"মিশরীয় দূতাবাশে হামলার হুমকি দাতা শিবির কর্মী নয়|এটি জামায়াত শিবির বিরধী আওয়ামী প্রপাগান্ডার অংশ|" দেখুন তার প্রমাণ:
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র কবুতর ২২ আগস্ট, ২০১৩, ০২:৪৬:০৪ দুপুর
দেশের মধ্যে কিছু একটা হলেই সবার আগে জামায়াত শিবিরকে দায়ী করা হয়|সরকারের লালন করা মিডিয়াগুলো সেটাকে সাপ্লাই করতে রীতমত প্রতিযোগিতা শুরু করে|রাজীব হত্যকাণ্ড কে ঘটালো? ...শিবির|||পরে বেরিয়ে এলো আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কথা|এবারো দেখুন মিশরয়ী দুতাবাশে হামলার হুমকি দাতা হিসেবে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে শিবির কর্মী হিসেবে চিত্রিত করতে আওয়ামী মিডিয়া আর পুলিশ বাহিনী উঠে পড়ে লেগেছে|আসুন দেখি এই আওয়ামী প্রপাগান্ডার পোস্ট মর্টেম করি...
#Exclusive: মিশর দূতাবাসে হামলার
হুমকিদাতা আফসার গ্রেফতারের
ঘটনা পুলিশের আরেক জজ
মিয়া নাটক
দেখুন
কিভাবে “দেশে ঘটে যাওয়া সবকিছুর
জন্য জামায়াত-শিবির দায়ী”
টাইপের চিন্তাধারা থেকে বাংলার
বলদ পুলিশদের
তৈরী করা আরেকটি জজ
মিয়া নাটকের বিস্তারিত ব্যাখ্যা।!!
শওকত আফসার কে গ্রেফতার
নিয়ে ডিবি পুলিশ আরো এক ’জজ
মিয়া’ নাটক বানানোর
চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ
করেছে তার মামা ও কক্সবাজার
জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম। তার
গ্রেফতার হওয়ার পর
কক্সবাজারে তার
সম্পর্কে অনুসন্ধানে ক্ষোভের
সাথে এমনই তথ্য তিনি জানান।
মিশর দুতাবাসে হামলার হুমকির
অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া শওকত
আফছার (১৮) ছাত্রশিবির বা ফোকাস
কোচিং সেন্টারের ছাত্র নয়
বলে দাবী করেছেন সংশ্লিষ্টরাও।
বুধবার অনুন্ধানে জানা যায় শওকত
আফসার এর বড়মামা কক্সবাজার
জেলা আওয়ামীলীগের
প্রভাবশালী নেতা বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম।
বদিউল আলমের মেজো ভাই নাসির
উদ্দিন জানান, শওকত কোন
রাজনীতি সাথে জড়িত নয়, সে এবার
এইচএসসি পাশ করে কোচিং করার
জন্য সোমবার রাতে কক্সবাজার
থেকে ঢাকায় যায়।
সে তার কয়েকজন বন্ধুর
সাথে ঢাকা একটি মেসে উঠে। ঢাকায়
মেডিক্যালে ভর্তি কোচিং এ
ভর্তি হওয়ার জন্য সে সোমবার
ঢাকায় আসে, তাদের প্রশ্ন
কিভাবে মঙ্গলবার
সে চিঠি লিখে মিশর
দুতাবাসে দিয়ে এলো?
সে ভালো করে ঢাকা পথঘাটও
চেনে না বলে জানান তারা ।
তবে তারা জানতে পেরেছেন, শওকত
সকালে ফার্মগেট
এলাকা কোচিং সেন্টার খুজতে যায়,
সেখান থেকে তাকে আচমকাই
গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ ।
শওকতের ভাই নাসির উদ্দিন
জানান, তার বাবা মৃত সুলতান আহমেদ
ঈদগাঁ ইউনিয়নের একাধিকবার
মেম্বার ও পরবর্তী সময়ে প্যানেল
চেয়ারম্যান ছিলেন। ছয় ভাই
মধ্যে শওকত আফসার সবার ছোট। তার
বড় ভাই নুরুল কবির, মেজোভাই
জসিম উদ্দিন সৌদি প্রবাসী,
সেজোভাই সাহাবুদ্দিন, চতুর্থ ভাই
আশেক উদ্দিন সৌদি প্রবাসী,
পঞ্চম ভাই নাসির উদ্দিন
একটি বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তা।
শওকত, ২০১১ সালে ঈদগাঁ আদর্শ
শিক্ষানিকেতন থেকে এ প্লাস
নিয়ে এসএসসি পাশ করে, ২০১৩
সালে কক্সবাজার সিটি কলেজ
থেকে এ গ্রেড পেয়ে এইচএসসি পাশ
করে, মেডিক্যল কলেজ
ভর্তি কোচিং করার জন্য
ঢাকা আসে । ঈদের আগে শওকত
ঢাকা প্রথম আসে মেডিক্যাল
কোচিং এ ভর্তির জন্য । সে সময়
শওকত ভালো কোচিং সেন্টার এর
সন্ধান করতে এসেছিলো বলে জানান
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক
সম্পাদক ও তার মামা ইঞ্জিনিয়ার
বদিউল আলম। এব্যাপারে তারা ঢাকায়
ডিবি কর্মকর্তাদের যোগাযোগ
করবেন। তিনি জানান, শওকত কোন
রাজনীতির সাথে জড়িত না,
সে মেধাবী ছাত্র। তার মা-
বাবা দুজনেই মারা গেছে, শওকত এখন
অনাথ ।
তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তার
মেধাবী ভাগ্নেকে রাস্তা থেকে ধরে
আরেকটা ‘জজমিয়া’ নাটক
বানাতে চেষ্টা করছে, মিশর
দুতাবাসে যে চিঠি তাতে শওকত
ওমমানের নাম লেখা। আর তার ভাগ্নের
নাম শওকত আফসার বলে জানান
তিনি।
এদিকে শওকত গ্রেফতার হওয়ার পর
ডিবি পুলিশ দাবী করে সে ছাত্র
শিবিরের সক্রিয় সদস্য।
এবং দুপুরে ফার্মগেটের ফোকাস
কোচিং সেন্টার
থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিকালে ফার্মগেট ফোকাস
কোচিং সেন্টারে গিয়ে ফোকাসের
অফিস সেক্রেটারী নুরে আলম
কায়সার জানান, তাদের
কোচিং সেন্টারে ডিবি পুলিশের
কোন অভিযানে আসেনি, আর সেখান
থেকে গ্রেফতারের কোন প্রশ্ন
আসে না। নুরে আলম কায়সার
আরো জানায়, গত এক বছরে শওকত
আফসার নামে কোন ছাত্র
ভর্তি হয়নি।
এদিকে সন্ধায় ছাত্রশিবিরের পক্ষ
থেকে এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করা হয় শওকত
আফসার নামে তাদের কোন
কর্মী গ্রেফতার হয়নি। আর
গ্রেফতার হওয়া শওকত আফসার
তাদের কর্মী নয়।
বুধবার দুপুরে শওকত আফসার
গ্রেফতার হওয়ার পর
মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ
সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের
জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম
দাবী করেন শওকত ডিবি পুলিশের
কাছে স্বীকার করে মিশর
দুতাবাসে হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দেয়
হুমকী দিয়ে চিঠি দেয় সে।
সে চিঠি’র হুমকী দিয়ে নিচে নাম ও
মোবাইল নম্বর দেয়া হয়। সেই
মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরে পুলিশ
তাকে গ্রেফতার করে বলে সংবাদ
সম্মেলন দাবী করা হলেও
সেখানে সাংবাদিকরা সে চিঠি দেখত
তা দেথাতে ব্যর্থ হয়। মনিরুল
ইসলামের দাবি,
শিবিরকর্মী শওকত মিসরীয়
দূতাবাস উড়িয়ে দেয়ার হুমকির
কথা স্বীকার করেছে। তার হাতের
লেখার সঙ্গে হুমকি দেয়া চিঠির
লেখার মিল রয়েছে। মনিরুল ইসলাম
জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হচ্ছে। আর চিঠিতে বলা হয়,
মিসরে গণহত্যা বন্ধ
না করলে যেকোনও ধরনের
ঘটনা ঘটতে পারে।
(বোঝো কি ভয়াবহ হুমকি!!)
এদিকে শওকতের ফেসবুক প্রোফাইল
( https://www.facebook.com/
shaokat.osman.1) ঘেটে দেখা যায়
যে সে শিবিরের সদস্য বলে পুলিশ
যে দাবী করেছে তেমন কোন প্রমান
বা শিবির সংক্রান্ত কোন পোস্টও
সে দেয়নি। সে কোন শাখার
শিবিরকর্মী—
তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
এমনকি আটক শওকতও
বলেছে সে শিবির করে না।
বরং সে স্বীকার
করেছে যে একটি স্মারকলিপি সে সৌ
মিশরের দুতাবাসে দিয়েছে (“Saudi o
Misor dutabase Kora sarok lipi dilam”
https://www.facebook.com/
shaokat.osman.1/posts/433201300130157)।
কিন্ত পুলিশের কাছে যে হামলার
হুমকিযুক্ত যে চিঠি রয়েছে সেটিই
এটি কিনা তা পুলিশ বলতে পারেনি।
অপরদিকে তার ফেসবুক
একাউন্টে আনিসুল হকের
সাথে তোলা ছবিও সে আপলোড
করেছে (https://www.facebook.com/
photo.php?fbid=236338839816405&
set=a.127974607319496.24375.10
0003208719977&type=3&permPage=1)।
যেসব হলুদেরা শওকতকে শিবির
শিবির করে চেঁচাচ্ছে তাদের
কয়েকটির নাম ও লিঙ্ক দিলাম
http://www.samakal.net/2013/08/21/9098
http://www.banglanews24.com/
detailsnews.php?nssl=8c1de8d7b9
d5683aacdbaafb42b7904f&nttl=21
082013218488
এনটিভি, চ্যানেল আই, দেশটিভি,
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন,
বাংলানিউজ, নতুনবার্তা,
শীর্ষনিউজ...
উল্লেখ্য যে, গণমাধ্যমগুলো এ
বিষয়ে নিউজ করার সময়
ছাত্রশিবিরের কোন বক্তব্য
নেয়ারও প্রয়োজন বোধও করেনি।
সূত্র: বাঁশেরকেল্লা|||
বিষয়: রাজনীতি
১৪০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন