বৈশাখের কান্না
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:১৩:১৮ সকাল
বারে বারে ফিরে আসে
নতুন বছরের পয়লা দিন
ইলিশ পান্তা পান্জাবিতে
বাঙ্গালী শুধু একটি দিন।
পান্জাবি পায়জামা রেখেও ঘরে
কেনাকাটায় অন্তহীন
ফুটপাতের ঐ টোকাই বাবু
সারাটি বছর বস্ত্রহীন।
পান্তা ভাত আর ইলিশ ভাজা
স্বাদে তৃপ্ত আমার মুখ
ঐ কিনারে দাড়িয়ে দেখছে
অনাহারীর দু'টি চোখ।
হেয়ালের বসে হাজার টাকার
করছি আজি অপচয়
বস্ত্রহীন আর অনাহারীর খবর
সারাটি বছর কেওনা লয়।
বাঘ ভাল্লুকের মুখোশ পরে
হাটছি যখন রাজপথে
হয়না মনে আমরা মানুষ
সত্যিকারের মনুষত্যে।
বিষয়: সাহিত্য
১৪৭৫ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্যারিসে আপনারা নিজেদের বাঙ্গালীত্ব রক্ষার্ত্বে কি কিছু করছেন ?
জানেন তো , বাঙ্গালী বীরের জাতি !
১লা বৈশাখ পালন না করলে আপনি নিজেকে বাঙ্গালী বলে দাবী করতে পারবেন না ।
আর বাঙ্গালী না হলে আপনি বীরও নন
এসো হে বৈশাখ,
এসো পুর্ব দিগন্তে নবরশ্নি ছড়িয়ে,
উদ্দীপ্ত যুবতীর নৃত্যর তালে তালে
ক্ষণিকের জন্য যাবো তোমার মাঝে হারিয়ে।
হে বৈশাখ,
জানি তুমি বড় নির্জীব,
তবুও মেতে উঠবো তোমাকে করতে বরণ,
সব সুন্দরীদের লেলিয়ে দেবো তোমার পদতলে
ভাঙ্গতে হবে সব ধর্মান্ধতার তোরণ।
নতুন করে সভ্যতাকে আলিঙ্গন করবো
তুমি আসার সন্ধিক্ষণে
বিদ্রোহী ইব্রাহীমের অগ্নীকে আবারও প্রণাম করবো
মুখে বাজাবো পুজোর ধ্বণিকে।
অতৃপ্ত হৃদয় আজ বড় অশান্ত
চারিদিকে আর্তনাদ আর হাহাকার,
স্বাধীন ভূমি দখলে ধেয়ে আসছে
ধর্মান্ধ, মদীনার স্বপ্নে বিভৈার রাজাকার।
না, এমন হতে দেবোনা
মাতাপিতার ধর্ম পাঠাবো বনবাস,
উলঙ্গ সভ্যতায় আদিম হয়ে যাবো
চোখ ধাধানো যুবতীদের করবো সর্বনাশ!
গরীব- দুখীর কষ্ট
ইলিশ কিনে করোনা ভাই
মজার বোশেখ নষ্ট
সেই টাকাটা দাও বিলিয়ে
সব দুঃখীদের মাঝে
তাদের কথাও দেখো ভেবে
সকাল-সন্ধ্যা সাঁঝে
পর লাল পেড়ে সাদা শাড়ী৷
বলেনা ইলীশ খাও পান্তার সাথে,
গরীবের অন্ন কাড়ি৷
শুধু একদিনের জন্য বাঙ্গালী সাজতে গিয়ে তথাকতিত বাংগালীরা যে অপচয় করে তা গরীব, অসহায়দের মধ্যে বিলিয়ে দিলে ওদের কিছুটা হয়ে উপকার হতো।
ধন্যবাদ চমৎকার ছড়ার জন্য।
শিক্ষা যদি নিতে পারি, নববর্ষের দিন হতে
"সব ছেড়ে দেবো পাড়ি, রঙ্গিন এ দুনিয়া থেকে"
সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, ভালোবেসে সবাইকে
ঐক্যের সমাজ গড়েতুলি, থকবো সুখে শান্তিতে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন