হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা ঃ পর্ব - ৯
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৩৬:২২ দুপুর
ব্যাখ্যা ঃ ২
পৃথিবীর কোন ধর্ম কিংবা দেশ-সমাজে ধর্ম অবমাননাকে স্বীকৃতি দেয়নি। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কোন অধিকার কারো নেই। তারপরও এক শ্রেণীর ধর্মান্ধ, ধর্মদ্রোহী নাস্তিক-মুরতাদ ধর্ম অবমাননা করে থাকে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকে। এ জন্য পৃথিবীর বহু দেশে ধর্ম অবমাননার কঠোর শাস্তির বিধানসংবলিত আইন রয়েছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র এবং এ দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়া সত্বেও এক শ্রেণীর ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদ ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ক্রমাগতভাবে ইসলামের উপর আঘাত করে আসছে। এ ধর্ম অবমাননার ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রতিকারে এ দেশের আলেম-উলামাসহ তৌহিদি জনতা তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন করার পাশাপাশি ধর্ম অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করে আইন পাশের দাবী জানিয়ে আসছে অনেক আগ থেকেই। কিন্তু কোন সরকারই গুরুত্বপূর্ণ ও ন্যায্য এ দাবীর প্রতি কর্ণপাত করেনি। সর্বশেষ শাহবাগের আন্দোলনের সাথে জড়িত ব্লগারদের ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে চরম অবমাননা ও কটুক্তির খবর জনসম্মুখে আসে। তার আগে সর্বোচ্চ আদালত ব্লগারদের ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও বর্তমান সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। আগে সালমান রুশদী-তসলিমা নাসরিনরা বিচ্ছিন্নভাবে ধর্ম অবমাননা করেছে। তৌহিদি জনতার প্রতিবাদ আন্দোলনে তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ধর্ম অবমাননার এ প্রবণতা এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নাস্তিক-মুরতাদ ও ভিন্নধর্মী ইসলাম বিদ্বেষীরা এখন সংঘবদ্ধভাবে এ কাজ করছে। অনলাইন ব্লগে, ফেসবুক-টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করে, কার্টুন এঁকে তারা এ কাজ করে যাচ্ছে। এটা দেশের তৌহিদি জনতা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই ধর্ম অবমাননার জন্য কঠোর শাস্তি তথা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করে আইন পাশ করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে কোন স্বার্থান্বেষী মহল যাতে দেশে কোন বিশৃঙ্খলা বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে না পারে এই দিক বিবেচনায়ও এ ধরণের আইন করা জরুরী।
পবিত্র কুরআন এবং হাদীসের একাধিক বাণীতে নাস্তিক মুরতাদদের ন্যায্য শাস্তি মৃত্যুদন্ডের কথা বলা হয়েছে। এ শাস্তির কার্যক্রম বহাল করার জন্য ইসলামী রাষ্ট্র কিংবা শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। শরীয়তের যে সব বিধান মতে মুসলিম সমাজে বিয়ে, তালাক, সম্পদ বন্টন হয় সে সব প্রচলিত ধারায় এ আইন বাস্তবায়ন করা যায়। মরহুম প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননাকারীদের শাস্তির বিধান থাকতে পারলে কোটি কোটি মুসলমানের প্রাণাধিক প্রিয় আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর কটুক্তিকারীরা নিরাপদ থাকবে, তাদের কঠোর কোন শাস্তির বিধান বা আইন থাকতে পারবে না এটা যুক্তি সংগত হতে পারে না। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এ ন্যায় আইনের জন্য আমাদের কেন আন্দোলন করতে হবে? মুসলিম সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেই এ আইন বাস্তবায়ন করে ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে পারে।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৫ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
দেশের আইন করে নাস্তিকদের জন্য একটি আলাদা আই মিন অবিশ্বীদের জন্য আলাদা এক্কান জীবন পদ্ধতি ঘোষণা করা হোক। নাস্তিকদেরকে সমস্ত বিশ্বাসী ধর্ম থেকে মুক্ত ঘোষণা করে তাদের জন্য আলাদা একটি অবিশ্বাসী ধর্মীয় নিয়ম কানুন চালু রাখুন। যাতে করে তাদের যেন কোন ধর্ম বিশ্বাসের নাম, নিয়ম, শব্দাবলী ব্যবহার করতে না হয় সে ধরনের একটি পদ্ধতি পাশ করা হোক। সর্বপরি নাস্তিকদের যেন দেখলেই চিন্ততে পাওয়া য়ায় সে জন্য তাদের কপালে এক্কান স্থায়ী তিলক ধারণের ব্যবস্থা করা হোক।
নাস্তিকরা তোমরা এগি চলো
মুই আছি বাশঁ নিয়ে তুগো পশ্চাতে
মন্তব্য করতে লগইন করুন