খাবার আলগা রেখে বিড়ালকে ধমকিয়ে লাভকি?
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ১৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:৩৫:৪২ বিকাল
গত কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম ঢাকা শহরের উত্তরা নগরীর রাজলক্ষী এলাকায়। সঙ্গে ছিল আমাদের ভদ্র নম্র নামাজী মনির ভাই। কোন মেয়ের বক্ষের দিকে তাকিয়ে কথা বলেছে এমনটা হয়তো বলতে পারবে ওর স্ত্রী ছাড়া আর কেও নয়। ঢাকা শহরে পা পড়ে হয়তো বছরে কখনও একবার যদি সেই শহরের উপর দিয়ে গাড়ী পার হয় তবেই। কাজ শেরে বললাম চলেন যাই একটু রাজলক্ষী মার্কেটে। ততসময়ে দুপুর গড়িয়ে বিকেলের মিষ্টি আলো ছড়িয়েছে। গাড়ীর ভীর বাড়া শুরু করেছে মার্কেটের সামনে।
ঘুরতে ঘুরতে প্রথমতো নাউযু বিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে একাকার কিন্তু কিছু সময় পরই দেখি চুপ; বললাম কি খবর মনির ভাই চুপ থাকলেন যে, বলে উঠল ধুরও ভাই এই কোন যায়গায় নিয়ে আসলেন আমারে; আমার শহরে তো তাও কাপড়টা বুকের উপর না থাকলেও নজর এতটা শক্তিশালী হয়ে উঠে না যে বসন ভেদ করবে কিন্তু এখানে দেখি অঙ্গই বসন ভেদ করে উকি ঝুকি মারছে। আপনি এখানে কিভাবে থাকতেন।
বললাম ব্র্যাকের মেয়েরা যখন সাইকেল চালাত তখন দেখতে বেশ খারাপই লাগত কিন্তু এখন কি আর লাগে? লাগে না; বেশ স্ম্যার্টই বলে অনেকে।
বলল কথাতো ঠিকই; বললাম দেখেন আপনি যখন কলেজে পড়েছেন তখনও মেয়েরা জামার নিচে আরেকটা জামা পড়ে আসতে যেন অন্তরবাস দৃষ্টিগোচর না হয় কিন্তু কিছুকিছু যখন সেটি ছাড়া অন্তরবাসের হালকা দর্শন দিতে লাগল তখনও কিন্তু খারাপ লাগত এখনকি অতটা লাগে। লাগে না।
এরপর বুকের ওড়না উঠেগেল গলায় সবাই আপনারা ছিছি বললেন কিন্তু একশ্রেণীর লুলরা স্মার্টনেসের ধুয়া তুলে কিন্তু প্রতিষ্ঠিত করল মনরঞ্জনের জন্য কিন্তু আপনারা থুথু বলে বাধা দিলেন খারাপ লাগল বলে এখন কি অতটা লাগে। অবশ্যই লাগে না। কারণ অভ্যেস হয়ে গেছে।
এরপর শুরুহল ম্যাচিং কালারের অন্তর্বাসে পাতলা জামা খারাপ বললাম সবাই কিন্তু প্রতিষ্ঠিাও পেল সেই ঢং। প্রতিষ্ঠা করল কিন্তু নারী স্বাধীনতার নামে একশ্রেণীর প্রতিতারা আর সাথে লুলরা মিলে।
আর এখন অন্তর্বাসও পাতলা আর জামাও পাতলা চলছে নেটের ভিতর দিয়ে বক্ষপ্রদর্শণী। সয়ে যাচ্ছে কিন্তু আস্তে আস্তে। দেখবেন একসময় অর্ন্তবাসে যাকে বিকিকি বলাহয় সেটিতেও অভ্যস্ত হয়ে যাব। বলল এর জন্যই তো বাড়ছে নারী ধর্ষণ যৌন হয়রানী।
বললাম মনির ভাই এগুলি কিন্তু হয়রানী না বা ধর্ষণ না; স্বেচ্ছায় যায় ডেটিংয়ে আর অভিসারে; যখনই ছেলেটির সাথে কাটাকটি সায়েস্তা করার জন্য ঘটে ধর্ষণ মামলা। অথবা বন্ধুর সাথে লিলায় মত্তঅবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়লে মেয়ে পক্ষ করে ধর্ষণ মামলা আর গত কয়েক মাসের হিস্টোরী দেখেন দেখবেন বন্ধুর সাথে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণ; খববরের কাগজওয়ালারা খুলে না বললেও কিন্তু আপনি আমি বুঝি, যারা তাদের জায়গা দিয়েছিল, তারাও একদান মেরে দিয়েছিল। তাতেই মেয়ে পক্ষের মামলা গণধর্ষনের। হাজারে একটা দেখবেন যে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ।
ছেলেদের জন্মগত স্বভাব মেয়ে দেখলেই মন আনচান আর যদি থাকে উন্মক্ত গরম হয় স্বভাবগত ভাবেই যদি থাকে সে শারীরিক ভাবে সুস্থ্য। আর এই শারীরিক আকর্ষণগত কারনেই একজন ছেলে সারাটি জীবন ধরে একজন মেয়ের গোলামী করে চলে।
মনির ভাই বলল দুধ খোলারেখে বিড়ালকে ধমকিয়ে লাভকিরে ভাই, সুযোগ পেলেই তো চুমুক দিবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫২০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হুম, বিড়াল এর চুমুক হতে রক্ষা পেতে খাবার ঢেকে রাখা জরুরী বটে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন