কি বলবো,দেশ এর যুবসমাজ কোন পথে এগোচ্ছে?
লিখেছেন লিখেছেন মুজিব সেনা ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:৫৭:৩৬ বিকাল
এটা এমন একটা পোষ্ট যা মুনাফিক মুসলমানদের জন্য কষ্টদায়ক।
দুইটি ছবি একটু খেয়াল করুন,
উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে হোলি পূজার আয়োজন, যেখানে চারুকলার ছাত্রছাত্রীরা (সকল ধর্মের) পরষ্পর পরষ্পরের দিকে রং ছিটাচ্ছে।
আর নিচের ছবিতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মুখোশ, মূর্তি, ইত্যাদি তৈরী করছে চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীরা।
এবার মূল কথায় আসি। চারুকলায় এবার মহাধূমধামে আয়োজিত হয়েছে হোলি পূজা, আয়োজকদের ভাষায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ পূজায় অংশগ্রহণ করেছে। শুধু তাই নয়, স্বরস্বতী পূজাতেও এ ইন্সটিটিউট সক্রিয় অংশগ্রহন করেছে। তাদের ভাষায়, এ ইন্সটিটিউটটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী তাই হোলি পূজা কিংবা স্বরস্বতী পূজায় এত সক্রিয় কার্যক্রম।
আমি মেনে নিলাম তাদের কথা। কিন্তু চারুকলায় কোন ইসলামী অনুষ্ঠান পালন হয় বলে তো শুনি নাই। এ ইন্সটিটিউটে মুসলমানদেরটা পালন হয় না, কিন্তু অসাম্প্রদায়িকতার নাম দিয়ে হিন্দুধর্ম পালন ও প্রচারে ব্যাপক কাজ চলে।
অর্থাৎ চারুকলা দীর্ঘদিন যাবত অসাম্প্রদায়িকতা ও বাঙালী সংস্কৃতির নামে ধোকাবাজি করে শুধু হিন্দুধর্মের প্রচার করছে। আর মুসলমানরা তাদের ধোকাবাজিতে ভুলে ‘স্লিপ ওয়াকিং’ রোগির মত হেটে যাচ্ছে।
তবে চারুকলা এ ধোকাবাজিটা বেশি করার সুযোগ পায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে। কথিত মঙ্গলশোভাযাত্রার নামে মুসলমানদের হাতে ধরিয়ে দেয় একগাদা হিন্দু মূর্তি। আর বেকুব মুসলমানরা হুজুগে মেতে সেগুলো প্রচার করে। সে নিজেও বুঝে না, এ মূর্তি প্রচারের মাধ্যমে সে শিরকী গুনাহে লিপ্ত হচ্ছে, হিন্দুয়ানী পূজায় অংশগ্রহণ করছে এবং ঈমান হারিয়ে জাহান্নামের কিটে রূপান্তরিত হচ্ছে।
আসলে এটা সাংস্কৃতি পালন নয়, বরং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ও হুজুগের দ্বারা যা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভুলে গেলে চলবে না, আমরা তো বাঙালী মুসলমান, বাঙালী হিন্দু নই। আমরা সেই কালচারটুকুই গ্রহণ করব যতটুকু ইসলাম অনুমতি দেয়, এর বাইরে সাংস্কৃতির অজুহাতে অন্যধর্মের আচার-প্রথা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
মনে রাখতে হবে, এখানে বিশাল এক চক্রান্ত চলছে মুসলমানদের ঈমান নষ্ট করার, যা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই পবিত্র কুরআন পাকে বর্ণনা করেছেন, চিরজীবন এ চক্রান্ত থেকে সতর্ক থাকার জন্য।
১) “কাফির-মুশরিকদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” (সূরা বাক্বারা-১০৯)
২) “তারা (কাফির-মুশরিকরা) এটাই কামনা করে যে, তারা যেরূপ কুফরী করেছে তোমরাও সেইরূপ কুফরী কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও। (সূরা নিসা: ৮৯)
৩) “ কাফির-মুশরিকরা কখনো তোমাদের (মুসলমানদের) প্রতি সন্তুষ্ট হবে না যতোক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের ধর্ম গ্রহণ না করবে বা অনুগত না হবে।” (সূরা বাক্বারা-১২০)
সুতরাং পহেলা বৈশাখ নামক এ শিরকি অনুষ্ঠানকে সবাই না বলুন, নিজের ঈমান হেফাজত করুন।
কৃতজ্ঞতা: দেশ ওয়া।
বিষয়: বিবিধ
১২৭২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সমস্যা নেই , আপনার পোস্টের মর্মার্থ্য বুঝতে পেরেছি।
১লা বৈশাখে এরকম আয়োজন একজন মুসলমান হিসেবে আমি পছন্দ করি না ।
দারুন একটা পোস্ট! আমি বলবো এই পোস্টটি স্টিকি হোক! মেয়েদের ভ্রমণকাহিনীর ফডু যদি স্টিকি হয় তবে এইটা নয় কেন? প্রশ্নটা মডুদের কাছে, জানি তারা জবাবও দিবে না!
Some people do not go to the depth.
Thanks for sharing.
মন্তব্য করতে লগইন করুন