কাবা ঘরের প্রতিকৃতি বানানোর তিব্রপ্রতিবাদ জানাই ,
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৪ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:২৪:৫৯ রাত
সম্প্রতি তুরস্কে নির্মিত কাবা ঘর, হেরা পর্বত,
হেরা গুহার প্রতিকৃতি বানানোর
তিব্রপ্রতিবাদ জানাই ,
===================================== সম্প্রতি তুরস্কে নির্মিত
কারণ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি হাজার বছরের ইতিহাসে এই সব স্হানের প্রতিকৃতি বানানোর ঘটনা বিরল। কারন ইসলামে প্রতিকৃতি বানিয়ে একে সন্মান করা নিষিদ্ধ যা হারাম , এমনকি শীর্কি গুনাহের আশংকাও থাকে। কারণ পৃথিবীতে মূর্তি পূজার সূচনাও হয়েছিল নূহ আঃ এর যুগ থেকে মানুষের প্রতিকৃতি বানিয়ে সন্মান করার মাধ্যমে যা আজও বাকী আছে ,
সুতরাং তুরস্কের মেয়র অতিউৎসাহী হয়ে যে কাজটি করেছেন আবশ্যই একটি ঘৃনিত কাজ এটার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই ।
অনতিবিলম্বে ঐ সকল স্হাপনা ধবংস করে ফেলার জন্য মুসলিম উম্মাহকে এগিয়ে আসতে হবে ,
এবং তাওহীদবাদী মুসলিমদের প্রতিবাদে অংশ নেয়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি ।
কারন
ইস্তানবুলেই মক্কা মদীনামুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র ঘর কাবার প্রতিকৃতি সহ মক্কা-মদীনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তৈরী করে কড়া সমালোচনার মুখ পডেছে ইস্তানবুল শহরের একটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
মেয়রের নিজস্ব উদ্দোগে গত রবিবার নবী (সাঃ) এর জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে ‘আসরি সাদাত গ্রাম’ নামের প্রকল্পটি উদ্বোধন করার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তুরস্ক জুড়ে।
সৌদি আরবের মক্কা ও মদীনা নগরীর অনুকরণেই ইস্তানবুল জেলার উসকুদার পৌরসভা কার্যালয়ের আঙ্গিনায় তৈরী করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এখানে কাবা ঘরের প্রতিকৃতি, হেরা পর্বত, হেরা গুহা, মুয়াল্লাক এর পাথর, একটি হাতি, উট, নবী সাঃ এর হিজরত কালে লুকিয়ে থাকা মাকড়াসার জালের গুহা ও জমজম কূপের অনুরুপ স্থাপনা নির্মাণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
উদ্দ্যোগতা মেয়র এসব স্থাপনা ‘হজে যেতে অপারগ লোকজনের আবেগ পূরণে সহায়ক’ বললেও ভিন্ন কথা বলেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রীয় ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ দিয়ানাত।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও এ ধরনের স্থাপনার বৈধতা নেই বলে মত দিয়েছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।ইস্তানবুলেই মক্কা মদীনা
উদ্বোধনের দিনই প্রকল্পটির বিরোধীতা করে এর প্রতিবাদে একজন তুর্কি নাগরিক ইহরাম (হজ্জের পোশাক) পরে কাবার প্রতিকৃতির কাছে উপস্থিত হয়।
আমরা সকল তাওহিদী মিল্লাতের পক্ষ থেকে তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই ,
যাতে করে কতৃপক্ষ ঐ স্হাপনা সরিয়ে নেন এই জন্য বিশ্বের সকল মুসলিমদের এ ব্যপারে সোচ্ছার হয়ে শীর্কের দরজা বন্ধ করতে এগিয়ে আসবেন বলে আমি মনে করি ।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদি খবরটি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আমি এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাই ।
আমি মনে করি, বাংলাদেশেও এমন প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত । কারণ :
১. এর ফলে মুসলিমদের মধ্যে ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে ।
২. ধর্মের সত্যিকার মর্মবাণী প্রচারিত হবে ।
৩. শিক্ষণীয় ঘটনাসমূহ জনসাধারণ সহজভাবে বুঝত পারবে ।
এর আগে তুরস্ক সরকার হাদিস সংরক্ষণ ও হাদিসের শুদ্ধতার উপর উদ্যোগ নিয়েছিল যা প্রশংসিত হয়েছিলো ।
এবারের উদ্যোগটি ব্যতিক্রমধর্মী হওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া সাভাবিক ।
আপনি যে সচেতনতার কথা চিন্তা করছেন ঐটার বিপরীতে শীর্কে লিপ্ত হবে মানুষ , কেননা ইরানে কাবার সাদৃশ্য কাবাকে রিতিমত তাওয়াফ করা হচ্ছে , আপনিও কি চান কি ঐ রকম কোন সচেতনতা
তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না। (সুরা আন-নাহল-১১৬)
তাই হালাল-হারাম বলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
তুরস্কের বহু আগেই মালয়েশিয়া এই ধরণের পার্ক তৈরী করেছে ২০০৮ সালে। যার নাম দিয়েছে-Taman Tamadun Islam ইংরেজিতে The Islamic Heritage Park সেখানে শুধু মসজিদে হারামই নয়, মসজিদে নববী, আকসার কুব্বাতুস সখরা সহ ১৬ টি ঐতিহাসিক স্থাপনার নমুনা নির্মান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হজ্জ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য virtual Hajj এরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। http://tti.com.my/page/taman-tamadun-islam-map
কিন্তু কারো মুখে শুনি নাই এটা হারাম হওয়ার ফতোয়া দিতে। তাই জানার ইচ্ছে হল- মালয়েশিয়া করলে যা হারাম হয় না, তুরস্ক করলে হারাম হবে কেন?
তাই হালাল-হারাম বলার আগে উপরের আয়াতটা ভাল করে বুঝে নিলে মনে হয় আবেগ তাড়িত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মন্তব্য করতে লগইন করুন