কারবালার ঘটনা থেকে শীয়া সুন্নি ফেরকার সৃষ্টি: দরবারী আলেমদের মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা
লিখেছেন লিখেছেন আনোয়ার আলী ০৩ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:২৯:২১ সকাল
কারবালায় ইয়াজিদ বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত হুসাইনের রক্তপাতকে কিছু লোক কোনমতেই মেনে নিতে পারলো না। তারা বিদ্রোহী হলো। তারা ইয়াজিদ এবং রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলো। এরা ইতিহাসে শীয়া নামে পরিচিত হলো। ১০ই মহররমই এই শিয়াদের জন্ম। মুসলমানরা দুটো ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলো। একপক্ষ অসন্তুষ্ট হলেও ইয়াজিদের শাসন মেনে নিলো। তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নামে একটা নতুন মাযহাবের জন্ম দিলো। যারা এর কিছুই মানলো না তারা শীয়া-নামীয় আরেক নতুন মাযহাবের জন্ম দিলো। মাযহাবীয় এ বিভক্তি ধীরে ধীরে স্থায়ী রুপ নিলো, যা ইসলামী সমাজকে দুর্বল করে দিলো। কারবালার ঘটনা থেকেই মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন দেখা দিয়েছিল প্রকটভাবে। ফাতেমী খিলাফতের প্রতিষ্ঠাতা ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী শীয়া মতের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। এটা যারা বলেন তার ইতিহাসের বিপরীত এবং সরাচর মিথ্যা বলেন। এছাড়া ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী মা ফাতেমার বংশধর ছিলেন কিনা তা নিয়ে তার শাসনামলের এবং তৎপরবর্তী একশ বছর পর্যন্ত কোন বিতর্ক ছিল না। ১০১১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিদ্বন্দ্বী আব্বাসীয়রা যে প্রচারপত্র প্রকাশ করে তাতে তাকে ইহুদীর সন্তান বলে গন্য করা হয়। তবে ঐতিহাসিক ইবনে খালদুন, মাকরিজী, ইবনুল আসীর, আবদুল ফিদা এরা সকলেই বলেছেন তিনি ফাতেমার বংশধর ছিলেন। দরবারী আলেমরা এই বিতর্ককে ভালভাবে কাজে লাগিয়ে খুবই ফায়দা তুলেছেন। আসলে তিনি ইহুদীর সন্তান ছিলেন কি ফাতেমার বংশধর ছিলেন তা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। আসল কথা হলো তিনি শীয়া মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। কারবালার ঘটনা থেকেই শীয়া মতবাদের সুত্রপাত হয়েছিল।
শীয়া এবং সুন্নি-- উভয় মাযহাবের লোকজন নিজ নিজ আকীদা বিশ্বাসকে সহী শুদ্ধ মনে করেন। এই ধরনের মাযহাব ও বিভক্তি ইসলামে সম্পূর্ণই নিষিদ্ধ। মুসলমানেরা এখন পরিচয় দেন, সুন্নি মুসলমান বা শীয়া মুসলমান হিসাবে, যা আদৌ ইসলাম সম্মত নয়। বরং সরাসরি বিদআত হয়।
আল্লাহপাক বলেন,
আর কে বেশী উত্তম হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করে এবং আল্রাহর নির্দেশ মেনে চলে এবং বলে, আমি 'মুসলিম' [আল কোরআন, ৪১: ৩৩]
সুরা আল ইমরানে বলা হয়েছে, তাহলে বলে দিন (ওদেরকে) তোমরা সাক্ষী থাকো একথার যে আমরা সর্বান্তকরনে আল্লাহতে আত্মসমর্পনকারী 'মুসলিম' [৩: ৬৪]
কাজেই এই বিভক্তি মোটেই কাম্য নয়। কোরআনে বিশ্বাস থাকলে মুসলিম ছাড়া অন্য কোন পরিচয় গ্রহনযোগ্য নয়। সঙ্গত কারনেই এ বিষয়টার অবতারনা করলাম। কোরআন এবং হাদীস যারা মানবে না তারা অমুসলিম হবেন, শীয়া বা সুন্নি হবেন কেন ? কিন্তু অত্যন্ত বেদনাদায়ক হলেও, এই শীয়া সুন্নির বিভক্তিও সেই কারবালার ঘটনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে।
দরবারী আলেমদের মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা
ইয়াজিদ ভাল করেই জানতো, সরাসরি ইমাম হুসাইনের বিরোধিতায় নামলে রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই সে এমন নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েও কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল। তার অধীনস্থ আলেমদের দিয়ে তার পক্ষে জনমত গঠনের অপচেষ্টা করেছিল।
ক্ষমতালোভী দুষ্চরিত্র ইয়াজিদ বেঁচে নেই। কিন্তু ইয়াজিদের প্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্র এখনো শীর্ষ মুসলিম দেশগুলো কব্জা করে রেখেছে। স্বৈরাচাররা মুসলমানদের বুকে চেপে বসে আছে। মুসলমানদের বোকা বানাবার জন্যে তাদেরও কিছু গৃহপালিত আলেম ইমাম পীর জাতীয় লোক আছেন। এরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের নামে নানাভাবে চেষ্টা করছে কারবালার ইতিহাসকে ম্লান করে এর গুরুত্বকে খাটো করার। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কায়দা করে বলতে চায়, ইমাম হুসাইন ক্ষমতার লোভেই নাকি কুফায় গমন করেছিলেন। তার এই যাওয়াতে নাকি ইসলামের কোন কল্যাণ ছিল না। এটা নাকি হক আর বাতিলের যুদ্ধ ছিল না। (নাউজুবিল্লাহ)। আল্লাহর লানত এইসব দরবারীর উপর। তারা ইয়াজিদের নৃশংসতাকে এবং ফোরাত নদীর পানি সরবরাহ বন্ধকে সহি নয় মর্মে প্রতিপন্ন করতে তৎপর। কেউ কেউ কারবালার এ ঘটনাকে কেচ্ছা কাহিনী বলতেও দ্বিধা করেনি। ইনিয়ে বিনিয়ে তারা দলীল পেশ করে কেবল দরবারী আলেমদের। তারা বুঝাতে চান, কারবালার ঘটনা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। এ নিয়ে মাতামাতি করে লাভ নেই। ইয়াজিদ হুসাইনের হত্যাকারী নয়। ইমাম হুসাইন মুসলিম জাতির নির্বাচিত আমীর বা খলীফা ছিলেন না। তাকে হত্যা করা জায়েজ ছিল বলেও তারা কৌশলে মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করেন। কোন কোন আলেম তো ইয়াজিদের প্রতি অতিরিক্ত লিখতে গিয়ে তাকে ‘রাহমতুল্লাহ’বলতেও কুন্ঠিত হননি। তবে এইসব দরবারী আলেমরা বড়ই ধূর্ত। তারা প্রথমেই হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ)-এর পক্ষে এমনভাবে বন্দনা করেন যে পড়ে মনে হবে তারা হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ)-এর খুবই ভক্ত এবং পক্ষের লোক। প্রথমেই বোঝাতে চেষ্টা করেন ইমাম হুসাইনের মহব্বতে তাদের কলিজা ভরপুর। কিন্তু ধূর্তামীর আশ্রয়ে 'প্রকৃত ইতিহাস' শেখাবার নামে এবং বড়ই চাতুর্য্যপূর্ণভাবে তারা ইয়াজিদের সাফাই গায়। তারা হযরত ইমাম হুসাইনকে হত্যার জন্য হযরত ইমাম হুসাইনকেই দায়ী করেন। কেউ কেউ শীয়াদের দায়ী করেন। অথচ ঐসময় শীয়া মতবাদের সৃষ্টিই হয়নি। মোট কথা, যে কোনভাবেই যেন ইয়াজিদকে দায়ী করা না হয়। ইমাম হুসাইনের হত্যার দায় কুফাবাসীর উপরও চাপাতে চান। তারা বোঝাতে চান, ইমাম হুসাইন কুফাবাসীর ফাঁদে পড়ে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন। অথচ কুফাবাসীদের প্ররোচনায় হুসাইন ইয়াজিদের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন-এমনটা কোন মুসলমান মনে করতে পারে না। বরং ইমাম হুসাইন ইসলামী খেলাফতের পক্ষে এবং রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। এটা ঠিক কুফাবাসীরা কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তারা ইমাম পরিবারের সাথে চরম গাদ্দারী করেছে।
দরবারী আলেমরা চরম ধূর্ততার আশ্রয়ে ইয়াজিদকে ভাল শাসক, ইসলামের খেদমতগার বলেও প্রতিপন্ন করতে চান। তাদের মতে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নাকি সহি নয়। তারা মানুষকে বোঝাতে চান, ইয়াজিদ হুসাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ দিলেও হুসাইনকে হত্যার নির্দেশ দেয়নি। পাঠক খেয়াল করুন ফাঁকিবাজিটা কোথায়। ইয়াজিদ যখন হুসাইনকে হত্যার ঘটনা শুনলো তখন ইয়াজিদ ব্যথিত হয়েছিল বা হত্যাকারীকে শাস্তি দিয়েছিল এমন কোন দলীল তো পাওয়া যায় না। দরবারীরা বলে বেড়ান যে, হুসাইনের ছিন্ন মস্তক ইয়াজিদের দরবারে এলে সেখানে নাকি কান্নার রোল পড়ে যায়। কিন্তু হত্যাকারীকে তো ক্ষমতা থেকে সরিয়েও দেয়নি এবং কোন শাস্তিও দেয়নি। গর্ভনর ওবায়দুল্লাহ বিন জিয়াদ তো তার স্বপদে বহাল তবিয়তেই ছিল। তাহলে কি বোঝা গেলো? দরবারীরা আরো বুঝাতে চান রাজতন্ত্র তেমন খারাপ কিছু নয়। যুগে যুগে এইসব দরবারীরা নানাভাবে মুসলমানদের সত্য ইতিহাস শেখাবার নামে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে। কারবালার প্রকৃত ইতিহাসকে তারা শীয়াদের অপপ্রচার শীয়া মতবাদ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ যাতে এসব আমল না করে সে লক্ষ্যে তারা শীয়া শীয়া বলে জিগির তুলেছে। কেননা কারবালার ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা মুমীনের মনে দাগ কাটেই। মানুষ জালিম রাজতন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। আর এই চেতনা ঠেকানোই দরবারী আলেমদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
বিষয়: বিবিধ
২৮৪৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/7569/islamforyou/56270
এই আজব ইতিহাস পেলেন কই? কোন ঐতিহাসিক এমনটা বর্ণনা করেছে? সূত্রহীন প্রলাপ বাদ দেন, প্রকৃত ইতিহাস জানার চেষ্ঠা করেন।
গাদ্দার ইহুদিদের থেকেই মাজুসি শিআদের জন্ম। ওদের জন্মই হয়েছে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ইসলামকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য।
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/7137/aryan_k/47849
লিংকটাতে গিয়ে পড়ে আসেন। আশা করি, শিআদের পক্ষ নিয়ে কথা বলার উচ্চাশা কাটবে।
ক্বাসিম নানুতুভী (রহ.), এমনকি স্বয়ং শিআ আক্বিদার বিখ্যাত আকাবিররাও স্বীকার করে যে শিআ মতবাদের উদ্ভব হযরত উসমানের (রাযি.) শাসনামলে; এবং শক্তিশালী আত্মপ্রকাশ ঐ সময়ের ফেতনাকালে। যাচাইয়ের জন্য সহজলভ্য দুয়েকটি রেফারেন্স দিয়ে দিলাম-
(১)"من عقٲئد الشىعة", আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আল সালাফি কৃত
(২) "المنهأج سنن" ইবনে তাইমিয়াহ (রহ.) কৃত, প্রথম খন্ড, ভূমিকা।
(৩)"আল মাকালাত ওয়াল ফিরাক" আলী ইবনে ইবরাহিম আল কু'মী কৃত (শিআ ধর্মের অন্যতম আলেম)
(৪) "ফিরাকুশ শিআ" হুসাইন ইবনে রুহ আল নাওবাখতি কৃত(শিআ ধর্মের অন্যতম আলেম)
(৫) "আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল হাক্বিক্বাতুল মাজহুলাহ" মুহাম্মাদ আলী আল মু'আলেম কৃত (শিআ ধর্মের অন্যতম আলেম)
আর রেফারেন্স বলতে কুরআনের যে দুটো আয়াতের কথা বলেছেন, সেখানে সরাসরি কাফের-মুশরিকদের থেকে পৃথক হয়ে নিজেকে মুসলিম ঘোষণার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার আসুন, নিজেকে মুসলমান বললেই কি সব উদ্ধার হয়ে গেল? মুসলমান হতে হলে কতগুলো শর্ত অবশ্য পালনীয়, যার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো আক্বিদা বা বিশ্বাস শুদ্ধ হওয়া। অর্থাৎ রাসূল (সাঃ) ও আসহাবে কিরাম (রাযি.) আমাদের যে বিষয়গুলোতে যে ধরনের বিশ্বাস রেখেছিলেন, তাতে কোন রকম হ্রাসবৃ্দ্ধি না করে তেমন বিশ্বাস রাখা। এর বাইরে গেলে তাকে ইনশাআল্লাহ ইসলামকে বিদায় জানাতে হবে।
আওফ ইবনে মালিক, আবু হুরাইরা ও মুআবিয়া ইবনে ইয়াজিদ (রাযি.) হতে ভিন্ন সনদে বর্ণিত, রাসূল(সাঃ) একদা ইরশাদ করেন, "মুসা (আঃ)-এর কওম ৭২ টি দলে বিভক্ত হয়েছিলো, আর আমার উম্মত ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে। তাদের মধ্যে ১টি বাদে বাকী ৭২টি দল হবে জাহান্নামী।" সাহাবায়ে কিরাম (রাযি.) প্রশ্ন করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)! সেই মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি?" তিনি উত্তর দিলেন "আল জামাআ"। অপর এক সূত্রে বর্ণিত, "যারা আমার পর আমার ও আমার সাহাবাদের প্রদর্শিত পথের উপর থাকবে।" (সামান্য কিছু মতন পার্থক্যে আবু দাউদ, হাদিস-৪০৬৭ (আল আলবানীও হাদিসটি সহীহ বলেছেন), আল হাক্বিম, আল মুসতাদরাক ১/১২৮, ইবনে হাজার, তাখরিজুল কাশশাফ, পৃ-৬৩. ইবনে তাইমিয়াহ, আল মাজমাউ ফাতাওয়াত, ৩/৩৪৫ (সহীহ, আল শাতিবী মু'জামুল কাবির, ৮/৩২১ ইত্যাদি) এর ব্যাখ্যায় ইবনে হাজার, ইবনে তাইমিয়্যাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, ক্বাসিম নানুতুভি, আনওয়ার শাহ কাশ্মিরীর মতো প্রখ্যাত মুহাদ্দিসগন বলেন, (যার মোটামুটি সারাংশ হলো) "যুগের আবর্তে একদল ইসলামের মধ্যে হ্রাস বৃদ্ধি করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়। এতে ইসলামের কোন ব্যাত্যয় হয়নি, কিন্তু ঐ দলটিই একটি বাতিল দলে পরিণত হয়েছে। এভাবেই এই ৭৩টি ভাগ হবে, যাদের একটি থাকবে সঠিক পথে অর্থাৎ রাসূল (সাঃ) ও ত্বদীয় সাহাবাদের (রাযি.) প্রদর্শিত পথের উপর। এরাই হবে প্রকৃত মুসলমান ও সফলকাম। এই দলটি রাসূলের (সাঃ) সুন্নাহর অনুসরণ করার কারণে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআ (সুন্নাতের অনুসরণকারী দল) হিসেবে সাধারণভাবে পরিচিত।"
যুগশ্রেষ্ঠ মুজতাহিদ ও মুহাদ্দিসদের ব্যাখ্যর বাহিরে যেয়ে হাল আমলের বাংলা বুখারী পড়া মুজতাহিদদের "শিআ সুন্নি সব অমুসলমান, শুধু মুসলমানরাই মুসলমান" টাইপের ব্যাখ্যার যৌক্তিকতা যে কতটুকু, তা প্রকৃত জ্ঞান সম্পন্ন লোক সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন