ভারতের মুলা বাংলাদেশের সেবা [স্যার আনু মুহাম্মদ]
লিখেছেন লিখেছেন চক্রবাক ৩০ মে, ২০১৩, ০৭:২৫:০৬ সন্ধ্যা
গত কয়েক বছর ধরেই আমরা শুনছি, ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। লোডশেডিংয়ের মধ্যে এ খবরটা প্রচারিত হয় বেশি। এমনি এমনি আসা নয়। ভারতের এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নির্ধারিত দামে, নগদ অর্থে সব রকম শর্ত পালন শেষেই এ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা। তার পরও এ লোডশেডিংয়ের মাঝে এ রকম খবর শোনার জন্যও মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকে। এ খবর আরো জোর পায়, যখন ভারত সরকারের কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি এ দেশ সফর করেন তখন। পত্রপত্রিকা-টিভি সর্বত্রই এ খবর মানুষ মুগ্ধতার সঙ্গে দেখে, শোনে। সর্বশেষ খবর হলো, অবকাঠামো নির্মাণসহ আরো প্রস্তুতি কাজ বাকি আছে। সেজন্য শিগগিরই বিদ্যুৎ আসছে না। (samakal.net/2013/05/21/3716) কিন্তু এ বিদ্যুৎ বিক্রি ভারতের বদান্যতা হিসেবেই উপস্থাপিত হয়েছে বরাবর। এবং ভারতের চাহিদা মেটানোর কাজে নানা তত্পরতা অগ্রসর হয়েছে ঠিকই, সেখানে এ রকম কোনো বিলম্ব দেখা যায়নি।
এ রকম বহু বছর গেছে চাল আমদানি বিষয়ে। বাজারদরেই ভারত থেকে ৫ লাখ টন চাল আমদানি করার চুক্তি ছিল। ২০০৮ সালে যখন খাদ্যসংকট তীব্র হচ্ছে, তখন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী। ‘ভারতের চাল কেন আসছে না’ সাংবাদিকদের এ রকম প্রশ্নের উত্তরে টিভি ক্যামেরার সামনে তিনি বললেন, ‘আমরা তো দেশের মানুষকে না খাইয়ে আপনাদের চাল দিতে পারি না।’ প্রকৃতপক্ষে যে দামে চাল দেয়ার চুক্তি হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম সে সময় উঠে গিয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি। ভারতের পিছিয়ে আসার কারণ সেটাই।
see more....
বিষয়: রাজনীতি
১২৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন