সুন্দরবনে ভারতের ড্রোন ও নাইটভিশন রাডার স্থাপন, ভারত-বাংলাদেশ অভিন্ন মুদ্রার প্রস্তাব; পরাধীনতার পথে বাংলাদেশ!!!!
লিখেছেন লিখেছেন আবু আশফাক ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:৫৫:২৩ বিকাল

ফেলানীরা কাঁটাতারে ঝুঁলে থাকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর গুলি খেয়ে! অসহায় গরুব্যবসায়ীদের চোরাকারবারী আখ্যা দিয়ে বলিউডি স্ট্যাইলে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ! আবার ভারতীয় হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলো বাংলাদেশী রোগীর টাকা লুটতে হা করে বসে থাকে বা যখন ইলিশ চোরাচালান হয় তখন তাদের আচরণ ভিন্ন! ভারতীয় স্যাটেলাইট সন্ত্রাস এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে! ভারতীয় পণ্যে বাংলাদেশকে সয়লাব করে ফেলার অবাধ সুযোগ, জলপথের করিডোর, বিদ্যুৎ করিডোর পাওয়ার পাকা বন্দোবস্ত, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তন্ন তন্ন করে খুজে বিনা শর্তে বুশব্যাক! শুধু বিরামহীনভাবে দিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ! বিনিময়ে পাচ্ছে প্রতিশ্রুতির পাহাড়। ছিটমহল সমস্যার সমাধান করবে না তারা, শুকিয়ে মরে গেলেও হবে না তিস্তার জলবন্টন চুক্তি। বাংলাদেশী টেলিভিশনের ছাড়পত্র তাদের দেশে কখনও দেবেনা তারা! অবশ্য একটা জিনিস তারা দিতে যাচ্ছে সময়মতোই, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কয়লার বিষাক্ত গ্যাসে মানুষও মরবে, মরবে সুন্দরবনও! এতকিছুর বিনিময়ে বিশাল পাওনা বাংলাদেশের। বাংলাদেশের মানুষকে মরিয়া প্রমাণ করিতে হইবে যে তারা মরে নাই!
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বাংলাদেশকে ঘিরে ফেললেও সুখ মোটেও আসছে না তাদের। তাই এখন ড্রোন ও নাইটভিশন রাডার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত!
তারপরও অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র ভারত! গুলি করলেও, ড্রোন হামলা করলেও.... ভারত মহান!
আবার দেখলাম সার্ক দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে এক অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৷ অন্ততপক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই মুদ্রা চালুর প্রস্তাব করেন তিনি৷ হায়রে আমার দেশ, আর হায়রে দেশের রাজনীতিবিদ!
ভারত-বাংলাদেশ অভিন্ন মুদ্রার প্রস্তাবক
ধিক! শতধিক!! এসব কুলাঙ্গার রাজনীতিবিদদের। যাদের আত্মমর্যাবোধহীনতায় আজ পরাধীন হতে চলেছে আমার জন্মভূমি।
বিষয়: বিবিধ
২২৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য







































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন