আল্লাহকে বাদ দিয়ে যারা অন্যের ইবাদত কর!!!

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৩ জুলাই, ২০১৪, ১০:২৬:৪২ সকাল



"বলুনঃ আল্লাহ ব্যাতীত যাদেরকে তোমরা উপাস্য মনে কর, তাদেরকে আহ্বান কর। অথচ ওরা তো তোমাদের কষ্ট দূর করার ক্ষমতা রাখে না এবং তা পরিবর্তনও করতে পারে না।"

(সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত-৫৬)

"আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা সবাই তোমাদের মতই বান্দা। অতএব, তোমরা যাদেরকে ডাক, তখন তাদের পক্ষেও তো তোমাদের সে ডাক কবুল করা উচিত যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক?"

(সূরা আল আ'রাফ, আয়াত-১৯৪)



"আর তোমরা তাঁকে(আল্লাহ) বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাক তারা না তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে, না নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পারবে।"

(সূরা আল আ'রাফ, আয়াত-১৯৭)

"এবং যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদেরকে ডাকে, ওরা তো কোন বস্তুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত। তারা মৃত-প্রাণহীন এবং কবে পুনরুথ্থিত হবে জানে না।"

(সূরা আন-নাহল, আয়াত-২০-২১)



"আল্লাহ বলেলেনঃ তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্যতো মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয় কর।"

(সূরা আন-নাহল, আয়াত-৫১)

"তারা আল্লাহ ব্যাতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়।"

(সূরা মারইয়াম, আয়াত-৮১)



"তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করব।"

(সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত-৯৮)

"সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যে তার অপকার করতে পারে নাা এবং উপকারও করতে পারে না। এটাই চরম পথভ্রষ্টতা।"

(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-১২)



"আল্লাহর দিকে একনিষ্ঠ হয়ে, তাঁর সাথে শরীক না করে; এবং যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করল; সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল, অতঃপর মৃতভোজী পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে কোন দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।"

(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৩১)

"তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর পূজা করে, যার কোন সনদ নাজিল করা হয়নি এবং সে সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নাই। বস্তুতঃ জালেমদের কোন সাহায্যকারী নাই।"

(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৭১)



"তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়ে শক্তিহীন।"

(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৭৩)

"যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার সনদ নেই, তার হিসাব তার পালনকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না।"

(সূরা আল মুমিনূন, আয়াত-১১৭)



"তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছু্ই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজেদের ভালও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনেরও তারা মালিক নয়।"

(সূরা আল-ফুরকান, আয়াত-০৩)

"তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে। আল্লাহর পরিবতে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে? অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে অধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে। এবং ইবলিশ বাহিনীর সকলকে।"

(সূরা আশ-শো'আরা, আয়াত- ৯২-৯৫)

"অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক উর্দ্ধে।"

(সূরা আন নমল, আয়াত-৬৩)

"যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করে তদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দূর্বল, যদি তারা জানত।"

(সূরা আল আনকাবুত, আয়াত-৪১)

"তারা আল্লাহর পরিবর্তে যা কিছুকে ডাকে, আল্লাহ তা জানেন। তিনি শক্তিশালী প্রজ্ঞাময়।"

(সূরা আল আনকাবুত, আয়াত-৪২)

"বলুন, তোমরা তাদেরকে আহ্বান কর, যাদেরকে উপাস্য মনে করতে আল্লাহ ব্যতীত। তারা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের অনু পরিমাণ কোন কিছুর মালিক নয়, এতে তাদের কোন অংশও নেই এবং তাদের কেউ আল্লাহর সহায়কও নয়।"

(সূরা সাবা, আয়াত-২২)

"বলুন, তোমরা কি তোমাদের সে শরীকদের কথা ভেবে দেখেছ, যাদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা ডাক? তারা পৃথিবীতে কিছু সৃষ্টি করে থাকলে আমাকে দেখাও। না আসমান সৃষ্টিতে তাদের কোন অংশ আছে, না আমি তাদেরকে কোন কিতাব দিয়েছি যে, তারা তার দলীলের উপর কায়েম রয়েছে, বরং জালেমরা একে অপরকে কেবল প্রতারণা মূলক ওয়াদা দিয়ে থাকে।"

(সূরা ফাতির, আয়াত-৪০)



বিষয়: বিবিধ

২৮৩৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

241212
০৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : এসব মাজার পুজারীদের সাথে কালি দেবীর পুজারীদের পার্থক্য কোথায় !
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১১:২৭
307357
নেহায়েৎ লিখেছেন : জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, দূর্গা মাতার দু্ই সন্তান হিন্দু আর মুসলিম। আমরা পূজা করি সামনে মূর্তি নিয়ে আর মুসলিমরা পূজা কবরে/মাজারে। এই পূজাকে কেন্দ্র করে আমরা ভাই ভাই হয়ে থাকতে পারি।
241213
০৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৪০
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : দর্গা পূজা আর দূর্গা পূজা- পার্থক্য কোথায়?

কোথায় যেন একটি অপ্রিয় সত্য কথা শুনেছিলাম।
বাজারের নারী, মিডিয়ার নগ্ন নারী আর মাজারের নারীর মধ্যে পার্থক্য নেই।

এসব মাজারের সাথে মদ,গাঁজা, নারীর খুব ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১১:২৮
307358
নেহায়েৎ লিখেছেন : কোন পার্থক্য নাই এরা ভাই ভাই হয়ে থাকতে চায়। জওহরলাল নেহরুর মতে।
241222
০৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:০৩
হতভাগা লিখেছেন : মাজার আর পীর পূঁজায় ভরে আছে দেশ
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১১:২৯
307359
নেহায়েৎ লিখেছেন : অথচ এরাও পরিচয় দেয় মুসলিম! কি আজব!
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১১:৫২
307372
হতভাগা লিখেছেন : অনেকে আবার চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়ে হিন্দু সাধুর আলিঙ্গনও নেয়, মনে কনফিউশনও রাখে
২৯ মে ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
307374
নেহায়েৎ লিখেছেন : ওটা একটা ঘটনা মাত্র। আর ইচ্ছাকৃত নয়। কর্মের ফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। ওখানে আমরা পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম।
241236
০৩ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
ইমরান ভাই লিখেছেন :
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১১:২৯
307360
নেহায়েৎ লিখেছেন : এখন একজন দরকার ভাই।
241246
০৩ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:১৪
গরীবেরবন্ধু জুয়েলখান লিখেছেন : Thank you for share
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১১:৩১
307361
নেহায়েৎ লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। জি অনেক কয়েকদিন কুরআন পড়ে পড়ে আয়াতগুলো একত্র করেছিলাম।
241299
০৩ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৪
আফরা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের হেফাজত করোন ।
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১১:৩২
307362
নেহায়েৎ লিখেছেন : পড়তে হবে কুরআন-হাদীস। জানতে হবে বেশি বেশি।
241614
০৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই মাজার পুজারিরা সব সময় চেষ্টা করে মানুষ যেন অর্থ সহকারে কুরআন শরিফ না পরতে পারে। কারন তাহলে তাদের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাবে।
২৯ মে ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
307364
নেহায়েৎ লিখেছেন : মুসলিমদের কুরআন থেকে দূরে রাখার এদের বিভিন্ন রকম কৌশল আছে। একটা হল এরা কুরআন বুঝতে হলে সাত রকমের ভাষা বুঝতে হবে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File