ক্ষমতা দখল বনাম ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইয়ে কোন পক্ষ এগিয়ে বলে মনে করছেন?

লিখেছেন লিখেছেন সমুদ্রপার ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০১:১৪:২০ দুপুর

আওয়ামিলীগ বলেন আর বিএনপি বলেন দুজনের মুল চাওয়া মুলত একটা, যেটা হচ্ছে যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতায় থাকা। জনগনের কোন স্থান এই দুই দলের চিন্তা চেতনায় নেই। যাই হোক এখন প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান ক্ষমতার লড়াইয়ে কোন পক্ষ এগিয়ে আছে বলে মনে করেন?

বিগত নির্বাচনে আওয়ামিলীগকে লাল কার্ড দেখিয়ে এ দেশের জনগন বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এরপর অবৈধ সরকার বিরোধী দলের উপর দমন নিপীড়ন চালানোয় বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নিলেন খালেদা জিয়া। ঘোষনা দিলেন সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে তিনি নড়বেন না। বালুর ট্রাক, জলকামান দিয়ে তাকে সেখানে বন্দী করে, সরকার জনগন ও বিশ্ববাসীর সামনে নিজেকে হেয় প্রমান করে ভালই বেকায়দায় পড়ল।। মানুষ বলতে শুরু করল যে খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করা হয়েছে।তাবৎ বিদেশী হাইকমিশনাররাও এই ঘটনার নিন্দা জানানো শুরু করল। এই সময় বিএনপি লাগাতার হরতাল ও অবরোধের ঘোষনা দিল। এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ঠাক ছিল। জনগনের পুরো সমর্থন বিএনপির দিকে ঝুকে পড়ল। কিন্তু এই অবস্থায় হঠাৎ তারেক রহমানের এক বক্তৃতার পর শুরু হয়ে গেল পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পোড়ানোর নিষ্ঠুরতা। পত্রিকা জুড়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়লা লাশের বিভৎস ছবি, বার্ন ইউনিট জুড়ে দগ্ধ মানুষের আহাজারিতে সাধারন মানুষের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিল। এই সহিংষতায় কি সেনাবাহিনী ত্বরিৎ এসে ক্ষমতা দখল করেছে? তারেক রহনামের লক্ষতো তাই ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসেনি বরং হাসিনা সরকার এই অবস্থার দারুন সুযোগ গ্রহন করে নির্বিচারে মানুষ গুলি করার লাইসেন্স দিয়ে দিল পুলিশকে। শুধু তাই নয় পুলিশ, বিজিবি প্রধানেরা জনগনের জান রক্ষায় আবেগময় ভাষন দিয়ে সহিংষতা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষনা দিল।বিরোধী দল এই ঘোষনায় বিচলিত হলেও , জনগনের সাপোর্ট কিন্তু এই ব্যপারে সরকারের দিকে গেল। কারন মানুষ বাচঁতে চায়, কাজে যেতে চায় ও নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায়।

এখন পর্যন্ত লাভ ক্ষতির বিবেচনায় মনে হচ্ছে আওয়ামিলীগ এগিয়ে আছে। কেননা বিএনপিকে বহির্বিশ্বে একটি জঙ্গী দল হিসেবে প্রমান করতে সরকারের এতটুকু বেগ পেতে হয়নি। বরং তারা বিদেশিদের কাছে এটা বলার সুযোগ পেয়েছে যে একটি জঙ্গী দলের সাথে সংলাপে বসার অর্থ হচ্ছে জঙ্গিবাদের কাছে আত্মসমর্পন। বিএনপি যদিও বলছে যে পেট্রোল বোমা তারা নয় আওয়ামিলীগ মেরেছে , কিন্তু এই জাতীয় কথাবার্তায় তেমন একটা সুবিধা তারা করতে পারছে না।

বর্তমানে জাতিসংঘ বাংলাদেশে সহিংষতা নিরষনে দুই দলের কাছেই চিঠি দিয়েছে। সেখানে সহিংষতা দমনের কথা বলা হয়েছে, সংলাপের কোন কথা নাকি বলা হয়নি। তাহলে শেষ পর্যন্ত কি দাড়াল? জনগনকে সম্পৃক্ত না করে উল্টো জনগনের বিরুদ্ধে সহিংষ আন্দোলন করে বিএনপি কি পেল?

বিএনপির বহু সমর্থকরা এখন বলছে যে খালেদা জিয়ার অনড় ও অনমনীয় অবস্থানে একটা গনআন্দোলন হওয়ার জোড়াল সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছিল।যেটা নষ্ট করেছে তারেক রহমান।

বিষয়: বিবিধ

৯৫৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

305184
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:১৭
হতভাগা লিখেছেন : আওয়ামী লীগ হল বার্সেলোনা আর বিএনপি হল ঢাকা মোহামেডান
305193
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:২১
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : আপাতত দুজনেই সমানে সমান মনে হচ্ছে।
305211
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৭
সমুদ্রপার লিখেছেন : কোন যুক্তিতে সমানে সমান বলছেন, একটু লিখলে ভাল হত। একদিকে পেট্রোল বোমা ও আগুনে দগ্ধ হচ্ছে সাধারন জনগন। অন্যদিকে কথিত বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারে প্রান দিচ্ছে বিএনপি/ জামাতের কর্মীরা। আওয়ামিলীগের কোন ক্ষতিতো দেখতে পাচ্ছি না। তারা যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না তবে তারা ক্ষমতা ছাড়বে কোন বুদ্ধিতে?
305221
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪১
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আওয়ামিলীগ বলেন আর বিএনপি বলেন দুজনের মুল চাওয়া মুলত একটা, যেটা হচ্ছে যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতায় থাকা।
I am agree with you but present movement not only power struggling like other political around the world. Present movement are for democracy,freedom of speech. Present regime is a illeagal fasciest ragime.
305229
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : এই সঙ্কটময় সময়ে যদি কোন সাহসী পুরুষ মাঠে নেমে জনগনের কল্যানে জনগনকে ডাক দিত তবে সেই লাভবান হত বলে আমার ধারণা৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File