ওলামাদের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী ( আল্লাহর আযাব আসার আগেই আমাদের সাবধান হতে হবে )
লিখেছেন লিখেছেন আল্লাহর সন্তুষ্টি ২৯ আগস্ট, ২০১৩, ০১:৪০:৩৩ দুপুর
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্ত-পদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি,( সূরা আল মায়েদাহ = ৩৩ )
তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না ? (আল বাক্বারাহ= ৪৪)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর সূত্রে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- لما وقعت بنوا اسرائیل فی المعاصی نہتہم علمائہم فلم ینتہوا فجالسوہم .... الخ অর্থাৎ যখন বনী ইসরাঈলের লোকেরা গোনাহে লিপ্ত হয়, তখন তাদের ওলামাগণ তাদেরকে নিষেধ করে, কিন্তু এতে তারা বিরত হয়নি। পরবর্তী সময়ে তাদের ওলামাগণ ঐ গোনাহগারদের সভা-সমাবেশে যাতায়াত ও উঠা-বসা শুরু করে, তাদের সাথে মিলে-মিশে পানাহার করে। পরিণামে আল্লাহপাক তাদের সকলের অন্তর (থেকে ঈমানের নূর দূরীভূত করে) সমান করে দেন। অতঃপর হযরত দাউদ আ. ও হযরত ঈসা আ. এর ভাষায় তাদেরকে ‘মালউন’ অভিশপ্ত অভিহিত করেন। কেননা তারা সকলেই গোনাহগার হয়েছিল এবং সীমালংঘন করেছিল। হযরত ইবনে মাসউদ বলেন, এই ঘটনা বলার সময় রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। অতঃপর সোজা হয়ে বসে কঠোর স্বরে ইরশাদ করেন, ঐ সত্তার কসম! যার মুঠোয় আমার আত্মা, তোমরা মোটেই অপারগ বলে গণ্য হবে না এবং আল্লাহর কঠোর আযাব থেকে রক্ষা পেতে পারো না, যতক্ষণ তোমরা ঐ সমস্ত পাপাচারীদেরকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে যে কোন উপায়ে বিরত না কর। অন্য এক রেওয়ায়েতে ইরশাদ করেন, বনী ইসরাঈলের ওলামাদের মত তোমাদের জন্য নীরব ভূমিকা পালনের মোটেই অনুমতি নেই। বরং সর্বাবস্থায় অবশ্যই তোমাদেরকে ভালো কাজের নির্দেশ দিতেই হবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখতেই হবে। অত্যাচারীর হাতকে অবশ্যই স্তব্ধ করতে হবে। হকের প্রয়োজনেই তাদেরকে রুখতে হবে; যে কোনভাবে তাদেরকে হকের উপর সুদৃঢ় রাখতে হবে। অন্যথায় বনী ইসরাঈলের ন্যায় আল্লাহপাক তোমাদের অন্তর থেকেও ঈমানের নূর ছিন্ন করে ওদের সমপর্যায়ভুক্ত করে দিবেন। অতঃপর বনী ইসরাঈলের মত তোমাদের প্রতি অভিশাপ ও লানত বর্ষিত হবে।
আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের,( সূরা আল মায়েদাহ = ৪৪ )
আর যাদের সংশোধন ও শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা নেই, তাদেরকে শত শত হাদীস শোনালেও কোন লাভ হবে না।
এ জাতীয় লোকদের সম্পর্কে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- فما تغنی الایات والنذر عن قوم لایؤمنون “নিদর্শনাবলী ও সতর্কবাণী অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের কোন কাজে আসে না।” (সূরা ইউনুস : ১০১)
সূরা আছর :::
১ কসম যুগের (সময়ের) ,
২ নিশ্চয় মানুষ (সবাই) ক্ষতিগ্রস্ত ;
২ কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।
'তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহে তালা রয়েছে?' (মুহাম্মাদ : ২৪)
কেউ পরামর্শ দিলে খুশি হবো,
বিষয়: বিবিধ
১৭৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন