আওয়ামীলীগে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা অন্যায়।
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ০৭ মার্চ, ২০১৪, ০২:০৮:৩৪ দুপুর
আওয়ামীলীগে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা অন্যায়।দলীয়দের জন্য পুরস্কার বহিস্কার ও বিরোধীদের জন্য জেল-জুলুম ও রিমান্ড।।
১.
জাহাঙ্গীরনগরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়।এতে ১০ রাউন্ড গুলি বিনিময়সহ প্রায় ২০ জন আহত হয়।
ফাও খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। ছাত্রলীগের সাংগঠণিক সম্পাদকের কতিপয় জুনিয়র কর্মী ক্যাম্পাসের অস্হায়ী খাবার দোকানে ঢুকে প্রায় ৪৫০০ টাকার খাবার খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যায়।দোকানদার নিরুপায় হয়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের শরনাপন্ন হয়।ছাত্রলীগ সেক্রেটারী ওদেরকে খাবারের বিল পরিশোধ করতে বললে ওরা সেক্রেটারীকে লাঞ্চিত করে।
সেক্রেটারী গ্রপের কর্মীরা এই খবর জানতে পেরে সাংগঠণিক সম্পাদকের হলে আক্রমন করে।এতে ১০ রাউন্ড গুলি বিনিময়সহ প্রায় ২০ জন আহত হয়।
সর্বশেষ সংঘর্ষে উস্কানীদাতা হিসেবে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদককে বহিস্কার করা হয় এবং নতুন সাধারন সম্পাদক মনোনয়ন দেওয়া হয়।

২.
আওয়ামীলীগের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি।আওয়ামীলীগে যেমন অজনপ্রিয় হয়ে গেছেন তেমনি জনসাধারনের কাছেও জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন।
আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন কুকীর্তির সমালোচনা করা,বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠ হওয়া এবং আওয়ামীলীগের এক শিল্পপতির পেটোয়াদের লাঠিপেটা করে অফিস থেকে বের করে দেওয়া।যার কারনে তিনি দলীয় ব্যক্তিদের কাছে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার কারনে কারাগারে অবস্হান করতে হয়েছে এবং দশম সংসদ নির্বাচনে দল থেকে সংসদ নির্বাচনের অনুমতি পাননি।
৩.
আওয়ামী সরকারের সবচেয়ে বড় কুকর্মগুলোর অন্যতম যুদ্ধাপরাধীর বিচার।যার মাধ্যমে বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার মাধ্যমে বিরোধীদলকে নিশ্চিহূ করে দেয়া যায়।সকল আয়োজন সম্পন্ন।এখন শুধু ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হবে।
ডিসেম্বর ২০১২ এর প্রথম সপ্তাহ।স্কাইপ কেলেংকারীতে ফেঁসে গেলেন প্রধান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।জাতির সামনে উন্মোচন হয়ে গেলো যুদ্ধাপরাধ ইস্যু সাজিয়ে একটি বিশেষ দলকে নিশ্চিহূ করে দিতে চায় সরকার।
'দি ইকোনোমিস্ট' এর কাছ থেকে প্রাপ্ত খবরই প্রকাশ করে 'আমার দেশ' পত্রিকা।সরকারের চক্ষুশূলে পরিনত হলো আমার দেশ।পত্রিকা বাজেয়াপ্ত ঘোষনা করা হলো।পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেফতার করে রাষ্ট্রোদ্রোহী মামলা দেওয়া হলো।সম্পাদক মাহমুদুর রহমান স্যারকে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হলো।রিমান্ডের নামে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে।মুমূর্ষ অবস্হায় হাসপাতালে ভর্তি করার পরও যথোপযুক্ত চিকৎসা করতে দেয়া হয়নি।
কিন্তু যারা অন্যায়ের মূল ধ্বজাধারী তাদেরকে কেউ বিচারের আওতায় নিতে সক্ষম হলোনা।যিনি চুরি করেছেন,তিনি অপরাধী নন।আর যিনি চোরকে ধরিয়ে দিয়েছেন,তিনি চোরকে ধরিয়ে দেয়ার অপরাধে অপরাধী।।
উপরোক্ত তিনটি ঘটনাই প্রমান করে,আওয়ামীলীগ অন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করে চলতে ভালোবাসে।রুট লেভেল থেকে সেন্ট্রাল লেভেল পর্যন্ত সর্বত্রই অন্যায়ের ছড়াছড়ি।প্রতিবাদকারী যিনিই হন,তার জন্য মাফের কোন দুয়ার খোলা নেই।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন