আমরা কোনদিন বিচারকারীকে ক্ষমা করবোনা।
লিখেছেন লিখেছেন বিডি বিবেক ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৮:২৬ সকাল
মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অগনিত মা-বোন হরিয়েছে সম্ভ্রম ! কত নিশংস ঘটনা ঘটেছে । আমি মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখিনি। যারা চোখে দেখেছে অন্তত তারা কোনদিন খুনিদের ক্ষমা করতে পারবে না ।
আমি মুক্তিযুদ্ধের খুনিদের কথা বলছি। খুনি কোন দলের বা কোন গোষ্ঠির তা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। আমি খুনিদের বিচার চাই । বিচার না হলে বাংলাদেশ একটি অরাজক দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে। সেটি আমি চাইনা।
বর্তমান সরকার আরো দুবার ক্ষমতায় ছিল। একবার ছিলেন, শেখ মুজিব নিজেই, আবার ছিলেন শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক বিচারে আমি শেখ হাসিনাকে শেখ মুজিবের চাইতে দূরদর্শী মনে করিনা।
শেখ মুজিব কেন জানি খুনিদের বিচার করলেন না? কাজটা না করে তিনি নিশ্চই অন্যায় করেছেন । তিনি যদি বিচার করতেন, তবে বিচার ও সঠিকভাবে করা যেত এবং আজ আমাদের জাতিকে ৪০ বছর পরে সাক্ষী সাবুদহীন বিচার করতে হত না। সকলেই তাকে শ্রদ্ধাভরে সেলুট দিত। বলত, যুদ্ধকরে দেশজয় করেছে এবং খুনিদের বিচার ও করেছে। অবিসংবাদিত নেতা!
আজ এতটা বছর পর যখন বিচার হচ্ছে, যদি নিরপেক্ষ বিচার ও হয়, আমার ভয় হচ্ছে কোনো লোককে ভুল শাস্তি দেয়া হয় কিনা। একইভাবে, কোনো প্রকৃত খুনি শাস্তির বাইরে থেকে যায় কিনা। দুটোই আমার কাছে সমান অপরাধ।
ধরে নিচ্ছি খুনির বিচার হলো এবং প্রকৃত খুনির শাস্তি হলো। আমরা বিচারকারীকে অভিবাদন দেবো । কিন্তু ধরুন - 'ক' কোনো অন্যায় করেনি, কিন্তু আমরা 'ক' কে ফাসি দিয়ে মেরে ফেললাম। 'খ' খুনি, তার কোনো শাস্তি হলোনা - আমরা তাকে বাঁচিয়ে দিলাম। ভাবুন তো আমরা জাতিকে কি দিলাম! একজন খুনি উপহার দিলাম আর একজন ভালো মানুষ মেরে ফেললাম। জাতি থেকে একজন ভালো মানুষ চলে গেল এবং একজন খুনি বেচে গেল। বলুনতো জাতিতে খুনাখুনি বাড়বে না কমবে?
স্পষ্টত: আমরা কোনো ভুল বিচার মেনে নিতে পারিনা। যদি কোনদিন প্রমানিত হয়, ভুল বিচারে একজন ভালো মানুষ শাস্তি পেয়েছিল, আমরা কোনদিন বিচারকারীকে ক্ষমা করবোনা।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন