সত্যিকারের বাবা-মা'কে ২ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার ব্যবস্থা করলো বাংলাদেশ সরকার। সোবহানাল্লাহ্।
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৪৬:০৫ রাত
একটু আগে - নিষ্কুলুষ হেডিং এর নিচের সংবাদ টি পড়লাম মানব জমিনে।
Click this link
পড়ার পর প্রথমেই মনে হল - সরকার বাল্যবিবাহের নামে এই যে মহৎ! উদ্দ্যোগ নিল - হয়তো বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মুমিন মুসলমান, আলেম ওলামা সহ অগনিত সহজ সরল সাধারন বাংলাদেশী ভাইবোনরা এ নিউজটিকে আমলেই নিবে না। এ নিউজটির পরিনাম ও পরিনতি নিয়ে এতটুকু ভাবিত হবে না। কোন ভাবেই বুঝতে চাইবে না - এই আইনটি লিটারেলী আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলবে, তাদের পারিবারিক জীবনকে নরক বানিয়ে ছাড়বে, তাদের সমাজকে লিটারেলী ভাদ্র মাসের কুকুরের সমাজে পরিনত করবে (যদিও বাংলাদেশে এখন সে অবস্থার কাছাকাছি কিছু একটা রাখডাক অবস্থায় আছে)।
এ খবরটি তার পর পর আমার কাছে মূলতঃ যে বার্তা দিল - তা অনেক টা এমনঃ
বুঝিবা বাংলাদেশের যে বাবা-মা'য়েরা তাদের ছেলে মেয়েকে জন্ম দিয়েছে, কষ্ট করে, অর্থ ব্যায় করে, অনেক স্বপ্ন দেখে, বড় করে যৌবনের দ্বারে এনে পৌছিয়েছে - রাষ্ট্র/সরকার হঠাৎ করেই, আপনা আপনি সে সন্তানের ওয়েল বিয়িং ও জীবনের মালিকানা দাবি করে বাবা-মাকে বলছেঃ খবরদার এ সন্তানটিকে কোনভাবেই বাধাঁ দেবেনা
১। লুকিয়ে অন্য ছেলে মেয়ের সাথে অবৈধ সেক্স এ জড়াতে
২। রাস্তা ও স্কুলের পাশে চলমান টিজিং কার্যক্রম প্রতিরোধে কোন ডিফেন্সিভ কার্যক্রম মেনে নেওয়া হবেনা।
৩। এ্যাবোরশান তথা এমআরএ ব্যবসার গ্রাহক কমানো যাবেনা।
৪। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিমলদের বিনোদনে বিপত্তি সৃষ্টি করা যাবে না।
৫। পর্নোগ্রাফির মত অমন লাভজনক ব্যবসায়ের অভিনেতা, অভিনেত্রী ও গ্রহক সৃষ্টিতে বাধাঁ সৃষ্টি করা যাবেনা।
৬। বিজ্ঞাপনী সংস্থা, নাটক, সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালকদের বিকৃত রুচী ও সেক্স এর যোগান বা সরবরাহ লাইনে বিপত্তি করা চলবে না।
ইদানিং কোন কারনে লিখতে কিংবা মন্তব্য করতে ভাল লাগছিল না। তারপর ও মানুষিক পীড়ন হতে মন্তব্য করলাম খবরটির নিচে। যেহেতু সম্পাদক মহোদয়রা অপছন্দনীয় কমেন্ট হলে তা প্রচার করতে অনীহা বোধ করেন। তাই ভাবলাম ব্লগারদের সাথে শেয়ার করি, যদি তাতে মানুষিক কষ্ট ও যাতনার কিছুটা লাঘব হয়।
----------------------------------------------------------------
বাল্য বিবাহের নামে রাষ্ট্র বাংলার মানুষকে বলছে ও বাধ্য করছে যে, বাংলাদেশের বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়েকে জন্ম দিবেন, না খেয়ে না ঘুমিয়ে ছেলে-মেয়েকে পড়াবেন, শেখাবেন, বড় করবেন - কিন্তু ছেলেমেয়ে যৌবনে পদার্পন করলে - সে বাবা-মা নিজের ছেলেমেয়ের শারিরিক, মানুষিক, আধ্যাত্মিক ও সেক্সুয়াল নিরাপত্তাকে স্কুল কলেজের পরিমলদের হাতে তুলে দেবেন, রাস্তার বখাটেদের মন-মর্জির উপর ছেড়ে দেবেন, বিজ্ঞাপনী সংস্থার বিকৃত মস্তিস্কধারীদের গবেষনার নিমিত্তে এ্যাভেইলেবল করবেন, নাটক ও সিনেমা জগতের প্রযোজক, পরিচালক, ইত্যাকার ব্যবসায়ীদের জন্য সাপ্লাই সাইডের যোগান নিশ্চিত রাখবেন।
রাষ্ট্র এমন একটি আইন করতে পারেনা। কারন - এ আইন নৈতিকতা, যুক্তিবোধ, পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা সহ বহুবিধ বিষয়ের সাথে সাংঘর্ষিক।
বিশেষ করে যে রাষ্ট্রে পরিমল টাইপের মানুষ রাজনৈতিক ও আইনী শেল্টার পায়, বিউটি পার্লারের সিসিটিভি ক্যামেরার বিষয় প্রকাশ পেলে তা ধামাচাপা দেওয়া হয়, রাস্তায় টিজিং হতে শুরু করে অবৈধ সেক্স, পরকীয়া, এ্যাবোরশান ইত্যাদির জন্য লিটারেলী কোন আইনের ব্যবহার নেই, সর্বোপরী যে দেশে টিভি, বই পুস্তক ও আরো বহুবিদ উপায়ে নতুন করে যৌবনে উপনীত হওয়া ছেলেমেয়েদের ইল্লিসিট সেক্স করতে প্ররোচিত করা হয়, উস্কে দেওয়া হয় - সে দেশে বাবা-মাকে জেল জরিমানার নামে এভাবে হয়রানী করার আইন করা - মানে চরম জুলুম, চরম অত্যাচার।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, হাজারো পরিবার আছে যারা বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় কারনে নিজের ছেলেমেয়েকে যৌবনে পদার্পন করলেই বিয়ে দেওয়াটাকে যথার্থ মনে করে - এ আইন অন্যায়ভাবে ঐ সব বাবামাকে শাস্তি দেবার একটা নিয়ামক হবে - সো সচেতন মানুষ মাত্ররই উচিত এর বিরোধিতা করা এবং তা সরকার কে পরিষ্কার করে বলা।
------------ হয় সরকার গ্যারান্টি দেবে এ মর্মে যে
১। ১৮/২১ বছর পর সরকার নিজ হতে সকল ইচ্ছুক ছেলেমেয়েকে উপযুক্ত পাত্রের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করবে। (যাতে করে বাবা মা বিয়ে নিয়ে টেনশান মুক্ত থাকে।)
২। কোন ছেলেমেয়ে বিয়ের আগে সেক্স করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গন্য হবে এবং তার শাস্তি ২ বছরের জেল হতে অতিরিক্ত কিছু হতে হবে। (যাতে আগামীতে তার স্বামী বা স্ত্রী প্রতারিত না হয়)
৩। কোন ছেলেমেয়ে সেক্সুয়াল ইস্যুতে অবক্ষয়ের শিকার হলে তথা মাদকাসক্ত, পর্নোসাক্ত হলে সরকার ঐ পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরন দেবে। (যাতে বাবামায়ের নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করতে না হয় কিংবা ঐশী বাবা মায়ের মত মরতে না হয়।)
৪। কোন মেয়ে ধর্ষিত হলে কিংবা সেক্সুচুয়ালী হ্যারাসড হলে সরকার নিজে ঐ পরিবার ও মেয়ের যে ব্যাক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষতি হয় - তা কমপেনজেসান করতে বাধ্য থাকবে।
------------ না হয় সরকার বাল্যবিবাহের নামে এমন আইন করা হতে বিরত থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ষোলয় গেলে এবরশন,
শুধু বৈধ বিয়ের বেলায়
বয়স লাগবে পাহাড় সম!
কিন্তু সাধারন বাবা মা, চরিত্রবান ছেলে ও মেয়ের জন্য, এন্টি ইভিল শক্তির জন্য এ আইন অনেক অনেক ক্ষতি করবে, ভোগাবে।
আমি বুঝিনা - যারা বাংলাদেশে থাকে এবং মানুষের কিংবা ধর্মের জন্য নিজের জীবন, মান ও সম্পদ বিলিয়ে দেয় কিংবা দিতে চায় - কেন তাদের একটা কনস্ট্রাকটিভ অর্গানাইজেশান থাকবে না কিংবা করবে না - যারা সরকারের এমন অনৈতিক ও ভুল সিদ্বান্তের ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরীতে কাজ করবে, কোর্টে চ্যালেন্জ করবে?
প্রকৃতি ও মানব স্বভাব কে পাশ কাটিয়ে এই ধরনের আইন প্রনয়ন করা হচ্ছে।
অথচ আমেরিকার মত মুশরিক দেশে - ডিভাইন ল এর মত কোন ইস্যু না থাকলেও, বেশীর ভাগ স্টেইট এ ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করার সুযোগ রেখেছে - যেখানে মেইন কন্ডিশান শুধু একটাই বাবা মা কিংবা লিগাল গার্ডিয়ান এর কনসেন্ট থাকতে হবে।
http://marriage.about.com/cs/teenmarriage/a/teenus.htm
এসব নিয়ে কাজ করা এন.জি.ও গুলোকে বন্ধ করে দেয়া উচিৎ আমার মতে। ১৬/১৭ বছরের অনেক মেয়ে উন্নত দেশগুলোয় যেখানে সন্তান জন্ম দিচ্ছে আমাদের এখানে এসব ফেরানোর কোন মানে হয় না!
অনেকদিন পর সাদাচোখ ভাইয়ার পোষ্ট দেখে ভালো লাগলো।
বাংলাদেশ সরকার বাবা মায়ের অধিকার কে অস্বীকার করছে। আমি মনে করি এ নিয়ে লিখা লিখি করা দরকার। এ নিয়ে প্রেস কনফারেন্স সহ কোর্টে যাওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রীকে স্মরক লিপি দেওয়া দরকার যথাযথ আর্গুমেন্ট সহকারে। আদার ওয়াইজ আগামীতে অনাহুদ অনেক বাবা মাকে জেল জরিমানায় জড়াতে হবে - যা কারো জন্য মংগলজনক নয়।
প্রশ্ন হল বাংলাদেশে জন মানুষের জন্য কে কাজ করবে - দায়িত্বশীল কোন কিছুই যেন আর অবশিষ্ট নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন