উন্নয়নের জোয়ারে নাকি ভাসছে দেশ , তাহলে বাসন হাতে খাদ্যের জন্য এই মিছিল কেন????

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:৩৪:০৭ রাত

‘ভাত দেন প্রধানমন্ত্রী’

ভিখারীর মতো হাতে থালা-বাসন। একজন নয়, দুইজন নয়

হাজার হাজার। সবার মুখে একটাই কথা, ‘ভাত দেন

প্রধানমন্ত্রী।’ অনেকেই এ কথা কাগজে লিখে চটের

পোশাক পড়ে বুকে ধরে রেখেছেন।

রোববার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় থালা-বাসন হাতে

খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৭ পাটকল শ্রমিকদের মিছিলে

এমন দৃশ্য দেখা গেলো।

রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের

উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে খুলনার খালিশপুরের

প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, দিঘলিয়ার স্টার জুটমিল, আটরা

শিল্প এলাকার ইস্টার্ন ও আলিম জুট মিল, যশোর অভয়নগর

রাজঘাট শিল্পাঞ্চলের যশোর জুট মিল ও কার্পেটিং জুট

মিলের শ্রমিকরা অংশ নেন।

মিছিলটি স্ব স্ব মিল থেকে শুরু হয়ে খালিশপুর অঞ্চলের

নতুন রাস্তা মোড় ঘুরে ফের মিলে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক

সিদ্দিক আলম ও ইস্টার্ন জুট মিলের আলেয়া বেগম

বাংলানিউজকে বলেন,‘আমাগে বেতন করি নাই। পোলা

পানে খাইতে পড়তে পারে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর

কাছে আমরা ভাত কাপড়ের দাবি জানাচ্ছি।’

‘৫ দফা দাবি শুধুমাত্র তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য নয়।

এটি দেশ এবং জনগণেরও দাবি। কারণ পাটকল লাভবান হলে

দেশেরই উন্নয়ন হবে। অর্থনীতি সচল হবে। এতে শ্রমিকরাও

ভালো থাকবে। কিন্ত দাবি আদায় না হলে সবাই

ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’

আন্দোলরত শ্রমিকরা জানান, সোনালী আঁশ পাটই ছিলো

বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। সে

গৌরব আজ অতীত। পাট খাতে অর্থ বরাদ্দ না থাকায়

দেশের অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলই বন্ধ হয়ে গেছে।

যেগুলো চালু আছে সেগুলোতেও বিভিন্ন দাবিতে

প্রতিদিনই শ্রমিক সংগ্রাম চলছে। কিন্তু গুরুত্ব এবং

প্রচারের অভাবে তাদের টানাপোড়েনের কথা কেউ

শুনতে পান না।

এদিকে পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়, পে-কমিশনের

মতো অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পে শ্রমিকদের জন্য

মজুরী কমিশন বোর্ড গঠন, ১ জুলাই ২০১৩ ঘোষিত ২০ শতাংশ

মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান ও খালিশপুর, দৌলতপুর, জাতীয়,

কর্নফুলী জুট মিলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ ও সব পাওনা

পরিশোধের দাবি আদায়ে গত ৪ এপ্রিল থেকে এ ধর্মঘট শুরু

হয়।

সেই থেকে এসব মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে আন্দোলনে

থাকা ৩৫ হাজার শ্রমিক।

সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবার বিরতির পর শনিবার

ধর্মঘটের পঞ্চম দিনে শ্রমিকরা স্ব-স্ব জুটমিলে বিক্ষোভ

সমাবেশ করেন। একই দাবিতে রোববার বেলা ১১টায় স্ব-

স্ব শিল্পাঞ্চলে ভুখা মিছিল করেন তারা।

ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের

ধর্মঘট চলছে। তবে জেলা প্রশাসকের অনুরোধে গত ৭ এপ্রিল

থেকে তিন দিনের জন্য সড়ক ও রেলপথ অবরোধ স্থগিত করা

হয়েছে।

‘আজকের (রোববার) মধ্যে দাবির বিষয়ে কোনো

সিদ্ধান্ত না হলে সোমবার (১১ এপ্রিল) থেকে প্রতিদিন

১৬ ঘণ্টা করে লাগাতার রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি

চলবে।’

?

উৎসঃ বাংলানিউজ

বিষয়: বিবিধ

৮৭৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

365282
১০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:২১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এখনকার আন্দোলনের স্টাইল দেখে না হেসে পারিনা। প্রেসক্লাবের সামনে প্রায়, আন্দোলনকারীরা একদিকে সরকারকে কঠোর আলটিমেটাম দেয়, অন্য ব্যানারে শোভা পায় শেখ হাসিনার স্তুতি গান!
365414
১১ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : পাকিদের কিছুই আমরা রাখতে চাইনা৷ সোনালী আঁশ পাট আর ঐ জুটমিল ছিল তাদের ঐতিহ্য৷ আমরা আর তা চাইনা৷ ভাল থাকার জন্য সংগ্রাম করে স্বাধীন হয়েছি তাই সানকী হাতে পথে নেমেছি৷ ভাত না হয় ফ্যান দিলেও ভাল থাকব৷ইনশাআল্লাহ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File