চিত ভাবে এই
ইঙ্গিত
দিচ্ছে যে একদিন
পার্বত্যাঞ্চল গুলো দক্ষিণ
সুদান ও ইন্দোনেশীয়ার পূর্ব তিমুরের মতো জাতি সংঘের
তত্ত্ববাধানে স্বাধীনতা লাভ
করবে। গড়ে উঠবে
বাংলাদেশের
বুকে আরেকটি স্বাধীন দেশ।
কেননা তারা যেভাবে পার্বত্যাঞ্চল গুলোকে টার্গেট
করে সামনে এগুচ্ছে তা এভাবে অব্যাহত
থাকলে গোটা
পার্বত্যাঞ্চল অর্থনৈতিক
দিক দিয়ে সচ্ছল হলেও
রাজনৈতিক দিক দিয়ে বড় বিপদ
জনক খৃষ্টান জনপদ
গড়ে উঠবে। এ আশংকা অমূলক
নয় যে এ দেশের খৃষ্টানগণ
ওই
পাড়ের সীমান্তবর্তি (ভারত)
পার্বত্যাঞ্চলের নব দিক্ষিত
খৃষ্টানদের সাথে
মিলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের
ডাক দিতে পারে।
এন,জি,ও,রা কোন দেশের বন্ধু নয়। তারা মূলত
মানবতার
মিথ্যাছলে জাতিকে বিভক্ত
করার কাজে নেমেছে।
তাই আসুন লাখো শহিদের
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলা রক্ষায়
সকলে
ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের প্রতিহত
করি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের তাবলিগ পার্টি কি করছে?কেন চত্রগ্রাম যাচ্ছে না?নাকি উনারাও টাকা নিয়েছেন খ্রিস্টান দের থেকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন