নির্যাতক প্রধান মন্ত্রী এবং নির্যাতিতা বেগম খালেদা জিয়া।
লিখেছেন লিখেছেন রায়হানমোসি ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ০৯:৩০:১৬ রাত
						 
						  
ফোনালাপের মনস্তাত্মিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, যে বা যিনি যুক্তিসঙ্গত বা সদুত্তর পেয়েও একই কথা বারবার জিজ্ঞেস করেন তার নির্যাতন স্পৃহা প্রবল। যেমন নির্যাতক পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে অভিযুক্তের কাছে বারবার একই কথা জিজ্ঞেস করে। অবশেষে মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়ে অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। মনস্তাত্বিকরা বারবার একই প্রশ্ন করা বা অতিতের কোন বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে পিন্চ করাকে নির্যাতন হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রীকে একজন নির্যাতক মনে হয়েছে। তিনি নির্যাতন করতে ভালোবাসেন। নইলে জবাব পেয়েও একই কথা বারবার জিজ্ঞেস করবেন কেন! দ্বিতীয়ত: হরতাল প্রত্যাহারের জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীকে তিনি বলেছেন অন্যান্ন নেতাদেরকে হুকুম করতে। এই কথায় বুঝা যায় প্রধানমন্ত্রী কোন পরামর্শের ধার ধারেন না, তিনি নিকৃষ্ট ধরণের স্বৈরাচারী। হুকুম করেই কাজ আদায় করেন।  বেগম খালেদা বারবার বলছেন অন্যান্ন নেতাদের সাথে আলোচনা না করে তিনি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারবেন না। আসলে তিনি সত্যিকার একজন গণতন্ত্রী। মোট কথা ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রীর নির্যাতনস্পৃহার এবং উসকে দেবার বা পিন্চ করে রাগিয়ে দেবার মানসিকতা ফুটে উঠেছে। বেগম খালেদা জিয়ার সহজ সরল মন ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আরো বিনয়ের সাথে কথা বলা উচিত ছিল। এবং বাকশাল থেকে আওয়মীলীগকে বের করে আনার জন্য শহিদ জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত ছিল। বেগম জিয়া নির্যাতক প্রধান মন্ত্রীর উদ্ভট কথায় অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এজন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
						 
						 
						 
						 
						 
						 
						 
						 
বিষয়: বিবিধ
৯৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য







































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন