গীবত পরিহার করা অতিব প্রয়োজন!!!
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ ২০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১২:৩২ সকাল
[][] আমাদের একটি সহজাত বৈশিষ্ট হচ্ছে সহজেই আমরা মানুষের সমালোচনা, গীবত, দোষত্রুটি বলতে পছন্দ করি অতচ একটিবার নিজের সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করি না অতচ এই ব্যাপারে আল্লাহপাক কুরআনে কঠোর ভাষায় হুশিয়ার করে দিয়েছেন যেমন আল্লাহ বলেনঃ
|||______ হে মুমিনগণ ! তোমরা বহুবিধ অনুমান হইতে দূরে থাক। কারণ অনুমান কোনো ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করিও না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করিও না। তোমাদিগের মধ্যে কি কে তাহার মৃত ভ্রাতার গোশত ভক্ষন করিতে চাহিবে ? বস্তুত তোমরা আল্লাহকে ভয় কর; আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। (সূরা হুজুরাত ১২)_____|||
[][] সব সময় আমরা মানুষের বাহ্যিক আচরন, বেশভুষা ইত্যাদি দেখে ভাল-খারাপ ধারনা পোষন করি কিন্তু ভিতরের অভ্যন্তরীন আত্মা বা মনের অবস্থা সম্পর্কে আমরা জানিনা , বুঝিও না তাই কোনটা ভাল-খারাপ এভাবে ধারনা করে গীবত করাটা ইসলামে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছে যা স্পষ্ট ভাবে হারাম।
[][] একটিবার ভাবুন, যদি আপনার এই ধারনা বা সমালোচনা দেয়ালে বাধা প্রাপ্ত না হয়ে সরাসরি আল্লাহর নিকট পৌছে এবং গ্রহনযোগ্য হয় তাহলে হইতো বাচলেন কিন্তু যদি তা দেয়ালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে যদি নিজের ঘাড়ে পরে তখন কিন্তু ডাবল পাপে ভুষিত হবেন তাই আমরা চলার পথে খেয়াল রাখব যেন এই গুনাহে নিমজ্জিত না হই । যদি কোন সত্য-মিথ্যার ঘটনা বা কর্মে সাদৃশ্য বা সন্দেহ আসে তাহলে যা ভাল হেকমতের সাথে তাই বলতে হবে আর না হয় বলব নিশ্চই আল্লাহ ভাল জানেন |||
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
"আমি আশা করি আল্লাহ আমাকেগিবত নিয়ে প্রশ্ন করবেন না কেননা যখন থেকে আমি শুনেছি আমার জ্ঞান হয়েছে যে গিবত করা নিষেধ তখন থেকে আমি কারো গিবত করেছি বলে আমি জানি না"
(ইমাম বুখারী (র) এর জীবনি থেকে)
আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন