আল্লাহ তায়ালার কঠিন শাস্তি ও আজাব থেকে তাদের নিস্তার নেই।
লিখেছেন লিখেছেন জুনাইদ হোসেন সবুজ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৫৪:৪৫ সকাল
ক্ষমতার একমাত্র মালিক সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা অনেক অত্যাচারী শাসক ও অহঙ্কারী জনপদকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। ‘আমি বহু মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি যখন তারা অত্যাচার করেছিল’ (সূরা ইউনুস-১৩)। আল্লাহ তায়ালার কঠিন শাস্তি ও আজাব থেকে তাদের নিস্তার নেই। পৃথিবীতে কোনো অহঙ্কারী এবং অত্যাচারী জনপদ বা শাসক স্বাভাবিক শাস্তি থেকে রেহাই পায়নি। ফেরাউন, নমরুদ, হিটলার, লেনিন, মীরজাফর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সব অত্যাচারী, জুলুমবাজ এবং অহঙ্কারী শাসকেরই করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।
একজন শাসক যখন ক্ষমতার দাপটে আপনার প্রতি বেশি আস্থাশীল হয়ে ওঠে, নিজের চিন্তা-ভাবনাকেই অধিক প্রাধান্য দেয় তখনই শুরু হয় তার পতন। জনতার রুদ্ররোষে কেঁপে ওঠে তার সিংহাসন। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ইতিহাস ও দর্শনবিদ ব্রিটিশ ব্যক্তিত্ব লর্ড অ্যাকইন বলেন, ‘নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দুর্নীতিতে মজে নিরঙ্কুশভাবে।’ তাই তারা এমন প্রলয় নাচন শুরু করেন, যা দেখে স্বর্গের দেবদূতরাও কাঁদতে থাকেন। কিন্তু অহঙ্কারীদের জানা উচিত, ‘মহামহিমান্বিত সেই সত্তা যাঁর করায়ত্তে সর্বময় কর্তৃত্ব, তিনি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান’ (সূরা মুল্ক-১)। সূরা আল-ইমরানে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন, ‘আমি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করি, আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করি।’ ওই সূরায় তিনি আরও ঘোষণা করেন—‘(হে রাসুল) আপনি বলুন : হে আল্লাহ! তুমিই মালিক সার্বভৌম শক্তির। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নাও।... সমুদয় কল্যাণ তোমারই হাতে’ (সুরা আল ইমরান-২৬)। অত্যাচারী ফেরাউনের পতন ও পরাজয় প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন, ‘আর আমি ইচ্ছা করলাম যে, সে দেশে যাদের দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করি ও তাদের নেতা বানাই এবং দেশের উত্তরাধিকারী করি’ (সূরা কাসাস-৫)। মূলত ক্ষমতার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, মানুষ নয়। পৃথিবীর সব মানুষের প্রতি আল্লাহর ঘোষণা : যারা পৃথিবীতে ইসলাম নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করে অশান্তি ও বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে, তাদের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব স্বীকার করো না (সূরা শুয়ারা-১৫১-৫২)। এটাই মুসলিমের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বিষয়: বিবিধ
৯১৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন