সিনেমায় নারী অধিকার
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র আহমেদ ০২ মে, ২০১৪, ০৭:৪৪:৫৩ সন্ধ্যা
সিনেমায় নারীর অধিকারঃ
মানুষের একটা দূর্বল দিকই এটা, আমার মতে, সবার থেকে নিজেকে ভিন্ন ভাবে তুলে ধরতে বেশী পরিশ্রম করে। ধরা যেতে পারে, নিজেকে আলাদা কেউ পরিচয় দেওয়াই কেন্দ্রগত হয়। সেই মোহ থেকেই নারী নামক জাতি, সিনেমার ভেতর দিয়ে নিজেকে সবার কাছে অতুলনীয় করে তুলতে চায়।
যারা সিনেমা তৈরি করেন, তারা সকলেই শিক্ষিত। তাদের এক একটি সিনেমা এক একটি বিবেক, জাতির বিনোদন, মাঝে মাঝে ক্ষতিরও কারন। যখন নারীর স্বাধীনতার কথা বলা হয়,সিনেমার পরিচালকেরা এগিয়ে আসেন, মাইক্রোফোন টা হাতে নিয়ে নিউ স্টাইলে বচন ছাড়েন, বোরখা পড়া মানে মেয়েকে বন্দি করে রাখা, এটা কোনো স্বাধীনতা হতেই পারে না, এটা কোনো নারীর প্রতি সম্মাব দেওয়া না। দাশী, উপ-পত্নি হিসেবে লুকিয়ে রাখা।
এখন আমরা যা দেখি, তারাও নারীদের এর চেয়ে বেশী অধিকার দেয় নি।
যেমন : ধরুন আমরা অহরহই সংবাদ পাই নায়িকা তৈরির লোভ দেখিয়ে ধর্ষন, মামলা, খালাস।
এ ব্যাপারে উল্লেখ করা যেতে পারে, The Dirty Picture মুভি। এতে এক নায়িকার জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। একটু বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যাবে প্রত্যেক হিরোয়িনের জীবনই এমন কালো।যারা পত্রিকা পড়েন তাদের কাছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
ইন্ডিয়ান মুভিতে দেখা যায়, নায়িকা এবং নায়ক এক সংগে নাচছেন, তাদের ঘিরে, পাশে কিছু মেয়েকে নাচতে দেখা যায়। তাহলে কি হল? নায়িকাকে স্বাধীনতা দেওয়া হল? একজন পরিচালক দ্বারা ধর্ষিত হয়ে নায়িকা হল, বাকীরাও ধর্ষিত হয়ে পেছনে নাচল। নায়িকাকে পরানো হল, দামী জামা, আর পাশের গুলোকে তুচ্ছ জামা।
এখানে নারী স্বাধীনতা কোথায় দেখা যাচ্ছে?
বাংলা সিনেমায়ও একই জিনিস দেখা যায়।
পোষ্টারে নারীর শরীর দেখিয়ে আকৃষ্ট করানো হয়, যেখানে নায়ক থাকে জামা গায়ে ( কৃষ ছবিতে কিন্তু নায়ক বিরাট বড় জামা গায়ে থাকে, কিন্তু নায়িকা উলঙ্গ প্রায়) এটাই কি নারী স্বাধীনতা?
হলিউডেও এমন দেখা যায়।
নায়ককে উলঙ্গ করলে সে ছবি বেশী চলে না কেনো?
সিনেমায়, নায়কের নাম উঠে আগে, এরপর উঠে নায়কের নাম। কেনো?
নারীকে পুরুষের হাতে তুলে দেওয়া, তার শরীর দেখিয়ে টাকা উপার্যন কিন্তু চিড়িয়াখার চেয়ে কোনো অংশে কম না।
এমন অভিনেত্রী পাওয়া যাবে না, যে তার কুমারিত্ব টিকিয়ে রেখে ছবি তৈরি করছে। আমরা অনেকের ভিডিও পেয়ে যাই। কেনো?
কোনো নায়কের উলঙ্গ ভিডিও পাই না কেনো? যতোটা পাই নারীদের?
কিন্তু, আবসুস লাগে, যখন দেখি এই জালেমদের শিকার হয়ে হাবা গোবা মেয়েরা তার নিজের জীবন স্বপে দিচ্ছে।
এসব থামছে না কেনো? এসব থামবে কিভাবে?
দুক্ষের বিষয় হল, এসব থামবে না। স্কুলে কখনো ছাত্র ছাত্রীর অভাব পড়ে না কেনো জানেন? কারন, জন সংখ্যা বাড়ছে, আর মানুষ শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
একই ভাবে নারীরা দেখছে, সবাই নায়িকাদের সম্মান করে, মান করে, দামী দামী জামা পড়া যায়, দেখতে সুন্দর লাগে। একজন বাচ্চা মেয়ে এখন ছোট কাল থেকেই এই পরিবেশের ভেতর বেড়ে উঠছে। এ কারনেই এর কোনো কমতি নেই।
দেখুন, সামান্য কিছু যশ, নাম, অর্থের জন্য, ভারতীয়, হলিউড, ইদানীংকাল বাঙ্গালীরাও এখন এর পেছন ছুটছে। নিজের শরীর দেখিয়ে টাকা কামানোর চেয়ে নিকৃষ্ট কাজ কি হতে পারে?
এখন আসল কথায় আসি। আপনারা কি জানেন, কেনো মেয়েরা ধর্ষিত হয়? এর পেছনে কারা দায়ী?
উল্লেখিত স্টারেরা। এরা নিজেদের শরীর পর পুরুষের সামনে এমন ভাবে প্রদর্শিত করছে, যে আমাদের ঘরের সাধারন মা -বোনেরা এর মাঝে মোহ খুঁজে পাচ্ছেন। নারীকে দেখার এক জনপ্রিয় মাধ্যম এই সিনেমা। এই সিনেমার নারীরা যখন তার শরীর পুরুষের সামনে প্রকাশ করে, বৈশিষ্ট্য গত কারনে পুরুষের তখন হতহিত জ্ঞান থাকে না।
এটা একটি বিগ বিগ পয়েন্ট ধর্ষন ঘটার জন্য।
এই লেখাটি পড়ুনঃ http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2014/04/16/73453
নারীরা যতো দিন না তাদের অধিকার বুঝবে, কোনটা সঠিক। ততো দিন তারা এভাবেই ধর্ষিত হতে থাকবে। তাদের জন্য সকল নারী হারাচ্ছে জীবন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান: ২০১২
সালে বাংলাদেশে এক হাজার
আটটি ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর
মধ্যে ৯৮ জন হয়েছেন হত্যার শিকার। (কালের কন্ঠ)
"ছোট ছোট পোশাক পরলে যদি নারীরা হন মডার্ন, তাহলে পশু -পাখিরাই অধিক মডার্ন (ডাঃ জাকির নায়েক)
"যৌন বিশেষজ্ঞ এবং সাইকোথেরাপিস্ট ড.
ধনঞ্জয় গাম্ভির বললেন,
পর্নো ছবি আপনাকে এক
পা এগিয়ে যেতে এবং প্রয়োজনে সঙ্গীনির
সঙ্গে প্রতারণা করার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব
থেকে দূরে রাখতে পারে। আমি দেখেছি,
যারা বেশি পর্নো সিনেমা দেখেন,
তাদের পতিতালয়ে যাওয়ার অভ্যাস
গড়ে ওঠে।"
মুখ চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমাদের মা-বোনদের এখনও সে দিকেই নজর। আপনি সচেতন হোন, নিজের মা-বোনকে কি করবেন আপনারই দায়ীত্ব।
"আমরা মুসলমানরা নিজেদের মা-বোনদের মূল্যবান জিনিস মনে করি, যেমন ধরুন অলংকার। তাই তাদের হেফাজোতে রাখি। বাহিরে একা ছাড়ি না। বিয়ের আগে কোনো পর পুরুষের সাথে মেলা মেশা করাই না। এবং সৎ একজন পুরুষ বিনা বিবাহ দেই না।
বিষয়: বিবিধ
১১২৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন