কেমন ছিলেন কেমন হলেন(পর্ব-০১)
লিখেছেন লিখেছেন জাকির ২৭ মার্চ, ২০১৩, ১১:০০:৫৫ রাত
প্রাইমারী শেষ করে হাইস্কুলে ভর্তি হলাম।হাইস্কুল সম্পর্কে পূর্বে থেকে অন্যরকম ধারনা ছিল যদিও আসলে তা ছিল না।মনে করতাম এখানে সবসময় মারামারি হয়,অনেক খারাপ খারাপ ছাত্র থাকে যারা সবসময় মারামারি করতে স্কুলে আসে।কিছু ছাত্রদের চেহারা দেখে মনে হত এরাই মনে হয় মারামারি করতে স্কুলে আসে।কারন তাদের মধ্যে কারো মাথায় বড় বড় চুল,আবার কেউ কেউ ব্যাচলেট হাতে দিয়ে ঘুরে,হয়তোবা রাস্তার পাশে দোকান থেকে একটি সিগারেট ধরিয়ে হাটা শুরু করে।তেমনি একজনকে দেখে অনেক ভয় পেতাম,নাম আপাতত বলব না কারন ভাবছি নামটা কি ছদ্দনামে লিখব না আসলটাই দিব।আমি প্রথম দিকে স্কুলে যেতাম বাসে, পড়ে অবশ্য হেটে যাওয়ার অভ্যাসও গড়ে উঠেছিল।অনেক ছাত্র বাসের ছাদে উঠে স্কুলে আসত। আমার অনেক বন্ধুই আসত, মাঝে মাঝে আমিও আসতাম।বাসের ছাদে উঠে আসার সময় একবার আমাদের ক্লাসের এক বন্ধুর সাথে বাসের হেল্পারের সাথে ঝগড়া লাগে হেল্পার তাকে ছাদ থেকে প্রায় ফেলেই দিয়েছিল পরে সবাই স্কুলে এসে হেডস্যারের কাছে বিচার দেয়।হেডস্যার তাদের শাহেস্তা করতে আমাদের সব ছাত্রকে নির্দেশ দিল।স্কুলের সব ছাত্রই চলে আসলাম বাস স্ট্যান্ড তবে ঘটনা পাল্টে গেল,এসে শুনি ্বাস রেখে ওরা পালিয়েছে।কিন্তু ঐ ছাত্র গুলো থেমে নেই যাদের দেখে মনে করতাম ওরা মারামারি করে।ওরা বাসটি ভেঙ্গে ফেলল, আমার জানামতে এই প্রথম বাস ভাঙ্গা হল আমাদের স্কুলের ছাত্রদের মাঝ থেকে।তাদের মধ্যে ঐ ছাত্রটিও ছিল এখন তো ভয় আরো বেড়ে গেল।কিছুদিন যাওয়ার পর উনার সম্পর্কে যতটুকু জানতে পাড়লাম উনি আমাদের চেয়ে দুই ক্লাস উপরে পড়ে এবং আমাদের গ্রামেরই,গ্রামের নাম যখন বলে ফেলেছি তখন আসল নামই বলাই শ্রেয় মনে করছি।নাম সোহেল রানা।তবে তিনি যে আমাদের গ্রামের সেটা আগে জানতাম না।আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন গ্রামে একবছরে দুটি তাবলিগ জামাত আসে একটা রংপুর থেকে আরেকটা যাত্রাবাড়ি থেকে।যাত্রাবাড়ির ঐ জামাত থাকাকালিন মাঝে মাঝে গেঞ্জি কিংবা হাফ শার্ট পড়ে তাকে নামাজে দেখতে পাই।জামাতটি যাওয়ার পড়েও দেখি মাঝ মাঝে আসে।ক্লাস টেনে উঠার পর কোচিং করতে টাঙ্গাইল যাই।একমাস পর দুই-তিনের জন্য বাড়ি আসলাম এখন প্রায় ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আমাদের অনেক নামাজি বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।তারপরও কেন যেন তার কাছে যেতে ভয় করে,একদিন আসরের নামাজের পর দেখি আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু মেহেদির সাথে মাঠে বসে গল্প করছে।একটু এগিয়ে গিয়ে পাশে বসলাম বুঝতে পারলাম মেহেদি দাওয়ার কাজ করছে।দুই-তিন থেকে আবার চলে আসলাম টাঙ্গাইল।১ম সাময়িক পরীক্ষা দিতে বাড়ি আসলাম এখন আগের চাইতে আরো বেশি পরিবর্তন মাশাল্লাহ মুখে হালকা হালকা দাড়ি,মাথায় টুপি,ফুল হাতা শার্ট পড়ে নিয়মিত নামাজে উপস্থিতি।চলবে..........
বিষয়: বিবিধ
১০৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন